![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধিক শতধিক
জাহাঙ্গীর ফিরোজ
আলখে খুব ধীরে আস্তে আস্তে নিঃশব্দ পতন
অজান্তে অভ্যস্ত দর্পণে বদলে যায় কাল
চলন্ত ছাদের শীর্ষে চাঁদ উঁকি দেয়
কেশ বিন্যাশে অনভ্যস্ত তবুও কাকই হিপপকেটের শোভা
অচিরাৎ বিধ্বস্ত বিন্যাসে রুমাল কাকই টিসু...
কখন যে কৃষ্ণ কালো অরণ্যে একটা দুইটা শ্বেতাঙ্গ পশম ধীরে
কলনি স্থাপনে মশগুল...
ফ্যাকো শেষে লেন্সের কল্যাণে দেখা গেল
বাহুমূলে, বক্ষে ও নি¤œাঙ্গব্যাপিয়া
উপনিবেশের দুর্দান্ত প্রতাপ চালছে
এজিং নিবারক বিজ্ঞাপন, গ্রাফটিং করা মস্তকের শোভা
হোভিংয়ের মেয়েছেলে, পথপাশে বাকবাকুম ছবি
এসব দেখেনি যুবা সিঁড়ির স্বপনে বিভোর
চড়াই পথের শিরে চোখ ছিল। সূর্য নামে
জীবনের ঢালু পথে ক্ষয়। ডাইংয়ের অনুদান
ঢেকে রাখা ছাদ। তবুও যে ভেঙে পড়ে ধীরে ধীরে
সচল অর্থনীতি জীবনের। রাতের পূর্বাভাস বিকেলের রোদে
যৌবন শ্যামসম ছিল, রাধিকাও ছিল
গোপিনীরা আশে পাশে...
যে জন না বোঝে তর ধিকশত ধিক!
মন
জাহাঙ্গীর ফিরোজ
বলেছিলাম না সময় ভেঙে পড়বে
শূন্যের কোঁপা থেকে ফুল...
এক অজানা সত্যের সন্ধানে মন
যতদূর যেতে পারে
তারও ওপারের দৃশ্যাবলী
কী ভাবে ধারণ করে যন্ত্রসকল?
দেখা অদেখার পাশে যে গড়েছে পুল
সে ও আমাদের বোধগম্য বর্ননায়
বানিয়েছে বোধের অকূল
জেনেছি একক টানে ভরের অদূরে
ভরহীন শূন্যতা ছিঁড়ে
একদিন সময়ের ছিলা শব্দহীন
বিদীর্ণ টংকারে ছিন্ন হবে।
তখন তোমার খেয়াতরী
এখন তোমার দূর স্বপ্ন অভিলাষ
হে মানুষ, যে রচিবে
তাঁর প্রতি নতজানু হও এই বেলা।
সকল খেলার শেষে অশেষ মুখের দিন
সকল চাওয়ার শেষে অশেষ দুখের দিন
বিশ্বাসী মানুষের আশ্রয় আর টিকেথাক
তবু ঐশী বাণীতে অবজ্ঞা রেখে
অহেতুক দিকভ্রান্ত শূন্যচারিতা
মানুষকে যতদূর দিয়ে যেতে পারে?
তার চেয়ে আর দূর সত্যের কাছাকাছি
বিশ্বাসী মানুষের মন বলে দিতে পারে।
ব্রতী
জাহাঙ্গীর ফিরোজ
শতশতাব্দী বরফের নীচে ঢাকাছিল মেঘের ব্রতী
গ্লেসিয়ার গলে রুদ্ধপ্রাকার থেকে মুক্তি পেয়ে সতী
পাহড়ের ঢালে নেচে নেচে নূপুর খুলে সে
সমতলে এসে নদী।
মেঘ যায় উত্তরে
নদী নেমে আসে দক্ষিণে
লবনের ঘ্রাণে?
মেঘ জানে হিমবাহে জানে
নদী জানে পর্বত জানে
সাগরের মানে
সাগর তোমার চোখে
অশ্রুর একটি ফোঁটাতে
কত শতাব্দীর আনন্দ-বেদনায়
বন্দি হয়ে আছে?
হে নারী পয়োধি নালাম্বুরাশি নোনাজল
তুমি নদী ধুমযোনি নীলগিরি
অভ্র দিয়াড়ি ঝরনার জল
ঝোড়ো হাওয়া তরঙ্গ কল্লোল।
তুমি গিরিবালা বজ্র পানি গঙ্গা যমুনা
প্রখর দুপুরে বটছায়া
মাটির কলসে রাখা জল
তুমি নদী হয়ে মেঘ হয়ে
আলোর প্রপাত হয়ে
বায়ু হয়ে বর্ষা প্লাবন হয়ে
খরা হয়ে মায়া মরীচিকা হয়ে
অনন্ত প্রবাহে বয়ে চল।
তুমি ঘুম তুমি মৃত্যু তুমি জাগরণ
তুমি গতি তুমি সতী তুমি পূণ্যধাম
তুমি তাঁর ইচ্ছার ব্রতী,
তুমি বয়ে চলা নদী জল
প্রাণের মঙ্গল।
কুটুম পাখি
জাহাঙ্গীর ফিরোজ
বিকেল শেষে পাতার ফাকে একটি পাখি
ডাকছিল সে নয়ন জুড়ে কাজল আঁখি
সবুজ পাতা লুকিয়ে রাখে হলুদ দেহ
দেখতে পেল আর কি কেহ?
ওই পাখিটা ছড়ায় একা বিষাদ বাঁশি
বুকের মাঝে লুটিয়ে পড়ে কান্নারাশী।
কোন বিরহ বাঁধলো বাসা বক্ষেতে তার
কণ্ঠে কাল ঝুলছে একা একটি যে হার।
ঐ কুটুমের ডাক শুনেছে কিষান বধু
হাড়িতে চাল বাড়বাড়ন্ত মাঁচায় কদু
ঝিঙে ফুলের মাথায় বসে কোন্ ভোমরা
ঐ পাখিটার নাম কি জান আজ তোমরা?
পাখির ডাকে কুটুম আসে সাঁঝ বিকেলে
মোরগ ধরে রাধতে হবে এই ধারনা নয় সেকেলে।
বিকেল শেষে পাতার ফাঁকে একটি পাখি
কুটুম এলো কুটুম এলো যায় যে ড
©somewhere in net ltd.