নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন দিনের মিছিলে

হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।

ঝড়ো হাওয়া

একজন অতি ফাও প্রানী ! সাহিত্যহীন সুখি জীবন যাপন করছি !! শিখছি কি করতে হবে আর কি করতে হবে না !!!

ঝড়ো হাওয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনাজপুর ভ্রমন : কান্তজী মন্দরি, রাজ বাড়ি, রাম সাগর এবং ... (শেষ পর্ব)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১৯

কান্তনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে দিনাজপুর শহরে (মির্জাপুর) আসতে আধ ঘন্টার মত লাগলো। তারপর রিক্সা দিয়ে গেলাম রাজরাড়ি। ঘড়ির কাটায় বেলা ১১টা। রাজরাড়ির বিশাল প্রবেশ গেটের পাশে বড় সাইনবোর্ড লেখা ’জুতা আর লুঙ্গি পরে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ’। জুতা খুলে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলাম। মন্দিরের ভিতরের অংশ পরিষ্কার-পরিপাটি, খালি পায়ে হাটতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। পুরো মন্দিরটা ঘুরে দেখলাম, রঙিন আর কারুকাজ করা দেয়াল দেখে মন ভরে যায়। মন্দির কম্পাউন্ডে বেশ কয়েকটি পুরানো একতলা ভবন আছে। এগুলোর বেশিরভাগই নির্মাণ করেছিলেন মহারাজা প্রাণনাথ ও তার পোষ্যপুত্র রামনাথ অষ্টাদশ শতাব্দির দিকে। মন্দির ভালো অবস্খাতে থাকলেও মন্দিরের অপর পাশে রাজবাড়ি ধ্বংসাবশেষ অবস্থায় পরে আছে।



মন্দিরের পেছন দিকে এক বি-শা-ল দীঘি নাম ’সুখ সাগর’। সুখ সাগরের পাড়ে দাড়িয়ে বুক ভরা নিশ্বাস নিলাম। কিন্তু এতো রোদ! তাই বেশীন থাকতে পারলাম না, সেখানে আরো একটা বিশাল দীঘি আছে নাম ’মাতা সাগর’, সময়ের সল্পতার কারনে সেখানে যেতে পারলাম না।



এরপর আমরা রিক্সা দিয়ে গেলাম গোর-এ-শহীদ মাঠে। মেইন রাস্তার পাশে বিশাল এই মাঠের একপাশে ঢাকার শহীদ মিনারের আদনে নির্মিত একটি শহীদ মিনার। আর রাস্তার অপর পাশে সরকারী অফিস পাড়া। এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতি সৌধ।



রামসাগরে যাওয়ার জন্য আমরা এখান থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করলাম। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিনে আউলিয়াপুর ইউনিয়নে বিখ্যাত রামসাগর দীঘি অবস্থিত। রাজা রামনাথ এই দীঘি খনন করেন প্রজাদের সেচ সুবিধা ও পানির সমস্যা দূরীকরণের জন্য। আমরা গাড়ী নিয়ে মেইর গেট খেকে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। দীঘির সামনে এসে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। এতো বড় দীঘি ! দীঘির কিনার দিয়ে পাকা রাস্তা। এ রাস্তা ধরে পায়ে হেটে দীঘিটা চক্কর দিলে বিশ্রামসহ ২ ঘন্টা লাগবে। আমরা গাড়ী নিয়েই রওনা দিলাম, মাঝে মাঝে নেমে দীঘির সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।



দীঘির চারপাশে হাজার ধরনের গাছ। আর নাম না জানা পাখির কলোরব। দূর দুরান্ত থেকে কত মানুষ এসেছে রাম সাগরের সামনে দাঁড়িয়ে একটা সুন্দর সময় কাটানোর জন্য। দীঘিটা একটা চক্কর দিয়ে সোজা গেলাম মালদাহ পট্টি’র হোলেট ডায়মন্ডে। হোটেল থেকে ব্যাগ নিয়ে গেলাম কালিতলা বাস স্ট্যান্ডে। দুপুর সোয়া একটা। রাজশাহী যাওয়ার টিকেট কিনলাম, জনপ্রতি ভাড়া টাকা ২৫০/-, বাসের নাম ’এ্যামি’।



বাস ছাড়লো দুপুর ১:৩৫ মিনিটে। আমাদের নতুন গন্তব্য রাজশাহী।

বিদায় দিনাজপুর।





স্মৃতি: ১৪ নভেম্বর ২০০৮, শুক্রবার।



১ম পর্বের লিংক :

যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/নষড়ম/লযড়ৎড়যড়ধি/২৯০৪৮৩৯৭

২য় পর্বের লিংক :

যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/নষড়ম/লযড়ৎড়যড়ধি/২৯০৬০৫৪৫

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২৮

ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: ১ম পর্বের লিংক :
Click This Link

২য় পর্বের লিংক :
Click This Link

ছবি : ১,২,৩,৬ > দিনাজপুর রাজবাড়ি
ছবি : ৪ > মাতা সাগর
ছবি : ৫ > রাম সাগর

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভ্রমন বৃতান্ত ভাল লাগলো।

ছবি গুলো লেখার মাঝে দিলে আরও ভাল হতো।+

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৪

খালেদ সময় বলেছেন: গিয়েছিলাম রামসাগরের তীরে। কান্তজিও মন্দির, রাজবাটি মন্দির অসাধারন এক জায়গা।

আমি এবং আমার বন্ধুরা ৫জন মিলে কুমিল্লা থেকে গিয়েছিলাম। ৫দিনের ট্যুরটি অসাধারন উপভোগ করেছি। সব মিলে ছবি তুলেছি প্রায় ২৪শ'র মতো।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২০

আবু সালেহ বলেছেন:

ঝড়ো ভাই
গত বন্ধে কোথাও যান নাই!!!
এইটা হইবার পারে না..........

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

মানবী বলেছেন: ঝড়ো হাওয়া'র স্বাভাবিক স্টাইলের তুলনায় এই পোস্টের আয়তন প্রায় মহাকাব্যের কাছাকাছি :-*


"মন্দিরের পেছন দিকে এক বি-শা-ল দীঘি নাম ’সুখ সাগর’। সুখ সাগরের পাড়ে দাড়িয়ে বুক ভরা নিশ্বাস নিলাম। কিন্তু এতো রোদ! তাই বেশীন থাকতে পারলাম না..."

-সুখ সাগরের পাড়ে রোদের অত্যাচারে থাকা যাবেনা, তাহলে কিভাবে হবে। সুখ সাগরের পাড়ে থাকবে বটবৃক্ষের সুশীতন ছায়া, তাহলেও নামকরনের স্বার্থকতা পাবে :-)

ভালো লেগেছে বর্ণনা পড়ে, ধন্যবাদ ঝড়ো হাওয়া।।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:১৮

মুহিব বলেছেন: পড়তে কিঞ্চিত বিলম্ব হয়ে গেল।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৮

কাউসার রুশো বলেছেন: ভালা পাইলাম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.