নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ রকমের হিসেবী কিন্তু কিপ্টা না, সময় বদলায়, মানুষ বদলায় কিন্তু আমি বদলাই না। প্রেম, পাপ, সফলতা ও মৃত্যু এবং অন্যের সংসার নিয়ে ক্যান জানি আমার ব্যাপক চিন্তা হয়।

জাতীয় কতৃপক্ষ

আমার দেখা নিষেধ, আমার কিছু করা নিষেধ, আমার কিছু বলাও নিষেধ! তবে আমি নাকি শুধু শুনতে পারবো! এটা কি শান্তি? নাকি শাস্তি?

জাতীয় কতৃপক্ষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশের আজকালকার ইমামরা অনেকটা নরম স্প্রিং এর মত!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

আমরা আজ প্রশ্ন তুলছি র‍্যাডিক্যালাইজেশনে ইমামরা কি ভূমিকা রেখেছেন বা রাখছেন। কিন্তু বিগত দিনে আমরা তাদের কাছ থেকে কতটুকু নেয়ার চেষ্টা করেছি আর কতটুকুই বা তাঁদেরকে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সে ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে চেয়েছি?

ঈমামদেরকে এলাকার সবাই সম্মানের চোখে দেখে, কিন্তু জীবনঘনিষ্ট কোন সমস্যায় মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেই ছুটে যান তাঁর ঐ সেক্যুলার বন্ধুটির কাছে, কিংবা ব্যারিস্টার অথবা আইনজীবীর কাছে। জীবনের কোন সমস্যা কিংবা অসুবিধার উত্তরণে আপনারা প্রশ্ন করেন না বলেই ইমামরাও সেই পরিমাণ যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে উঠেনি।

ঠেলার নাম বাবাজি, এখন যখন ধর্মিয় রেডিক্যালাইজেশনে আমরা বিহ্বল হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছি, নিজেদের ছোট ছোট কোমলমতি ভাই বোনদেরকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছি তখন আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করছি আমাদের সেই ইমামকে যার আলোচনা শুনতে কেবল জুম্মার দিনে মসজিদে গিয়ে মাথায় নিয়ে ঘুরেছি-আরে ধ্যুর উনি আর কি বুঝেন, দ্বীন দুনিয়ার কোন খবর রাখেন না, কেবল কিচ্ছা কাহিনী।

যোগ্যতা সম্পন্ন ঈমামদেরকে চ্যানেলে বা টকশো তে আনুন, তাদের নিয়ে কলাম করুন পত্রিকায়। তা তো করবেন না, যদি আবার ধর্মীয় মূল্যবোধ সমাজে যায়গা করে নেয়, যদি রেডিক্যেলাইজেশন মুছতে গিয়ে ইসলামাইজেশন হয়ে যায় তখন তো বিপদ।

সুদ ঘুস খাওয়া আর চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা দানবীর মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যানরা তাদের মসজিদগুলোতে সেইসব ইমাম রাখতে পছন্দ করেন যাদের মেরুদণ্ডে কোন হাড় নাই, সবটাই ইলাস্টিক, যেমনি ইচ্ছা তেমনে বাঁকা হয়। সামনে পেছনে, ডাইনে বাঁয়ে, আলোয় অন্ধকারে, ন্যায় অন্যায়ে। অনেকটা খুব নরম স্প্রিং এর মত। নাড়া না দিলে সোজা থাকে ঠিকই, কিন্তু মাসলা ঘুরানোর প্রয়োজনে এদিক সেদিক করা যায় খুব সহজেই।

এইসব ধান্দাবাজ লোকেরা ইসলামের আসল নিয়ে, কিংবা সত্য সুন্দর ও মানবতা নিয়ে যাদুকরী কথা বলতে পারেন এমন ইমামদেরকে নিজদের স্বার্থেই মসজিদে রাখতে চান না। যদি কোনদিন ভর মজলিশে প্রচণ্ড সাহসে ইমাম অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে খুতবা দিয়ে কমিটির লোকদেরকে নাস্তানাবুদ করে দেয় সেই ভয়ে।

এইসব অমেরুদণ্ডী সরীসৃপ ইমামদের কাছে আপনি কতটুকু মজবুত বক্তব্য আশা করছেন? অথচ এই ঘোর দুর্দিনে ইমামরা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন।

সময় ফুরিয়ে যায়নি, সামনে আনুন সকলের কাছে সম্মানিত এবং চমৎকার ভাষায় মানুষকে কনভিন্স করতে পারে এমন সব আলেম, ইমাম ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে। তারা অন্তত এই অন্ধকারে কিছুটা আলোর দিশা জ্বালুক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: তাতেও লাভ হবে বলে মনে হয় না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

জাতীয় কতৃপক্ষ বলেছেন: হয়ত হবে না, বলার কাজ বলে যাচ্ছি আর কি :/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.