![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“জয় বাংলা” এবং “জয় বঙ্গবন্ধু” প্রসঙ্গে কিছু বিশেষ কথা ।
আগে “জয় বাংলা” এবং “জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগানে গলা ফাটালেও এখন আমি তা করি না। কারণ দীর্ঘদিন ভারতে থেকে আমি দেখেছিলাম যে, ওখানে রাজনৈতিক অঙ্গনে “জয়” শব্দটি কেউ ব্যবহার করেন না। ব্যবহার করেন “জিন্দাবাদ” শব্দটি। “জয়” শব্দটি ব্যবহার হয় ধর্মীয়ক্ষেত্রে। “জয় দুর্গা” “ জয় কালী” ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবে। ফলে “জয়” শব্দটি হচ্ছে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক শব্দ। কিন্তু “জিন্দাবাদ” শব্দটি পুরোপুরি সর্বসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শব্দ। তাছাড়া “জয় বাংলা” শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়েছিল বৃটিশ আমলে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালীন সময়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িক এবং সামন্তবাদী স্বার্থে। কোলকাতা থেকে ঢাকায় প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের জন্য পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের যুক্তিসঙ্গত দাবীর বিরুদ্ধে।
তখনকার বৃটিশ বাংলায় এদেশের শিক্ষিত হিন্দুরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালী মুসলমানদের বাঙ্গালী পরিচয়ে স্বীকৃতি দিত না। তারা “বাংলা” ও “বাঙ্গালী” ইত্যাদি বিষয়গুলিকে হিন্দুদের নিজস্ব বিষয় বলে মনে করতো। কাজেই ঢাকায় প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বাঙ্গালী মুসলমানদের দাবীটি ছিল তাদের কাছে বাংলা তথা বাঙ্গালী হিন্দুদের স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। ফলে তারা "জয় বাংলা" শ্লোগানটিকে ব্যবহার করেছিল বাঙ্গালী মুসলমানদের দাবীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালী হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য।
সেই সাথে আমি বাংলাদেশের “রাষ্ট্রপিতা” শহীদ জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে “বঙ্গবন্ধু” বলতে একদম অনিচ্ছুক। আমার মতে একজন বঙ্গবাসী কখনও বঙ্গবন্ধু হতে পারেন না। কারণ বঙ্গের যিনি বন্ধু তিনিই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গের বন্ধু তিনিই হতে পারেন যিনি বঙ্গবাসী নন। কিন্তু একজন বঙ্গবাসী সবসময় বঙ্গবাসী হয়েই থাকেন। আর এটিই হচ্ছে একজন বঙ্গবাসীর সবচেয়ে বড় পরিচয়। তবে আমি মনে করি যে, বাংলার জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি না দিয়ে যদি “বঙ্গনেতা” উপাধি দেওয়া হত তাহলে তা প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিসঙ্গত হত।
মশিউর রহমান এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত
©somewhere in net ltd.