নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলমান জীবনদৌড়ের গল্পে লেখার মত স্থির কিছুর অপেক্ষায়

জাহিদ শাওন

আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না

জাহিদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ থেকে বলছি

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:০২



শাহবাগ থেকে বলছি।
প্রতিবন্ধী, আদিবাসী এবং মুক্তিযোদ্ধা দের যৌক্তিক কোটা সংস্কার করা হোক। কোটা বহাল কোন সমাধান নয় লাগবে সংস্কার। এই সংস্কার ব্যাপারটা না বুঝলে বর্তমান আন্দোলনকারীদের সাথে জনগণের দূরত্ব আরো বাড়বে।

আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী কারা? কোটা সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে।মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাও যাতে না হয় সেটাও চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে হয়েছে সময় ঘুরানো,মামলা, হামলা আরো অনেক কিছু। পাওয়া গিয়েছিলো কোটা আন্দোলনকারীর রহস্যজনক মৃতদেহ।
এত কিছুর শেষে কোটাই বাদ কেন? আবার যাদের দাবী আছে তাদেরকে আন্দোলন করতেও বলা হলো।

দীর্ঘসময় ধরেই কোটা এবং এছাড়া বিভিন্ন নোংরা রাজনীতি দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণের বিপক্ষে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা এবং ব্যবহার দুইই করে আসছে সরকার। সরকার এবং দালালেরা একটা মিথ ছড়িয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের সরকার একমাত্র বর্তমানরাই অথচ এর কোন ভিত্তিই নেই। আর এই কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির পরে এই অবস্থা এখন সরাসরি রাজপথে।

দিনশেষে বর্তমানে কোটা বহালের যে দাবী এটা কি আন্দোলন? আন্দোলনের সংজ্ঞায় পড়ে? গুটি কয়েক মানুষ শাহবাগ ব্লক করছে। অথচ এখন সরকার বা পুলিশ কেউই জনদুর্ভোগ নিয়ে মাথা ব্যাথা করছে না। প্রশাসনিক বাধা ছাড়া কোন আন্দোলন দেখা যায় কখনো? যায় না। একমাত্র শাহবাগে রাজাকারের ফাঁসির দাবী ছাড়া? কিন্তু আন্দোলনের ব্যাখ্যায় সেটাও আন্দোলন ছিলো কিনা নাকি সরকারের প্রটেকশনের একটা সেট ছিলো সেটাও বুঝার দাবী রাখে।

কোটা বহালের দাবীতে বর্তমান আন্দোলন এর একটা অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এরা সংস্কারপন্থী দের মত সহনশীল না।এরা আগের মতই কোটা বহাল চাচ্ছে। অথচ সংস্কারপন্থীরা তাদের কোটা বাতিল চায় নি। এরা শুরুতেই রাস্তায় ব্লক করে আন্দোলন করছে বিনা বাধায় তাও।
হয়তো উপর থেকে যেমন নির্দেশ দিয়েছে তেমন নির্দেশ মানতেই এরা আগের কোটাই বহাল চাচ্ছে,অল্প কিছু মানুষ নিয়ে রাস্তা ব্লক করছে।


মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক, বন্ধ হোক তাদের অসহায়ত্বের সব কারণ।
আরেকটা ব্যাপারও ক্লিয়ার হওয়া দরকার। যারা আর্থিক ভাবে অনেক সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা তাদের কি কোটার খুব বেশি প্রয়োজন?
সমস্যা সমাধানে আন্তরিক না হয়ে সরকার নিজ উদ্যোগে আরো জটিল করছে পরিস্থিতি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কোটা বহালের দাবীতে বর্তমান আন্দোলন এর একটা অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে এরা সংস্কারপন্থী দের মত সহনশীল না।এরা আগের মতই কোটা বহাল চাচ্ছে। অথচ সংস্কারপন্থীরা তাদের কোটা বাতিল চায় নি। এরা শুরুতেই রাস্তায় ব্লক করে আন্দোলন করছে বিনা বাধায় তাও।
...............................................................................................................................................................
কোটা আন্দোলন আর উচিৎ নয় ।
সরকার ইচ্ছা করলে তাদের বিষেশ ব্যবস্হায় ব্যবস্হা নিতে পারে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৩

জাহিদ শাওন বলেছেন: প্রতিবন্ধী,আদীবাসী এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য যৌক্তিক কোটা সংস্কার প্রয়োজন আছে। তবে সরকারই এই আন্দোলন সৃষ্টি করেছে আর এখন দাবী না মেনে পরিস্থিতি আরো বিতর্কিত করছে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রতিবন্ধী ছাড়া আর কারো কোটার দরকার নেই। আদীবাসীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে গেলেও তারা প্রতিবাদ করে। আদিবাসীরা বাংলাদেশী। তারা পড়ালেখা করে সাধারণ বাংলাদেশীদের মতই শিক্ষিত হতে পারে। আদিবাসীদের কোটা দেয়া মানে বাংলাদেশীদের বঞ্চিত করা...

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

জাহিদ শাওন বলেছেন: আদিবাসীরা এখনো অনেক পিছিয়ে তুলনামূলক ভাবে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সচ্ছল না , আবার অনেকে এখন পর্যন্ত কোটা সুবিধা পায় নি। তাই সব কিছু বিবেচনায় যৌক্তিক একটা শতাংশ রাখলে মন্দ হবে না।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

কে ত ন বলেছেন: বার বার আদিবাসী বলা হচ্ছে কেন? বাংলাদেশের কোন আইন বা সংবিধানে আদিবাসী বলে কোন শব্দ নেই। সংবিধানে আছে ক্ষুদ্র নৄ গোষ্ঠী, আর আইনে বলা আছে উপজাতি। আদিবাসী বলে নিজেদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছেন কেন?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

জাহিদ শাওন বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে এই উপজাতিদের জন্য যৌক্তিক কোটা রাখলে খুব বেশি সমস্যা হবে কিনা মনে হয় না।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিসিএস ক্যাডার এ নিয়োগের জন্য সকল কোটার অবসান চাই, মেধাই হোক নিয়োগের অন্যতম শর্ত।
তবে সমাজের পিছিয়ে পড়া নৃ গোষ্ঠী (উপজাতি), মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ইত্যাদি শ্রেণীর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছুটা কোটা রাখা যেতে পারে, যেন ওরা উচ্চশিক্ষার অধিকতর সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদেরকে বিসিএস ক্যাডারের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারে। সরকার চাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদেরকেও, আসল মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা যাচাই সাপেক্ষে, অন্যান্য সুবিধা দিতে পারে। যেমন, বিনা ভাড়ায় বা কম ভাড়ায় রেল ভ্রমণ বা সরকারী পরিবহণে ভ্রমণ, মাসিক মাসোহারা ইত্যাদি। কিন্তু যেখানে সরকারের কর্ম পরিকল্পনা প্রয়োগের জন্য অফিসার নিয়োগ করা হবে, সেখানে মৌ্লিক মেধাই হোক একমাত্র মাপকাঠি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫১

জাহিদ শাওন বলেছেন: বেশ বলেছেন। এটা একটা দারুন সমাধান হতে পারতো যে শিক্ষা গ্রহণে তারা সুবিধা পেতো।আর সেটা দিয়েই নিজেদের প্রতিযোগিতায় যোগ্য করবে।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গন্ডগোলের মূল সরকার নিজেই!

ছাত্ররা চাইল সংষ্কার! তারা কি সংস্কারের মানে বোঝে না!
এত এত আমলা কামলা বিশেষজ্ঞ কেউ বুঝলো না সংস্কার মানে কি?
করে দিল বাতিল!
আবার এখন চলছে ড্রামা! পুরোটা বহালের দাবীর নামে!

সংস্কারের স্পষ্ট করে দাবী করা ছিল - মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হোক তবে পরিমিত ভাবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, প্রতিবন্ধি, নারী জেলাকোটা সহ সকল কোটা মিলে যেন একটা সহনশীল পর্যায়ে থাকে।
অথচ অযথাই জল ঘোলা করে মুক্তিযুদ্ধের মতো সকলের কাছে প্রিয় পবিত্র একটা নামকে ব্যবহার করে আবার জাতিগত বিভেদের বীজ রোপন করার অপচেষ্টা চলছে!

প্রিয় সিনিয়র @ খায়রুল আহসান, উনার মন্তব্যে সহমত।


১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫২

জাহিদ শাওন বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

জাহিদ শাওন বলেছেন: বলেই আর কি হবে। কর্তারা এখন নাটকে ব্যস্ত নাটক দেখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.