নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো যুব সমাজ

মানবতার গান গেঁয়ে যায়-তারুণ্যের প্রেরণায়

ছানাউল্লাহ

পরিবর্তনের জন্য দেশপ্রেমিক সুস্থ রাজনীতি প্রয়োজন।

ছানাউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবক্ষয়ের কবলে আধুনিক বিশ্ব ঃ অনৈতিকতার সয়লাভে বিপর্যস্ত মানবতা

০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

‘‘ অবক্ষয়’’ শব্দটি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। চর্তুদিকে এশব্দটি শোনা যায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এর সার্বিক বিশ্লেষন আমরা জানি না।

* অবক্ষয় কি?

অবক্ষয় অর্থ-অর্ধপতিত, বিচ্যুতি, নীচে নেমে যাওয়া, অবনতি হওয়া। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Degradation, Deviance. আরবীতে একে বলা হয় খসর।

পরিভাষায়-কাম্য ও প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধ ও মান থেকে সরে যাওয়াকেই মূলতঃ অবক্ষয় বলা হয়। বিচ্যুতি বলতে এমন বকে ধরণের আচরণকে নির্দেশ করে যা স্বাভাবিক বা কাঙ্খিত আচরণের পরিপন্থী। বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ডি. পোপেনী বলেন-Deviance is a behaviors that violates the social norms of a group or society. অর্থ্যাৎ-বিচ্যুতি হচ্ছে এমন এক ধরণের আচরণ যা কোন গোষ্ঠী বা সমাজের মূল্যবোধকে ভঙ্গ করে। সমাজ বিজ্ঞানী রবার্টসন তাঁর Sociology গ্রন্থে বিচ্যুতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন-Deviance is a behaviors or characteristics that violate significant social norms and expectations and are negatively, valued by large numbers of people in consequence. অর্থ্যাৎ-বিচ্যুতি হচ্ছে এমন এক ধরণের আচরণগত বৈশিষ্ট্য যা গুরুত্বপূর্ণ কাঙ্খিত সামাজিক মূল্যবোধকে ভঙ্গ করে এবং যা সমাজের অধিকাংশ মানুষ নৈতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করে। নৈতিকতা ও মনুষত্বের সীমা থেকে নীচে নেমে যাওয়াকেও অবক্ষয় বলা হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেন-আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি খুব সুন্দর আকৃতিতে আর সেই মানুষ কর্মের কারণে অবক্ষয়ের/ধ্বংসের অতল তলে তলিয়ে যায়। সুরা ত্বীন,আয়াত-৪-৫।

অবক্ষয় মূলতঃ দুই প্রকার ঃ-



১. নৈতিক অবক্ষয় (Moral Degradation)

২. মূল্যবোধের অবক্ষয় (Lose of Values)



প্রথমে আলোচনা করা যাক নৈতিক অবক্ষয় সম্পর্কে-সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ মূলতঃ নৈতিক জীব। একটি নিদিষ্ট বিশ্বাস ও আচার আচরণের আলোকে গড়ে উঠে তাদের নৈতিকতাবোধ। বর্তমানে আমাদের জাতি বিশেষতঃ যুব সমাজ এ বোধ সংকটের মুখে পতিত। নৈতিকতার অভাবে দেশে এমন এক প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে যারা ভোগকেই সব কিছুর উর্ধ্বে স্থান দেয়। তারা আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছে। বরং অনেকেই আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়েও সন্দিহান। তাদেরন কাছে আল্লাহকে মানা না মানা গৌণ বিষয়। পৃথিবীতে আল্লাহর প্রভত্বকে স্বীকার করতেও তাদের আপত্তি। তাদের দর্শন হচ্ছে “নগদ যা পাও হাত পেতে নাও/ বাকীর খাতা শূণ্য থাক, দুরের বাক্য লাভ কি শুনে/ মাঝখানে তার বেজায় ফাঁক।” পৃথিবীতে কেবল আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মপ্রসাদ ও আত্মতুষ্টির প্রয়াস। এ আত্মকেন্দ্রিকতা যুবকদের নীতি নৈতিকতার ব্যাপারে উদাসীন করে ফেলেছে। “নিজে বাঁচলে বাবার নাম” এই যাদের বোধ তাদের কাছ থেকে দেশ,জাতি,বিশ্ব কি আশা করতে পারে? বর্তমান বিশ্বের এ ভোগ কেন্দ্রিক মানসিকতার ফলে ভেঙ্গে গেছে পশ্চিমা বিশ্বের পরিবার প্রথা। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে অনৈতিকতার এক মহাপ্লাবন। সন্তানের প্রতি পিতার, মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্বানূভুতি লোপ পেয়ে এক বিস্মময়কর সমাজের জন্ম নিচ্ছে। যেখান বাবা কন্যার অঙ্গশায়ী হতে চায় এ অজুহাতে যে, তিনি তার পড়ার খরচ দিচ্ছেন। আর মা ছেলের শয্যাসঙ্গীনী হতে চান বাবাকে কাছে না পাওয়ায়। আধুনিক পশ্চিমা বিশ্বে এটিই এখন সভ্য সংস্কৃতি (!!) হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশে অভিজাত পরিবারগুলোতে ও এ ধরণের অযাচিত ঘটনা মাঝে মাঝে প্রকাশ পেয়ে যায়। তাহলে আমাদের যুযবক যুবতীরা এ মরণ ছোবল থেকে কি করে বাঁচবে?

২. মূল্যবোধের অবক্ষয় ঃ-

নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এক হলেও এর মধ্যে সুক্ষè পার্থক্য বিদ্যামান। ইসলাম-খিষ্ট্রান-হিন্দু ইত্যাদী ধর্ম মূলতঃ নৈতিকতার নিয়ামক। নৈতিকতার সাথে ধর্মবোধের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। ধর্ম হীনতা আমাদের সমাজ সভ্যতা থেকে মূল্যবোধকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিচ্ছে। ফলে সমাজে জন্ম নিচ্ছে মূল্যবোধ বিবর্জিত প্রজন্ম। যারা নামাজ পড়ে, রোযা রাখে, কিন্তু সুদ খায় , ঘুস খায়, পরনিন্দা করে, মিথ্যা কথা বলে এবং আরো নানা অসঙ্গতি পূর্ণ আচরণ করে। এটা হচ্ছে মূল্যবোধের অভাবের কারণে। এ দু‘য়ের অভাবে সারা পুথিবীর চতুর্দিকে আজ বিষাক্ত পরিবেশ (তরুন তোমার জন্য)। অবক্ষয়ের সুনামীতে পৃথিবী নামাক এ গ্রহ থেকে শান্তি নামক বস্তুটি উধাও হয়ে গেছে। অশান্তির আগুনে জ্বলছে সারা পৃথিবী। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসন গোটা পৃথিবী অশান্তির নরক কুন্ডে পরিনত হয়েছে। হত্যা, ধর্ষন, মানবাধিকার লংঘন যেন কথিত সভ্য জাতিগুলোর প্রিয় অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। তাদের অবক্ষয়ের কারণে পৃথিবী নামক এ সুন্দর ধরাটি আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। তাই সাম্রাজ্যবাদীদের কবল থেকে পৃথিবী নামক এ গ্রহ কে মুক্ত করতে না পারলে এ ধরায় কখনো শান্তির আগমন ঘটবে না। তাই মুসলিম বিশ্বের তরুন সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে সব জুলুম নির্যাতনের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের কবল থেকে এ পৃথিবীকে রাহু মুক্ত করে এ ধরায় শান্তির স্রোত বয়ে দিতে হবে। আদর্শ্যরে দিক দিয়ে আমরা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।



১. অমুসলিম বিশ্ব



২. মুসলিম বিশ্ব



* অমসলিম বিশ্ব ঃ-

পৃথিবীতে অপকর্মের শীর্ষে এ আধুনিক (!) অমুসলিম বিশ্ব। এরাই পৃথিবীর সকল অপকর্মের হোতা। এদের দুরাচারের কারণে সারা পৃথিবী আজ জাহান্নামের নরককুন্ডে পরিনত হয়েছে। এ অমুসলিম বিশ্বই পৃথিবীর কোন দেশকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তাদের লোভের আগুনে জ্বলছে সারা পৃথিবী। হত্যা, ধর্ষন, দস্যু ভিত্তি, লুন্টন, আর বিভিন্ন সম্ভবনাময় দেশগুলোতে আগ্রাসন চালিয়ে গণহত্যা চালানো মানবাধিকার লংঘন এদের আনন্দের বিষয়। তারা তাদের স্বার্থের জন্য এহেন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করতে পারে না। তারাই ভদ্রতার লেবেল লাগিয়ে সারা পৃথিবীতে সব অবক্ষয়ের জন্মদান করেছে। মানবাধিকারকে গলাটিপে হত্যা করে তারাই আবার পৃথিবীকে মানবাধিকারের উপদেশ দেয় (!!)। তাই আজ তাদের হাতে গড়া অবক্ষয়ের দানবে হাতে তারাই নির্মম শিকার। নিম্নে অমুসলিম বিশ্বের অবক্ষয়ের আংশিক চিত্র পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলঃ-



ইউরোপের প্রসিদ্ধ সামাজিক নেতা পাভেল স্টিফেন খুব সুন্দর করে বলেছেন-“ইউরোপ শুধু যেনা থেকে বেঁচে গেলে আমি তার সকল সমস্যা সমাধান করে দেব।”

* ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের ন্যাশণাল ক্রাইম ২২ টি অপরাধ দেশের উপর তথ্য সংগ্রহ করে এক একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনে বলা হয়-২০০৭-০৮ সালে খুনের ঘটনায় বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ভারত। সেখানে বছরে ৩২ হাজার ৭১৯ টি খুনের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা; সেখানে গড়ে বছরে ৩০ হাজার ৯৬০টি খুন। আর তৃতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র; সেখানে ১৬ হাজার ৫৯২ টি খুনের ঘটনা ঘটে। আর ধর্ষনের দিক থেকে প্রথম স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। দ্তিীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তৃতীয় স্থানে ভারত। ভারতে ২৮ হাজার ৩৫৯ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। আর ডাকাতির ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে আরেক উন্নত দেশ (!) জাপান।

* ভারতীয়তের মাঝে অ্যালকোহল আসক্তি বৃদ্ধিও এখন দায়ী করা হচ্ছে দেশটির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডকে। বলিউডের ছবিগুলো ভারতীয় যুব সমাজের অ্যালকোহল আসক্তির অভ্যাসকে সরাসরি ইন্ধন যোগাচ্ছে। দুবাইয়ে কার্ডিওলজি বিষয়ক ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। জরিপে দেখা যায়, সার্বিকভাবে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী (যাদেও বয়স ১২ থেকে ১৬ এর মধ্যে) ইতিমধ্যে অ্যালকোহল সেবন করছে। সেবনকারীদের মধ্যে যারা বলিউডের সিনেমা দেখে নাই তাদের চেয়ে বলিউডের সিনেমা দেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যালকোহলের সেবনের মাত্রা ২ দশমিক ৭৮ গুন বেশি। জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন, সামাজিক প্রভাব এবং শিশু ও পিতা-মাতার আচরণের ভিত্তিতে দেখা যায়, অ্যালকোহল সেবনকারী শিক্ষার্থী দের মধ্যে যারা বলিউডের সিনেমা দেখে নাই তাদের চেয়ে বলিউডের সিনেমা দেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যালকোহলের সেবনের মাত্রা ২ দশমিক ৭৮ গুন বেশি। হেলথ রিলেটেড ইনফরমেশন ডিসারমিনেশন অ্যাগেইনস্ট ইয়ুথ (এইচআরডিএওয়াই) এর কর্মকর্তা ড. জি পি নজর বলেন,এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে-ভারতীয় যুবকদের মাঝে অ্যালকোহলের বিস্তারে সরাসরি ভূমিকা রাখছে বলিউডের ছবিগুলো।

* বৃটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্টাজাটিসটিক্স বা ওএনএস পরিচালিত এক গবেষনায় বলা হয়েছে-আগামী ২৪ বছর পর বৃটেনে উল্লেখ হারে বেড়ে যাবে অবিবাহিত নারী পুরুষের সংখ্যা। প্রকাশিত এক রির্পোটে আরো বলা হয়-বিগত এক দশকে অবৈধ জুটির সংখ্যা ৬৫ ভাগ বেড়ে ২.৩ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আর বিবাহিত জুটির সংখ্যা ৪ ভাগ কমে ১২.১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পিতৃহীন সন্তানের সংখ্যা ৮ ভাগ বেড়ে ২.৬ মিলিয়নে উপনীত হয়েছে। রির্পোটটিতে ভবিষ্যতবানী করে সরকারকে বলা হয়েছে-২০৩১ সাল নাগাদ ৪৫ থেকে ৬৪ বছরের ২৫০ ভাগ নারী পুরুষ অবৈধভাবে বসবাস করবে। বর্তমানে বৃটেনের মানুষ ৩০ বা ৪০ বছর অতিক্রম হলেও বিয়ের চিন্তা করে না। তারা অবৈধ মেলামেশা কিংবা একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে। ফলে তাদের যে ছেলে মেয়ে হয় তাদের থাকতে হয় বাবা বা মায়ের যে কোন একজনের সঙ্গে। তাদের এ ধরণের বিয়ে বিমুখতার বিরুপ প্রভাব পড়ে সমাজের উপর । বিবাহিত দম্পতির সন্তানরা একজনের সঙ্গে থাকা সন্তানের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবান ও স্কুলে ভালো করে থাকে। বিবাহিত কপোত-কপোতিরা একে অপরের প্রতি যতœবানও হন। এতে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।অন্যদিকে অবিবাহিত কপোত-কপোতিরা শুধু যৌন সম্পর্ককেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।এই রির্পোটে আরো বলা হয়-১৬ ভাগ বিবাহিত দম্পতি সপ্তাহে এক ঘন্টার বেশি সময় নিজের যতœ নেিয় থাকে। আর অবিবাহিত দম্পতিদের মাত্র ৯ ভাগ এ যতœ নিয়ে থাকে। বৃটেনে বর্তমানে বিবাহিত মানুষের সংখ্যা ৪৪ ভাগ আর অবিবাহিত মানুষের সংখ্যা ৫৪ ভাগ।

* নদোরল্যান্ডরে ক্যাথলকি র্চাচগুলোতে ১০ হাজাররেও বশেি শশিুকে যৌন নপিীড়নরে প্রমান পয়েছেে এ সংক্রান্ত তদন্তরে জন্য গঠতি কমশিন। র্ধমীয় ও নতৈকি শক্ষিার জন্য আসা শশিুরা গর্জিার যাজক, পাদ্রি ও র্কমচারীদরে দ্বারা নর্যিাতনরে শকিার হয়। গত ২২ জুন সাবকে ডাচ শক্ষিামন্ত্রী ও ক্রশ্চিয়িান ডমেোক্রটে নতো উইম ডটিম্যান তার কমশিনরে ১১শ পৃষ্টার রর্পিোট প্রকাশ করার পর এ তথ্য উঠে আস।ে তনিি রর্পিোটে উল্লখে করনে, ৪০ বছর ধরে গর্জিায় শশিুদরে ওপর যৌন নর্যিাতন চলে আসছ।ে রর্পিোটে ৮শ যাজক ও র্কমীদরে অভযিুক্ত হসিাবে চিিহৃত করিা হয়। এদরে শতাধকি এখনও বঁেচে আছ।ে দুই হাজাররে বশেি ভকিটমি মামলা করার হুমকি দয়িছে।ে ইউরোপ আমরেকিায় গর্জিায় যৌন নর্যিাতন নতুন কোন জনিসি বষিয় নয়। র্দীঘদনি ধরে এ অন্যায় চলে আসছ।ে পরস্থিতিি উদ্বগেজনক র্পযায়ে পৌঁছার পর তদন্তরে উদ্যগে নলিো নদোরল্যান্ড। তবে অনকে এনজওি বলছেে এটাই আসল চত্রি নয়। পরস্থিতিি আরও বশেি খারাপ। কারণ গর্জিার ভতেরে কী হয় তা জানা সহজ নয়। এ চত্রি শুধু নদোরল্যান্ডরে নয় এ চত্রি গোটা ইউরোপ ও আমরেকিার সমাজরে বাস্তব চত্রি। আধুনকিতার আড়ালে পাশবকিতার এক গাঢ় অন্ধকাররে প্রতচ্ছিব।ি

বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনাচার ও অবাধ যৌনাচারের কাহিনী পৃথিবী খ্যাত। নিন্মে সে রকম একটি ঘটনা পাঠকের জ্ঞাতার্থে তুলো ধরা হলঃ-

এ ঘটনাটি মার্কিন সমাজ ব্যবস্থাকে বড় ধরণের ঝাঁকুনি দিয়েছে। গত ৫০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে নাই। এ ঘটনার মাধ্যমে জানা যাবে মার্কিন সমাজের আসল রুপটি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টধর্মের একটি ধারার নাম (সেন্ট) বিশ্বাসী ভিন্ন মতাবলম্বী। প্রায় ১০০ বছর আগের মরম্যান চার্চ থেকে তারা বেরিয়ে আসে,যখন মরম্যান চার্চ পুরুষের বহু বিবাহি নিষিদ্ধ করে। সেই থেকে এখনো লেটার ডে সেন্টসরা নামের মৌলবাদী সেন্টরা বহু বিবােিহর চর্চা করে আসছে। এল দোবোদোর একটি বড় খামার বাড়ির মধ্যে একটি কম্পাউন্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে তাদের অবাধ যৌনাচার। এ স্থানটি টেক্সাসের শান্ত শহর নামে খ্যাত। প্রায় চার বছর আগে সাত লাখ ডলার দিয়ে কেনা এক হাজার ৭০০ একরের এ বাড়িটি। বর্তমানে লেটার ডে সেইন্টের সদস্যদের নেতা ও ওই খামার বাড়িটির মালিক হচ্ছেন ওয়াবেন জেফস। উতাহ ও অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে শিশু ধর্ষনের দায়ে এরই মধ্যে তিনি পাঁচ-দশ বছর জেল খেটেছেন। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেও ধর্ষংনরে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক কাজের কথা বলে লেটার ওড সেইন্টেসের সদস্যরা নারী ও শিশুদের ওই খামার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর বয়স্ক পাদ্রিদের সঙ্গে তাদের “স্পিরিচুয়াল ম্যারেজ” ঘটানো হয়। তারপর শুরু হয় যৌনাচার। লেটার ডে সেইন্টেসের সদস্যরা খুব গোপনে যৌন কর্মে লিপ্ত হতো। এ কারণে শহরের কেউ তেমনভাবে কিছু জানতে পারেনি। নির্যাতন সইতে না পেরে গত ২৯ মার্চ ০৮‘ ১৬ এক কিশোরী তার মোবাইল ফোনে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়। কিছুটা অবিশ্বাস ও বিস্ময় নিয়ে পুলিশ সেখানে হেলিকপ্টারের সহায়তায় অভিযান চালায়। তারা খামার বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। লক্ষণীয় পুলিশ ও খুব গোপনে অভিযান শুরু করে। পাছে গণ মাধ্যমের কর্মীরা জেনে ফেলেন। অভিযানে পুলিশ প্রায় ৪০০ শিশু ও ১০০ নারীকে উদ্ধার করে আনে। যাদের চোখে মুখে ছিল ভয় আর আতংকের চিহৃ। অসংখ্যবার যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তাদের শিশু সুলভ চপলতা, কোমলতা হারিয়ে গেছে। পুলিশের খাতায় ও কিশোরী সারাহ নামে পরিচিত। তদন্তকারী দলকে সে জানায়-তার ৫০ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে যৌন কর্মে লিপ্ত না হলে তাকে বেদম মারধর করা হতো না খাইয়ে রাখা হতো। নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো। অভিযানের পর পুলিশ ওই শিশুদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এখন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে শিশুদের মধ্যে কয়েকজন পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার আর স্বাভাবিক হতে পারবে কিনা তা নেিয় চিতিৎসকরা উদ্বিগ্ন। অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান ওই খামার বাড়িতে তারা বেশ কয়েকটি ভবন দেখতে পেয়েছেন। নানা ধরনের ফলের খামার বাড়িটি সাজানো। বাইরে থেকে কেবল ৮০ ফুঁট উঁচু একটি পাথরের ইমারত দেখা যায়। আর ইমারতের বিছানা ,সেখানে লেটার ডে সেইন্টেসের সদস্যরা শিশুদের যৌনাচার করে। এরপর সেগুলোকে ভিডিও করে বিভিন্ন ডিভিডি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তারা টাকা উপার্জন করতো। ডে লেটার সেইন্টেসের সাবেক সদস্য ফ্লোরা জেইস জানান-নির্যাতিত শিশু ও নারীরা যা বলেছে তার পুরোটাই সত্য। সেখানে যাওয়া মানে হলো ভয়ংকর বিপদের মধ্যে চলে যাওয়া। সেখানে শিশু-কিশোরদের হাত পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। তারা কিশোরীদের চাবুক দিয়ে পেটাবে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে শেষ করে দেবে। স্থানীয় মানুষজন প্রকুত পক্ষেই এসব কার্যকলাপের কিছুই জানত না।

* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এইচ আইভি তে আক্রান্ত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ আইভি আক্রান্তের বাড়ছে ব্যাপকহারে। দেশটিতে প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি মানুষ এইচ আইভিতে আাক্রান্ত হচ্ছে। সংখ্যাটি এতদিন যা ভাবা হয়েছিল বাস্তবে তার ৪০ শতাংশ বেশি। এইচ আইভি শনাক্তকরণের নতুন এক পদ্ধতি ব্যবহার করে এ বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি জানায়-২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৬ হাজার ৩০০ জন আইচ আইভি তে আক্রান্ত হয়। এতদিন প্রতিবছর আনুমানিক সংক্রমনের হার প্রায় ৪০ হাজার বলে ধরা হতো। সিডিসি ন্যাশনাল সেন্টার ফর এইচ আইভি এইডস এর পরিচালক ক্যাভিন ফেনটন বলেন-সর্বশেষ চিত্রটি অবশ্যই উদ্বেগজনক। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এইচ আইভি মহামারীর ভয়াবহতা যতখানি মনে করা হয়েছিল বাস্তবে চিত্রটি এর চেয়ে ও বেশি।

সর্বশেষ গভেষনা মতে-যুক্তরাষ্ট্র নতুন যারা সংক্রমিত হয়েছে তাদের ৫৩ শতাংশ সমকামী ও উভয়কামী পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ৩১ শতাংশ বহুগামী ও ১২ শতাংশ মাদকাসক্ত। এছাড়া নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই আফ্রিকা বংশোদ্রুত মার্কিন নাহরিক এবং দেশটিতে মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ আফ্রিকান আমেরিকান।সিডিসি আরো জানিয়েছে-আমেরিকায় কম বেশি প্রায় দশ লাখ মানুষ এইচ আইভিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রতি বছর ১৫-১৮ হাজারের মৃত্যু হচ্ছে। সিডিসি আরো জানায়-প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটি এক রকম নিশ্চিত যে আমেরিকার পুরুষ সমকামী ও কৃঞ্চাঙ্গ নারী পুরুষের মধ্যে এইচ আইভি আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। নতুন হিসেব মতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ হাজার পুরুষ সমকামী। ২০০৩ সাল এইচ আইভিতে আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ। ২৪-২৭ শতাংশ মানুষ সংক্রমন বিষয়ে অসচেতন।

* এনএসপির এক হিসাব মতে-প্রতিদিন বিশ্বে এইচ আইভি এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে ১৪ হাজার মানুষ। যাদের শতকরা ৫০ ভাগের বয়স ১৫-২৪ বছর।

* আমেরিকায় ব্যক্তিগত ব্যবহার্যের দুই তৃতীয়াংশ বিলাসদ্রব্য। ধনী দেশেগুলো বছরে শুধু কসমেটিক এ খরচ করে ৫০ বিলিয়ন ডলার। বিগত পনের বছরে যত আমেরিকান নাগরিক আগ্নেয়াস্ত্রের দ্বারা নিহত হয়েছে,তাদের সংখ্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত আমেরিকান সৈন্যদের মোট সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। পৃথিবীর অন্যতম ধনীদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভীতিকর অপরাধকর্ম বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে তিন গুন বেশি। ২০০৫ সালে আমেরিকায় ১০ বছরের কম বয়স্ক ঘ্তাক শিশুর সংখ্যার ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমিক স্কুল গুলোর শতকরা ৩১ ভাগ ছাত্র ছাত্রী অস্ত্র সহ ক্লাসে আসে। সে দেশে প্রতি সেকেন্ডে ১২ টি অপরাধ, প্রতি ২০ মিনিটে একটি খুন, প্রতি ৬ মিনিটে একটি ধর্ষন, প্রতি ৩ মিনিটে একটি ডাকাতি ও প্রতি মিনিটে একটি করে গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। আমেরিকান কিশোর কিশোরীদের শতকরা ৮২ ভাগই ২০ বছর বয়স হওয়ার পূর্বে যৌন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। প্রতি বছর মোট যত শিশু জন্ম নেয় তার মধ্যে শতকরা ৪১ ভাগই জারজ সন্তান। রয়টরের মতে- মার্কিন সিনেটের বিচার সংক্রান্ত কমিটির রির্পোট অনুযায়ী আমেরিকায় প্রতি ঘন্টায় ১৬ জন নারী ধর্ষনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়। অন্যদিকে প্রতি ৬ মিনিটে একজন মার্কিন নারী ধর্ষিত হয়। ওয়াশিংটন পোস্টের এক রির্পোটে বলা হয়-রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান দের মধ্যকার সন্নাসীদের শতকরা ৫০ ভাগই সমকামী। শুধু তাই নয় সন্নাসীরা তাদের সমকামিতাকে বৈধ ঘোষনার জন্য গির্জার নিকট দাবি জানিয়েছে। এ সমস্ত অনাচারের ফলে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯২ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৯০ জন প্রাণ হারায়। বর্তমানে আমেরিকায় এইডস রোগের ভাইরাস বহর করছে এমন লোকের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের ভাষ্যমতে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো এদের চিকিৎসা দেবে যারা সেই আমেরিকার ৭ হাজার চিকিৎসকও এইডসে ভাইরাস বহন করছে।

মাদকদ্রব্য সেবন জনিত মৃত্যুর হার বার্লিনে ১ লাখে ৪৪.৩ জন ফ্রান্সে ৩৫ জন, অস্ট্রিয়ায় ৩০ জন। রয়টারের ভাষ্যমতে-জর্জ বুশের কম বয়সী দুই কন্যা সহ সেখানে ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণ তরুণীদের শতকরা ৩৫ ভাগ মাদকাসক্ত।

* আমেরিকায় প্রতি ৩ সেকেন্ডে একটি ধর্ষন, এক মিনিটে একটি হত্যাকান্ড, আটটি চুরির ঘটনা এবং মাসে পঁচিশ হাজার কার চুরির ঘটনা ঘটে । প্রতিবছর ১০ লাখ লোক আত্মহত্যা করে। বর্তমানে যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে মার্কিন বাহিনীতে আত্মহত্যার প্রবনতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে (২০০৯)।

* ২০২০ সাল মধ্যে ৩৭ মিলিয়ন পুরুষ বিয়ে করার জন্য বউ খুঁজে পাবে না। এক রির্পোটে আরো বলা হয়েছে-এক সন্তান নীতি,অবাধ যৌনাচার,সমাকমিতা.ভ্রুণ হত্যা ইত্যাদীর কারণে জনসংখ্যার মধ্যে মারাত্মক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিয়ের বয়সী মেয়ের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা ১৮ মিলিয়ন বেশি হয়ে গেছে (দৈনিক প্রথম আলো)।

* এ্যাভোনা ফাউন্ডেশন ফর উইমেন নামক একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়-যে বিশ্বে প্রতি তিনজনের একজন মহিলা জীবনে সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। পক্ষান্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি নয় সেকেন্ডে একজন মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়-বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মহিলা সহিংসতায় শিকার। এক বিংশ শতাব্দিতে ও বিশ্বে উদ্বেগজনক হারে নারী নির্যাতন চলছে এবং নারী নির্যাতনের হার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মার্কিন যযুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ঘন্টায় ৪০০ জন করে একদিনে প্রায় ১০ হাজার নির্যাতনের শিকার হন। এক বিংশ শতাব্দিতে জ্ঞানে বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে সম্পদে শক্তিতে শীর্ষে অবস্থানকারী এই দেশটিতে নারী নির্যাতনের এই চিত্র নিঃসন্দেহে যে হতাশাজনব তা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না।

* অরফং এক মরণব্যাধি রোগ। যার চিকিৎসার উপায় এবং ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। বর্তমান বিশ্বেও এটি সবচেয়ে মরণব্যাধী মারাত্মক রোগ। যা একুশ শতকের আতংক হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতি বছর বিশেষ করে আফ্রিকায় প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে এ ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হয়ে। উৎ ডরষষরধস ঈধসঢ়নবষষ উড়ঁমষধংং প্রথমে একটি থিওরি দেন। পরবর্তীতে অনেকেই তাকে সমর্থন করেছেন। তার মতে এইচ আইভি ভাইরাসটি ১৯৭৪ সালে ডঐঙ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিল বিশ্ব জনসংখ্যা কমানোর জন্য এটি বানানো হয়। পরে এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় আফ্রিকায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আরেকদল বলেন ঈওঅ অথবা কএই এই দুটির যেকোন একটি নিজেদের স্বার্থে এই ভাইরাসটি বানিয়েছিল। কিন্তু কোন একটি দূর্ঘটনায় এটি পরে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে গত বছর আফ্রিকার কিছু ধর্মীয় গুরু কনডমের মাধ্যমে আফ্রিকায় এইচ আইভি এইডসের ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন (দৈনিক প্রথম আলো)।

*দাঁতের ক্ষয় কমানোর জন্য পানযোগ্য পানিতে ঋষঁড়ৎরফব মেশানো হয় এটা সবাই জানেন। আবার বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত যে এই ঋষঁড়ৎরফব এর অনেক খারাপ ব্যাপার আছে। এর সাইড এফ্যাক্ট মানুষের শরীর নানাভাবে আক্রান্ত করে। একদলের ধারণা এসব কিছু জানা সত্ত্বেও ডঐঙ এই ঋষঁড়ৎরফব প্রয়োগ নিষেধ করছে না। কারণ এর পিছনে রয়েছে বিশাল ব্যবসা। রয়েছে সব ঔষধ কোম্পানী। মানুষ অসুস্থ থাকলেই তো তাদের লাভ । তা না হলে এতো ঔষধ কোম্পানী চলবে কিভাবে?

* ২০০৪ সাল। এশিয়ার মানুষদের জন্য খুবই দেবনাদায়ক দিন। এশিয়ার সমুদ্র উপকুলবর্তী দেশেগুলোর মানুষ এ দিন প্রকৃতিক ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর খেলার বাস্তব রুপ দেখতে পায়। প্রলংকারী সুনামীর আগ্রাসনে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানহানী। নেমে এসেছিল ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সারা পৃথিবীবাসী মানে রাখবে এ বয়ংকর নিষ্ঠুর এ দূর্যোগকে। কিন্তু মিসর সহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সংবাদ পত্রের দাবী এর পেছনে বিশ্বের শক্তিশালী কয়েকটি দেশের হাত রয়েছে। গোপনীয় পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণে এই ভয়াবহ সুনামীর সৃষ্টি হয়।

* সমকামিতা নামক বিষাক্ত মহাপাপ অমুসলিম বা পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে আইনগত বৈধ । যে সমস্ত দেশে এখনো আইনগত বৈধতা দেয়া হয়নি,সেখানে তুমুন আন্দোলন চলছে আইনগত বৈধতা দেয়ার জন্য। কওমে লুতের সফল উত্তরাধিকারী হিসাবে ডেনমার্ক ও জার্মানী পাল্লামেন্টে আইন পাশ করে এ মহা পাপের আইনগত বৈধতা দান করে। পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইউরোপের মধ্যে প্রথম যেনমার্কই ১৯৮৯ সালে এ মহাপাপের আইনগত বৈধতা দান করে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ লক্ষ লোক এটাকে সঠিক বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এরপরে নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন, ১৯৯৯৬ সালে আইসল্যান্ড ,২০০০ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রিনল্যান্ড, ২০০১ সালে নেদারল্যান্ড, ২০০৩ সালে বেলজিয়াম, ২০০৫ সালে স্পেন, ২০০১ সালে জার্মানী, ২০০৪ সালে ফান্স, লুক্সেমবার্গ, ২০০৫ সালে বৃটেন, কানাডা, ২০০৩ সালে আর্জেন্টিনা, ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আইনগত বৈধতা দেয়। এছাড়া এশিয়ার মধ্যে নেপাল,চীন ও ভারতের মধ্যেও আইনগত বৈধতা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অমুসলিম বিশ্বের ১২৬ টি দেশে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়া হয়েছে।

* শান্তি রক্ষার নামে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী ও ত্রান কর্মীদের হাতে অসহায় নারী ও শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আইভরি কোষ্ট,দক্ষিণ সুদান এবং হাইতির মতো অনেক দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ও ত্রান কর্মীরা কাজ করছেন। শান্তি রক্ষার নামে নিয়োজিতরাই স্থানীয় শিশুদের উপর নানাভাবে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশিষ্ট দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এক প্রতিবেদনে বলেছে, সংঘাত পীড়িত এলাকায় তাদের দেখভালে নিয়োজিতদের হাতেই নির্যাতিত হচ্ছে। এমনকি ছয় বছরের শিশুও যৌন নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি। আইভরি কোষ্ট,দক্ষিণ সুদান ও হাইতিতে এক গবেষনা শেষে সংস্থাটি শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আর্ন্তজাতিক পর্যবেক্ষক দল গঠনের দাবি জানায়। জাতিসংঘ প্রতিবেদনটির প্রশংসা করে। সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়-সবচেয়ে আশংকার বিষয় হলো, এসব ঘটনায় দায়ীরা শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ঘটনা জানাও যাচ্ছে না। আইভরি কোস্টের ১৩২ বছরের এক শিশু সাংবাদিকদের জানায়-জাতিসংঘের ১০ জন শান্তি রক্ষী তাকে বাড়ির পাশে একটি মাঠে ধর্ষন করে। তার ভাষায়-তারা আমাকে ধরে মাটিতে ছুঁেড় ফেলে। আমি অনেক চেষ্টা করেও ১০ জনের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। ত্রান কর্মীরাও নির্যাতন ছেলে-মেয়েদের নির্যাতন করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। শত শত শিশুর ওপর জরিপ চালিয়ে দাতব্য সংস্থাটি বলছে এ ধরণের ঘটনা মোকাবেলায় খবর সংগ্রহ ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মত কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বজুড়ে শিশুদের রক্ষার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তারা বলেছে-শিশুদের যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তাবে তার প্রয়োগ নেই। সেভ দ্য চিলড্রেন আরো জানায়- ২০০৭সালে ইউএনপিকে ও কর্মচারী এবং তাদের অংশীদারীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ১৫টি অভিযোগ এসেছে। এছাড়া শ্রীলংকা ভারতসহ অসংখ্য দেশের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের যৌন নির্যাতনের দায়ে শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে বহিস্কার করা হয়।



* নিজ কন্যা সন্তানকে ধর্ষনকারী নরপিশাস দুই পিতার কাহিনী

একজন ভারতীয় অন্যজন অস্ট্রিয়ার। দুজনেই ধর্ষন করেছে তাদের ঔরশজাত কন্যাকে। কি নরপিশাচ পিতা (!!) ছি ছি। তাদের কামনা বাসনার অভিব্যক্তিতে স্তম্ভিত করে দিয়েছে মানবতা ও মনুষ্যত্বকে। একজনের নাম চন্ডিগন্ডের চন্দ্র পাল (৩৬) তার সৎ কন্যাকে বার বার ধর্ষন ও যৌন নির্যাতন করার অপরাধে যাবৎজীবন কারাদন্ড দিয়েছে ভারতের মহামান্য আদালত। এবং সাথে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা। মেয়েটির বয়স ১২ বছর থেকেই সে নরপশু বাবার এই বিকৃত কামের শিকার। তাকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটি তার জবানবন্দীতে বলেন-একজন শ্রদ্ধেয় পিতা হয়েও জোর পূর্বক আটকে রেখে বার বার আমার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

আরেক নরপশু অস্ট্রিয়ার নাগরিকইওজেফ ফ্রিৎসল আদালতে তার কন্যার গর্ভে সন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধের কথা শিকার করেন। তার বিরুদ্ধে তার ঔরসজাত কন্যার গর্ভের সন্তান অভিযোগও রয়েছে। ৭৩ বছর বয়সী এ নরপশু পিতা তার কন্যা এলিজাবেদকে ২৪ বছর পর্যন্ত-ভূগর্ভস্থ মাটির নীচের কুঠিরে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালিয়ে তার কন্যার গর্ভে ৭টি সন্তান জন্ম দান করেন। বর্তমানে এলিজাবেতের বয়স ৪৩ বছর। তাকে ১৯৮৪ সালের ২৯ আগষ্ট থেকেই ঐ ভূ-গর্ভের মাটির কুঠিরে আটকে রাখা হয়। ৪০ বর্গ মিটারের ঔ কুঠিরে আলো বাতাস প্রবেশের কোন জানালা নেই, পানির কোন ব্যবস্থা নেই। সেই বদ্ধ ঘরে কারো সহযোগিতা ছাড়াই সে সাতটি সন্তানের জন্ম দেয়। এদের মধ্যে তিন সন্তানকে ফ্রিৎসেল ও তার স্ত্রী রোজম্যারি উপরে নিয়ে নিজের বাড়িতে লালন পালন করেন। তবে এব্যাপারে তার স্ত্রী কিছুই জানতেন বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে। ১৯৯৬ সালে সপ্তম সন্তান জন্মদানের তাকে মেরে ফেলা হয়। ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে এলিজাবেদের ১৯ বছরের মেয়ে কেয়ার্স্টিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফ্রিৎসেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর ফলে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায় এবং সেটা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গত ২০০৮ সালের ২৬ এপ্রিল অবসরপ্রাপ্ত এ বিদ্যুৎ প্রকৌশলী নরপশু ফ্রিৎসেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কন্যার সাথে জোর পূর্বক যৌনাচার, আটকে রেখে দাসী বানিয়ে রাখা, ধর্ষন,যৌন নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার কর্মকর্তা জানান ফ্রিৎসেল তার কন্যাকে খেলনা হিসাবে অবিহিত করেন। ছি ছি মানব সভ্যতার এ কোন অবক্ষয়?

অমুসলিম বিশ্ব এ সমস্ত অপকর্মগুলো সারা পৃথিবীকে দেখানোর জন্য ইন্টানেটে তারা কয়েক কোটি পর্ণোসাইট ছেড়েছে এবং এ সমস্ত পর্ণোসাইট তৈরির জন্য তাদের রয়েছে হাজার হাজার পর্ণোপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ইন্টানেটে ১ কোটি ৩০ লক্ষ শিশুর পর্ণোছবি রয়েছে। কয়েক কোটি মানুষ এ ঘূণ্য পেশার সাথে যুক্ত। এ অমুসলিম বিশ্ব তথা পশ্চিমা বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির সূতিকাগার ইন্টানেটকে অশ্লীলতা ও পাপাচারের আখড়ায় পরিনত করেছে। ছোট ছোট শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে সেগুলোর ভিডিও চিত্র ইন্টানেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীবাসীকে এ ঘৃণ্য অপকর্মগুলো দেখানো হচ্ছে।এ হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের সভ্যতার ছবক দানকারী অসভ্য, নোংরা, অমুসলিম তথা পশ্চিমা বিশ্বের অবক্ষয়ের কিঞ্চিত মাত্র। অবাধ খুন, ধর্ষন, যৌন নির্যাতন ও বিষাক্ত ভয়ংকর মহাপাপ সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার পর খুব শীঘ্রই এ সমস্ত দেশ গুলো পশুদের সাথে সেক্স করাকেও আইনগত বৈধতা দেবে। এটাও তাদের দ্বারা অসম্ভব কিছু নয়। এজন্যই আল্লাহ বলেছেন-“ওরা জানোয়ারের মতো; বরং তার চাইতে নিকৃষ্ট।

* মুসলিম বিশ্ব ঃ-

বর্তমান পৃথিবীতে ১৯৪ টি দেশের মধ্যে ৫৭টি মুসলিম দেশ। ৬৫০ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫০ কোটি মুসলিম। খনিজ সম্পদের শতকরা ৬০ ভাগ মুসলিমদের অধীন। জলস্থল ও ভূগভস্থ সম্পদের ৫৫% ভাগ মুসলিম দেশ সমূহের নিয়ন্ত্রন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ্একমাত্র নীতি ও নৈতিকতা শিক্ষক এ মুসলমান সম্প্রদায় আজ অস্তিত্ব সংকটে ভূগছে। মুসলিম বিশ্বের নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সুযোগে ইহুদী-খিস্ট্রান সাম্রাজ্যবাদী চক্র মুসলিম বিশ্বকে টুকরো টুকরো করে তছনছ করে দিচ্ছে। তাদের পছন্দ অনুযায়ী পৃথিবীর মানচিত্র সাজাচ্ছে।

* অবক্ষয়ের কবলে মুসলিম বিশ্ব ঃ-

পৃথিবীর সব ভালো কাজের জন্মদান এ মুসলমানরাই করেছিল। অসভ্য পৃথিবীকে আলোর পথ দেখিয়েছে এ মুসলমানরা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সেই মুসলিম সম্প্রদায় আজ অবক্ষয়ের জ্বরে আক্রান্ত। অবক্ষয়ের স্রোতে মুসলিম বিশ্ব থেকে ইসলাম দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ শুণ্য স্থান গুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও পশ্চিমাদের অসভ্য সংস্কৃতি স্থান করে নিচ্ছে। আজকের মুসলিম বিশ্ব এতখানি অবক্ষয়ের স্রোতে ডুবে গেছে যে, একজন মৃত মানুষকে কোন ধর্মের অনুসারী তা চেনার জন্য লজ্জাস্থান দেখা ছাড়া আর কোন চিহৃ বজায় থাকে না। আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে মানুষের মনগড়া মতাদর্শকে আদর্শ হিসাবে মেনে নেওয়ার কারণেই মুসলিম বিশ্বে অবক্ষয়ের জন্মলাভ করে। অবক্ষয়ের সুনামীতে মুসলিম সম্প্রদায় এখন অনেকটা নাম সর্বস্ব জাতিতে পরিনত হয়েছে। অবক্ষয়ের প্রতিযোগিতায় মুসলিম বিশ্ব অনেক ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে এগিয়ে গেছে। অবক্ষয়ের কারণে মুসলিম বিশ্বে এখন অশান্তি আর চাপা কান্না বিরাজ করছে। নিন্মে রির্পোট গুলোর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সার্বিক চিত্র জানা যাবে।

আধুনিক বিশ্বের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ও উন্নয়নের দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বে মালেশিয়া শীর্ষে অবস্থান করছে। সেই মালেশিয়া এখন অবক্ষয়ের জ্বরে ক্ষত-বিক্ষত।

মালেশিয়ার বারনামা সংবাদ সংস্থা প্রকাশিত এক রির্পোটে জানা যায়, মালেশিয়ার নারী,পরিবার ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী নেগ ইয়েন বলেছেন-বারবার ধর্ষসকারীকে নপুংসক করে দেওয়া উচিত। সম্প্রতি দেশটিতে ধর্ষনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন-ধর্ষনের মতো জঘণ্য অপরাধ দমন করতে এ ধরণের কঠোর গ্রহন করা উচিত। সেজন্য বার বার ধর্ষনকারীকে নপুংসক করে দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন-মালেশিয়ায় ২০০৫ সালে এক হাজার ৮৮৭ জন ধর্ষনরে শিকার হলেও ২০০৭ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ৩ হাজার ১৭৭ জনে। ২০০৮ সালে প্রথম দিকে ভিডিও যৌন কেলেংকারির কারণে মালেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী চুয়া সোই পদত্যাত করতে বাধ্য হন।

* ইসলামী রাষ্ট্রের শ্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রটিও অবক্ষয়ের জ্বরে আক্রান্ত। পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত এক প্রবিবেদনে বলা হয়-২০০৭ সালে পাকিস্তানে ২ হাজারের বেশি নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ বছর প্রথম তিন মাসে পাকিস্তানে ধর্ষনের মামলা হয়েছে ৪২৮ টি। প্রতিবেদনে বলা হয়-গত বছর পাকিস্তানে মোট ২ হাজার ২৫৬ টি ধর্ষনের

ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গণধর্ষনের ঘটনা হচ্ছে ২৬০টি। সবচেয়ে বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে ধর্ষনের শিকার হয়েছে এক হাজার ৫০৯ জন। এর মধ্যে গণধর্ষনের ঘটনা ২৩৩ টি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়-এ বছর এরই মধ্যে সংগঠিত ৪২৮ টি ধর্ষনের ঘটনার মধ্যে ৪২ টি গণধর্ষন হিসাবে রেবর্ড করা হয়েছে। বাকি ঘটনার মধ্যে ৩৩০ টি ধর্ষন ও ৩২ টি গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে। প্রতিবেদনে পাঞ্জাব প্রদেশকে নারীদের জন্য পুরোপুরি নিরাপত্তাহীন হিসাবে চিহিৃত করা হয়েছে। তবে অন্য প্রদেশগুলোও নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। বলা হয়েছে ,গত বছর সিন্ধু প্রদেশে ১৭০ জন, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ১৫২ জন, বেলুচিস্তানে ৩৩ এবং রাজধানী ইসলামাবাদে ৭৬ জন ধর্ষনের শিকার হয়। এ বছর প্রথম তিন মাসে সিন্ধু প্রদেশে ৩২ জন, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ২৫, বেলুচিস্তানে ৩ এবং ইসলামাবাদে ২৭ জন ধর্ষনের শিকার হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়-পাকিস্তানে অপহরণের হার বেড়ে গেছে। এ বছর এরই মধ্যে মক্তিপনের জন্য ১৪০ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাবে ৪৭ টি, সিন্ধুতে ৫৭ টি ও বেলুচিস্তানে ৫ টি।

* বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়-বর্তমানে পাকিস্তানে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত ৪০ হাজারের বেশি মেয়ে শিশু ও বালককে পাকিস্তানের পতিতা পল্লীতে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

* বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশে বাংলাদেশ। নৈতিক অবক্ষয়ের দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এ দেশটিও শীর্ষে অবস্থান করছে। নিন্মে পরিসংখ্যান দেয়া হল।

* মহিলা পরিষদ ও ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়-গত ৩০ বছরে ১০ লাখ নারী পাচার হয়েছে। প্রতি মাসে ৪শ নারী এবং বছরে ১ লাখ ২০ হাজার নারী কে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়। গত ১০ বছরে ১২ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩ লাখ নারী ও শিশু ভারতে পাচার হয়। পাকিস্তানে বিক্রি হয়েছে ২ লাখ নারী ও শিশু। পুলিশের এক প্রতিবেদনে বলা হয়-দেশে থেকে প্রতি বছর ৭০ হাজার নারী ও শিশু পাচার হচ্ছেন। পাচার হওয়া ৪০ হাজারের মতো নারীকে ভারত ও পাকিস্তানে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভারত সীমান্তে কমপক্ষে ৫০ জন নারী পাচার হচ্ছে। অধিকাংশের শেষ গন্তব্য হয় কলকাতা অথবা মুম্বাইয়ের যৌন পল্লীগুলোতে। ২০০০ সালের জাুনয়ারী মাসে থেকে ২০০৩ সালের জুন পর্যন্ত ২৪০৫ জনের মতো বাংলাদেশী শিশু নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৫১০ জন ছেলে এবং ৪৫১ জন মেয়ে শিশু। বর্তমানে চার লাখ বাংলাদেশী নারী ভারতে ও ৪০ হাজার মেয়ে শিশু পাকিস্তানের পতিতা পল্লীতে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। নারীর পাশাপাশি তিন লাখ বালকও পাচারের শিকার হয়। পাচারের শিকার ৯০% নারীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

নৈতিক অবক্ষয় বাংলাদেশে কোন পর্যায়ে পৌছেছে তা নিন্মের দুইটি ঘটনা থেকে পরিস্কার বুঝা যাবে।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৪ সালের ২২ আগষ্ট। রাজধানী ঢাকার অদুরে সাভারের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ( আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আজ কি মানুষের পরিবর্তে নরপশু তৈরি হচ্ছে!) । গার্মেন্টস কর্মী রাহেলা আক্তার লিমা নামের ১৯ বছরের এক তরুণীকে একদল নরপশু রাতভর উপর্যুপরি ধর্ষনের পর ধারালো ছুরি দিয়ে তার শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করে। গলা কেটে দেয়। তারপর বর্বরোচিত ভাবে তরণী রাহেলার স্পাইনাল কর্ডূ ছুরি দিয়ে ছিন্ন ভিন্ন করে ধর্ষকরা। এরপর বিশ্বব্দ্যিালয় এলাকায় নীরব নির্জন একটি ময়লা আবর্জনার স্তুপে রাহেলার নিথর দেহ ফেলে চলে যায় ঘাতক দুর্বৃত্তরা। তারা ভেবেছিল রাহেলা মারা গেছে। ঘটনার তিনদিন পর নরপশু ধর্ষকেরা রাহেলার মৃত দেহের হাল জানতে এসে দেখতে পায়, রাহেলা বেঁচে আছে এবং প্রচন্ড পিপাসায় পানি! পানি! বলে অস্ফুট চিৎকার করতে থাকে। রাহেলার এই জীবস্মৃত অবস্থায় পাষন্ড ধর্ষকরা রাহেলাকে পানির পরিবর্তে তার সারা দেহে ঢেলে দেয় এসিড। মেয়েটির মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বর্বর ধর্ষকরা স্থান ত্যাগ করে। তারপরেও কিভাবে যেন রাহেলা বেঁচে যায়। দগ্ধ,গলাকাট ও পচর ধরা দেহ নিয়ে রাহেলা বেঁচে ছিল। বার বার পানি পানি বলে চিৎকার করছিল সে। পরের দিন ২৫ শে আগষ্ট সকালে বৈদক্রমে হাঁটতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানের এক মালি স্তুপের ভেতরে নিথর,দগ্ধ,পঁচাগলা শরীরের রাহেলাকে আবিস্কার করে। তখনো রাহেলা জীবিত। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত রাহেলাকে নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিন দিন পর তার জ্ঞান ফিরলে সে জবানবন্দী দেয়। কিন্তু ঘটনার ৩৩ দিনের মাথায় রাহেলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্বামী তার লাশ গ্রহন করেনি, জায়গা হয়নি শুশুর বাড়ীতে। রাহেলা পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরোচিত জঘণ্য ও পাশবিক একটি ঘটনার নির্মম সাক্ষী এবং জঘণ্য নির্মমতার শিকার হয়ে চলে গেছে অবশেষে। রাহেলার আত্মা এখনো চিৎকার দিয়ে বলে কবে হবে এ বর্বরতার অবসান?

* এক রির্পোটে জানা যায়-মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা প্রায় পাঁচ লাখ নারী শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতেই যৌন কর্মী হিসাবে কাজ করে।

* ইরাক যুদ্ধের পর সে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া নারীদের বেশির ভাগই যৌন কর্মীতে পরিনত হয়েছে। বহু ইরাকী নারীকে সিরিয়া, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও ইরানে পাচার করা হয়েছে। কেবল সিরিয়াতে আছে ৫০ হাজার ইরাকী নারী। এদের অনেকেই বিধবা এবং যৌন কর্মী হতে বাধ্য হয়েছে।

* আফগানিস্তানে নারীরাও যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সহ পাশ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এদেরও অধিকাংশ পতিতা বৃত্তিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে অভাবের কারণে। এছাড়া মার্কিন সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য আফগানিস্তানে শত শত পতিতা পল্লী গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর লাল কোত্তাদের রাত কাটে এসমস্ত পতিতা পল্লীতে।

* বাংলাদেশে এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়-২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশে ৪ হাজার ২১৯ জন ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ১ হাজার ৮৪৪ জন গণধর্ষন হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানা যায়-১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ধর্ষনরে শিকার হয়েছে ১৪১২৮ জন। ১৯৯৭ তে ১৩৩৬, ১৯৯৮ তে ২৯৫৯, ১৯৯৯ তে ৩৫০৪, ২০০০ তে ৩১৪০, ২০০১ সালে ৩১৮৯ জন ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ সময় ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বুড়ী পর্যন্ত ধর্ষনের শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫ বছরের নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে প্রতিবেদনে জানায়- ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৫ টি খুন ও ধর্ষনের পর হত্যা, গণধর্ষন ও ধর্ষন ৩ হাজার ২৪৬ টি।

অপর এক জরিপে দেখা যায়-২০০৩ থেকে ২০০৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংাদেশে ৫০০০ নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে।

পুলিশের বার্ষিক অপরাধ সম্মেলনে সি আইডির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় -২০০৯ সালে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৯৭২ টি। দেশে গড়ে প্রতিদিন ৮ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়-২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে শুধু ধর্ষনরে পর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু। আর ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ৪৫৪ জন নারী। এর মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ত নারী ২১১ জন এবং কন্যা শিশু ২৪৩ জন। গণধর্ষনরে শিকার হয়েছেন ৯৭ প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও ৭৯ কন্যাশিশু । বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

* সমকামিতা মুসলিম বিশ্বে ধর্মীয় ও আইনগত নিষিদ্ধ হলেও এর বিস্তার মুসলিম বিশ্ব থেকে নেই। মুসলিম বিশ্বে সমকামিতা ধিরে ধিরে বিস্তার লাভ করছে।

বাংলাদেশে এ বিকৃত যৌনাচার খুব দ্রুতই বুদ্ধি পাচ্ছে। যা রীতিমত আতংকের ব্যাপার। জাতীয় এইডস ও এসটিটি প্রোগ্রাম (এনএসপি) এর মতে-বাংলাদেশে ২০০৭ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এইচ আইভি/ এইডসে অত্যন্ত ঝঁটিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে পুরুষ সমকামী ও খদ্দের ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ এবং হিজড়া রয়েছে ১০ হজেরে থেকে ১৫ হাজার। ডেইলী স্টার পত্রিকার এক রির্পোটে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যালজির সহযোগী অধ্যাপক ড: সাইফুল আজমের মতে, বাংলাদেশে সমকামিতা বৃদ্ধির হার বছরে প্রায় ৩.৫%। বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি জানায়, ২০০৫ সালেই চট্টগ্রামে পেশাদার পুরুষ সমকামীর সংখ্যা ছিল ৩৫০০ জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মতে, সব শ্রেণী পেশার লোকজন নাকি রয়েছে পুরুষ সমকামীদের মধ্যে । এমএসএম ও হিজড়া সুমন জানায়- দেশে প্রায় ১২ লাখ হিজড়া এবং প্রায় ১ লাখ এমএসএমরা সমকামী রয়েছে। হোমোসেক্সুয়াল ইউটিলিটি গ্রোরোইন এইডস রিস্ক ইন বাংলাদেশ নামক এক রির্পোটে বাংলাদেশে ১০ মিলিয়ন সমকামী নারী পুরুষের বসবাস বলা হয়েছে। এতো আরো বলা হয়েছে দিন দিন এ সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে সমকামীরা সঙ্গী খুঁজতে আশ্রয় নিচ্ছে ওয়েবসাইটের।নিজস্ব ওয়েবসাইটে তারা ছবি,নাম,ঠিকানা,পেশা,শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফিগারের ধরণ উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ওই বিজ্ঞাপন থেকে সমকামীরা তাদের পছন্দমতো সঙ্গী বেছে নিচ্ছেন।

* এক রির্পোটে দেখা যায়-সৌদি আরবের শহরের অঞ্চলের ৪৬% পুরুষ সমকামী।

এছাড়া বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বে সমকামিতার বিষাক্ত মহাপাপের ব্যাপক বিস্তারে “বন্ধু” “নোঙ্গর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা” সহ অসংখ্য এনজিও কাজ করছে। এসব এনজিওদের অর্থ সহ নানা ভাবে সহযোগিতা করছে ইউএসএআইডি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এগুলো মুসলিম বিশ্বে নৈতিক অবক্ষয়ের যৎকিঞ্চিত চিত্র। পরবর্তীতে মুসলিম বিশ্বে “মূল্যবোধের অবক্ষয়ের উপরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।

* ঐতিহাসিক এম গ্রাসিন ডি ট্যাসিল বলেন-মহরমের তাজিয়া অবিকল হিন্দু দূর্গা পুজার অনুকরণ। দূর্গোৎসব যেমন দশদিন ধরে চলে এবং শেষ দিন ঢাক ঢোল বাদ্য বাজনাসহ পুজারীগণ প্রতিমা কে নিয়ে মিছিল করতঃ নদী কা সাগরে বিসর্জন দেয়, মুসলমানরা ও অনুরুপ দশদিন ধরে মহরমের উৎসব পালন করে ,শেষ দিন দূর্গা বিসর্জনের ন্যায় ঢাক ঢোল বাজিয়ে মিছিল করে দাজিয়া পানিতে বিসর্জন দেয়া হয়। এছাড়া বর্তমান কালের বিয়েতে যৌতুক ও মেহেদী অনুষ্ঠান ও হিন্দুদের অনুকরণে করা হয়ে থাকে।

* মুসলমানদের মধ্যে পীর পুজা ও কবর পুজার ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। ঐতিহাসিক এম টি টিটাসের মতে-ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় আচর অনুষ্ঠান অপেক্ষা ও বহুগুন উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে তারা পীর পুজা করে। অতীতে যে সকল অলী দরবেশ ইসলামের মহান বানী প্রচার করে গেছেন, পরবর্তীকালে অজ্ঞ মুসলমানরা তাদের কবরকে পুজার কেন্দ্র বানিয়েছে। কৃষক ভাল ধান ফসল লাভ করলে কয়েক আঁিট ধান দরগায় নিয়ে আসতো। সকল প্রকার ব্যাধি ও বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দরগায় চাউল ও বাতাস দেয়া হতো। আজমীর খাজা মঈনউদ্দীন চিশতী (রহ) মাজারের গিলাফ সরিয়ে বেহেশতের দরজা (!) দেখিয়ে দালালরা জিয়ারতকারীদের নিকট থেকে প্রচুর অর্থ রোজগার করে। এ ধরণের অসংখ্য অগণিত কবর ও দরগাহ বাংলাদেশ,ভারত ও পাকিস্তান সহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যামান আছে। যেখানে আজো এক শ্রেণীর মুসলমান পুজাপার্বন তথা শিরক বিদয়াত করে থাকে। মুসলিম সমাজে ও সংস্কৃতিতে পৌত্তলিকতা ও বিধর্মীভাব ধারার অনুপ্রবেশ যতটুকু অবশিষ্ট ছিল, তা পরিপূর্ণ করে দেয় এক শ্রেণীর ভন্ড পীর ফকিরের দল। এমনকি ধর্মের নামে তারা বৈঞ্চম ও বামচারী তান্ত্রিকদের অনুকরণ যৌন অনাচারের আমদানী ও করে। মুসলমান নামে তারা যে মত ও পথ অবলম্বন করে তার উৎস বৈঞ্চববাদ। মাওলানা খাঁ তার মুছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস প্রন্থে এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন। তার গ্রন্থ থেকে যৎকিঞ্চিৎ পাঠকগণের নিকট পরিবেশন করছি।

তান্ত্রিকগণ দ্বার্থহীন ভাষায় নির্দেশ দিতেছেন যে,কলিকালে (বর্তমানকালে) মদ্যপান শুধু সিদ্ধই নহে বরং অপরিহার্য ভাবেই তাহা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মহাদেব নিজ মুদ হইতে এই পঞ্চতত্ত্ব রহস্যের ব্যাখ্যা শ্রবন করিতে আমরা পাঠকদের আমন্ত্রন জানাইতেছিঃ-

“হে আদ্যে,শক্তিপুজা পদ্ধতিতে অপরিহার্য করনীয় হিসাবে মদ্য পান, মাংস, মৎস্য ও মুদ্রা ভক্ষন এবং সঙ্গমের নির্দেশ দেওয়া যাইতেছে। যৌন সঙ্গমের ব্যাপারে প্রত্যেক পুরুষকে শিব ও প্রত্যেক নারীকে পাবর্তী কল্পনা করিয়া পুরুষদের বেলায় অহং ভৈরত স্তং ভৈরবহ্যা বায়ুবস্ত সঙ্গম মন্ত্র উচ্চারন করিয়া ধম্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবেই সঙ্গমে লিপ্ত হইতে পারে।”

এ সমস্ত কলুষিত পরিবেশের প্রভাবে বাংলার মুসলমান সমাজ নৈতিক অধঃপতন ও সামাজিক অনাচার বিশৃঙ্খলার এক অতি শোচনীয় স্তরে নামিয়া যায়। এই অধঃপতনের নজীর হিসাবে আমরা এখানে মসুলমান মারফতী ফকির বা নেড়ার অর্থ্যাৎ মরমীবাদী ভিক্ষুকদের কয়েকটি মত বিশ্বাস ও সাধন পদ্ধতির উল্লেখ করছি। এই সমস্ত ফকিরের দল বিভিন্ন সম্প্রদায় উপসম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল-যথা আউল, বাউল,কর্তভজা ও সহজিয়া ইত্যাদী হিন্দু বৈঞ্চব অথবা ৗচতন্য সম্প্রদায়ের মুসলিম সংস্করণ ব্যতীত আর কিছু ছিল না।

১. মদ্যপান ব্যতীত আধ্যাতিক চেতনা জাগ্রত করা সম্ভব নহে। সতরাং আধ্যাতিক সাধনা ও ইহা ব্যতীত সম্ভব হয় না। যে ব্যক্তি মদ্যপান ও গাঁজা ইত্যাদী সেবন করে সে অনতিকালের মধ্যে মা‘রেফাত এলাহী লাভে সক্ষম হয়। এ সার্ন্বিদধ্য হইতে দুরে রাখার জন্যই শয়তান মানুষকে মদ্যপানে নিষেধ করে। এই শয়তানের প্ররোচনায় মুসলিম শাস্ত্রবিদ বা শরিয়তী আলেমগণ মদ্যপান ও অন্যান্য নেশা সেবনকে পাপ বলিয়া ফতোয়া দিতে শুরু করিয়াছেন। (সম্মনিত পাঠকগণ,এখানে এই বিশ্বাসের সহিত তান্ত্রিকদের পঞ্চতন্ত্রের একটি তত্ত্বের কিরুপ মিল রহিয়াছে তাহা অবশ্যই লক্ষ্য করিবেন)

২. বাউলগণ যৌন সঙ্গমকে যৌন পুজা বা প্রকৃতিরুপে জ্ঞান করে। তথাকথিত এই প্রকৃতি পুজায় চারিচন্দ্র ভেদ নামে তাহাদের একটি অনুষ্ঠান রহিয়াছে। বাউলগণ ইহাতে ভক্তি ও উপাসনার একটি অতি পবিত্র অনুষ্ঠান বলিয়া বিবেচনা করিলেও সাধারণ মানুষের নিকট ইহা অতি বীভংস ও পৈশাচিক বলিয়া মনে হইবে। তাহারা বলে যে, মানুষ এই চারিচন্দ্র বা মানবদেশের নির্যাস; যথা-রক্ত,বীর্য,মল ও মুত্র পিতার অন্ডকোষ ও মাতার গর্ভ হইতে লাভ করিয়া থাকে। সতরাং চারিচন্দ্র বাহিরে নিক্ষেপ না করিয়া পুনরায় দেহে গ্রহন ও রক্ষা করা কর্তব্য। মুসলিম বাউল বা নেড়ার ফকিরগণ এই চারিচন্দ্র ভেদের ন্যায় পঞ্চরস সাধন ও করিয়া থাকে। ইহাদের নিজস্ব উদ্ভট ও নোংরা ভাষায় এই পঞ্চরসের নাম হইতেছে-কালো,সাদা,হলুদ ও মুর্শিদ বা গুরুর বাক্য। স্বীয় স্ত্রী অথবা পরস্ত্রীর সহিত যৌন সঙ্গম করিয়া এই রস সাধন,লাল সাধন ও গুটি সাধন করিতে হইবে। এ সমস্ত সাধনের পদ্ধতি এত কদর্য্য ও অশ্লীল যে, এখানে কোন একটির উদাহারণ উল্লেখ করিতে লজ্জাবোধ করিতেছি।

৩. কোরআন মজিদের বিভিন্ন শব্দ ও মূল তত্ত্বের যে ব্যাখ্যা এই সমস্ত শয়তান নেড়া ফকিরের দল দিয়াছে, তাহাও অদ্ভুদ। হাওজে কাওসার বলিতে তাহারা বেহেশতী সঞ্জীবনী সুধার পরিবর্তে স্ত্রী লোকের রজঃ বা ঋতুস্রাব বুঝে। যে পুজা পদ্ধতিতে এই ঘৃণ্য ফকিরের দল বীর্য পান করে তাহার সূচনায় ‘বীজ মে আল্লাহ’ অর্থ্যাৎ আল্লাহ বীর্যে অবস্থান ক।ে এই অর্থে তাহারা ‘বিসমিল্লাহ’ শব্দ উচ্চারণ করেন। তাহাদের মনের মদিনায় কোরআনের বিশুদ্ধ ১০ পারা সদা জীবন্ত অবস্থায় বিদ্যমান। এইজন্যই শরীয়তীদের কোরআনের ৩০ পারা তাহারা অনুসরণ করে না। তাহাদের এই শয়তানি মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য হইতেছে ইসলামের নিষেধ বা হারাম সমূহকে পূর্ণকর্মরুপে মানিয়া চলা এবং ফরয কাজ সময়হকে পাপরুপে প্রত্যাখান করা।

৪. এই মুসলিম ভিক্ষোপজীবি নেড়ারা ফকির দলের পুরোহিত বা পীরের শ্রীকৃঞ্চ কর্তক গোপনীদের বস্ত হরণের অনুরুপ এক অভিনয় অনুষ্ঠান করিয়া থাকে। যখন পীর তাহার মরিদানের গ্রামে তশরিফ আনেন, তখন গ্রামের সকল যুবতী ও কুমারী উত্তম বসনে সজ্জিত হইয়া বৃন্দাবনের গোপিনীদের অনুকরণে একটি গৃহকক্ষে পীরের সহিত মিলিত হয়। নাটকের প্রথমে এই সকল স্ত্রী লোক নৃত্য গীত শুরু করে।

“ও দিদি,যদি শ্রীকুঞ্চকে ভালবাসিতে চাও

আর আর প্রতারনা না করিয়া শ্রীঘ্রই আস

দেখ, প্রেমের দেবতা আসিয়াছে

আখিঁ তোলে, তাহার প্রতি তাকাও

গুরু আসিয়াছে তোমদের উদ্ধারের জন্য

এমন গুরু আর কোথাও পাইবে না,

হ্যাঁ.গুরুর যাহাতে সুখ

তাহা করিতে লজ্জা করিও না।”

গীত শেস হইলে এই সমস্ত নারী তাহাদের গাত্রাবরণ খুলিয়া ফেলিয়া সম্পূর্ণ উলঙ্গ হইয়া পড়ে এবং ঘুরিয়া ঘুরিয়া আনন্দে নৃত্য করিতে থাকে। পীর এখানে কৃঞ্চের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং শ্রীকৃঞ্চ যেমন গোপনীদের বস্ত হরণ করিয়া বৃক্ষে আরোহন করিয়াছেন,তিনি ও তদ্রুপ এই সমস্ত উলঙ্গ নারীর পরিত্যক্ত কাপড় লইয়া গৃহের একটি উচুঁ তাকে রক্ষা করেন।এই পীরের হাতে কঞ্চের মত যেহেতু বাশিঁ নাই,তাই তিনি নিন্মেক্ত ভাবে মুখে গান হগাহিয়াই এইসব উলঙ্গ রমনীগণকে যৌনভাবে উত্তেজিত করিয়া তুলেনঃ

“হে যুবতীগণ,তোমাদের মোক্ষের পথ ভক্তকুলের

ঈুরোহিতকে অর্ঘ্য স্বরুপ দেহদান কর।”

কোনরুপ সংকোচ না করিয়া পীরের যৌন লালসা পরিতৃপ্ত করাই ইহাদের প্রধান ধর্মীয় কর্তব্য। তারপর শুরু হয় আদিম অসভ্য খেলা।

৫. এই নেড়া ফকিরদের আউল সম্প্রদায় সম্পর্কে বলা হয় যে,তাহারা তাহাদের বিবাহিত স্ত্রীদের সহিত সীমাবদ্ধ যৌন সঙ্গমকে নিগূড় আধ্যাত্মিক সাধনায় সিদ্ধিলাভের পক্ষে যথেষ্ট মনে করে না। তাহাদের যৌন লালসায় পূর্ণতৃপ্তির জন্য প্রকাশ্য ও গোপনে যত অধিক সংখ্যক বীরঙ্গনা অথবা কুলনারীর সহিত তাহাদের ইচ্ছা,ততজনের সহিত যৌন সঙ্গম তাহাদের এই নিগৃড় সাধন পদ্ধতিতে প্রয়োজন হয়। অতএব তাহাদের স্ত্রীদের সহিত অন্য কোন পুরুষকে যৌন মিলনে লিপ্ত দেখিলে তাহারা কোনরুপ অসন্তোষ অথবা ঈষা বোধ করে না। অন্যদিকে নারী পুরুষ উভয় পক্ষ হইতে এই ধরণের যৌন মিলনে কোনরুপ ঈষার প্রশ্রয় না দেওয়াকে তাহারা আত্মশুদ্ধি ও আত্মিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য বিবেচনা করে।

৬. এই ফকিরেগণের ‘ইচ্ছা পূরণ’ নামে এক বিশেষ প্রকারের গোপন সাধন রীতি রহিয়াছে। ইহাতে কোন পুরুষ বা নারী নিজেদের বা দলের অপর কাহারো যৌন আঙ্খাকা পরিতৃপ্ত করিতে ইতস্তত: বা কোনরুপ লজ্জাবোধ করিবে না। এই উদ্দেশ্য হতভাগা এই ফকির দলের নারী পুরুষ সকল ভক্ত ‘আখড়া’ নামে একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে আসিয়া মিলিত হইয়া নানা দ্রব্য সেবন করে এবং যাহার ইচ্ছা তাহার সহিত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হইয়া তাহাদের নিগুড় সাধনা চালাইয়া যায়। যদি দলের কোন নারী বা পুরুষ অন্য কোন পুরুষ বা নারীর যৌন কামনা চরিতার্থ করিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে, তাহা হইলে তাহাকে মহাপাপী বলিয়া অভিযুক্ত করা হইবে।

এছাড়া দরগায় গিয়ে ধন সম্পদ ও ছেলে মেয়ে চেয়ে থাকে। মাজারে গিয়ে সিজদা করে। বাবাজানের গোসলের পানি পান করে তার পায়ের আঙ্গুল চোষে তাকে সিজদা দেয়। মাঝে মধ্যে মহিলারা দোয়া নিতে গিয়ে ইজ্জত হারানোর ঘটনাও প্রকাশ হয়। দায়েরা নাম দিয়ে নারী পুরুষ একসাথে হারমোনিয়াম ও দবলা বাজিয়ে নেচে নচে একই সাথে মদ্য পান করে, কাপড় ফেলে দিয়ে জিকিরের নামে ভন্ডামী করে চলেছে।

কথিত আছে এ জিকিরের আগে জিকিরের ঈমাম ঘোষনা করে যে, মনের আলো বড় আলো বাহিরের আলো নেভাওরে,মনের পর্দা বড় পর্দা বাহিরের পর্দা উঠাওরে বলে সমস্ত লাইট বন্ধ করে পরিধেয় বস্ত্র খুলে জিকিরের নামে অসভ্যপনা করে থাকে। এই সমস্ত নেড়া ফকিরের দল গান বাজনা ও নারী পুরুষের নাচকে বৈধ করার জন্য বলে নাচ গানের কথা কোরআনে ও বলা আছে যথা-কুল আউজু বিরাব্বিন নাস,মালিকিন্নাস,ইলাহিন্নাস। প্রতি বছর ওরসের নামে যে মেলা বসে এবং যে পরিমান টাকা খরচ হয়,সে টাকা দিয়ে ৫০০ টি হাসপাতাল তরা যাবে। যে টাকা মানত করে দেয় সে টাকা দিয়ে বছরে ২ হাজার মসজিদ পরিচালনা করা যাবে। যে টাকা দেশে দেশে মাজার করার কাজে ব্যয় করছে তা দিয়ে কমপক্ষে ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব হবে। পাগলা লেংটা ও অপরিচ্ছিন্ন লোক এলেই ফকির। যে বেহালা হারমোনিয়াম ও তবলা ঢোল দিয়ে হিন্দুরা হরে কৃঞ্চ হরে রাম জপছে সেই যন্ত্রে মুসলমানরা আল্লাহ আল্লাহ জিকির করছে। এই মুসলমানেরা পীরকে খোদার চেয়েও বড় মনে করে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজা বাদশাহদের অবস্থা ও একই রকম। নারী, বাড়ি, গাড়ি, মদ আর নাচ গান নিয়ে সর্বদা লিপ্ত । দেশ ও দেশের স্বার্থ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি তাদের কোন দায়িত্বনুভূতি যেন নেই। সবাই ইহুদী খ্রিস্টানদের সেবা দাশে পরিনত হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে মুসলিম বিশ্বে নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সামান্য বিবরণ মাত্র। বাস্তব অবস্থা আরো করুন। তাই আসুন সকল অবক্ষয় ও মানব গড়া মতাদর্শকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সৃষ্টার দেয়া বিধি বিধান সৃষ্টার জমিনে কায়েম করি তাহলেই পৃথিবীতে সত্যিকারের সুখ শান্তি ফিরে আসবে। যেমন এসেছিল খোলাফায়ে রাশেদার যুগে। আসুন না নব্য জাহেলিয়াতের এ দূর্গ ভেঙ্গে তাওহিদের একটি পৃথিবী গড়ে তুলি যেখানে একটি পশু পাখিও খাবার অভাবে মারা না যাবে। নির্যাতিত হবে না কোন মানুষ। সুখ আর শান্তিতে ভরে যাবে সারা পৃথিবী। দুঃখ কষ্ট অভাব আর অভিযোগ বলে কোন অনুযোগ থাকবে না। এমন স্বপ্নিল পৃথিবী কার না কাম্য। এ স্বপ্নিল পৃথিবীর জন্য আমাদের চির সত্য ইসলামের মহান আদর্শের দিকে ফিরে যেতে হবে। ইসলামই উপহার দিয়েছিল এমন স্বপ্নিল পৃথিবী। আজকের তরুণরাই হোক স্বপিল এ পৃথিবী গড়ার কারিগর।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.