নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ রকমের হিসেবী কিন্তু কিপ্টা না, সময় বদলায়, মানুষ বদলায় কিন্তু আমি বদলাই না। প্রেম, পাপ, সফলতা ও মৃত্যু এবং অন্যের সংসার নিয়ে ক্যান জানি আমার ব্যাপক চিন্তা হয়।

জাতীয় কতৃপক্ষ

আমার দেখা নিষেধ, আমার কিছু করা নিষেধ, আমার কিছু বলাও নিষেধ! তবে আমি নাকি শুধু শুনতে পারবো! এটা কি শান্তি? নাকি শাস্তি?

জাতীয় কতৃপক্ষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কই রবিউল, তিন তারিখে এলাকায় ফেরার কথা ছেলেটার!

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১



ঠিক এই মুহুর্তে যখন আপনি ঈদের আনন্দ উদযাপন করছেন প্রিয়জনের সাথে, ঠিক সে মুহুর্তে ওসি সালাউদ্দিনের পরিবারে নেমেছে কবরের নিস্তব্ধতা। কথা দিয়েছিলেন তিনি, দেহে প্রান থাকতে তার এলাকার মানুষের কিছু হতে দেবেন না।

শেষ নিঃশ্বাস দিয়ে কথা রাখা মানুষটা স্ত্রীর শাড়ি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবেন এই সামান্য কথাটুকু রাখতে পারলেন না,বিশ্বাস হয় না হয়তো আপনজনগুলোর। আহারে শাড়ি, প্রিয়মানুষটার জন্য ঈদের উপহার! সালাউদ্দীন, আপনার না ফেরার কথা ছিল!

ডিবির এসি রবিউলের সাত বছরের বাচ্চাটা হয়তো এখনো বিশ্বাসই করতে পারেনি তার বাবা আর কখনো ফিরবে না। হয়তো অপেক্ষায় আছে চুপচাপ, বাবা ফিরে আসবে, মা আর তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করবে, দুষ্টুমি করবে ঠিক তার মত, মায়ের পেটে কান চেপে শুনতে চেস্টা করবে পেটের ভেতরের ছোট্ট বাবুটা কি বলছে... রবিউলের স্কুলের প্রতিবন্ধী বাচ্চাগুলো হয়তো এখনো আকুল আগ্রহে চেয়ে আছে পথের দিকে, স্যারকে আবার দেখতে পাবে তারা, স্যার তাদের জড়িয়ে ধরে আদর করবেন। এলাকার মানুষ অপেক্ষায় থাকেন হয়তো এখনো, তিন তারিখে এলাকায় ফেরার কথা ছেলেটার! কই রবিউল!

ফারাজ, অবিন্তা, তারিশা, ইশরাথ এবং আরো বিশটা মানুষ, যারা এক সপ্তাহ আগেও আমাদের মাঝেই ছিল কবরের গাঢ় আঁধার নেমে এসেছে আজ তাদের পরিবারগুলোতে। মানুষগুলোর এভাবে মরে যাবার কথা ছিল না। এক হাজার বার ভাবলেও হয়তো তারা কল্পনাতেও আনতে পারতো না এমন মৃতুর কথা!

এমন অসম্ভব প্রাণচঞ্চল সৃষ্টিশীল অসাধারন মানুষগুলোর আরো অনেকদিন বেঁচে থাকার কথা ছিল, দূর আকাশে নক্ষত্র হবার কথা ছিল না এতো দ্রুত! পরিবারের মানুষগুলো চিন্তায় লুপের মত ঘুরতে থাকে কথাগুলো... তাদের ভাবনা জুড়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তাদের সন্তানেরা, তারা হয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষগুলো...বাঁচতে চেয়েছিল ওরা, আজ আমাদের মাঝে ওদের বেঁচে থাকবার কথা ছিল..

হামলাকারী জঙ্গীদের মূল টার্গেট ছিল শোলাকিয়া ময়দানের তিন লাখ মানুষ। আর অতি অবশ্যই মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। গড়বড় করে ফেললো চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা। ঈদের দিনটাতেও কর্তব্যের টানে পরিবার ভুলে, নামাজ ফেলে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা নরপিশাচ আর মানুষের মাঝে। বুকটা পেতে প্রানটা দিয়ে অপির্ত দায়িত্বটুকু পালন করে গেছে তারা। জহুরুল হক। আনসারুল্লাহ। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরো ছয়জন পুলিশ। অথচ ওদের আজ প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে, স্নেহময়ী মা-বাবা, কলিজার টুকরা বাচ্চাটার সাথে ঈদের খুশিটা ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল... আহারে ঈদ, আহারে আনন্দ!

খুব সহজেই আমরা সব ভুল যেতে পারি, তাই না? আমাদের আনন্দময় এই ভুবন ছেড়ে হঠাৎ চলে যাওয়া মানুষগুলো কি অবলীলায় হারিয়ে যায়... আমাদের আনন্দটুকু কিনতে নিজের প্রাণটা বিলিয়ে মানুষটাকে কত সহজে মুছে ফেলি আমরা স্মৃতি থেকে... কত সহজে!ঠিক এই মুহুর্তে যখন আপনি ঈদের আনন্দ উদযাপন করছেন প্রিয়জনের সাথে, ঠিক সে মুহুর্তে ওসি সালাউদ্দিনের পরিবারে নেমেছে কবরের নিস্তব্ধতা। কথা দিয়েছিলেন তিনি, দেহে প্রান থাকতে তার এলাকার মানুষের কিছু হতে দেবেন না।

শেষ নিঃশ্বাস দিয়ে কথা রাখা মানুষটা স্ত্রীর শাড়ি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবেন এই সামান্য কথাটুকু রাখতে পারলেন না,বিশ্বাস হয় না হয়তো আপনজনগুলোর। আহারে শাড়ি, প্রিয়মানুষটার জন্য ঈদের উপহার! সালাউদ্দীন, আপনার না ফেরার কথা ছিল!

ডিবির এসি রবিউলের সাত বছরের বাচ্চাটা হয়তো এখনো বিশ্বাসই করতে পারেনি তার বাবা আর কখনো ফিরবে না। হয়তো অপেক্ষায় আছে চুপচাপ, বাবা ফিরে আসবে, মা আর তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করবে, দুষ্টুমি করবে ঠিক তার মত, মায়ের পেটে কান চেপে শুনতে চেস্টা করবে পেটের ভেতরের ছোট্ট বাবুটা কি বলছে... রবিউলের স্কুলের প্রতিবন্ধী বাচ্চাগুলো হয়তো এখনো আকুল আগ্রহে চেয়ে আছে পথের দিকে, স্যারকে আবার দেখতে পাবে তারা, স্যার তাদের জড়িয়ে ধরে আদর করবেন। এলাকার মানুষ অপেক্ষায় থাকেন হয়তো এখনো, তিন তারিখে এলাকায় ফেরার কথা ছেলেটার! কই রবিউল!

ফারাজ, অবিন্তা, তারিশা, ইশরাথ এবং আরো বিশটা মানুষ, যারা এক সপ্তাহ আগেও আমাদের মাঝেই ছিল কবরের গাঢ় আঁধার নেমে এসেছে আজ তাদের পরিবারগুলোতে। মানুষগুলোর এভাবে মরে যাবার কথা ছিল না। এক হাজার বার ভাবলেও হয়তো তারা কল্পনাতেও আনতে পারতো না এমন মৃতুর কথা!

এমন অসম্ভব প্রাণচঞ্চল সৃষ্টিশীল অসাধারন মানুষগুলোর আরো অনেকদিন বেঁচে থাকার কথা ছিল, দূর আকাশে নক্ষত্র হবার কথা ছিল না এতো দ্রুত! পরিবারের মানুষগুলো চিন্তায় লুপের মত ঘুরতে থাকে কথাগুলো... তাদের ভাবনা জুড়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তাদের সন্তানেরা, তারা হয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষগুলো...বাঁচতে চেয়েছিল ওরা, আজ আমাদের মাঝে ওদের বেঁচে থাকবার কথা ছিল..

হামলাকারী জঙ্গীদের মূল টার্গেট ছিল শোলাকিয়া ময়দানের তিন লাখ মানুষ। আর অতি অবশ্যই মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। গড়বড় করে ফেললো চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা। ঈদের দিনটাতেও কর্তব্যের টানে পরিবার ভুলে, নামাজ ফেলে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা নরপিশাচ আর মানুষের মাঝে। বুকটা পেতে প্রানটা দিয়ে অপির্ত দায়িত্বটুকু পালন করে গেছে তারা। জহুরুল হক। আনসারুল্লাহ। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরো ছয়জন পুলিশ। অথচ ওদের আজ প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে, স্নেহময়ী মা-বাবা, কলিজার টুকরা বাচ্চাটার সাথে ঈদের খুশিটা ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল... আহারে ঈদ, আহারে আনন্দ!

খুব সহজেই আমরা সব ভুল যেতে পারি, তাই না? আমাদের আনন্দময় এই ভুবন ছেড়ে হঠাৎ চলে যাওয়া মানুষগুলো কি অবলীলায় হারিয়ে যায়... আমাদের আনন্দটুকু কিনতে নিজের প্রাণটা বিলিয়ে মানুষটাকে কত সহজে মুছে ফেলি আমরা স্মৃতি থেকে... কত সহজে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: জীবন অনেক কঠিন!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

জাতীয় কতৃপক্ষ বলেছেন: অনন্তকাল শান্তিতে থাকার জন্য এই সাময়িক কষ্টের জীবন কিছুই না :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.