নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধার্মিকের বিশ্বাস-অবিশ্বাস

২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

সবথেকে বেশী যে প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হয় আমাকে, তা হলো- “আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না?”

আসলে কি জানেন, বিশ্বাস শব্দটা আমার কাছে আপেক্ষিক। তারপর তা যদি হয় সৃষ্টিকত্তা তবে তো কথাই নেই। কিন্তু এই সময়ে আর এই সমাজে বাস করে ধম্মপান্ডাদের খগড়ের নীচে দাঁড়িয়ে কার ঘাড়ে ক’টা মাথা আছে বলুন তাকে অবিশ্বাস করে? যাকগে ওসব তক্কে আজ আর যাচ্ছি না। বিষয়টা যখন আমার বিশ্বাস আর অবিশ্বাস নিয়েই তখন সেটাই আরেকটু পরিস্কার করা যাক। আসলে জানেন কি; আমার বিশ্বাসও যুক্তি নির্ভর। মানে ছেঁকে-ছেঁটে যতটুকু টেকে ততটুকুই নেই। তবে আপনি যদি আপনার প্রথাগত ঘম্মের অন্ধবিশ্বাস নিয়েই যুক্তি-তর্ক করতে চান তবে আপনাকে কিন্তু কত্তার আর তেনার ক্ষমতার যে বর্ননা আপনার ধম্মপুস্তকে দেয়া হয়েছে তার পুরোটাই মানতে হবে। এই যেমন ধরুন “তার ইচ্ছাহীন-ইশারা ভিন্ন গাছের পাতাটিও নড়ে না…….” এই রকমের কথা। এসব দিয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে এ জগৎময় যা কিচ্ছু হয়েছে-হচ্ছে-হবে সকলই তেনার ইচ্ছেতে। আচ্ছা এবার আসুন, আমি মেনে নিলাম তেনার ইচ্ছানুসারেই সকল কম্ম হয়- তবে ৩ বছরের শিশু ধর্ষন, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, ধম্মের নামে
হত্যা-লুট-ধর্ষন সকলই কি তাঁর ইচ্ছেতেই হচ্ছে? চোর চুরি করছে তার ইচ্ছেতে;? মানুষ দুর্নীতি করছে তাঁর ইচ্ছেতে; ধর্ষন-হত্যা হচ্ছে তাঁর ইচ্ছেতে; হিংস্ত্র প্রানী নিরিহ প্রানীগুলোকে মেরে খাচ্ছে তাঁর ইচ্ছেতে; অস্ত্র কারখানায় মানুষ মারার জন্য অস্ত্র তৈরি হচ্ছে তাঁর ইচ্ছেতেই; তাঁর ইচ্ছেতেই মানুষের উপর যুগ-যুগ থেকে চলে
আসছে যত অনিয়ম আর নির্যাতন। তাহলে আমি তাঁকে যে বিশ্বাস করি না এটাওতো নিশ্চই তারই ইচ্ছেতেই হচ্ছে; শুধু আমিই নই, এই পৃথিবীর সকল ঈশ্বরে অবিশ্বাসীই তাঁর প্রতি যে অবিশ্বাস করছে- সে সব তাঁর ইচ্ছেতেই হচ্ছে।

আসুন আপনাকে একটা গল্প শোনাই, গল্পটা বহুদিন আগের- পুরনো, তাই পুরোটা অত স্পষ্ট মনে নেই আর। এক ভদ্রলোক একটা ফুলের বাগান করলেন বাড়ির ঠিক সামনেই, তাতে ফুল ফুটেছে অনেক রঙের। একদিন বাগানের গেট খোলা পেয়ে একটা গরু ঢুকে গাছগুলো খেতে শুরু করলো। ভদ্রলোক এসেই এসব দেখে চক্ষুস্হির। একটা কাঠ দিয়ে গরুটাকে আঘাত করলেন- ব্যাস, গরুটা মারা পড়লো। এবার ভদ্রলোক ভয় পেলেন। হায়রে গরুটা মারা পড়লো এবারতো আমার মহাপাপ হবে। হঠাৎ তার মাথায় এলো; আরে আমি শাস্ত্রে পড়েছি সূর্যের শক্তিতে চোখ দেখে, পবনের শক্তিতে কান শোনে, ইন্দ্রের শক্তিতে হাত কাজ করে, ইত্যাদি ইত্যাদি নানা কথা। ভদ্রলোকের সেই কথাগুলি তখন মনে পড়ায় ভাবল- “যাকগে আমি কিছুই করি না ঈশ্বরই সব করান; তাহলে আমার আর কোন দোষ নেই। তাছাড়া এই হাত চালানো দেবরাজ ইন্দ্র তিনিই এসব করেছেন”। ব্যাস্ যেইনা এসব ভাবা অমনি দন্ডের খাতায় তার পাপের পরিবর্তে ইন্দ্রের খাতায় পাপের জমা হলো। ইন্দ্রকে সাথে-সাথে মেসেজ দেয়া হলো। যাই হোক দেবরাজ বলে কথা। ইন্দ্র তো মহাচিন্তায় পড়ে গেলো- এ ব্যাটা মস্ত খচ্চর! আমাকে শেষব্দি ফাঁসালো। ইন্দ্রও ছাড়বার পাত্র নয়, দেবালয় থেকে মর্তে নেমে এলেন এর একটা সুরাহা করতে। তিনি এক ব্রাহ্মনের রূপ ধরে ঘুরতে লাগলেন ওই ভদ্রলোকের বাড়ির সামনে। একটু পরেই তিনি হনহন করে ঢুকে গেলেন ভেতরে, বাগানের পাশে এসেই বল্লেন “বাহ্ কি সুন্দর পুষ্প শোভিত পল্লব, এই বাগানটি কে করেছে?” ভদ্রলোক পাশেই ছিলেন, এত প্রশংসায় তিনি আল্হাদিত হয়ে বলেই ফেললেন আমিই করেছি। এবার ইন্দ্র আরেকটু এগিয়ে আসলেন, এসেই দেখলেন সেই মরা গরুটি। এবার বল্লেন, “আরে এই গরুটি কে মেরেছে?” ভদ্রলোক এবার
থমকে গিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বল্লেন, “আজ্ঞে আমি নই, মেরেছেন দেবরাজ ইন্দ্র!”। ইন্দ্র এবার নিজের রূপে ফিরে এসে ভদ্রলোককে এক ধমক দিয়ে বললেন, “আরে বেটা ভালো কাজ সব তোর আর খারাপটা আমার, দাড়া দেখাচ্ছি তোকে”। সেই ভদ্রলোকের তো অবস্থা খারাপ, কাচুমাচু করতে করতে পালায় আরকি!

মোদ্দাকথা হচ্ছে- যদি মানেন সকল কিছুই কত্তার ইচ্ছেতে হচ্ছে; তবে সকল কিছুই কিন্তু। যত ভালো- যত মন্দ সকলই। যেহেতু তিনি সকল বস্তুতেই বিরাজিত অতএব ‘নিরাকারে তিনি, আকারেও তিনি। বীজেও তিনি, বিষ্ঠায়ও তিনিই’ ….. জগৎইতো তিনিময়। ভোগ আর নৈবদ্য দেবার সময় শুধু ক্ষীর আর ননীটা খাওয়াবেন তা হচ্ছে না বাপু, চিকেন ফ্রাই আর মাটন চাপও খাওয়াতে হবে। মধুতে যিনি মদেও তিনি। বলিও পাঠায় যিনি গরু আর শুকরেও তো তিনিই। অসুখ ভালো হওয়াটা যদি তার ইচ্ছেতেই হয় তবে মায়ের গর্ভে শিশুর মৃত্যু, বাবার কোলে সন্তানের মৃত্যু, মায়ের সামনে কন্যাকে ধর্ষনও তার ইচ্ছেতেই হচ্ছে।

কি মনে-প্রানে-চিন্তায় আর কর্মে মানছেন তো, কত্তাকে আর তার সর্বব্যাপীত্বকে? যদি মানতেই হয় তবে পুরোটা মানবেন- ভালোটা তিনি আর মন্দটা; কে?
যাই হোক, আপনি মানলেও এই সত্বাকে আমি মানছি না- প্রকাশহীন, অনুভুতিহীন, আকারহীন, স্বাদ-গন্ধহীন, বোধ-বুদ্ধিহীন, হিংস্ত্র এই সত্বাটি আমার কাছে কখনই সৃষ্টিকত্তা ছিলো না। যে সৃষ্টিকর্তাকে তুষ্ট করতে দিনব্যাপী, কখনো বা মাসব্যাপী না খেয়ে থাকতে হয়। যিনি নিরিহ প্রানীর রক্তে তুষ্ট হন তিনি আর যাই হোক সৃষ্টিকর্তা নন। তিনি কি করে আপনার মঙ্গল কামনা করেন! আর এরকম সব হাস্যকর বিষয়কে আপনি বিশ্বাস করেনইবা কি করে? সত্যি বলতে কি- বিশ্বাস কখনোই যুক্তিকে মানতে চায়নি; যেকোনো বিষয়ে ভাবতে আর প্রশ্ন করতে শেখায়নি। সব কিছুকেই যেন অন্ধের মত মেনে নিয়ে অন্ধকারকে অনুসরন করতে বলেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.