![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রাজেশ বলছি।আমি থাকি চট্টগ্রাম কিন্তু আমার হোম টাউন কক্সবাজার। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে মাষ্টার্স শেষ করেছি চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে এবং পাশাপাশি একটি প্রাইভেট শিপিং কোম্পানিতে চাকুরী করি।১ ভাই এবং ১ বোন আমরা। আমার মা-বাবাই হচ্ছে আমার জীবনের চলার আদর্শ। আমি বেড়াতে এবং লিখতে খুব ভালবাসি । আমি আমার লেখার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। আমি চাই আমার লেখার মাধ্যমে একটা সফেদ সমাজ উপহার দিতে এবং তার জন্য আমি কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতেও ভয় করিনা। কারণ আমার লেখাটা পড়ে যদি সমাজের কোনো উপকার করতে পারি তবেই আমার লেখার সার্থকতা। তার জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
প্রতিদিনকার মত অফিস শেষ করে বাসার উদ্দেশ্য নিয়ে রওনা দিলাম।। রাত তখন ০৮.৩০ ঘটিকা।। অফিস থেকে বের হয়ে কিছুদুর হেঁটে পাবলিক বাসের জন্য রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছি।। প্রতিদিনকার এই বাসা থেকে অফিস এবং অফিস থেকে বাসায় আসার পাবলিক বাসের এই অসহ্য যাত্রা সত্যি আমাদের মত সাধারণ মানুষদের জন্য খুব বিরক্তিকর।। সারাদিনের অফিস শেষ করে ক্লান্তিময় শরীর নিয়ে একটু স্বস্তিকর পরিবেশে বাসায় ফিরব তার কোনও উপায় নেই আমাদের।। যাইহোক, বাসের জন্য দাড়িয়ে থাকার একটি মুহূর্তে হঠাৎ আমার চোখ পড়ল একটি দামি রেস্টুরেন্টের দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকা একটি অসহায় ভিখারিনী মা এবং তার কোলের নিষ্পাপ সন্তান এর দিকে।। কোলে থাকা সন্তানটির বয়স ৭/৮ মাসের বেশি হবে না।। চোখে জল চলে আসল যখন দেখলাম মা তার কোলের শিশুটি নিয়ে হোটেলের বাইরে বানানো রকমারি খাবার আর ভেতরের লোকদের প্রতি ক্ষুধার্ত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল।। আমার ঠিক ঐ মুহুর্তে একটি কথায় মনে পড়ছিল- আমরা ছোট বেলায় কোন ক্লাসে যেন পড়েছিলাম একটি উক্তি- ওগুলো কলা নয়, ওগুলো হল হলুদ রংয়ের স্বপ্ন।।।ঠিক ভিখারীনি মা আর তার কোলের সন্তানের কাছে হোটেল এর বাইরে থেকে ভিতরের রকমারি খাবারগুলো স্বপ্ন মনে হচ্ছিল তাদের কাছে।। আমার অবাক লাগে কত লোক খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে হাসিখুশি মুখে বের হয়ে যাচ্ছে আবার কত জন হোটেলে প্রবেশ করছে খাবার খেতে কিন্তু দুঃখিনী মা আর তার সন্তানের দিকে একটু সহানুভুতি দেখাবে এমন লোক সত্যিই খুবই অভাব।।। সহানুভুতি তো দুরের কথা তাদের দিকে তাকানোর সময়ও তো কারো নেই এই ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত মানুষগুলোর।। ঠিক ঐ মুহুর্তে আমার যদি সামর্থ্য থাকত তবে ভিখারীনি মায়ের ক্ষুধার জ্বালাটা সামান্যটুকু হলেও নিবারণের চেষ্টা করতাম কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত আমার মানিব্যাগে তেমন টাকা ছিল না তখন আর তাই অনেকটা ভারাক্রান্ত মনে তাদের কষ্টের কাছে মাথা নত করে আমাকে চলে আসতে হল।।। ছোটবেলায় আমার মা-বাবার মুখে শুনতাম- প্রত্যেক মানুষকে নাকি যার যার কর্মফল ভোগ করতে হয়।।। আমি জানিনা ঐ ভিখারিনী দুঃখিনী মায়ের কি এমন কর্ম ছিল যার জন্য এতটা অসহায়ত্ব তাকে ভোগ করতে হচ্ছে কিন্তু তার কোলে থাকা অবুঝ নিষ্পাপ শিশুটি কি এমন কর্ম করল যার জন্য তাকেও এতটা অসহায়ত্ব সহ্য করতে হচ্ছে তার মায়ের কোলে।।। যে এখনো পৃথিবীর আলো বাতাস বুঝে উঠতে পারে নাই তার কপালে কেন এমন নিষ্টুরতার পরিস্থিতি ঘটল।।। এটা তার কি কর্মের ফল ভোগ করছে জানিনা তবে এই প্রশ্নটা রইল মহান সৃষ্টিকর্তার কাছেই........সবাই অনেক ভালো থাকবেন
০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
রাজেশ চক্রবর্তী জিতু বলেছেন: আমি কি খারাপ কিছু লিখেছি বিজন ভাই? আপনার খারাপ লাগল কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: মানুষ তো সবসময় বিবেকহীন।
নাহলে পৃথিবীতে এত নিষ্ঠুরতা থাকত না।
আপনার পোস্ট পড়ে খারাপ লাগল।