![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েরা কি পারে, কি পারে না...
জানালার ছিটকিনিটা বেশ শক্ত। এটে লাগাতে গেলে বিস্তর কসরত করতে হয়। এদিকে বৃষ্টির ছাট এসে ঘর ভেসে যাচ্ছে, জানালাটা বন্ধ করা দরকার। মেয়েটা চেষ্টা করবে একবার, দুইবার—তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে হাসি হাসি মুখে এক পাশে সরে দাঁড়াবে। সে যে এটা পারবে না, তার কাছে এটা অস্বাভাবিক মনে হয় না। এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল, তাই না? খুবই সঙ্গত, তার তো এটা পারার কথাই নয়।
সে অপেক্ষা করবে তার পুরুষের, কখন সে উদ্যোগ নেবে, জানালা এটে লেগে যাবে। আর মেয়েটা প্রস্তুতি নিতে থাকবে সপ্রশংস হাসিতে তার পুরুষটাকে তারিফ আর কৃতিত্বে ভরিয়ে দিতে। নতুন কিনে আনা আচারের বয়ামটা কিছুতেই খোলা যাচ্ছে না, মেয়েটা ভিজা হাত মুছে ট্রাই করবে, শুকনা কাপড় পেচিয়ে ট্রাই করবে একবার, দুইবার-বাসায় তার পুরুষটা মজুদ থাকলে সে কখনও তৃতীয় চেস্টা করবে না।
নারীর মধ্যে কোন ক্ষুদ্রতা নাই, মানুষের (পড়তে হবে পুরুষ) অবদানের স্বীকৃতি সে দিতে জানে। কিন্ত বিস্ময়, সে সম্ভবত জানে না কিভাবে এই তৃতীয় বা পরবর্তী প্রচেষ্টা গুলো নিতে হয়? সে কি জানে? নাকি জানে না? এর উত্তর আমার জানা নাই। অথচ নারী শ্রমবিমুখ? সে কায়িক শ্রম এড়াতে চায়? খুব ভুল কথা, ভুল ভাবনা।
পারিবারিক জীবনে যে কোন একটা সফরের কথা ভাবি—তা সেই হানিমুন করতে সেন্ট মার্টিন ভ্রমন হোক, অথবা যে কোন ছুটিতে কক্সবাজার যাওয়া হোক-মেয়েটার ভুমিকা সব সময় যেন অনুগামীর। ট্রান্সপোর্ট কি হবে, কোন হোটেলে থাকা হবে, কি খাওয়া দাওয়া হবে-মেয়েটা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহনের আলোচনায় অংশগ্রহন করবে, তার মতামত জানাবে, কিন্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন ভুমিকা নিবে কি? বুকিং এর জন্য সে হোটেলে ফোন করবে কি? কিংবা বাসের টিকিটের জন্য কোচ অফিসে?
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যদি ফিরে যাই, যখন ঝাঁক বেধে হাজার হাজার বিপন্ন মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলছে অজানার উদ্দেশ্যে। আমাদের মেয়েটিও ধরা যাক আছে এই দলে, কোলে তার শিশু সন্তান, সাথের ব্যাগে জরুরী কিছু ব্যাবহার্য্য। শারিরীক কষ্ট উপেক্ষা করে মেয়েটি চলছে তার স্বামীর সাথে। সামনে অজানা বিপদ এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে মেয়েটি বিপর্যস্ত্য। অথচ এর মাঝেও এক দৃঢ় বিশ্বাস তার মনে কাজ করে... তার পুরুষ শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচিয়ে দেবে। মাথার ওপর ওত পেতে থাকা বিপদের দিনেও, সাথে তার স্বামীর উপস্থিতি তার চারপাশে এক ধরনের নিরাপত্তার বোধ তৈরি করে। তাকে বাড়তি সাহস যোগায়। এই পুরুষ তার কাছে একটা নিশ্চিন্তির জায়গা, যা তাকে ঘিরে রাখে, আগলে রাখে-তাকে নিরাপত্তা বোধের এক অনুভুতি যোগায়। মাথার ওপর ছাতা হয়ে থাকে।
কিন্ত বিপদের মাঝে দাড়িয়ে, তা থেকে রেহাই পাবার সেই রাস্তা খোঁজার কাজটা মেয়েটা নিজেও করে না কেন? কেন মেয়েটার ইচ্ছা জাগে না, কোন একটা পরিবারের ক্ষেত্রে নিজে ছাতা হয়ে ওঠার? এমনটা কি কখনও ঘটে? বিপদজনক কোন পরিস্থিতিতে মেয়েটা কি করা যায়, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে? কোন উদ্যোগ নিচ্ছে? খোঁজার চেষ্টা করবে কোন এলাকায় বিপদের মাত্রা কতটুকু? সম্ভবত না।
এ পর্যন্ত আলোচনা যা এগুলো তাতে করে নারীর আচরনের একটা প্যাটার্ন কি দাড় করানো যায়? আমরা কি ভাবতে পারি, সমাজ সংসার-পরিবারে নারী এবং পুরুষের ভুমিকা স্থির নির্দির্ষ্ট? এই ভুমিকার বাইরে আমরা অন্য কিছু কল্পনাও করতে পারি না??
কিছুক্ষনের জন্য আমরা কল্পনার জগতে ফিরে যাই—কিছু দৃশ্যকল্পের কথা আমরা অনুমান করতে থাকি। আমাদের মেয়েটার কথায় আমরা আবার ফিরে যাই, চারদিকে ভয়াবহ যুদ্ধের পরিস্থিতি, মেয়েটা স্বামীকে নিয়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। আল্লাহ আমাকে মাফ করুক, আমরা ধরে নেই—কোন একটা ঘটনার আকস্মিকতায় তার স্বামীটা মারা গেল, চারপাশে মৃত্যু আর বিপদের অকুলপাথারে মেয়েটা এখন কি করবে? বিপদকে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা সে কি করতে পারবে? এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে পারবে? অসহায় নাজুক এই মেয়েটা কি দিশাহারা অবস্থায় নাস্তানাবুদ হয়ে দুনিয়া থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে?
আসলে এরকম কিছু হয় না, আমরা নিশ্চিত, দৈব দুর্বিপাকে মারা না গেলে-আমাদের আলোচ্য মেয়েটিও বেঁচে থাকবে, তার সন্তান কে নিয়ে। খুবই সম্ভব তার চারপাশে তার স্বামীর নিরাপত্তার বলয়টা না থাকলেও মেয়েটা টিকে থাকবে তার শিশু সন্তান কে রক্ষা করে। এমনকি একটু এগিয়ে এমনটাও ভবিষ্যতবানী করে ফেলা যায়, এই শিশুটিও একসময় বড় হবে, যথাযথ যত্ন এবং শিক্ষা পেয়ে।
এটা এভাবে বলেই দেয়া যায়, কারন আমাদের চারপাশে এই সব সাহসী মায়েদের শত সহস্র উদাহরন আছে।মাথার উপর ছাতা হয়ে থাকা স্বামী মারা গেলেও মেয়েরা মোটেও ভেসে যান না, তারা সারভাইব করতে পারেন। প্রয়োজন পরিস্থিতির দাবী মেটাতে, এমনকি রাতারাতি মেয়েরা পারেন- তাদের আচার আচরন, ব্যক্তিত্বকে আমুল বদলে দিতে। নিজ সন্তান এবং পরিবারকে রক্ষার জন্য সে এমন এমন সব ভুমিকা নেয়, তার নিজের কাছেও তা অবিশ্বাস্য ঠেকে, হয়ে উঠে কল্পনার অতীত। নিজকে অতিমানবিক মনে হতে থাকে।
এমন কি অনেকাংশে এই মেয়েটা তার সন্তান আর পরিবারের হাল ধরেন—তার মৃত স্বামীর চেয়েও ভাল ভাবে, আরও পরিপক্কতা আর বিচক্ষনতা দিয়ে। সংসার চালানোর সাথে সাথে-- পারিবারিক ব্যাবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সম্পত্তির দেখভাল, মামলা মোকদ্দমা কোন দিকটা না তাকে সামলাতে হয়? এমন উদাহরন আমাদের চারপাশে অজস্র আছে যখন মৃত স্বামীর ব্যবসার হাল ধরে সেই ব্যবসাকে সফল ভাবে আরও উন্নত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বামীর হৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে তা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এই শক্তি এই সাহস এই ধৈর্য্য মেয়েরা কোথা থেকে আমদানি করে? অলৌকিক ধরনের এই সব সাফল্য গাথা কি ভাবে লিখা হয়? মেয়েদের এই লড়াই করার শৌর্য্য বীর্য্যের কাহিনী আপনার আমার খুব কি অচেনা? রুপকথার কাহিনী মনে হয়??
মোটেও তা নয়।
যেমন সোনিয়া গান্ধী
সোনিয়া গান্ধী যখন গৃহবধু ছিলেন—কতখানি যোগ্যতার সাথে তিনি তার কুক, গাড়ীর ড্রাইভার আর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের পরিচালনা করতেন? তাদের নির্দেশনা দিতেন? অন্ততঃ আমরা কখনো সোনিয়ার এমন অবিশ্বাস্য অভুতপুর্ব কোন বহুল আলোচিত গুনের রেফারেন্স পাই নাই। আমরা নিশ্চয় ভাবব না, তামিল আত্মঘাতি স্কোয়াডের হিটলিস্টে শুধু রাজীবের নামই ছিল, সোনিয়ার নাম ছিল না!! অথচ সে সব বাঁধা সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে- আজ সাফল্যের বিচারে সোনিয়া কি রাজীবকেও ছাড়িয়ে যান নাই? এত দীর্ঘ সময় ধরে দল এবং সরকার চালনায় এতটা সাফল্য কি রাজীব গান্ধী পেয়েছিলেন?
এবং খালেদা জিয়া
আমাদের বিএনপির বন্ধুরা যাকে দেশনেত্রী বলে সম্বোধন করেন-সেই বেগম খালেদা জিয়ার কথাই ধরি!!! তার শিক্ষাগত যোগ্যতার যে বিবরন পাওয়া যায় তা যেমন আমাদের মুগ্ধ করে না, তেমনি এই প্রশ্ন তোলাই যায়, জিয়ার জীবদ্দশায় বেগম জিয়া টেলিফোনে পারিবারিক কর্মচারীদের বাইরে কাউকে কখনও কোন নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা? জিয়া বেচে থাকলে আজ যিনি ঘর সংসার আর নাতি নাত্নীর বাইরে অন্য কিছু চিনতেন না—তিনি সফল ভাবে এরশাদ বিরোধী গনআন্দোলন চালনা সহ দুই টার্মে দেশের সরকারকে নেতৃত্ব দিলেন!!! জিয়াও তো এত মুরোদ দেখাতে পারেন নি!! এমন কি পারেন নি নিজকে বাঁচিয়ে রাখতে।
ফলে মেয়েরা চাইলে অনেক কিছুই পারে, মাথার ওপর থেকে ছাতা সরে গেলেও, তারা অন্যের মাথার ছাতা হয়ে উঠতে পারে।
প্রশ্ন হলো বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত মেয়েরা তাদের এত এত শক্তি কোথায় লুকিয়ে রাখে? কোথায় খরচ করে??
আপনারা কেউ জানেন??
প্রথম অংশের জন্য Click This Link
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৮
জাতেমাতাল বলেছেন: শূন্য ভাই, অবশ্যই মেয়েরা শেষ পর্যন্ত মানুষ। কিন্ত আমাদের এই ভীষন রকম পুরুষশাসিত জগতে, ছেলে আর মেয়েদের লড়াইটা কি একই মাত্রার?
এ সমাজে পিছিয়ে পড়া মেয়েরা সম অবস্থানে থাকা একটা পুরুষের তুলনায় একসাথে দুইটা লড়াই লড়ে—পুরুষ আধিপত্যের মাঝে নিজের জায়গা আদায় করে নিতে, আর তার পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে রেহাই পেতে।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩২
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: শূন্য আরণ্যক বলেছেন: নারী = মানুষ
এটুকুই যথেষ্ঠ .. তাদের আরো বেশী কৃতিত্ব দেয়ার তেমন কোন কারন নেই
সে যদি সারভাইভ করে তাহলে একজন মানুষ সারভাইভ করেছে বলতে সমস্যা কি ?
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫০
জাতেমাতাল বলেছেন: সে তো বুঝলাম, কিন্ত আপ্নের মন্তব্য কি?
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৯
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: খালেদা আফারে টাইনা আইনা তো দিলেন বারোটা বাজায়া
এইসব কীটতন্গ যত পারা যায় এভয়েড করা ভাল
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০৮
জাতেমাতাল বলেছেন: নাথিং পারসোনাল, ভাই সাব। এখানে ব্যক্তিগত ভাবে নেওয়ার কিছু নাই।
খালেদা আফারে আনছি প্রাসঙ্গিক কারনেই...
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৬
অরণ্যদেব বলেছেন: নারীরে এমুন একটা সাইজ আর রসায়ন দিয়া পুরুষ কাগুরা বানাইসে যে তারে "মানুষ" বানাইতে গেলে খামোখা কসরৎ করনলাগে। এই কসরতের জায়গাডাই আমগো সংস্কৃতি।
নেট বিলা, পরে কমুনে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:১৩
জাতেমাতাল বলেছেন: নেট ভাল হইলে বাকি আলাপ করার খায়েশ থাকল...
তবে আপনার মন্তব্যটা আগ্রহ জাগাচ্ছে, আশা করি আরও আলাপ হবে।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৫৯
মনজুরুল হক বলেছেন:
পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি-উপজাতির নারীরা ভীষণভাবে অত্যাচারিত, কিন্তু এদের সবার অত্যাচারকে ম্লান করে দেয় বাঙালি পুরুষের পৌরুষিক অত্যাচার আর বাঙালির কিম্ভূতকিমাকার জগাখিঁচুড়ি ধর্মীয় অনাচার! নারী তাই এখানে দুইটা লড়াই না, তিনটা লড়াই লড়ে।
পাহাড়ি নারীরা লড়ে চারটি লড়াই।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬
জাতেমাতাল বলেছেন: ...পাহাড়ি নারীরা লড়ে চারটি লড়াই।
চমৎকার বলেছেন--আসলেই বিষয়টা এমনই...
আপনার মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি সহমত, মনজু ভাই।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:০০
মনজুরুল হক বলেছেন:
প্রথম পর্বটা পড়ে আসি...................
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭
জাতেমাতাল বলেছেন: এবং মন্তব্য চাই...
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:২৮
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: আপনি কিভাবে দেখছেন বিষয়টা জানি না, তবে অনেকদিন আগে এক ব্লগে করা আলোচনাগুলো আবার করি:
আপনি বলে আসছেন: এখনকার সমাজে নারীরা পিছিয়ে আছে। ধরে নিচ্ছি সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই বলেছেন।
এখন শহরাঞ্চলের কথা চিন্তা করে দেখলে সেই দিন কিন্তু এখন আর নেই। প্রতিটা মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে, পাবলিক পরীক্ষায় রীতিমত কমপিট করছে, আর ভালো ভার্সিটি/মেডিকেলে সেই মেয়েদের ভর্তির হার কিন্তু অনেক বেশি। আপনি জানেন কিনা জানি না, এখন দেশের সরকারী/বেসররকারী মেডিকেল কলেজে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশী। কাজেই সেই দিন আর নেই। আর মেয়ে বলেই কিন্তু কাউকে কোন অংশেই ছাড় দেয়া হবে না, কারণ দায়ীত্ব যেখানে জীবন বাচানোর, সেখানে মেধার গুরুত্বই পাবে অগ্রাধিকার।
গ্রামাঞ্চলে এখনো মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত... সেক্ষেত্রে শিক্ষার অভাবই মূল কারণ।
তবে শিক্ষা্ই সব নয়, অনেক শিক্ষিত মহিলার কথা শুনে আসবেন নারী অধিকার আদায়ের সেমিনারে গলাবাজি করে এসে বাসায় গৃহপরিচারিকার ওপর নির্যাতন চালায়।
এই কেইসে একমাত্র সমাধান দৃষ্টিভন্গির উন্নয়ন।
আর নারী পুরুষ উভয়েরই একে ওপরের পরিপূরক, নারী যেমন থাকতে পারেনা পুরুষ ছাড়া, সেইরকম পুরুষও নারীর অস্তিত্ব কামনা করে। কাজেই এক্ষেত্রে কিছু বাই-ডিফল্ট কারণে (বা প্রকৃতির সিস্টেমের জন্যও বলতে পারেন) নারী পুরুষে কিছু পার্থক্য থাকবেই।
নারী পুরুষ সম্পর্কটা কিন্তু সৃষ্টির শুরু থেকেই অনেক সুন্দর, কিছু নরাধম পুরুষ/নারীর কারণে বারবার এইখানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, এদের জন্য সামগ্রিকভাবে পুরো পুরুষ/নারী সমাজকে পয়েন্ট করা যায় কিনা সেইটা নিয়েও আমার প্রশ্ন আছে।
ভালো থাইকেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩
জাতেমাতাল বলেছেন: সামনের দিনে হয়ত দেশে নারী শিক্ষার আরও প্রসার ঘটবে, এমনকি মেয়েরা লেখাপড়ায় ছেলেদের টপকেও যেতে পারে, কিন্ত সমাজ সংসারে মেয়েদের আধিপত্য বাড়বে কি? কোন পরিবারের আশ্রয় নির্ভরতার জায়গা হিসাবে মেয়েটার আবির্ভাব ঘটবে কি?
এছাড়া যতজন ফ্রেশ মেয়ে গ্রাজুয়েট প্রতিবছর শিক্ষায়তন থেকে বের হচ্ছে, তার কতজন তাদের সেই শিক্ষা সেফ গৃহস্থালীর কাজে ব্যায় করছে সে হিসাবটাও আমাদের রাখা উচিত!!! ফলে মেয়েদের লেখাপড়া দিয়ে কি মাপতে চান আপনি?
আমার বক্তব্য খুব সাদা মাটা। মেয়েদের সাফল্যের অনেক ঘটনা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে, কিন্ত স্বামীর বর্তমানে মেয়েরা সে সব কৃতিত্ব কেন দেখাতে পারে না? কেন তারা তাদের পুরুষদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না? রাজীব গান্ধীর জীবদ্দশায় সোনিয়া পারেন নাই, আমাদের বেগম জিয়া পারেন নাই প্রেসিডেন্ট জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায়।
অথচ মেয়েরা চাইলে কতকিছু যে করতে পারে, তা তো শত সহস্রবার প্রমানিত।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৩০
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: আজাইরা: টাইটেলে প্রসন্গ বানানটা ঠিক কইরা নেন
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৪
জাতেমাতাল বলেছেন: থ্যাংকস, ঠিক করে নিয়েছি...।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৩৭
পি মুন্সী বলেছেন: বানান সমস্যা প্রকট। অগ্রহণযোগ্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
জাতেমাতাল বলেছেন: হুম, বেশ কিছু বানান, প্রকট সমস্যা তৈরী করেছে, তবে বাকী সব লিখা পড়ে একটা মন্তব্য করলে, সেটা বেশী গ্রহনযোগ্য হইত। ভাল থাকবেন।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫৯
অলস ছেলে বলেছেন: " কারন আমাদের চারপাশে এই সব সাহসী মায়েদের শত সহস্র উদাহরন আছে। "
সত্য কথা, এবং সেই সাহসী মায়েরা কোন থিউরীর ধার ধারে না।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২০
জাতেমাতাল বলেছেন: এটা একটা ভীষন ঝকঝকে আর স্মার্ট কমেন্ট হয়েছে, অলস ছেলে। আমি ঠিক এটাই বোঝাতে চেয়েছি। লেখার মুল সুরটা আপনি যথাযথ ধরতে পেরেছেন...
থিওরি নিয়ে আমিও আসলে বেশী মাথা ঘামাতে চাই না। আমাদের নিজদের পর্যবেক্ষন, অভিজ্ঞতা আর চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনার উদাহরন আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করবে আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে বের করতে।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯
শুধুমন্তব্য বলেছেন: প্রকৃতিগত ভাবে মেয়েরা অন্যের উপর ডিপেন্ড করতে ভালবাসে। তবে প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা নারীর বেশী। একটা জিনিস খেয়াল করলে ই বুঝতে পারবেন দরিদ্র ফ্যামিলিতে ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান বেশী। এটা জাস্ট আমার অবসারভেশন। এবং বড় ধরনের ন্যাচারাল ডিজাস্টারের পরে ঐ এলাকাতে নারী শিশু জন্মের হার বাড়ে। ( রেফারেন্স নেট এ খুজে নিন অনেক দিন আগে কারো কাছে শুনা)।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৯
জাতেমাতাল বলেছেন: তবে প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা নারীর বেশী। আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত। এবং আমার প্রশ্নটাও ঠিক এইখানে...
নারীর চাইলে কি কি করতে পারে তা কিন্ত আমাদের চারপাশে বহুবার প্রমাণিত, এটা আর নারীর করে দেখানোর প্রয়োজন নাই। বিপুল তাদের ক্ষমতা।
এত কিছুর পরেও মেয়েরা তাদের স্বামীদের অনুগামী হয় কেন?
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২৯
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
ভালো লাগল।
আমাদের উপলব্দির জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কোন বোধই তুচ্ছ না। আমরা যে নিয়মের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হই না কেন... তা সামাজিকভাবে নায্যতার দাবি রাখে। এটা বলতে হয় যে, সবকিছু শেষ পয্যন্ত সফল পরিসমাপ্তি লাভ করে না। এখানে আমাদের প্রচেষ্টাই আসল, এটাই নায্যতার ভিত্তিকে টিকিয়ে রাখে। নারী কিংবা পুরুষ মুখ্য নয়। কি আকারে চাচ্ছি, কেন চাচ্ছি তা-ই আসল। আমাদের চাওয়াগুলো মানসিক শক্তিমত্তাকেই জাহির করে।
প্রতিকুল অবস্থা বিবেচনায় নারীর মানসিক শক্তিমত্তাকে অধিক ফলদায়ক মনে হয়। যেমন- অলস ছেলে বলেছেন, সেই সাহসী মায়েরা কোন থিউরীর ধার ধারে না।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৩৭
জাতেমাতাল বলেছেন: প্রতিকুল অবস্থা বিবেচনায় নারীর মানসিক শক্তিমত্তাকে অধিক ফলদায়ক মনে হয়। যেমন- অলস ছেলে বলেছেন, সেই সাহসী মায়েরা কোন থিউরীর ধার ধারে না।
ঠিক আছে অলস ছেলের মন্তব্যটাও ভাল লেগেছে, আমি একমত, কিন্ত আমার মুল প্রশ্ন-কেন শুধুমাত্র প্রতিকুল অবস্থায় নারীর মানসিক শক্তিমত্তাকে অধিক ফলদায়ক হয়ে ওঠে??
নারীর ক্ষমতা আছে এবং এ ক্ষমতা প্রমানিতও। একই সাথে নারীকে কেউ কিন্ত বেধেও রাখে নাই, তবে সাধারন পরিস্থিতিতে কেন নারীর মানসিক শক্তিমত্তা ফলদায়ক হয়ে ওঠে না??
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৩৮
তনুজা বলেছেন:
"ওস্তাদের নিদানঃ একাদশীতে বার্তাকু ভক্ষন যায়েজ নয় "
পাঠক আপনার মতোই সহজে মুখ খোলে না । টপিক সেনসিটিভ!
তারপরও কমেন্ট .....বলার জন্য যে ভাল লাগছে
পাঠক থাকতে চাই সিরিজটায় , মাঝে মাঝে একটু জানান দিয়েন
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
জাতেমাতাল বলেছেন: ভাল বলেছেন তনুজা, সেনসিটিভ টপিকই বটে...
কিন্ত সিরিজে থাকতে গেলে প্রশ্ন গুলোর জবাব তো খুঁজতেই হবে। আমিতো বলেই নিয়েছি প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি নিজেও জানি না। আসেন, সবাই মিলেই উত্তর গুলো বের করি।
শুধুমাত্র প্রতিকুল পরিবেশেই নারীর ক্ষমতা, শক্তিমত্তা অধিক ফলদায়ক হয়ে ওঠে কেন??
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৫০
কৌশিক বলেছেন: ব্যাপক ব্যাপক..পাঠে তৃপ্ত হইলাম
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯
জাতেমাতাল বলেছেন: তৃপ্তি দিতে পাড়িয়া বাধিত হইলাম...
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪
রিফাত হাসান বলেছেন: আপাতত কপি পেস্ট ফ্রম কৌশিক। ব্যাপক ব্যাপক..পাঠে তৃপ্ত হইলাম। এই মন্তব্যটা দেখি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রথম আমার একটি পোষ্টে তরিকুল হুদা এরকম চোরামিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। তারপর থেকেও আমিও সুযোগ পেলেই... কৌশিক আমারে সাহস দিল।
পরে আরো কথা বলা যাবে।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪
জাতেমাতাল বলেছেন: তৃপ্তি দিতে পাড়িয়া বাধিত হইলাম... কপি পেস্ট ফ্রম কৌশিক... ;
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৭
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমাদের সমাজে মেয়েদের যে অবস্থান এটা সামাজিক এটা আপনার লেখাতেও ফুটে উঠেছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ীর মেয়েটা যে বাড়ীর আর সকলের জন্য ছায়া হয় না তা তো নয়, সব কিছুই প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে হয়।
আমাদের সামাজিক নিয়মে যে মেয়েটা একটু ভীতু, তেলাপোকা দেখে এক লাফ দিল, একা কোথাও যেতে পারবে না সাফ জানিয়ে দিল তাকে ভাল মেয়ে, লক্ষী মেয়ে, মনে করা হয়। এর ব্যতিক্রম যে হবে তার উপাধী হবে নানা বাকা কথা। পাশে থাকা পুরুষটি সে ভাই হোক বা স্বামী নারীকে এমন লক্ষী রূপেই দেখতে চায়। আর মেয়েরাও ন্যাকা ন্যাকা ভাব করে তাদের পুরুষ সঙ্গিটির মনোযোগ এবং সুবিধাটুকু আদায় করে নেয়। ব্যাপার এটাই, এ জন্যই যখন পুরুষের ছায়টা থাকে না, তখন সে একাই বেশ সব সামলাতে পারে।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫০
জাতেমাতাল বলেছেন: ... ব্যাপার এটাই, এ জন্যই যখন পুরুষের ছায়টা থাকে না, তখন সে একাই বেশ সব সামলাতে পারে।...
ব্যাপার না হয় বোঝা গেল, কিন্ত ছায়া থাকা অবস্থায় এই শক্তি সে কোথায় লুকিয়ে রাখে? প্রশ্ন সেটাই...
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:০০
মনজুরুল হক বলেছেন:
কথা ছিল প্রথম পর্ব পড়ে আবার মন্তব্য করব।পড়ে যা বুঝলাম প্রথম দ্বিতীয় দুই পর্বেই মূখ্যত বলা হয়েছে নারী শোষণের কথা। নারীর অবমূল্যায়নের কথা। এখানে যে বিষয়টি প্রবলভাবে আসেনি সেটি হলো, আমাদের পুরুষশাসিতদের কোন সময়ের কি কি পন্থা আবিষ্কারের ফলে পুরুষ নারীকে করদরাজ্যের ভৃত্য বানাতে সক্ষম হলো? আশা করছি এর পরের পর্বে সেটির অভাব থাকবে না। সিরিজটি অনুসরণ করব নিশ্চই।
এবার আমার কথাঃ
আমরা "পরিবার ব্যক্তিগত মালিকানা এবং রাষ্ট্রের উৎপত্তি" তে দেখি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী পুরুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর তা করছে শোসনের মাধ্যমে নয়, সাম্যবাদী ভাবধারায়। তার পর সিস্টেম উল্টে হওয়ার কথা ছিল পুরুষ যখন কৌশলে নারীর কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তখন সে আরো একটি সিস্টেমও আবিষ্কার করেছে! নারীকে শোষণমূলক নিয়ন্ত্রণ। সেই আদিম নিয়ন্ত্রে ছিল প্রধানত যৌন এর্ব সম্পদের বিচারে নিয়ন্ত্রণ বা শোষণ।
এর পর কালক্রমে সমাজে ধর্মের আবির্ভাব, একাধিক ধর্মের প্রতিযোগীতা ধর্মগুলোতে নারীকে নতুন করে পণ্য হিসেবে চিহ্ণিতকরণ, শারীরিক সক্ষমতা দিয়ে নারীকে পর্যদস্তু করা এসবই ক্রমে ক্রমে নারীকে নতুন নতুন শোষণের যাতাকলে পিষে মারে।
পুঁজিবাদী সমাজে এসে নারী হয়ে ওঠে বিপণনযোগ্য পণ্য। আগে সে ছিল বিনিময়যোগ্য পণ্য, এখন পুঁজির দাস হয়ে বিপণনযোগ্য পণ্য। বিপণণের জন্য পণ্রকে যেভাবে বাজারমুখি আর বাজারসাদৃশ্য করে নিতে হয়, নারীকেও তেমনি বাজারসাদৃশ্য এবং বিপনণের যোগ্য করে তোলা হলো। এবার নারী আর মানুষ রইল না। হয়ে উঠল সেলেবল কমোডিটিজ। পরিপূর্ণ আইটেম। আর আইটেম হওয়ায় মানুষ হিসেবে তার শেষ পরিচয়টুকুও উবে গেল। তবে যেহেতু তাকে ভোগবাদী পুরুষ সমাজের পণ্য করা হয়েছে, তাই তাকে ভোগের উপকরণ হিসেবে "নারী" ট্যাগিংয়ে রাখা হয়েছে।
যে অসহায় নারী একসময় পিতা-স্বামী-পুত্র-প্রপুত্র ইত্যাদিদের অধীনে বন্দিজীবন কাটাতে হয়েছে, সেই নারীকে স্বাধীনতার নামে আরো একবার বন্দি করে ফেলা হলো ভোগ্যপণ্য বা ভোগেচ্ছা মেটানোর উপকরণরূপে। সে কারণে পুরুষের সেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও নারী, আর অন্য সব পণ্যে তো আছেই।
আরো আধুনিক আরো অগ্রসর বাজারী গণতন্ত্রে নারীকে আরো একদফা অবমূল্যায়িত করা হলো। বলা হলো নারী স্বাধীনতা। এই গিমিকে নারী হয়ে উঠল তার নিজের স্বাধীনতার স্বশত্রু! স্বামীর সংসার থেকে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এসে নতিস্বীকার করল আধুনিক কসমোপলিটন সোসাইটির সো-কেস এর কাছে। একটা বিশেষ শ্রেণীর সাথে সখ্যতা করে তার নিজের সামগ্রীক শ্রেণীকে সে অবজ্ঞা করা শুরু করল। নিজেকে মুক্ত করে মানুষ বানানোর বদলে আবারো নারীই বানাল। কোন নারী? যে নারী নিজের বিদ্রোহকে নিজের উত্থানের সোপান ভেবে আর যারা পিছিয়ে পড়া তাদের একঘরে করে দিল। এই আল্ট্রা মডার্ণ নারীত্বকেই এবার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাল পুরুষের চরম প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণী। এদর আমরা চিনি ধর্মীয় মৌলবাদী হিসেবে। এখান থেকে তারা একটানে আবার নারীকে রেখে দিতে চাইল দাসযুগের কুলিঙ্গিতে। এখন চলছে এর পক্ষে-বিপক্ষের সংগ্রাম। চলবেই।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:০২
জাতেমাতাল বলেছেন: মনজু ভাই, নিচের দিকে পি মুন্সী সাহেবের একটা মন্তব্য আছে, পড়েছেন কি? আমি পড়লাম, ভালই ..., কিছু ভাবনার খোরাকও আছে।
আপনাকেও পড়ার অনুরোধ করছি...
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩১
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি আমার মন্তব্যে মনোযোগ দিতে পারেন নি। ডাক্তারি/ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে কোন মেয়ে স্রেফ ঘর গৃহস্থালীর কাজ করছে এমন উদ্ভট দৃশ্য আমি কোনদিন দেখিনি, শুনিও নি কারো কাছে। পড়াশোনায় যারা ভাল তারাও ভার্সিটির টিচার টিচার হয়ে যায়। এছাড়া আরো অসংখ্য অসংখ্য নারী প্রতিনিয়ত স্বামীর পাশাপাশি জব করে যাচ্ছে।
যেই মেয়েটার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, সেতো অবশ্যই চাকরীর বাজারে পিছিয়ে পরবে।
আর শুধু শিক্ষা না, কায়িক শ্রমদিয়েও শ্রমজীবি নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সংসারের জন্য ঘানি টেনে যাচ্ছে। এমনকি এও দেখা যায় কোন কোন কেসে নারীর উপার্জন দিয়ে নেশাগ্রস্ত স্বামী বসে বসে খাচ্ছে। সংসারে এক জন উপার্জনক্ষম হলে অন্যজনের ওপর চাপ অনেকটাই কমে যায়। যেমন গ্রুপ প্রাকটিকালের সময় একজন কাম করে বাকিরা তামাশা দেখে।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০০
জাতেমাতাল বলেছেন: আমি বলেছি --যতজন ফ্রেশ মেয়ে গ্রাজুয়েট প্রতিবছর শিক্ষায়তন থেকে বের হচ্ছে, তার কতজন তাদের সেই শিক্ষা স্রেফ গৃহস্থালীর কাজে ব্যায় করছে সে হিসাবটাও আমাদের রাখা উচিত!!!
আমি এক্ষেত্রে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের কথা এখানে তুলি নাই, সাধারন গ্রাজুয়েট দের কথা বলেছি।
আমার বক্তব্য খুব সাদা মাটা। মেয়েদের সাফল্যের অনেক ঘটনা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে, তবে সাধারন পরিস্থিতিতে কেন নারীর মানসিক শক্তিমত্তা ফলদায়ক হয়ে ওঠে না, কেন তারা তাদের পুরুষদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না? রাজীব গান্ধীর জীবদ্দশায় সোনিয়া পারেন নাই, আমাদের বেগম জিয়া পারেন নাই প্রেসিডেন্ট জিয়া জীবিত থাকা অবস্থায়।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৪৫
দেশী পোলা বলেছেন: লেখক বলেছেন:প্রশ্ন হলো বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত মেয়েরা তাদের এত এত শক্তি কোথায় লুকিয়ে রাখে? কোথায় খরচ করে??
তিন-চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে সেগুলোকে দেখাশোনা আর ঘর সামলানোতে শক্তি কম খরচ হয়? একটা পরিবারের উন্নতির জন্য মেয়েরা যে পরিমান বিনে পয়সায় কামলা খাটে, সেটা পুরুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১২
জাতেমাতাল বলেছেন: ভাই দেশী পোলা, সিঙ্গল মাদার হিসাবেও অনেক মাকে তিন-চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে সেগুলোকে দেখাশোনা আর ঘর সামলাইতে হয়।
২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:০১
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন: প্রতিকূল পরিবেশ বলতে জাস্ট আপনার সুত্র ধরে একজন সোনিয়া বা খালেদার তারা এখন যা, তা হয়ে উঠা বুঝিয়েছি।
নারীর ক্ষমতা আছে এবং এ ক্ষমতা প্রমানিতও। একই সাথে নারীকে কেউ কিন্ত বেধেও রাখে নাই, তবে সাধারন পরিস্থিতিতে কেন নারীর মানসিক শক্তিমত্তা ফলদায়ক হয়ে ওঠে না??
এই জিজ্ঞাসা আমারও।
তবে, সাথে সাথে আপনি যাকে সাধারন পরিস্থিতি বলছেন তা নিয়ে একজন নারীর ভাবনা শুধুই তৃতীয়বারে একজন পুরুষ বোতলের ছিপি খুলে দেবে না তার'চে ভিন্ন কিছু? অর্থ্যাৎ কথিত সাধারন পরিস্থিতি একজন নারীর কাছে কি আকারে হাজির হয়? এটার উত্তর কি?
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৮
জাতেমাতাল বলেছেন: কথিত সাধারন পরিস্থিতি যেমনই হোক, পুরুষ যদি ছাতা হয়ে তার মাথার উপর থাকে, তা থেকে নারী নিরাপত্তার এক নিশ্চিন্ত বোধ অনুভব করতে থাকে। সম্ভবত এটাই তাকে কোন সক্রিয় হয়ে উঠা থেকে বিরত রাখে।
একজন নারীর কাছে এই নিরাপত্তার এক নিশ্চিন্ত বোধ কোন ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমায় হাজির হয়েছে, তার মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর থাকতে পারে।
২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪০
দেশী পোলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই দেশী পোলা, সিঙ্গল মাদার হিসাবেও অনেক মাকে তিন-চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে সেগুলোকে দেখাশোনা আর ঘর সামলাইতে হয়।
আপনার কথা হল সব মহিলারা সিঙ্গেল মা'দের মত খাটা-খাটনি কেন করেনা? এটা উত্তর তো সোজা , মানুষের আলসেমী, ঠেকা না থাকলে খাটাখাটনি করার কি দরকার?
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭
জাতেমাতাল বলেছেন: তা হলে আমরা বলতে পারি, মেয়েদের উন্নতি তাদের নিজেদের হাতেই...
২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫৪
পি মুন্সী বলেছেন: নারী আমার কাছে গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ নয়; যদিও আপডেট থাকার চেষ্টা করি কোথায় কী হচ্ছে। পুরুষরা "নারী" যতটা না বুঝে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করে। বুঝাটাকে আবার চিন্তার মধ্যেই রেখে দেবার চেষ্টা করে চর্চা পর্যন্ত নেয় না। ওদিকে চর্চা ব্যাপারটা সাদা-কালো এমন সোজাসাপ্টা ব্যাপার না। চর্চা মানে গিভ এ্যান্ড টেকও নয়। পুরুষটা দিল আর নারী নিয়ে নিল - এমনতো নয়ই। চর্চা মানে একটা নতুন সম্পর্ক-রূপ নির্মাণ। নতুন সম্পর্ক-রূপ নির্মাণ আবার একটা আদর্শ পরিস্হিতিতে কতটা চর্চা করতে সক্ষম হবে তা নির্ভর করবে সমাজের বৈষয়িক প্রস্তুতি কোথায় বিরাজ করছে এর উপর।
মূল কথায়, নতুন সম্পর্ক-রূপ নির্মাণ একটা চর্চা করার বিষয়। বাস্তবে করে দেখানোর। আমি পুরুষ এটা কত ভাল বুঝি তা দেখানোর বিষয় নয়। আমি এভাবেই দেখি। ফলে আমি পুরুষ এটা কত ভাল বুঝি তা দেখানোর প্রতিযোগিতায় আমি নাম লিখাতে চাই না।
আপনার নারী বিষয়ক আলোচনায় আমার মন্তব্য না লেখার কারণ এখানেই।
পুরুষ হিসাবে নারী আপনার বিষয় হলো কেন - এই বিষ্ময়ের ঘোর আমার কাটে নাই। নারী সচেতনতাকে সামনে আনা (Gender Mainstreaming), যেটা এখন লেটেষ্ট চলতাছে, এর প্রভাব আপনার উপর অগোচরে পড়েছে হয়ত; কিন্তু আমি এর খাতক নই। এটা নারীকে কমোডিফাই বা পণ্য বানানোর কাজ করে মুক্তির পথ দেখে -এটাই এর তৎপরতা - এমন সমালোচনা আছে। ব্যক্তিমানুষ হিসাবে আমার সমস্যা, ক্রিটিক আরও গভীরে। Gender Mainstreaming নারীকে "নারী অধিকার" বলে নতুন করে সাজাতে চাচ্ছে। সাজাতে মানে কনষ্ট্রাকশনে কনষ্টিটিউট করতে চাচ্ছে। এতে নারী যদি অধিকারের দেয়াল তুলে নিজেকে আইনী, সামাজিকভাবে রক্ষার পথ বেছে নেয় তবে ওখানে নারীর সাথে নতুন কোন সামাজিক সম্পর্ক চর্চা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বা সম্পর্ক-রূপ দেবার সুযোগ কৈ? অধিকার মানেই যার যার অধিকারের ঘরে কুলুপ এটে বিচ্ছিন্ন নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা। এতে নিজেকে রক্ষা কতটুকু সাধিত হবে জানি না তবে নতুন কোন সম্পর্ক চর্চা দূরে থাক পুরানটাও থাকবে না এটা আগে থেকেই বুঝি। অধিকার-ভিত্তিক সমাজের এএক পুরানা ব্যারাম। ওখানে নারী পুরুষ সবাই পরস্পর নিজেকে পণ্য হিসাবে উপস্হাপন করে অর্থনৈতিক জীবনের একটা পদ্ধতি খাড়া করার চেষ্টা থাকে। কিন্তু সম্পর্ক? নারী পুরুষের নতুন কোন মানবিক সম্পর্ক চর্চা ওখানে অসম্ভব। এই বাস্তবতা সম্পর্কে খুবই সতর্ক ও সচেতন থাকলে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ভিতর দিয়ে কিছুটা হয়ত সম্ভব। আমি মনে করি অধিকার ও সম্পর্ক পরস্পর বিরোধী দুটো ধারণা। পরস্পর বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও এই ধারণা দুটো একসাথে ঘর করতে পারে একটা নিস্প্রাণ পণ্য-ভিত্তিক সমাজে, দরদামের সাথে।
যে কথা বলছিলাম নারী পুরুষের নতুন সম্পর্কের রূপ করে দেখানোর কথা; নারী পুরুষ উভয় পার্টনার, নতুন সম্পর্ক যার সাথে চর্চা করবে সে কী তৈরি? না কী এখন নারী অধিকারের দেয়াল তোলার যুগ চলছে? এই দেয়াল ফুটো করে নতুন বা পুরানো কোন সম্পর্ক-রূপ কী ফাংশনাল হতে পারে?
এই পরিস্হিতি পটভুমিতে "ছায়া থাকা অবস্থায় এই শক্তি সে কোথায় লুকিয়ে রাখে" অথবা "নারীর মানসিক শক্তিমত্তা কোথায় লুকিয়ে রাখে" - এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে। বাচ্চা কী ধরণের ব্যক্তিত্ত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে বড় মানুষ হবে তার একটা বড় ফ্যাক্টর হলো বাবা-মার বিশেষত বাবার কী ধরণের "শাসন" কনষ্ট্রাকশনের মধ্যে সে বড় হয়। নারীও যতই তার সুপ্ত শক্তি থাক সমাজে "শাসন" কনষ্ট্রাকশন তাকে যতটুকু তা এক্সপ্লোর করে দেখার সুযোগ দেয় ততটুকুই সে করে দেখায়। আপনার উদাহরণে দেখুন স্বামী গত হবার পরই আপনি তাদের শক্তি দেখতে পেয়েছেন। স্বামী জীবিত অবস্হায় হাতের কাছের ভাল উদাহরণ সম্ভবত শেখ হাসিনা। হাসিনা ক্রমশ রাজনৈতিক নেত্রী হয়ে উঠার শুরুর দিকে (আশির দশকের শেষ অংশে) নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানের চাকুরি থেকে অবসরজীবী ওয়াজেদ সাহেবের অস্হিরতা ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তিনি পত্রিকায় কলাম লিখতেন। যেন প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন তিনিও রাজনীতি কম বুঝেন না, ছাত্র অবস্হায় তিনি কত কী রাজনীতি করেছেন। অথচ ঘটনা হলো, তিনি রাজনীতি না বুঝলেও কী কিছু যায় আসে? তিনি তো স্ব পেশায় খ্যাতিমান ছিলেন। অনেক বিখ্যাত পুরুষ লোককে দেখা যায় খ্যাতির শিখরে উঠে সাক্ষাৎকারে বলছেন এর পিছনে তাঁর স্ত্রীর অবদানের কথা। কিন্তু খ্যাতিমান নারীকে আমরা এখনও বলতে শুনি নাই তাঁর খ্যাতির পিছনে তাঁর পুরুষের অবদানের কথা। হয় তাঁরা আগেই মৃত অথবা আসলেই ঈর্ষা ছাড়া কোন অবদান নাই। কথার যুক্তিতে পুরুষের পক্ষে বুঝা হয়ত সহজ যে তাঁর পার্টনার নারী খ্যাতিমান হতে পারে, তাঁর চেয়ে বেশি বেতন বা পেশায় বিখ্যাত হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে খোদ নিজের বেলায় হলে এটাকে কীভাবে নিবে সে জন্য এখন নিজেও তৈরি নয় বা সমাজের কনষ্ট্রাকশনও তৈরি নয়। আবার নারীও গঠনমূলক ও দায়িত্ত্বশীলভাবে পরিস্হিতি মোকাবিলা করেছে এমনটা নাও হতে পারে। এই অর্থে সেও তৈরি নয়, কারণ সমাজের কনষ্ট্রাকশনের মধ্যে সেও পড়ে।
আপনার আলোচনায় আমি জড়িয়ে গেছি বটে কিন্তু আমার কাছে উত্তর নাই কেন আমি জড়িয়েছি। ভালো থাকবেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৫
জাতেমাতাল বলেছেন: এতটা সময় নিয়ে এবং গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য লিখার জন্য প্রথমেই পি মুন্সীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার নারী বিষয়ক আলোচনায় মন্তব্য না লেখার কারণ প্রসঙ্গে জানাই-- আমি পুরুষ হিসাবে নারীর বিষয়টা কত ভাল বুঝি তা দেখানোর জন্য এই পোস্ট লিখি নাই।
আমি কোন তত্ত্বমুলক ধারনা প্রতিষ্ঠা করাটা আমার উদ্দেশ্যের মধ্যে রাখি নাই, নীতি তত্ত্ব নিয়ে কাজ করাটা আমার এরিয়া নয়। সাদা চোখে আমার কিছু পর্যবেক্ষন এখানে তুলে ধরতে চেয়েছি, মেয়েদের কর্ম তৎপরতার একটা ছাপ তুলে ধরতে চেয়েছি। এটা নিয়ে কেউ কোন তত্ত্ব দাঁড় করালেও করতে পারে।
সব মিলিয়ে আপনার মন্তব্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আমি আগ্রহ বোধ করেছি। বেশ কিছু প্রশ্ন নিয়ে আবার আপনার সাথে দেখা হবে। সে পর্যন্ত ভাল থাকেন।
২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৩৫
নাজিম উদদীন বলেছেন: নারী নিয়ে এখনও লেখালেখি হচ্ছে এর মানেই হল নারীরা সমাজে পশ্চাদপদ। সরকার কোটা দিয়ে নারীদের অবস্হার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, সেটা কতটুকু সফল সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
আমি মনে করি সত্যিকারের নারী পাওয়াটাই দুষ্কর, এমনকি শিক্ষিত নারীরাও জাস্ট পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে, সেটা আসতে পারে ক্ষমতার আকারে, ধর্মের আকারে।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩
জাতেমাতাল বলেছেন: ...আমি মনে করি সত্যিকারের নারী পাওয়াটাই দুষ্কর, এমনকি শিক্ষিত নারীরাও জাস্ট পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে...
নারীবাদীরাও তাই বলে বটে...
২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মেয়েদের সবই আছে । আছে সাহস, আছে উদ্যাম, সকল প্রকার কাজ করবার । কিন্তু আমারা বড় হই এমন একটা সমাজে যেখানে প্রথমেই ভাবা হয় কেন তার জন্ম হল।যদি সে টাকা পয়সাওয়া লোকের ঘরে জন্ম নেয় তবে সে বেশ আদরেই মানুষ হয়। বাবা মা তাকে তৈরি করেন বিয়ে দেবার জন্য। তাকে বলা হয় হাতের কাজ শেখ। যাতে বর বলে বাহ আমার বউ তো খুব গুনী। তাকে সব সময় সুন্দর থাকতে হবে। সে যেন পুতুলের মত থাকে।বআ যদি গায়ে হাত তোলে,তবে বলা হয় স্বামীতো একটু মারতেই পারে তার জন্য এত কথা কেন। তাকে শেখানই হয়—তুমি নিজে কিছু না, তুমি অন্যের উপর নির্ভরশীল।
পিছিয়ে পড়েছে নারী, কারন তুমি ‘মেয়ে’ এই মানসিকতায় মেয়েদের বড় করা হয়। আমি ইউনিভার্সিটি তে পড়ার সময় দেখেছি ৮০% মেয়েদের চিন্তা বিয়ে করে সংসার করার। এমন কি ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার যারা হচ্ছেন, তারাও। খুব কমই আছে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা। তারপর ও যারা চিন্তা করে তারা পারে না ওই একই কারনে। যে কারনে মেয়েরা ভাবে না তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, যাদের জান্তেই দেয়া হয় না সে মানুষ। আমাদের মেয়েরা যারা তারপরও টিকে থাকে, তা কিন্তু ওই প্রচন্ড যুদ্ধ করে। আমাদের মেয়েরা নয় বছর বয়সেই শেখে তাকে ওড়ণা পড়তে হবে,কারন থাক আর নাই থাক। তাকে শিখানোই হয় তুমি একটা কিম্ভূতকিমাকার প্রানী। তো এটা কারই বা দোষ? সমাজটাই তো এই।
অথচ এই মেয়েরাই ক্ষেতে কাজ করছে।এই মেয়েরাই রাস্তার মাটি কাটছে, এরাই নৌকা চালাচ্ছে উদ্দাম ঝড়ে। দরকার সমাজ বদলানো। মেয়েটার মানসিকতা যদি এমন করা হয়, তোমাকেই মানুষ হতে হবে তবে কাঙ্খিত ফল পাবেন।একজন মেয়ের বিয়ে হয় আমাদের দেশে ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তারপর এই মেয়েটা যখন স্বামী হারা হয় তখন সে কিন্তু তার সংসারের হাল ধরে । সকল প্রকার প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে সে তার সন্তানদের মানুষ করে।
আমাদের সমাজ মেয়েদের চলতে দেয় না। তাদের জানতে ও দেয় না তারা মানুষ । তারা জানে তারা কিছুই না।যে জানে না আমি কে- সে কিভাবে যুদ্ধ করবে? নিজেকে তৈরি করবে? আমাদের সমাজের সেটা শিক্ষিত হোক কি অশিক্ষিত, ৯৫% মানুষের এই ধারনা। আমরা বাইরে যাবার সময় কাপড় বদলাই কিন্তু শিক্ষিত হয়েও মানসিকতা বদলাই না।
একজন আমাকে বলল আমি আমার ওয়াইফ কে চাকরী করতে দেই নি ,--------------- সে না থাকলে তার বউ বাচ্চা দের কে খাওয়াবে? ------------------এটা একটা কথা হল।
এখন কথা হল আমার বউ ডাক্তার বলতে ভাল লাগে। তাকে চাকুরী করতে দেই না বলতে ভাল লাগে। তার মানে দেখুন সমাজে একটা মেয়ে কি করবে তার দায় তো বাড়ীর ওই পুরুষটার। তার চাকুরী পাবার যোগ্যতা এখানে বড় না বড় পুরুষটার সিদ্ধান্ত?
এর পর শুধু একটা কথাই বলি। আমরা মেয়েরা সব মেনে নেই। কিন্তু যারা শিখেছি আমি মানুষ তাদের যে যন্ত্রনা বুকের মাঝে গুমড়ে গুমড়ে ঘুরে বেড়ায় সেকি সুখি হয়, নাকি কাউকে সুখি করতে পারে। আমাদের সমাজকে বুঝতে হবে সুখি সমাজ গড়তে হলে সুখি পরিবার দরকার। আর সুখি পরিবার তখনই পাবে যখন পরিবারে স্বামী স্ত্রী একে অপর কে সম্মান করবে। তবেই আমার সন্তান শিখবে সম্মান করা। সমাজটা বদলে যাবে। থাকবে না নির্যাতন। তখন আমি ও হোটেল বুকিং দেব। মাননীয় লেখক বাচ্চা কোলে নিয়ে বোরখার মত একটা বস্তা গায়ে দিয়ে ডানে বামে না দেখে শুধু অনুগামী হব না। আমিও রাস্তা চিনবো। আমাকে কিছু করতে না হলে করব কেন? আর কিছু করতে গিয়ে যদি ধমক খাই তবে কেন করব?
এই দেশে রাজাকার একটা গালি, মেয়েমানুষ অ একটা গালি ,আর মেয়ে মানুষের বুদ্ধি এই গালিটা বেশ জনপ্রিয় । ধন্যবাদ।
২৫| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মাসুদ জাকারিয়া বলেছেন:
''প্রশ্ন হলো বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত মেয়েরা তাদের এত এত শক্তি কোথায় লুকিয়ে রাখে? কোথায় খরচ করে??''
সামছা আকিদা জাহান কি পি মুন্সী এর মন্তব্যটি পড়েছেন?
২৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩০
নাজনীন১ বলেছেন: যে মেয়েরা বাধ্য হয় না বা নিজেদেরও ইছে করে না কোন ভাল কাজে মেধা কাজে লাগাতে, দেখবেন তারা যদি হয় অশিক্ষিত, করবে শুধু এ-বাড়ি-ও বাড়ি ঝগড়া, পরচর্চা, শাশুড়ি হলে বৌকে জ্বালানো, ননদ হলে ভাবীকে জ্বালানো, বৌ হলে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির নামে বাপের বাড়িতে গিয়ে বদনাম করা (কিন্তু শ্বশুরবাড়ীতে মোটেও ট্যাক্টফুল না)-- পরবর্তী কাজগুলো শিক্ষিত মেয়েদের মধ্যেও আছে। তাই বলে তারা যে গৃহস্থালীর কোন কাজ করে না , তা না কিন্তু, জরুরী কাজের পাশাপাশি অজরুরী কাজ। এই সব কাজের জন্য মেধা-বুদ্ধির (কুটনা বুদ্ধি) শক্তি খুব প্রয়োজন।
যদি একটু সামর্থ্য থাকে তাহলে বিউটি-পার্লারগুলোতে, শপিংমলগুলোতে ঘুরাঘুরি, টিভি সিরিয়াল দেখা, বিভিন্ন নাটকের বেহুদা আলোচনা-পর্যালোচনা করা (যদিও এখান থেকে কোন সাহিত্য রচনা হয় না), কোন নায়িকা কিভাবে সাজলো, কোন শাড়ীটা পড়লো, নিজেও সে রকমভাবে সাজা, শাড়ী কিনে পরা, বিভিন্ন আইটেমের রান্না-বান্না করা (বাঙ্গালীর রসনা-বিলাস যাকে বলে) (দরকার ছাড়াও, এমনকি অনেক সময় পুষ্টিগুণও হিসাব করা হয় না) ---- এইসব কাজ করতেও তো মেধার ও শক্তির দরকার হয়।
যারা নিষ্ঠাবান গৃহিণী তাদের মেধা খরচ হয় স্বামীর ফরমায়েশ কত নিপুণভাবে খাটা যায়, কত নিপুণভাবে স্বামীর সেবা করা যায়, ছেলেমেয়েদের কিভাবে যত্ন-আত্তি করতে হয়, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পৌছে দিয়ে গেটের সামনে বসে গল্প করে.........আরো নানাবিধকাজে। যদিও এ বেলায় ভাল কিছু আউটপুটও আছে, তা না হলে আমরা অনেকেই সঠিকভাবে বড় হতে পারতাম না।
অতএব, মেয়েরা মেয়েদের মূল্যবান মেধা খরচ করার অনেক জায়গায়ই আছে। যখন বাধ্য হয় তখন অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে সঠিক কাজে খরচ করে। আবার অনেকে কাজে লাগাতে চাইলেও পরিবার বা সমাজ থেকে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। আর যারা শক্তি কাজে লাগাচ্ছেন, তাদের কথা তো আপনি বললেনই।
২৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: গোটা সমাজকে আলোচনায় না এনে শুধূ নারী নারী করাটা একপেশে।
২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
অগ্নির বলেছেন: আমার মনে হয় কি, তেমন প্রতিকূল অবস্থায় পড়লে নারী অথবা পুরুষ যে কোন মানুষেরই ভেতর থেকে তার সুপ্ত ক্ষমতাটা বের হয়ে আসে। মরিয়া হয়ে উঠলে মানুষ যে কোন কিছু করতে পারে। নারীর এই আচরণ শুধু এটাই প্রমাণ করে যে, শেষ পর্যন্ত সেও মানুষ, কোন অবমানব নয়।
কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এইযে পুরুষের ওপর নির্ভর করার প্রবণতা, অথবা পুরুষের নিজে থেকে দায়িত্ব নেয়ার প্রবণতা, এটাতো যুগযুগ ধরে চলে আসা সামাজিক নিয়মই আমাদের মাথায় গেঁথে দিয়েছে। নারীকে হতে হবে এমন,পুরুষকে তেমন। নইলে বড় লজ্জার বিষয়।
২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক আগাইছে, এখন যতটুকু পিছাই আছে সেইটা হইলো তারা নিজেদের কারনেই পিছাইয়া আছে। এখনও একখান মাইয়া ডিসিশন লইতে পারে না নিজে নিজে সে অখন কি করবো! আর এমুন একখান কাম কইরা বসে পরে নিজেই পস্তায় কেনো করলো সে!
হয়তো এই কারনেই আমরা সাধারন জন গন বাটে আছি। দুই মহিলা নিজেরা জানে না কি করবে আর যেই ডিসিশনটা তারা নিজে নিছে তখনই জন গন স হ সবাই পস্তাইছে!
এইখানে আবার সেইটা দেখি না। এইখানে মাইয়ারা সেম জিনিস করতাছে কিন্তু তাগো একটাই সুবিধা তাগো নিজের ডিসিশন নিজে নিবার পারে আর যেইটা নেয় সেইটা অনেক ভাবনা চিন্তা কইরা লয়, কোনো পিছুটানের কথা ভাবে না, ভাবলেও সেটা ভালোই মেইনটেইন করে পরে!
৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অগ্নির বলেছেন: কোন পুরুষ যদি নম্র স্বভাবের হয়, বা কোনো দায়িত্ব নিজে না নিয়ে কোন নারীকে দেয়, সবাই তাকে বিদ্রুপ করবে, মেয়েমানুষ বলে অপমান করবে। "মেয়েমানুষ" কথাটাই ভীষণ এক গালি, অপমানজনক কথা আমাদের দেশে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২১
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: নারী = মানুষ
এটুকুই যথেষ্ঠ .. তাদের আরো বেশী কৃতিত্ব দেয়ার তেমন কোন কারন নেই
সে যদি সারভাইভ করে তাহলে একজন মানুষ সারভাইভ করেছে বলতে সমস্যা কি ?