![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মনে ভালোবাসা বিষয়ক অনুভূতি সর্বপ্রথম জন্ম দেয় সেই বালিকা কালে স্কুলের এসেম্বলীতে দাঁড়িয়ে গাওয়া আমাদের মহান জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি'। ভালবাসা শব্দটির মর্মার্থ ও যখন জানতাম না তখন থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাই, ভালবাসি সোনার বাংলাকে। কেন জানি ইদানিং ভয় হয় আজন্মের লালিত সেই ভালোবাসা বুঝি ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়, বুঝিবা আমি ও উপাধী পাই কোন আজগুবি গাঁজাখুরি অভিধায়। কারণ আমি যে ইসলামী ব্যাংক নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির একজন নগন্য গ্রাহক।
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি কোন তুচ্ছাতিতুচ্ছ রেকর্ড গড়ার জন্য নিশ্চয়ই লাখো কন্ঠে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করা হচ্ছেনা। এই আয়োজনের মূল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করা ও জাতীয় সম্প্রিতীকে উৎসাহিত করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এজন্য স্বেচ্চা অনুদান আহবান করেছিলেন এবং ভালোই সাড়া পেয়েছিলেন। অনুদান প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলো ইসলামী ব্যাংক লিঃ । তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়ে আমাদের চেতনার উৎসবে সামিল হয়েছিলো তারা। কিন্তু অতি মাত্রায় চেতনা বিশ্বাসী বা জীবনে এক টাকা রাষ্ট্রীয় তহবিলে দেবার যোগ্যতা না রাখা কিছু ভন্ড মাতালের বিরোধীতার মূখে সরকার সে টাকা ফিরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।
আমার আজকের আলোচনার বিষয় সেই টাকা গ্রহণ বা ফেরৎ দেবার প্রসঙ্গ নয়। আমার প্রশ্ন ইসলামী ব্যাংক নামক তুচ্ছ এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ করে উপস্থাপন করে মূলত লাভোবান হতে চাচ্ছে কারা? বর্তমানে রাষ্ট্রয়াত্ব বা বেসরকারী সকল ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বেশি, শুধু বেশি নয় অনেক অনেক বেশি, বিদেশ থেকে এই ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে সবচেয়ে বেশি। এর মানে কি এই যে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী? নিশ্চয়ই নয়। ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বেশি কারণ তাদের সেবার মান ভালো এবং স্বচ্চ। এখন যারা ইসলামী ব্যাংকের বিরোধীতা করছেন তারা মূলত চেতনা প্রমিক নয় তারা কোন না কোন ব্যাংকের চামচা চামুন্ডা যারা ইসলামী ব্যাংকের সেবা ও মানের কাছে হেরে গিয়ে অন্য ভাবে ইসলামী ব্যাংক কে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায়। সরকার চালায় বিচক্ষণ মানুষ গুলো, আবেগান্ধ বয়ক্তিদের দিয়ে সরকার চালালে সরকারই নয় শুধু আঘাত আসে রাষ্ট্র কাঠামোর মূল স্তম্ব গুলোতেও।
জাতীয় সঙ্গীত সার্বজনিন একটা বিষয়, প্রধানমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সকলের অনুদান গ্রহণ করে জাতীয় সঙ্গীতের সার্বজনিনতা রক্ষা করেছিলেন কিন্তু চেতনা ব্যবসায়ীদের কাছে অবশেষে তিনিও কপোকাথ। এখন এই অনুষ্ঠান তার সামগ্রিকতা ও সার্বজনিনতার প্রশ্নে কলঙ্কিত। ওরা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থে চেতনা বলে চিৎকার জুড়া মানুষ গুলো আমাদের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করে আর কতো আমাদের মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাকে খন্ডিত করে করে যাবে?
©somewhere in net ltd.