নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
পাবলিক বের হলে পিটায়া বাসায় ফেরত পাঠানো মানা যায়। কিন্তু সেগুলোর পরিষ্কার ছবি বা ভিডিও কেন করতে হবে? ফেস ব্লার করে ইয়ং জেনারশনের কয়েকজনকে পিটায়া দেয়া যেতে পারে কারণ অনেকেই আছে অ্যাডভেঞ্চার করে বাইরে বের হয়। প্রাইভেসি মেন্টেইন করা নিয়ে যেহেতু কোন আইন কানুন নাই বা থাকলেও প্রয়োগ নাই তাই এসবের বালাই করে না প্রশাসন বা জনগণ কেউ। যার যেমনে মন চায় পকেট থেকে ফোন বের করে অনুমতি ছাড়াই যা ইচ্ছে তুলে আবার ছড়িয়েও দেয়।
প্রস্তুতি নিয়ে কথা হচ্ছে বারবার। প্রস্তুতি যে সরকার নেয় নাই বা এখনো সেভাবে নিচ্ছে না সেটা প্রতিনিয়ত প্রমানিত হয়।
প্রস্তুতি ছাড়াই সব হচ্ছে বিদায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই বাজে অবস্থাতেও ঘরের বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছে। তার চেয়েও বাজে পরিস্থিতি তারা মার খেয়ে ফেরত আসছে, কানে ধরে ফেরত আসছে! আবার সেগুলোর ছবিও খুব গর্ব ভরে শেয়ার হচ্ছে। অথচ লকডাউনের প্রথম প্রস্তুতিই হওয়া ছিলো কিভাবে প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া যায়। বিশেষ করে সারাদেশের দিন মজুর, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী আর ছিন্নমূল মানুষদের।
অথচ সেসবের লক্ষ্যনীয় কোন প্রস্তুতি বা ব্যবস্থা চোখে পড়ছে না।
সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো যতটুক করে যাচ্ছে তার সমানও কি সরকার করতে পারছে? আমি সন্দিহান এই ব্যাপারে।
মানুষ ১০ দিনের ছুটি পেয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ ব্যাপারটা ছুটি নাকি লকডাউন সরকার ক্লিয়ারলি স্টেপ নেয় নাই বুঝাতে। আগেতো সকল পরিবহণ বন্ধ করার দরকার ছিলো। পরিকল্পনা বা সমন্বয় কিছু থাকলে এমন হতো না।
এলিট মানুষজন গণহারে দোষ দিলো পাবলিকের। অথচ মানুষ যে এমন করবে তাতো জানা কথা।
সাধারণ মানুষ প্রথমত এটাকে ছুটি হিসেবে ফায়াদা নিয়েছে। অথচ এরা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেটার পরিকল্পনা ছিলো না।
দ্বিতীয়ত তারা যে বাসায় স্টে করবে সেটার জন্য কোন পূর্ব পরিকল্পনা সরকার দিয়েছে? আপদকালীন সময়ে তাদের থাকা-খাওয়ার কি হবে এসব নিয়ে কোন বার্তাই ছিলো না। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবে এসব মানুষজন নিজের জীবনের নিরপত্তার জন্য ঘরে ফিরতে চেয়েছে, কেউ বাধ্য হয়েছে যেতে।
এই পরিকল্পনা আর সমন্বয়ের অভাবে মানুষ ছড়িয়ে পড়লো সারাদেশে তাও আবার টানা ৪-৫ দিন ধরে।
এখন আবার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া এই মানুষজন আবার ফিরতে শুরু করেছে। গার্মেন্টস চালু তাই। শুধু গার্মেন্টস কেন কোন ইনডাস্ট্রিয়াল সেক্টরই বন্ধ হয়নি যতদূর জানি। অথচ এই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিয়ে বাকী ইন্ডাস্ট্রিগুলোও একই সাথে বন্ধ করতে পারতো।
এদেরকে সাময়িক খাদ্য ব্যবস্থা করলেও এরা কাজে যোগদানে বাধ্য। কারণ সরকারি ভাবে কোন সাস্টেইনবেল নেগোসিয়েশন করা হয় নি গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানা গুলোর সাথে।
পূর্ব প্রস্তুতি ছিলো না। এখন যা নিচ্ছে তাও সমন্বয় ছাড়া। এভাবে চলতে থাকলে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে ভাবা যায় না।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৬
জাহিদ শাওন বলেছেন: মানুষের সমালোচনার মুখেই কেন বন্ধ ঘোষণা করতে হবে? এইরকম বাজে পরিকল্পনা বিহীন কাজের জন্য এই যে মানুষ গুলো আবার গাদাগাদি করে জড়ো হলো এতে কি থেকে কি ঘটে কেজানে! শুধু গার্মেন্টস নয় আরো অনেক কারখানাই চালু এখনও। যেখানে ক্যান্টিনগুলোতে গেলে ঘুরেফিরে গণজামায়াত যেটার জন্য রেস্টুরেন্টও বন্ধ।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
চরম বাস্তব।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪২
রাফা বলেছেন: যারা আইন অমান্য করে রাস্তায় বের হবে তারা অপরাধী।অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়া উচিত ।কারন তাহলেই শুধু এদের কাছ থেকে মানুষ দুরে থাকবে এবং নিজেকে নিরাপদ রাখবে।
সরকার ভুল করেছে অসংখ্য।অবশ্যই আমরা সেসবের নিন্দা করবো,প্রতিবাদ করবো.।কিন্তু নিজেরাও যদি সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে একই কাজ করি।তাহলে আমাদের সচেতনতার প্রমাণ কোথায় থাকলো !! নিজে সচেতন হন অন্যকেও সচেতন করুন।
তাহলেই নিরাপদ থাকা সম্ভব।আপনি সচেতন হলেন ,কিন্তু আরেকজন না হয়ে আপনাকে আক্রান্ত করলো তখন আপনার সচেতনতার মূল্য কোথায় রইলো বলুন ?
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২০
জাহিদ শাওন বলেছেন: মানুষ সচেতন হয়ে নিরাপদে থাকতে ডান্ডাই যথেষ্ট।
আর বের হলেই অপরাধী কিভাবে? কয়জনের বাসায় খাবার গেছে? যারা খাবার কিনে রাখে নি সামর্থ্য থাকলেও তাদেরও তো খাবার প্রায় শেষ। সাপ্লাই চেইন ঠিক না রেখে বলা হয়েছে মানুষ কেন বেশি খাবার কিনে সংকট তৈরী করছে!
আর যারা বিনা কাজে বের হবে তাদের কেলানো দরকার আছে। কিন্তু পরিচয় প্রকাশ কেন? সংকটেও সংকীর্ণতা কাটে না, আমরা এমন এক জাতি।
ওই সচেতনতা বজায় রাখতে সবার খ্যাদ্যচিন্তার মুক্তি আগে প্রয়োজন। যারা অসচেতন ভাবে বের হয় এঁদের বেশির ভাগই পেটের দায়ে। মানুষকে ঘরে রাখার এই ব্যবস্থা করতে হবে। এখনো অনেক ইন্ড্রাস্ট্রি চালু যেখানে জড়িত মানুষেরা বাধ্য হয়েই বের হচ্ছে।
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভদ্র লোকে গার্মেন্টস ব্যবসা করতে পারে না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২১
জাহিদ শাওন বলেছেন: সংখ্যায় নগণ্য। গার্মেন্টস কেন বাংলাদেশী মালিকানার বেশিরভাগ শিল্পকারখানার অবস্থাই এমন।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ফিরে আসুক কর্মমুখর দিন,প্রশান্তিময় প্রাঞ্জল প্রহর,
নিশ্চিত নিশ্চিন্ত আনন্দময়
সেই মূহুর্ত!
শুভকামনা শুভেচছা অশেষ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২১
জাহিদ শাওন বলেছেন: ফিরে আসুক!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশেষে বন্ধের ঘোষনা! আরো কিছুদিন বাড়ীতে থাকার সুযোগ দেয়ায় সরকার ও মালিকপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।