নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয় আমার

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

১.

একটু একটু করে বেঁচে ওঠার চেষ্টা করছি প্রতিদিন। শরীরের ক্ষত তাকিয়ে থাকে আমার দিকে, জীবনের ক্ষত নিয়ে ভাবার ইচ্ছে হয়না এখনো। একটু একটু করে গড়ে তোলা বহু বছরের জীবনটাকে ফেলে এসেছি ঢাকার বইমেলার ফুটপাতে। এখনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে চোখের সামনে দেখতে পাই ফুটপাতের উপর পরে থাকা অভিজিৎ এর রক্তাক্ত দেহ, ভরদুপুরের নিস্তবদ্ধতায় শুনতে পাই হাসপাতালে আমার পাশেই শুইয়ে রাখা ক্ষতবিক্ষত অর্দ্ধচেতন অভিজিৎ এর মুখ থেকে ভেসে আসা অস্ফুট আওয়াজ। ডাক্তার যখন আমার কপালের, মাথার চাপাতির কোপগুলোর সেলাই খোলে তখনও আঁতকে উঠি, বুড়ো আঙ্গুলহীন বাম হাতটা দেখে প্রায়শঃ চমকেও উঠি, আয়নায় নিজের চেহারাটাও ঠিকমত চিনতে পারিনা আর। আহত মস্তিষ্ক উত্তর খোঁজে, খোঁজে কারণ আর পারম্পর্য। তারপর বুকের খুব গভীরের সেই অপূরনীয় শূণ্যতা থেকে জন্ম নিতে থাকে এক অদ্ভূত অনভূতি। চোখে ভাসতে থাকে মানুষের চেহারায় মানুষ্যেতর সেই প্রাণীদের কথা, যারা ঢাকার রাজপথে উন্মুক্ত চাপাতি হাতে বেরিয়ে আসে অন্ধকার মধ্যযুগীয় মূল্যবোধের গুহা থেকে, যাদের হুঙ্কারে ক্রমশঃ আজ চাপা পড়ে যাচ্ছে সভ্যতার স্বর। লেখাটা লিখতে লিখতেই দেখলাম ঢাকা শহরে আবারো নাকি চাপাতির উল্লাসে ফেটে পড়েছে তাদের বিজয়গর্জন। একমাস যেতে না যেতেই তারা আবার অভিজিতের হত্যা উদযাপন করেছে আরেকটি হত্যা দিয়ে। বাংলার মাটি ভিজতেই থাকে ধর্মোন্মাদ কূপমন্ডুকদের নবীন উল্লাসে।

কিন্তু ইতিহাস এবং বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে তারপরেই মনে পড়ে যায় যে, তোমরা তো সব সময়েই ছিলে। তোমাদের মত ধর্মোন্মাদ অপশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই তো এগিয়েছে মানবসভ্যতা। তোমাদের মত হায়েনার দলতো সব সময়েই প্রগতিকে খুবলে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করেছে; বুদ্ধিবৃত্তি, বিজ্ঞান্মনষ্কতা, প্রগতিশীল শিল্প সাহিত্য সংষ্কৃতি সবইতো তোমাদের আতঙ্কিত করেছে যুগে যুগে। তোমরাইতো প্রতিবার জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রগতিকে আটকাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছো। কিন্তু সামান্য কলমের আঁচড়ে তোমাদের কাঁচের ঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। তোমাদের দুর্বল ধর্মবিশ্বাস মুক্তচিন্তার হাওয়ায় নড়ে ওঠে, তলোয়ার নিয়ে, চাপাতি নিয়ে ছুটে আসো, কল্লা ফেলেই শুধু তোমাদের ঈমান রক্ষা হয়। তোমরা তো সবসময়েই ছিলে… হাইপেশিয়ার শরীরের মাংস তো তোমরাই নিজের হাতে চিরে চিরে উঠিয়েছিলে, অসংখ্য নির্দোষ ‘ডাইনি’ পুড়িয়েছো তোমরা, সতীদাহতে মেতেছো, ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে দানবীয় আনন্দ পেয়েছো, কূপমণ্ডুকের মত গ্যালিলিওকে শাস্তি দিয়ে স্বস্তির ঢেকু্র তুলে ভেবেছো, এই বুঝি পৃথিবীর ঘোরা চিরতরে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হলে।

অভিজিৎ হাইপেশিয়াকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলো অনেক আগে। সামান্য অক্ষরজ্ঞান থাকলে পড়ে দেখো, দেড় হাজার বছর আগের ধর্মোন্মাদ ফ্যানাটিকদের সাথে আজকের তোমাদের কোনোই পার্থক্য নেই। সময়, পটভূমি এবং ঘাতকদের অস্ত্রগুলো শুধু একটু বদলে দিলেই দেখবে যে, তোমাদের নিজেদের চেহারাই দেখা যাচ্ছে ওদের মধ্যে। হাজার বছরেও কাল, দেশ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে তোমাদের কোনই পরিবর্তন হয়নি।

“৭১ এ বাঙালী বুদ্ধিজীবী হত্যার মতই সিরিল(পোপ-পূরবর্তী সময়ে আলেকজান্দ্রিয়ার ক্রিশ্চান ধর্মগুরু) যেমনিভবে বেছে বেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নব্যতান্ত্রিক’ নিও-প্লেটোনিস্টদের ধরে ধরে হত্যার মহোৎসবে মত্ত ছিলেন,এমনি এক দিন কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হাইপেশিয়া মৌলবাদী আক্রোশের শিকার হলেন,অনেকটা আজকের দিনের হুমায়ুন আজাদের মতোই। তবে হাইপেশিয়ার ক্ষেত্রে বীভৎসতা ছিলো আরও ব্যাপক। হাইপেশিয়া-হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পাওয়া যায় পনের শতকে সক্রেটিস স্কলাসটিকাসের রচনা হতে:

‘পিটার নামের এক আক্রোশী ব্যক্তি অনেকদিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিলো,শেষমেষ সে হাইপেশিয়াকে কোন এক জায়গা হতে ফিরবার পথে কব্জা করে ফেলে। সে তার দলবল নিয়ে হাইপেশিয়াকে তার ঘোড়ার গাড়ী থেকে টেনে হিঁচড়ে কেসারিয়াম (Caesarium) নামের একটি চার্চে নিয়ে যায়। সেখানে তারা হাইপেশিয়ার কাপড়-চোপড় খুলে একেবারে নগ্ন করে ফেলে,তারপর ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে তাঁর চামড়া চেঁছে ফেলে,তার শরীরের মাংস চিরে ফেলে,আর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত হাইপেশিয়ার উপর তাদের অকথ্য অত্যাচার চলতে থাকে। এখানেই শেষ নয়;মারা যাবার পর হাইপেশিয়ার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে সিনারন (Cinaron) নামের একটি জায়গায় জড় করা হয় আর তারপর পুড়িয়ে তা ছাই করে দেয়া হয়’। হাইপেশিয়াকে হত্যা করা হয় ৪১৫ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসে। হাইপেশিয়ার হত্যাকারীদের তালিকায় ছিলো মূলতঃ সিরিলের জেরুজালেমের চার্চের প্যারাবোলানস,মৌলবাদী সন্ন্যাসী,নিটৃয়ান খ্রীষ্টীয় ধর্মবাদীরা।“

ভুল করেও ভেবোনা যে, আমরা ভাবছি তোমরা শুধু ইতিহাসের পাতা জুড়েই আবদ্ধ হয়ে আছো। তোমরা যে এই একুশ শতকে আরো শক্তিশালী হয়ে আহত হিংশ্র পশুর মত দক্ষযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছো, সেটা তো ইচ্ছে করলেও কা্রো চোখ এড়াতে পারবে না। ঈমান রক্ষার জন্য আইসিসের জল্লাদেরা যখন কল্লা কাটে, বিধর্মী মেয়েদের যৌনদাসী হতে বাধ্য করে, বোকা হারাম যখন কয়েকশো তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় বাজারদড়ে বিক্রি করে বা তালিবানরা যখন একশো চল্লিশজন নিস্পাপ স্কুলছাত্রের উপর গণহত্যা চালায়, তখনো আমরা দেখতে পাই, তোমরা আগেও যেমন ছিলে, এখনো তেমনি আছো। বিশ্বজুড়ে তোমাদের ক্ষমতাধর পৃষ্ঠপোষকদেরও আমরা চিনি, যারা যুগে যুগে তোমাদের টিকে থাকতে সাহায্য করেছে, ধর্মের ব্যবসা থেকে মুনাফা লুটেছে। তোমাদের মূর্খতা, কূপমণ্ডুকতা এবং পাশবিক নিষ্টুরতার নমুনা তো সারাক্ষণ চারপাশেই দেখেছি, এবার নিজের জীবনেও দেখলাম। আমার মাথার চাপাতির কোপগুলো এখনো পুরোপুরি সারেনি, আঙ্গুলবিহীন হাতটা এখনো অবাক করে, আর অভিজিৎ এর নিথর হয়ে পড়ে থাকা দেহটা তো চোখের সামনে ভেসেই থাকে। আর তখনই বুঝুতে পারি, না, তোমাদেরকে ঘৃণাও করিনা আমি, করতে পারিনা, বড্ড অরুচি হয় তোমাদের মত অমানুষদের ঘৃণা করতে। একজন মানুষকে ঘৃণা করার জন্য তাদের মধ্যে যতটুকু মনুষত্ব অবশিষ্ট থাকতে হয়, তার কণাটুকুও নেই তোমাদের মধ্যে। তোমরা আমার ঘৃণারও যোগ্য নও।

অভিজিৎ, আমি, বাবু এবং বর্তমান ও ইতিহাসের পাতা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের মতো হাজারো মানুষেরা তোমাদের অপকর্মেরই সাক্ষী। তোমাদেরকে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলার সময় মানবসভ্যতা এই বর্বর উন্মাদনা দেখে ঘৃণায় শিউরে উঠবে, এ থেকেই সামনে এগিয়ে যাবার প্রতিজ্ঞা নেবে।

২.

এবার একটু অন্য প্রসংগে আসি। মাঝে মাঝেই ভেবে অবাক হই যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে আমরা এখনও একটা রা শব্দও শুনলামনা। যে দেশের ন্যচারা্লাইজড নাগরিক আমরা, তার সরকার যতোটুকু বললো, আমাদের জন্ম নেওয়া দেশের সরকার তার ধারে কাছেও কিছু বললো না। ভয়ে সিঁটকে থাকলো। বলুন তো, আপনাদের ভয়টা কোথায়? নাকি এ শুধুই রাজনীতির খেলা? অভিজিৎ এর বাবাকে নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করেছিলেন কয়েকজন মন্ত্রীসাহেব। সে খবরটা যেনো গোপন থাকে, সে সতর্কতাও নিয়েছিলেন তাঁরা। আমরা জন্মেছি যে দেশে, বড় হয়েছি যে দেশে, দেশের বাইরে এসে ভালো চাকরি, গাড়ি বাড়ি নিয়ে শুধু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার চিন্তা না করে লেখালেখি করেছি যে দেশের জন্য, বারবার ফিরে এসেছি যে দেশের মায়ায়, সে দেশের সরকারের কি কিছুই বলার ছিলো না? বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর আন্তর্জতিক বিভিন্ন মিডিয়া, ব্লগগুলো তীব্র প্রতিবাদ করেছে,অভিজিৎ রায়ের লেখাগুলো অনুবাদ এবং পুনঃপ্রচারে নেমেছে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম। দেশের বিভিন্ন শহরে,আর দেশের বাইরে লন্ডন,ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, টরন্টো,নিউইয়র্ক,বার্লিন,সিডনি-তে মানববন্ধন থেকে শুরু অসংখ্য প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। অথচ বইমেলায় লোকে লোকারণ্য, আলোকিত ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার’ মধ্যে অভিজিৎ এর মতো একজন লেখককে কুপিয়ে কুপিয়ে মারা হলো, তার প্রতিবাদ জানিয়ে একটা কথাও কি বের হতে পারলো না আপনাদের মুখ থেকে? অথচ আপনারাই আপনাদের ধর্মোন্মাদ বন্ধুদের দাবিতে নাস্তিক ব্লগারদের ধরে ধরে জেলে পুরেছিলেন। তাদের ধরে জেলে পুড়তে যে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন তার কণাটুকুও তো চোখে পড়লোনা আজ। অনেক সময় মৌনতাই অনেক কিছু বলে দেয়। আমরা কি ধরে নেবো যে অভিজিৎ বা বাবুর হত্যার পেছনে, আমাকে কোপানোর পেছনে, আপনাদেরও প্রচ্ছন্ন সম্মতি আছে? কলমের বিরুদ্ধে চাপাতির আঘাতকেই আপনারা এখন দেশের সংষ্কৃতি হিসেবে মেনে নিতে বলছেন?

এক মাস চলে গেলো। শুরুতে তদন্তের যাওবা কিছুটা তাগাদা দেখলাম, তাও আস্তে আস্তে মিইয়ে গেলো। আপনাদের কাছ থেকে সহানুভূতি আশা করি না আমরা, সমর্থনের আশা তো বাদ দিয়েছি সেই কোন কালেই। আপনাদের ভোটের রাজনীতি করতে হয়, মন জুগিয়ে চলতে হয় কতো ধরনের অপশক্তির, সেটা তো আমরা বুঝি। কিন্তু আপনাদের নিশ্চুপতার কারণটাও বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ যে ধীরে ধীরে আঁটি গেড়ে বসেছে, তার খবর তো আমরা সবাই জানি। তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেশবিদেশ জুড়ে কারা কাজ করছে তাও তো আমাদের অজানা নয়। অভিজিৎ এর হত্যা তো একজন দুজন লোকের হাতে হয় নি। এর পিছনে সংগঠিত ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসী দলের হাত রয়েছে, তার প্রমান তো আমরা সাথে সাথেই পেয়েছি। না হলে এতো তাড়াতাড়ি আনসার বাংলা ৭ এর মতো দল হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করতে পারতো না। এদেরকে যদি সমূলে উৎপাটন করার ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা কি ভেবে দেখা দরকার নয় এখন? আইসিস, বোকা হারাম, আল কায়দার পথে জাতিকে ঠেলে দেওয়াটাই কি ভবিতব্য?

৩.

মানব সভ্যতা যখন আজ মঙ্গলগ্রহে বসতি বানানোর স্বপ্ন দেখছে, তখন আমরা মধ্যযুগীয় উদ্ভট এক উটের পিঠে চড়ে পিছনের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। ক্ষমতাশালীরা সবসময়ই ধর্মকে, ধর্মীয় মৌলবাদকে লালন করেছে প্রগতির গলা চেপে ধরার অস্ত্র হিসেবে। তারা জয়ীও হয়েছে কখনো কখনো, কিন্তু যতো সময়ই লাগুক না কেনো, মানবসভ্যতা তাকে হারিয়ে দিয়ে আবার এগিয়েও গিয়েছে। অভিজিৎ তো শুধু লেখালেখিই করে নি, দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার এক দৃঢ় প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টাও করে গেছে সে সারাজীবন ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাবেরী গায়েন আমাকে এক ব্যক্তিগত ম্যাসেজে লিখেছেন, ‘জানি, লেখার প্রতিবাদে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাটাই আমাদের এখন আমাদের দেশের আইনি সংষ্কৃতিতে পরিণত গেছে। তবে অভিজিতের মৃত্যুর পর একজন নাস্তিক এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীর পক্ষে দাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের যে ট্যাবুটা ছিল তা ভেঙ্গে পড়েছে। চারিদিকে মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই প্রায় এ নিয়ে লেখালেখি, মিটিং মিছিল চলছে।‘ অভিজিৎকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যার বিনিময়ে এই অর্জনটা কতোটা যুক্তিযুক্ত সেই বিতর্কে না গিয়েই বলছি সমাজ সরলরেখায় এগোয় না, কখনো হোঁচট খেয়ে, কখনো হাঁটি হাঁটি পা পা করে, কখনো বা জনগনের প্রবল শক্তিতে বলিয়ান হয়ে তীব্র গতিতে সামনে এগিয়ে চলে। আজ অগুনতি অন্যায়, হত্যা, অরাজকতা, দুর্নীতি দেখতে দেখতে যে মানুষেরা মনুষ্যত্বহীন হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ফুটপাতে পড়ে থাকা চাপাতিতে কুপানো নিথর শরীরের দিকে, সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার কথাও ভাবতে পারে না, তারাই হয়তো একদিন জাগবে। ইতিহাস বলে, আমরাও এগুবো, তবে দুপা আগানোর আগে য়ার কত পা পিছাতে হবে সেটা হয়তো সময়েই বলে দেবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.