নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
অবকাঠামো গত উন্নয়ন কখনো একটা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হতে পারে না। রাস্তাঘাট, ব্রীজ এই অবকাঠামো গুলো ফোকাস করেই লেখা। অথচ বিগত কয়েক বছর ধরে এই অবকাঠামোগত খাম্বাকেই উন্নয়ন বলে গেলানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। যারা শুধুমাত্র এই অবকাঠামোকেই উন্নয়ন হিসেবে বুঝে এবং সুযোগ পেলে সেটা পুঁজি করে সরকারের বন্দনা করে তারা কোন না কোনভাবে সরকারের সুবিধাভোগী। হোক সেটা প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষভাবে। পেশাগত ভাবে হোক বা রাজনৈতিক ভাবে হোক, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে পরিবার বা পরিচিত সবাই সরকারী বন্দনায় কাত হয়ে যায়। আবার অনেকে মনস্তাত্ত্বিক ভাবেও সুবিধাভোগী। যেমন ধরা যাক কারো পরিচিত কেউ সরকারি রাজনীতির সাথে জড়িত তো ভবিষ্যতে সুবিধা লাভের মানসিক ইচ্ছায় সে সরকারের বন্দনা করে, নিজের সরকার মনে করে।
দেশের প্রকৃত উন্নয়ন তখনই হবে যখন দেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য মৌলিক চাহিদার উন্নয়ন ঘটবে। বস্ত্রের হিসেব বাদ দিলে খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা বাকী থাকে। কি অবস্থা এই মৌলিক চাহিদা গুলোর?
চিকিৎসা বা শিক্ষা খাতের কি দুরবস্থা সেটা সব সময়েই একটা উন্মুক্ত সত্য ছিল। বিষয়টা ছিল সেই সত্যটা স্বীকার করার বা মানার। এই নির্মম সত্য নিয়ে কথা বললেই সরকার বিরোধী ট্যাগ দিয়ে সরকার বিরোধী অপপ্রচার বলা হয়।
শুধুমাত্র চিকিৎসা খাত নিয়ে অল্প কিছু কথা বলা যাক।
চিকিৎসা খাতের সামগ্রিক উন্নতির বদলে চলমান দুর্নীতির উন্নয়ন ছিল, হচ্ছে ব্যাপকভাবে। টেন্ডার ভিত্তিক ক্রয়ের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসা খাত নয় প্রত্যেক খাতে আকাশ ছোঁয়া দামে জিনিসপত্র ক্রয় করা হয়। উদ্যোক্তা বাড়ানোর নামে নতুন নতুন টেন্ডারবাজের উত্থান হয় সুবিধাজনক সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে। ঠিকাদারদের বিভিন্ন মহলে কাজ পাওয়ার আগে থেকে লেনদেন করতে হয় আবার কাজের মাঝে থেকে শেষেও লেনদেন করতে হয়।
কিছুদিন আগেও চিকিৎসা খাতের এসব দুর্নীতির চিত্র মিডিয়ায় এসেছে পর্দার দামের মাধ্যেম। কিন্তু এরকম সবগুলো খবরতো আর মিডিয়ায় আসে না। সরকারি কর্মকর্তা আর রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের সুস্পষ্ট মদদ বা ইন্দনে এসব হয়েই যাচ্ছে। কোন একটা ধরা পড়লে নাম হয়ে শুধু মাত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেনের পার্টনারশিপে থাকা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের বা সরকারি কর্মকর্তাদের তেমন কিছু হয় না। ফলে মিডিয়ায় কয়েকদিন ঢাকঢোল বাজে নাম মাত্র। কিন্তু একই লুটপাট চলতে থাকে।
নাসিম সাহেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকা কালীন একটা মেডিকেলের পরিচালককে অবসরের কয়েকদিন আগে বদলি করা হয়। তার অপরাধ ছিলো যেসব যন্ত্রপাতি হাসপাতালে আছে সেসব আবার কিনতে অনুমতি না দেয়ায়, তাও আবার অনেক বেশি দামে। অথচ যে যন্ত্রপাতি বর্তমান ছিলো সেগুলো ব্যবহারের জন্যই যথেষ্ট জনবল ছিলো না। লিংক খুঁজে পাচ্ছি না।
এই করোনা পরিস্থিতি আরো চোখে আঙ্গুল দিয়ে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার স্বরূপ উন্মোচন করলো। এই স্বরূপ আগেও উন্মোচিত ছিলো। কিন্তু এবার ধনী-গরিব সবার পিঠ নির্বিশেষে দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় একটু বেশিই চোখে লাগছে। উন্নয়নের বাণী আউড়ানো কেউও রেহাই পাচ্ছে না এই ভয়াবহ চিকিৎসা ব্যবস্থার নির্মমতা থেকে। হ্যাঁ এটাও সত্য অনেকেই আছে এখন আমতা আমতা করে চিকিৎসা ব্যবস্থার দায় রাষ্ট্রের উপর চাপাচ্ছে যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে ঠিকই আবার অবকাঠামো গত উন্নয়নের বন্দনা গাইবে।
একটা উন্নয়নশীল দেশ, জিডিপির বাম্পার ফলনশীল দেশ অথচ সেই দেশের হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম থাকে না, মানু্ষকে ১ মাস কঠোরভাবে ঘরে রেখে খাওয়ানোর মুরদ নেই। হসপিটালে অক্সিজেনের ভালো ব্যবস্থা থাকে না। হাওয়া খাওয়ার জন্যতো দক্ষিণ মুখী হয়ে রাস্তাতেই থাকা যায়।
এত কিছুর পরেও উন্নয়নের মুলো দেখিয়ে দাবী করা হয় অর্থনৈতিক মুক্তির। অর্থনৈতিক মুক্তিও এমন চরমে হয়েছে যে টাকা রপ্তানি করতে হয় প্রচুর।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৯
জাহিদ শাওন বলেছেন: হ্যাঁ। ভাল বলেছেন।
২| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সত্য কথা লিখেছেন।
যারা নির্লজ্জের মতো বলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৮
জাহিদ শাওন বলেছেন: শাস্তি হবে না। দেশতো তাদেরই দখলে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোটাই অপরিকল্পিতভাবে তৈরি।এখানে চিকিৎসক,নার্স,টেকনোলজিস্ট চাহিদার তুলনায় তাদের সংখ্যা অপ্রতুল আবার যা আছে তাদেরও কাজে লাগানোর মত সিস্টেম তৈরি হয় নি।টেন্ডারবাজি,ক্ষমতার দাপট,দলীয় প্রতিহিংসা এসব উইপোকার মত সিস্টেমকে নষ্ট করে ফেলছে।আমাদের নেতারা মন্ত্রী হলে এখনো উন্নয়ন বলতে বোঝেন ২৫০ সজ্জার হাসপাতালকে ৫০০ সজ্জার হাসপাতালে উন্নয়ন।ভিতরে সদরঘাট থাকুক।উপরে ফিটফাট থাকলে হবে।উদ্বোধনের সময় হাসি হাসি মুখে ছবি তুলবেন!তাতেই তাদের শান্তি।