![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার দেখা নিষেধ, আমার কিছু করা নিষেধ, আমার কিছু বলাও নিষেধ! তবে আমি নাকি শুধু শুনতে পারবো! এটা কি শান্তি? নাকি শাস্তি?
ইসলামের যুদ্ধনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারা হচ্ছে "সরাসরি যুদ্ধরত অবস্থায়ও যদি কোন অমুসলিম যোদ্ধা আপনার নিকট আশ্রয় ও নিরাপত্তা চায়, তবে তাকে নিরাপত্তা দেয়া আপনার জন্য ফরজ।" ইসলাম নিয়ে যারা সামান্য পড়াশুনাও করেছেন, তারাই এসম্পর্কে অবগত থাকার কথা। যে কোনও হাদীস গ্রন্থের কিতাবুল মাগাযী (যুদ্ধ সংক্রান্ত অধ্যায়) খুলে দেখুন, অথবা খোলাফায়ে রাশেদার সময়ে সাহাবায়ে কিরামের যুদ্ধের ঘটনা পড়ুন, এমন বহু ঘটনা পাবেন।
.
উসামাহ ইবন যায়েদ রা. (যিনি রাসুল সা. এর পালকপুত্র যায়েদ ইবন হারিসা রা. এর পুত্র ছিলেন এবং তাকে রাসুল সা. স্বীয় নাতি হযরত হাসান ও হুসাইন রা. এর মতোই অত্যন্ত স্নেহ করতেন) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সা. আমাদেরকে এক জিহাদে পাঠালেন। আমরা প্রত্যুষে ‘জুহাইনার’ (একটি শাখা গোত্র) ‘আল-হুরাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। এ সময়ে আমি এক ব্যক্তির পশ্চাদ্ধাবন করে তাকে ধরে ফেলি। অবস্থা বেগতিক দেখে সে বললো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’; কিন্তু আমি তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ফেললাম। কালেমা পড়ার পর আমি তাকে হত্যা করেছি বিধায়, আমার মনে সংশয়ের উদ্রেক হল। তাই ঘটনাটি আমি নাবী (সাঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ ‘’তুমি তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পর হত্যা করেছো!!" আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে অস্ত্রের ভয়ে জান বাঁচানোর জন্যই এরুপ বলেছে।
হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা. এতোটাই রাগান্বিত হলেন, যে তার মুখমণ্ডল লালচে হয়ে গেলো। তিনি গর্জে উঠে বললেন, "তুমি কি তার অন্তর ফেড়ে দেখেছিলে সে আন্তরিক ছিলো কিনা??"
(সহীহ মুসলিম- ৯৬)
.
আমরা জানি রাসুলুল্লাহ সা. অত্যন্ত ডিসেন্ট ম্যান ছিলেন। তার সমগ্র জীবনী মিলিয়ে তিন কি চারটি ঘটনায় তাকে রাগান্বিত দেখা যাওয়ার কথা হাদীসে এসেছে, এটি তার মধ্যে একটি। গোটা পরিস্থিতিটা একবার ভাবুন, ব্যাটলগ্রাউন্ডে মুখোমুখি লড়াইয়ের মুহূর্তে শত্রু বেকায়দায় পড়ে আপনার কাছে নিরাপত্তা চাইছে, সেই সঙ্গীন পরিস্থিতিতেও তাকে নিরাপত্তা দেয়া মুজাহিদের কর্তব্য। তাহলে কোনও যুদ্ধ ছাড়া শান্ত পরিবেশে রেঁস্তোরায় আচমকা হামলা চালিয়ে নিরীহ কয়েকজন লোককে নৃশংসভাবে খুন করা জিহাদ কিভাবে হয়?? রাসুলুল্লাহ সা. এর সময়ে এরকম ঘটনা ঘটলে তিনি কতোটা রাগান্বিত হতেন??
.
আল-মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসুল রাসুল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! যদি আমি কোন কাফিরের মুকাবেলায় লড়তে গিয়ে তার তরবারির আঘাতে একটি হাত কেটে যায়। তারপর সে আমার পাল্টা আক্রমন থেকে আত্মরক্ষার জন্য কোন গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বলে, ‘আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম হয়েছি’- এ কথা বলার পর হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি তাকে হত্যা করবো? তিনি বললেনঃ না, তাকে হত্যা করো না। আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে তো আমার হাত কেটে ফেলেছে। রাসুল (সাঃ) বললেনঃ তাকে হত্যা করো না।কেননা তুমি তাকে হত্যা করলে এ হত্যার পূর্বে তুমি (ঈমান আনার কারনে) যে মর্যাদায় ছিলে, সে ঐ মর্যাদায় চলে যাবে। আর এ কালেমা পাঠ করার পূর্বে সে যে অবস্থায় ছিল (অর্থাৎ কাফির), তুমি তার অবস্থায় চলে যাবে।
(আবু দাউদঃ ২৬৪৪)
.
অর্থাৎ যুদ্ধে একজন আপনার হাত কেটে ফেলার পরেও সে আশ্রয় চাইলে তাকে নিরাপত্তা দিতে হবে। হত্যা করলে আপনি কাফির হয়ে যাবেন। তাহলে যারা যুদ্ধ ছাড়া একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা সহ বিশজনকে খুন করলো তারা কি মুসলিম থাকে?? নাকি কাফির হয়ে মৃত্যুবরণ করে??
.
ইসলামের নীতি হচ্ছে এমনকি ব্যাটলগ্রাউন্ডেও শত্রুর উদ্দেশ্যে গুলি ছোঁড়ার আগে তাকে দ্বীনের দাওয়াত কবুল করার তিনবার সুযোগ দিতে হবে। প্রাথমিক সময়ে ইসলামিক ওয়ারফেয়ারের লিজেন্ড হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রা., সা'দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস রা. বা হযরত আবু উবাইদা রা. এর নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথিবীজয়ী অভিযানগুলোর ইতিহাস পড়ে দেখুন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে তলোয়ার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো শত্রুকেও তারা তিনবার দ্বীন কবুলের দাওয়াত দিয়ে তারপর যুদ্ধে নেমেছেন। আর আইএস কি করছে?? খাবার রেষ্টুরেন্টে আচমকা হামলা করে নিরীহ কিছু ব্যবসায়ী আর ইঞ্জিনিয়ারকে খুন করেছে। তারা কোন যুদ্ধের সাথে জড়িত তো ছিলেনই না, বরং তাদের কোনও সুযোগও দেয়া হয় নি!! শুধুমাত্র ভিন্নধর্মাবলম্বী হওয়ার কারনে এইরকম নির্বিচারে হত্যা ইসলামের কোথায় আছে?? সব অমুসলিমকে যদি আপনি খুন করেই ফেলেন, তাহলে ইসলামের দাওয়াত দিবেন কাকে??
.
মনে রাখবেন, জান্নাত কোনও ফ্যান্টাসি কিংডম নয় যে টিকিট কাটার মতো করে মানুষ খুন করে ফেললেই জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে। ইসলামের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ। আর এই জঙ্গিবাদ ঠেকানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে জানা। আপনি ইসলাম সম্পর্কে যত জানবেন, আপনার বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তত কম।
ইসলামের যুদ্ধনীতি ও যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে জিহাদ
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিরাপদ রাখুন।
০৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
জাতীয় কতৃপক্ষ বলেছেন: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আসা প্রতিটা হাদিস কে অবশ্যই মানতে হবে যদি সেই হাদিস শরিফ সহিহ হয়ে থাকে। এইবার তা যে কিতাবেই অথবা বইয়ে থাকুক না ক্যান!
আর পৃথিবীতে যত গ্রন্থ আছে সে গুলির মাঝে পবিত্র কোরআন সর্ব শ্রেষ্ঠ তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
সুতারং যে হাদিস এক এক জায়গায় এক এক রকম সেটা জাল হাদিস। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বুঝার ভুল, সঠিক ব্যাখ্যা না পেলে "একই বই পড়ে কেউ গায় মানব প্রেমের গান, আবার কেউ মাইষেরে ঘেন্নায় কোপাবেই" স্বাভাবিক।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তাঁর এবং নবী রাসুলগন এর সঠিক মেসেজ বুঝার হক তৌফিক দান করুন।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩১
অগ্নিবেশ বলেছেন: ভাইরে, আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তাঁর এবং নবী রাসুলগন এর সঠিক মেসেজ বুঝার হক তৌফিক দান করলে কি আর এই কোপাকুপি শুরু হইত? তিনি কি এমনি এমনি তৌফিক দেবেন? তৌফিক পাইতে গেলে সবার প্রথমে সবাই মিল্লা বইটারে সংস্কার কইরা রুপক, হেঁয়ালি বাদ দিয়ে সিদা কথায় লিখতে হবে যাতে সবাই এক রে একই বোঝে। কিন্তু আপনি কিছু না কইরা তৌফিক পাওনের জন্য বসে আছেন। এইটা কি ঠিক? সর্বশ্রেষ্ঠ বৃক্ষ হৈতে গেলে সর্বশ্রেষ্ঠ ফল দেওয়া লাগে, ছায়া দেওয়া লাগে অনেক অনেক কিছু নিঃস্বার্থ ভাবে বিলানো লাগে।
ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ বাইনাইতে গেলে ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া লাগে, মার্কেটিং করা লাগে, নয়াদের এন্টারটেইনমেন্ট করা লাগে। যারা ছায়া তলে না আসতে চায়, তাদের আরও বেশী বেশী ভালোবাসা লাগে, অপেক্ষা করা লাগে। ইসলামের এই ভালোবাসা পাইয়া আপনার পুর্বপুরুষরা একদিন হিন্দু থেকে ইসলাম হইছে। সেই সব ইসলামে এখন কোথায়?
একটাই সমাধান আমি দেখি, ইসলাম ধর্ম সংস্করণ, কোরান হাদিস থেকে যুদ্ধ, রক্ত বাদ, শুধু আল্লাহ প্রেম থাকবে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৩
জাতীয় কতৃপক্ষ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের কোন বই অথবা কিতাব কে সংস্করণ, সংবর্ধন করা জায়েজ নাই, এটা কোন বাইবেল না আমার আপনার সুবিধামত লেইক্ষা রাইখা দিবেন
যা আছে তা বাদ দেয়ার কোন সিস্টেম নাই। কিন্তু আপনার সাথে একমত যে নতুনদের ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক বেশী ভালবাসতে হয়।
মূলত যারা আল্লাহ্র কোরআন ও নবী রাসুল এর হাদিস কে সঠিক ভাবে বুঝতে না পারে তারা পরিণামে জঙ্গী, উগ্রবাদী হয়ে উঠে।
আইএস ইসলাম এর শরিয়াহ কায়েম করতে যে পথ বেছে নিয়েছে সেটা সঠিক পথ না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: বইয়ের এক এক জায়গায়, এক এক রকম লেখা,
মাইনষে পড়ে, হে বোঝে এক, অন্যেরা বোঝে আরেক।
হেরা আবার এক এক জন, এক এক জনরে এক এক রকম বোঝায়।
হেঁয়ালিতে ভরা একটা বই, যে যেম্বায়ে পায় বোঝে বা বুঝায়।
একই বই পড়ে কেউ গায় মানব প্রেমের গান, আবার কেউ মাইষেরে ঘেন্নায় কোপায়।
সবে শুরু হইছে, দেহি কত দলে ভাগ হয়ে কোপাকুপি করে।
একটাই পথ এখনো আছে, সবাই মিল্লা বইটারে সংস্কার কইরা রুপক, হেঁয়ালি
বাদ দিয়ে সিদা কথায় লেখা যাতে সবাই এক রে একই বোঝে।
আর ১০ বছর পর পর একবার বইটার নতুন সংস্করণ করে।
ইহা ছাড়া আল্লাহও কাউরে রক্ষা করতে পারবে না, কারন
আল্লাহ তাদেরই সাহায্য করে যারা তাদের নিজেদের সাহায্য করে।