নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকনোমিকস আমার প্রফেশন আর সাহিত্য আমার প্যাশন।

জহিরুল ইসলাম কক্স

:)

জহিরুল ইসলাম কক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজে যে ভুল সমূহ সংশোধন করা জরুরি

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৫

অনেকেই নামাজ পড়তে
গিয়ে কতগুলো সাধারণ ভুল করে থাকেন।
যে ভুলগুলোকে অনেকে আবার ভুলও মনে
করেন না। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে যারা
নিয়মিত নামাজ পড়েন তারাও অবলীলায়
এসব ভুল করে থাকেন। ভুল করতে করতে এমন
অবস্থা হয়েছে যে, এখন এ ভুলগুলোকেই
সঠিক নিয়ম বলে মনে হয়।
অভিজ্ঞ আলেমদের অভিমত হলো, এসব
ভুলের অনেকগুলোই রাসূলের সুন্নতের
খেলাফ। আবার কোনো কোনো ভুল তো
নামাজই নষ্ট করে দিতে পারে। আসুন
জেনে নিই আমরা সাধারণত কোন
ভুলগুলো সবচেয়ে বেশি করে থাকি।
১। তাকবিরে তাহরিমা না পড়ে রুকুতে
যাওয়া: প্রচলিত আরেকটি ভুল হলো,
তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহ আকবার)
না বলে রুকুতে চলে যাওয়া। অর্থাৎ
জামাতের নামাজে ইমাম যখন রুকুতে
যান, তখন অনেককে দেখা যায় যে
রাকাত পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করে
একটি তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলতে
বলতে রুকুতে চলে যান এ পদ্ধতি সঠিক নয়।
কারণ তাকবিরে তাহরিমা ফরজ।
২। ছানা পড়া নিয়ে বিভ্রান্তি:
অনেকেই ভাবেন ইমামকে রুকুতে পেলে
ছানা পড়তে হবে কি না- বিষয়টি নিয়ে
অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেন। বস্তুত
ছানা পড়া সুন্নত। নামাজে নিয়ত বাঁধার
পর প্রথম কাজ হলো ছানা পড়া। কেউ একা
পড়ুক বা জামাতে নামাজ পড়ুক, উভয়
অবস্থায় ছানা পড়তে হয়। ইমাম আস্তে
কেরাত পড়া অবস্থায় ইমামের সঙ্গে
নিয়ত বেঁধে ছানা পড়তে পারে তাতে
কোনো অসুবিধা নেই। আর ইমাম জোরে
কেরাত পড়া অবস্থায় কেরাত শুনা ফরজ
বিধায় তখন ছানা পড়া নিষেধ।-রদ্দুল
মুহতার: ১/৪৮৮
৩। নামাজীর সামনে দিয়ে যাওয়া: ফরজ
নামাজের পর অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন
মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য। হজরত
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজের সম্মুখ
দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কী
পরিমাণ পাপ রয়েছে, তবে তার সম্মুখ
দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ বছর
দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম হতো। হাদিসের
বর্ণনাকারী আবু নসর বলেন, আমার মনে
পড়ে না ৪০ দিন না ৪০ মাস, না ৪০ বছর
বলেছেন।’ -সহীহ বোখারি ।
৪। তাড়াহুড়া করে অজু করা: অজুর ফরজ
চারটি। মুখমন্ডল ধৌত করা, উভয় হাত কনুইসহ
ধোঁয়া, মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ
করা এবং উভয় পা টাখনুসহ
ধোয়া। এগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে
হবে। হাত-পা, মুখমন্ডলের নির্দিষ্ট
স্থানে পানি পৌঁছাতে হবে। কোনো
জায়গা শুকনো থাকলে অজু হবে না। তাই
তাড়াহুড়া করে অজু না করা ভালো।
৫। নামাজের জন্য দৌঁড়ে যাওয়া:
অনেকেই নামাজের জন্য মসজিদে দৌঁড়ে
গিয়ে জামায়াত ধরেন। আল্লাহর রাসূল
(সা.) বললেন, এরূপ কখনো করো না।
শান্তিশৃক্সখলা ও ধীরস্থিরভাবে
নামাজের জন্য আসবে, তাতে যে কয়
রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে পড়ে
নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের
নামাজের পর পুরা করে নেবে।’ -
বোখারি শরীফ, খ-১, হাদিস নম্বর- ৩৮৭
৬। ফজরের সুন্নতে তাড়াহুড়া করা: ফজরের
নামাজের জামাতে অংশ নেয়ার জন্য
ফজরের ফরজের আগের সুন্নত নামাজ
সংক্ষিপ্তভাবে শেষ করে জামাতে
ইমামের সঙ্গে দাঁড়ানোর চিত্র
হরহামেশাই দেখা যায়। এমন অযাচিত
তাড়াহুড়া নিষেধ।
৭। কাতার পূর্ণ না করে নতুন কাতার করা:
সামনের কাতার পূর্ণ না করে কোন মতেই
নতুন কাতার করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ
(সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাতার
মিলিত করে আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক
জুড়ে দেন, আর যে ব্যক্তি কাতার
বিচ্ছিন্ন করে আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক
বিচ্ছিন্ন করেন।’ -নাসায়ি
৮। মানুষ ডিঙিয়ে সামনের কাতারে
যাওয়া: সামনের কাতারে নামাজ
পড়লে সওয়াব বেশি। হয়তো এ কারণে
শুক্রবার কিংবা রমজানে তারাবির
নামাজে এসে একদল মানুষ চাপাচাপি
করে সামনে গিয়ে বসে। জায়গা না
থাকা সত্ত্বেও অনেকটা আরেকজনের
গায়ের ওপর বসে পড়ে। এতে আরেক
মুসল্লির কষ্ট হয়। এটা ইসলামসম্মত নয়। হযরত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান
ওই ব্যক্তি যার হাত ও মুখ থেকে অন্য
মুসলমান নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মোমিন
সেই ব্যক্তি যাকে মানুষ নিজেদের জীবন
ও ধনসম্পদের ব্যাপারে নিরাপদ এবং
নির্বিঘ্ন মনে করে।’ -তিরমিজি

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: হুম, মূল্যবান জিনিষ জানানোর জন্য ধণ্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.