![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
।জ্ঞানের প্রতি বিপুল আগ্রহ । সংগ্রাম মুখর আমার জীবন ।
নবুয়ত প্রাপ্তির পর হযরত হানযালা (আঃ) প্রতিদিন শহরের ফটকে দাড়িয়ে বনী ইসরাঈলীদের বলতেন , 'হে আমার সম্প্রদায় । তোমরা এক আল্লাহ সম্পর্কে অবহিত হও , তিনি একক, তার কোন শরীক নেই । তাকে মানো, তার রবুবিয়তের স্বীকৃতি দাও ,মূর্তিপুজা ত্যাগ করো । বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তান তোমদের পূজায় লাগিয়েছে । তোমরা এক আল্লাহকে ভয় কর । তিনি তোমাদের স্রষ্টা , পালণকর্তা, তারই ইবাদত করো ।' কিন্তু তারা এতে কর্ণপাত করলো না বরং ঠাট্টা বিদ্রুপ করা শুরু করলো । তিণি গজব, আযাব, মৃত্যুর কথা বল্লে ওরা হাসতো । কারণ গত ৭শো বছরে তাদের কেউ মৃত্যু বরণ করেনি । মৃত্যু কি তারা জানেও না । দুংখ-কষ্টও তাদের ইতিহাসে নেই । নবী বলতেন , তোমরা ইবরাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব ও ইউসুফ এর বংশধর । তারাতো কোন পূজা করতন না, তোমরা তাদের বংশধর হয়ে পূজা কর এতে তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত ।
তার এরকম বক্তব্য এবং প্রচারের ফলে বাদশাহ তাফুর সহ পুরো দেশ উনার বিপক্ষে চলে যায় । বাদশাহ সহ সকলে উনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং উপহাস করতে থাকে । নবীকে উপহাস করার পরিণতিতে আল্লাহ গজব নাজিল করেন । একদিন দুপুর না হতেই হাজার হাজার বনী ইসরাঈলী মারা যায় । বাদশাহ বলেন, ওরা ঘুমিয়ে আছে । সবাই গিয়ে দেখে ওরা পাথরের মত হয়ে গেছে , জাগার কোন সম্ভাবনা নাই । এরপরও তারা ইসলাম ধর্মে আসেনি । অত্যাচারী বাদশাহ ছিদ্রহীন ঘরে ঢুকে ১২ হাজার প্রহরী বসিয়ে দিলেন । সেখানে আজরাঈল (আঃ) বাদশাহকে দেখা দিয়ে আসে । ওইদিন তার হায়াত ছিলো । সেদিন সে প্রহরীদের ভীষণ প্রহার করলো এই কারণে যে কিভাবে আযরাঈল ভিতরে গেলো । পরদিন এক কণা ছিদ্রও বন্ধ করে দেয়া হলো । কিন্তু পরদিন ঠিকই আযরাইল (আঃ) তার জান কবজ করে নিয়ে যায় । এছাড়াও তিনি সব রক্ষী, লোক লস্কর ও রাজবাড়ীর সকলের প্রাণ সংহার করে পুকুরের পানি, জমির শস্য সব শুদ্ধ তুলে নিয়ে যান ।
এবার শেষবারের মত হানযালা (আঃ) তাদের প্রতি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করলেন । কিন্তু তারা এবার বলতে থাকে , তোমার জন্য আমাদের এই দুর্দশা । তারা হযরত হানযালা (আঃ) কে হত্যা করতে অগ্রসর হয় । তিনি সেখান থেকে কোনরকমে পালিয়ে যান । তারপর আল্লাহ ছত্রিশ ক্রোশ দীর্ঘ এক সাপ পাঠালেন । সাপ তাদের সবাইকে বেষ্টন করে চাপ দেয় । এতে বাড়িঘর, প্রাসাদ সব ভেঙ্গে পড়ে । কুপ পনিশুন্য হয়ে ধুয়া বেরোতে থাকে । আর শহরের সব অধিবাসী মারা যায় ।
বনী ইসরাঈলীদের এই দুর্দশা দেখে মরোক্কবাসী আমলেকা সম্প্রদায় এই সুযোগে আক্রমণ চালায় । ফিলিস্তিনিদের সৈাভাগ্যের প্রতীক তাবুঁ সাকীনা সহ সব সম্পদ ছিনিয়ে নেয় । এভাবে একটা জাতি ধ্বংস হয়ে রাজ্যহারা হয়ে পড়ে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:১২
জেমসবন্ড বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ । আমার পরিবেশ গ্রুপে স্বাগতম ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২
সবুজ আরেফিন বলেছেন: ভালো লাগলো।