নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলমান জীবনদৌড়ের গল্পে লেখার মত স্থির কিছুর অপেক্ষায়

জাহিদ শাওন

আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না

জাহিদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইনে-অফলাইনে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির খেয়াল রাখুন এবং বুঝার চেষ্টা করুন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩


ছবিঃ সংগৃহীত

১. যারা এখন নির্লজ্জের মত বলছে সুষ্ঠু ভাবে ভোট হয়েছে। বিরোধীরা নামতে পারে নি এটা তাদের ব্যার্থতা। এদের দৃষ্টিভঙ্গি তো এখনই দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট।

২. যারা দুই দিন আগেও লজিকের মায়রে বাপ করে হলেও প্রোপাগান্ডা চালাতো আওয়ামী লীগই একমাত্র স্বাধীনতার সপক্ষে শক্তি। এখন নির্বাচনের হালচাল দেখে বলছে এটা অনাকাংখিত ছিলো, এটা খুব খারাপ হয়েছে। এদের বোঝা বা উপলব্ধির ক্ষমতা যদি আসলেই পরিবর্তন তথা উন্নত হয় তাহলে ভালো। তারপরও এদের মনে রাখা দরকার দৃষ্টিভঙ্গির আপডেট জানার জন্য। কারণ এদের মতই এক দল ২০১৪ এর ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে ভোট দেয়ার আক্ষেপ এবং গণতান্ত্রিক পজেটিভ ন্যারেটিভ দেখিয়েছিলো কিন্তু পরে এরাও আসল দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে। এরা পরবর্তীতে এমন ভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে বিনা ভোটের যে সরকার ছিলো তা বৈধ বুঝানোর চেষ্টা করেছে। তাই সময় পার হলেই অনেকে আবার খোলস ছেড়ে বের হবে।

৩. যারা চুপ থাকে বা আছে, মাঝে মাঝে বিনোদনও নেয়। এদেরও একটা অংশ দেখা যাবে সদ্য ঘটে যাওয়া এই নির্বচনকে ভবিষ্যতে পজিটিভ ভাবে উপস্থাপন করবে। ধীরে ধীরে এরাও প্রোপাগান্ডা আর বন্দনা শুরু করবে। তাই এদের দৃষ্টিভঙ্গিও বুঝার দরকার আছে।

......

কেন এদের দৃষ্টিভঙ্গি বা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কথা খেয়াল রাখতে বলছি এইজন্য "যে দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।" তাই ভবিষ্যতে এদের প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পড়ে এদের ভালো ভাবা বা এই নির্বাচনের বিশ্রী ঘটনা ভুলে যাওয়া যাতে না হয়। যারা স্পষ্ট ভাবেই ১ নাম্বারের মত নির্লজ্জ তাদের দ্বারা মানুষ বিভ্রান্ত না হলেও ২ এবং ৩ এর ধারা হয়। কারণ এরা ভালো ভালো কথা বলবে এর ফাঁকে একটা দুটো করে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিকে পজিটিভ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। তাই যাদের ভুলে যাওয়ার স্বভাব এবং খোঁজখবর কম রাখে তারা এদের বিশ্বাস করে বসে থাকে।

সাবধান হোন এখনই,অনলাইনে অফলাইনে দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর পরিবর্তনে খেয়াল রাখুন শুধুমাত্র বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা পেতে । আশেপাশে এমন মানুষের অভাব নেই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫১

রসায়ন বলেছেন: ১. নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের দাবীমতে ২০% অনিয়ম, আমার ও তাই মনে হয়। ১৯৮৬ থেকে নির্বাচনের স্মৃতি আছে আমার, সরকারী চাকরীজীবি হিসাবে আম্মা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতেন। কোন আমলে কতোটুকু সুষ্ঠু নির্বাচন আর সহিংসতা হয়েছে- ভুলিনি। ২০% অনিয়মে চুড়ান্ত ফলাফলে কোন পরিবর্তন আসেনা।

২. যে পরিমান নিবেদিত ভোটার ভোট দিতে আসলে অনিয়ম আর পাত্তা পায়না, ঐক্যফ্রন্ট সে পরিমান ভোটার ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারেনি।

৩. ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট সম্ভবতঃ ৩৩ টি আসন পেয়েছিলো ৩০০ আসনের মধ্যে। গত দশ বছরে তারা এমন কোন পজিটিভ কাজ করেনি যে ৩৩ টা থেকে ১৩৩ আসন পেয়ে যাবে। বরং যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিরোধীতা ও আগুন সন্ত্রাস ঘটিয়ে গনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। ৩৩ থেকে কমে ১৩ তে নেমে আসা অস্বাভাবিক নয়।

৪. আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত ক্ষোভ আছে সাধারন ভোটারদের। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসাবে বিএনপি জামাতকে তারা গ্রহন করেনি, কারন যে সব কারনে আওয়ামী লীগের উপর ক্ষোভ- বিএনপি জামাত তার প্রতিটি ঘটিয়েছে অতীতে। গত ১০ বছরে বিএনপি জামাত এমন কোন নিদর্শন স্থাপন করতে পারেনি যে, আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো দিন তারা উপহার দেবে।
বিএনপি জামাতের পক্ষে তাই কোন গনজোয়ার তৈরী হয়নি।

৫. ঐক্যজোট নেতৃত্বের বিশেষ করে তারেক জিয়ার নির্বাচনে জেতার বা প্রতিদ্বন্ধিতা করার কোন ইচ্ছা ছিলোনা। বেশীরভাগ আসনে এমন সব প্রার্থী দিয়েছে যাদের বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীই গ্রহন করেনি। তারেক জিয়া এই সুযোগে মনোনয়ন বিক্রী করে কয়েকশো কোটি টাকা কামিয়েছে। এইসব ধান্দাবাজি করে আওয়ামী লীগের মতো দলের সাথে টেক্কা দেয়া সহজ নয়।

৬. এই শাসনামলে রাজনৈতিক স্থিরতার কারনে ব্যবসায়ী, চাকরীজীবিরা এক ধরনের 'কমফোর্ট' ফিল করেছেন। রাজনীতি নিরপেক্ষ ভাবে অনেকেই চেয়েছেন- এরকম চলুক, পরিস্থিতি না বদলাক। আমার বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন এবার নৌকায় ভোট দিয়েছেন যারা এর আগে কখনোই নৌকায় ভোট দেননি।

৭. আওয়ামী লীগের গ্রামমুখী নীতি কাজ করেছে। বীজ, সার, বিদ্যুৎ এর জন্য কৃষকদের ভুগতে হয়নি। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবিধা পেয়েছেন। নানা ধরনের সামাজিক ভাতা পেয়েছেন দরিদ্র শ্রেনীর মানুষেরা। অবকাঠামো উন্নয়নের সুবিধাও পাচ্ছেন।
শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষেরা এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেন এবং তারা অবশ্যই রাজনীতি সচেতন। শেয়ার বাজার বা ব্যাংকিং ব্যর্থতা তারা গুরুত্ব দেননি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৬

জাহিদ শাওন বলেছেন: সব পয়েন্টে বিএনপি জামাতের রেফারেন্স টানলেন। সেগুলোর উত্তর সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেয়ার কথা না। লীগের অ্যাগিনেস্টে কিছু বললেই মুখস্থ কমেন্ট আসে এরকম। অথচ সাধারণ মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে আর পলিটিকাল দের সাথে কিভাবে সেই সেন্স থাকে না কারণ আপনার নিজেরাই পলিটিকার যারা এমন করেন। তাই এসেই নিজেদের বিরোধী দল নিয়ে টানা হেচড়া শুরু করেন। সাধারণ নাগরিকও যে বিরুদ্ধে থাকতে পারে সেটা আসলেই আমলে নেন না।
তারপরও কিছু পয়েন্টে আমি এক দুটো রিপ্লাই দিচ্ছি।

১। অমুক আমলে অনিয়ম হয়েছে তাই এখনো হতে হবে বা হলেও তেমন কিছু না , এসব সস্তা লজিক থেকে কবে বের হওয়া হবে?
২। ভোটার কারা নিয়ে এসেছে? নাকি আসতে দেয় নি? এগুলো নিয়ে আসলে তর্ক করেও লাভ নেই, কারণ কইয়েকটা রেফারেন্স দিলেই বলবেন অমুক আমলে হয়েছে, বা অন্য যুক্তিগুলোও আবার দেখাবেন যেগুলো পাবলিক এখন বুঝে গেছে সেগুলো প্রোপাগান্ডা।
৩। ২০০৮ এ জনগণ যে কারণে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলো এবার একই কারণে আওয়মী লীগের বিরুদ্ধেও দিতো। কিন্তু ভোট দিতে পেরেছে?
৪। কাকে গ্রহণ করবে সেই সুযোগ দেয়া হয়েছে? উত্তরে ঐ একই লজিক টানবেন হয়তো।
৫। হা হা। ঐ একই ত্যানা, একই প্রোপাগান্ডা লজিক।
৬। স্থিতিশীল পরিস্থতিতে আসলেই উন্নতি হয়। কোন ধরণের কমফোর্ট? ধনীরা আরো ধনী হয়েছে। পরসিসংখ্যানের বিকৃত জুজু আর কত! বাক স্বাধীনতা, সরকারকে জবাবদিহি করার স্বাধীনতা না পেলে মানুষ বিরুদ্ধেই যাবে।
৭। ঐ দরিদ্রদেরকেই ভোট দেয়ার সুযোগ হলে জবাব পাওয়া যেতো।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৪

রসায়ন বলেছেন: বিএনপি এমন কোন মহাকর্ম করেনি যে ৩৩ থেকে ১৩৩ হয়ে যাবে ।

[link|https://election.prothomalo.com/news/1572569|সুনামগঞ্জ–৩ এক ভিন্ন ধারার ভোট

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অভিনন্দণ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫০

জাহিদ শাওন বলেছেন: ধন্যবাদও জানান এমন একটি নির্বাচনের জন্য।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।

দৃষ্টিভঙ্গিই তার আত্মার পরিচয়। দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য!

আওয়ামীলীগ বঙ্বন্ধুর সকল অর্জনকে ম্লান করে দিল।
যে আইয়ুব ইয়াহিয়ার স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে, জনগণের ভোটের অধীকারের জন্য বঙঙ্গবন্ধু লড়াই করলেন, তারই উত্তরাধীকার আজ নির্লজ্ব ভাবে তা ছিনিয়ে নিল!
তাঁর পৌত্র গর্ব করে বলে- আমার মাকে পশ্চিমারা স্বৈরচারা বলে তা সম্মানের!!!!!!!!!!!!
কাকে কি বোঝাবেন! দৃষ্টিভঙ্গিই যখন উন্মত্ত- সুস্থতার আশঅ বাতুলতা বৈকি!

এমন একদলীয়, এক মার্কা আর এক চোখা নির্বাচন পৃথিবীতে অভূতপূর্ব! জঘন্য নিকৃস্ট উদাহরণ হয়ে রইল।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কাছে এটা বেশি ভালো লাগছে যে, ৩০ ডিসেম্বর পার হলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

জাহিদ শাওন বলেছেন: সেটাই। মুখে যে কথা কজে সেটা ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

বাংলার মেলা বলেছেন: ১। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, কিন্তু গণনায় কারচুপি হয়েছে। এইরকম কারচুপি করে রাতকে দিন বানানো যায়।
২। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি সেটাতো ভোটেই প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ স্বভাবতই স্বাধীনতা চায়, সেজন্য ৯৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে পড়েছে। তবে দুঃখের কথা, মির্জা ফখরুল সহ কয়েকজন নির্বাচনে পাশ করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়না।
৩। এই নির্বাচন অবশ্যই পজিটিভ, কারণ একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা, প্রচার প্রপাগান্ডায় হামলা, পুলিশ বাহিনীর অব্যাহত গ্রেফতার অভিযান, এইসব অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের পাত্তা না দেওয়া এবং সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার পরেও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে যায়নি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

জাহিদ শাওন বলেছেন: ৯৫% মানুষ ভোট দিতে পেরেছে? নাকি ৯৫% বেলট পড়েছে?

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

ক্ষুদ্র চিন্তা বলেছেন: পেশাজীবি দালালগোষ্ঠী, উচ্ছিষ্ঠভোগী সন্ত্রাসী বাহিনী, আর প্রশাসনের মধ্যকার এক দালাল অংশ ছাড়া বর্তমান বাংলাদেশে আর কেউ আওয়ামীলীগকে পছন্দ করছে না। তাদের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় ধ্বস নামল এই নির্বাচনের প্রহসনের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে যেভাবে অপমান করেছে, তা এই মানুষগুলো সহসা ভুলবে না।
প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে বাধ্য করে দুর্নীতি করিয়ে প্রশাসনের বড় আরেকটি অংশের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হল আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন ভিডিও ক্লপি দেখে বোঝা যায় যে তারা একাজটাকে কতটা অপছন্দ করছে। একদিনেই ডাকাতির প্রশিক্ষণ দেওয়ার মত ঘটনা।
আমার বিশ্লেষণ বলছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অবস্থা জাতীয় পার্টির মত হতে চলেছে। আল্লাহ ভাল জানেন।

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

জাহিদ শাওন বলেছেন: জাতীয় পার্টির মত হবে না। কারণ এরশাদের আমলের চেয়ে এখন নির্লজ্জ্ব বেহায়া মানুষ দেশের গুরত্বপূর্ণ জায়গায় আছে এবং রাখা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.