নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধানে পশুর সাথে নির্মম ও নিষ্ঠুর নৃশংসতায় কুরবানী

২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০



পশু বলী, পশু জবাই, পশু কুরবানী , পশু শিকার মত প্রাচীন গুহাবাসী বনবাসী প্রথা এবং আদীম মানুষের মত আয়োজন করে পশু হত্যা বা পশুর প্রতি নিষ্ঠুর অহ্চরনের দেয়ালচিত্র আজো সভ্য সমাজ বহন করছে। প্রাচীন গুহাবাসী মানুষ জ্যান্ত পশু ধরে নানা গান বাজনা নৃত্য করে তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে পশুহত্যা করতে । এই প্রথা আদিম যুগেও যেমন দেখা যায়, দেখা যায় সভ্যযুগেও। পশুর প্রতি এই অসভ্য অহ্চরণ সময়ের সাথে সাথে প্রথা গুলো ঈশ্বর তৃপ্তি বা পুণ্যের কাজ হিসেবে প্রচলিত আছে এখন বর্তমান সমাজে ।

পশুর প্রতি এমন বালাই দ্যোতন ধর্ম গ্রন্থ ঈশ্বরের নির্দেশে যেমন দেখা যায়, দেখা যায় দেবদেবীতে স্তুতিকারী ধর্মশাস্ত্রেও। একেশ্বরবাদী ধর্মগ্রন্থে যেমন এর প্রচলন আছে, আবার আছে বহুশ্বরবাদী মতবাদেও। ভারতের অনেক প্রদেশে দূর্গা পূজায় মহিষ বলি দেওয়ার নিয়ম এখনো আছে। সনাতনীরা গীতাকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে ধরে নেয়। সেই গীতাতে ভগবান বলছেন– ‘পত্র পুষ্প ফল মূল ভক্তিসহকারে নিবেদন করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।’

হিন্দু ধর্মে পাঠাবলির কথা সর্বজনসিদ্ধ। দেবীকে পরিতুষ্ট করার উদ্দেশ্যে পাঠা বলি দেয়া হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পায়ের পদতলে পশুত্বকে বিষর্জন দেয়া হয়। মা স্বয়ং এই বলি গ্রহণ করেন ফলে বলি দেয়া পাঠার মাংস তুলনামূলক কম স্বাদের হয়ে থাকে। এই স্বাদটা মা গ্রহণ করেন। সূত্র মতে, দেবীদুর্গাকে মহাদেব শিব বলেছেন, ‘আরাধনানাং সর্বেষাং বিষ্ণোঃ আরাধনা’ মানে – সকল আরাধনার মধ্যে বিষ্ণুর আরাধনাই শ্রেষ্ঠ। শিব শ্রীনারদ পঞ্চরাত্র গ্রন্থে প্রতিদিন কিভাবে শ্রীগোবিন্দের অর্চনা করতে হয় তা দুর্গাদেবীকে নির্দেশ দিয়েছেন। শিব আমিষ ভক্ষণ করেন না।

প্রাচীন ভারতে হিন্দুদের মধ্যে গরুর গোশত খাওয়ার অনুমতি ছিল। প্রাচীন ভারতে ষাঁড় দেবতার উদ্দেশ্যে বলির পর এর মাংস খাওয়া হতো। প্রাচীন হিন্দুধর্মে গরুকে খাদ্যের উৎস এবং জীবনের প্রতিরূপ হিসেবে সম্মানের সাথে দেখা হয়। নেপালে প্রতি পাঁচ বছরে একবার উদযাপিত গড়িমাই উৎসবে, হাজার হাজার তীর্থযাত্রী একত্রিত হয়ে লক্ষ লক্ষ গরু কুরবানী দেওয়া হয় । এই উৎসবে, অংশগ্রহণকারীরা দুই দিনের এই সময়ের মধ্যে ৫০০,০০০ টি প্রাণী বলি দেয়। নেপাল সম্পর্কে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ভাষ্য অনুযায়ী এইদেশেই একই এলাকায় পৃথিবীর সর্বোচ্চ সংখ্যক পশু বলি হয়। প্রতি ৫ বছর পর পর শক্তির দেবী গাধিমাইকে খুশি করার জন্য হাজার হাজার পশু বলি দেওয়া হয়।

ইসলাম ধর্মমতে আল্লাহ পরমানন্দ সন্তুষ্টির জন্য পশুত্বকে কুরবা্নী দেয়ার প্রতীকীরুপ হলো পশু কুরবা্নী। আদম থেকে কুরবা্নীর প্রথা চালু রয়েছে। পূর্ববর্তী অন্যান্য নবী গণও কুরবা্নী করেছিলেন। বিরল কুরবা্নী দিয়েছিলেন হযরত ইব্রাহিম | ইব্রাহীম কে আল্লাহ পরীক্ষা করার জন্য বলে যে তার সব চাইতে প্রিয় জিনিসটিকে যেন তিনি কোরবানী দেন । ইব্রাহীমের কাছে মনে হয়েছিল তার সন্তান ইসমাইল হলো সব চাইতে প্রিয়। তাই তিনি ইসমাইলকে আল্লাহর নামে কোরবানী দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ও কোরবানী দেয়। আল্লাহর কি অসীম কুদরত- কোরবানীর পর দেখা যায় ইসমাইল কোরবানী না হয়ে তার স্থলে পড়ে রয়েছে এক দুম্বা। মুসলমানরা এ ঘটনা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর এ দিনে কুরবানী দেয় অর্থাৎ পশু জবাই দেয়।

প্রতি বছর শত শত নয়, হাজার হাজার নয়, কয়েক লক্ষ মহিষ, ভেড়া ছাগল দাপড়াচ্ছে কাটা দেহ নিয়ে। বলির এক কোপে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটিয়ে দিচ্ছে। খ্গড় দিয়ে বেহুশের মত বলি দিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক আর হাজার হাজার মানুষ নাটক দেখার মত সেই দৃশ্য দেখে যাচ্ছে। সেই কুরবানী কি আত্মা ত্যাগ নাকি নির্মম ও নিষ্ঠূর শিক্ষা দেয় ? ঠিক এরকম করেই নেপালের গাধীমাই মন্দিরের দেবীকে তুষ্ঠ করতে প্রতিবছর বলি দেয়া হতো কয়েক লক্ষ পশুকে। ২০০৯ সালে ৫ লক্ষ পশুকে একই সময় বলি দেয়া হয়েছিল। কাজটা বর্বরতা। স্বীকার করতে লজ্জ্বা নেই। কোন আল্লাহ ঈশ্বরের সন্তুষ্ঠির জন্য একটা পশুকে জাপটে ধরে আদিম উল্লাসে প্রকাশ্যে বার বার পোচ দিয়ে পশু জবাই করা বর্বরতার শিক্ষা । কোরবানীর সময় সেই বর্বরতাটা ভাইরাল হয়ে পড়ে। এখানে কোন শিক্ষা নেই। এটা কোন পবিত্র কাজ হতে পারেনা । পশু প্রতি এমন আচরণ বিকৃত মানসিকার পরিচয়। একটা পশুকে জবাই করার মধ্যে কোন ম্যাসেজ নেই। ইব্রাহিমের নিজ পুত্রকে কোরবাণী দেয়ার কাহিনী হলো অসুস্থ বিকৃত চিন্তার ফসল। এসবই তাওরাতের কাহিনী। ইব্রাহিমের স্মৃতি ধরে রাখতে প্রতি বছর পশু কোরবাণী দেবার যে ইসলামী বিধান তা হাস্যকর। হাজার বছর ধরে নিয়ম করে প্রতি বছর পশুর রক্ত দেখে সন্তুষ্ঠ হবার ইচ্ছা কোন সুস্থ আল্লাহ বা ঈশ্বরের থাকতে পারে না। আল্লাহকে সন্তুষ্টির জন্য একটা পশুকে নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে জবাই করলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয় আর তা দেখে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন বিষয়টা অদ্ভুত লাগে শুনতে ।পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে মুখে বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার বলে সে আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের এ সত্যের স্বীকৃতি দান করেনা বরং বাস্তব বহিঃপ্রকাশ হলো ইসলাম ধর্মের নির্মম নিষ্ঠুরতা । এই হল ধর্মের প্রকৃত রূপ নির্মমতা নিষ্ঠুরতা হত্যা করা জবাই করা । আলকায়দা তালেবান আইসিস, বোকো হারামের মতো কোন ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আজ কোরান এবং সুন্নাহ মতাবেক মুক্তমনা ব্লগারদের ধরে ধরে জবাই করছে। সেই নির্মম নিষ্ঠুর বর্বরতার শিক্ষা হলো কুরবানী বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার বলে ধর্মের নামে নিরীহ মানুষের গলায় ছুরি চালাতে মনের মধ্যে সামান্যতম দ্বিধা দ্বন্দ্ব বা কোমলতা প্রকাশ না কারন কোরবানীর নামে প্রানীকে প্রচন্ড যন্ত্রনা দায়ক হত্যার অনুষ্ঠান করতে হবে প্রকাশ্য স্থানে, সবার সামনে যেন সবাই তা দেখে নির্মম নিষ্ঠূর হওয়ার শিক্ষা লাভ করে । আর হাজার হাজার মানুষ নাটক দেখার মত সেই দৃশ্য দেখে যাচ্ছে। সেই কুরবানী মহত্ত্ব উদারতা ও শ্রেষ্ঠত্বের নাকি তার বিপরীত নির্মম ও নিষ্ঠূর নৃশংসতায় ? ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.