নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাল কিছু করার মাধ্যমে আগে নিজেকে সংশোধন করতে চেষ্টা কর। বিনয়ের সহিত স্বাধীন মতামত প্রকাশ কর। বই পড়ে বই হয়ে যেও না। মনে রেখ, তোমার ভাল কাজের ফল একদিন তুমি পাবেই পাবে।

রাজেশ চক্রবর্তী জিতু

আমি রাজেশ বলছি।আমি থাকি চট্টগ্রাম কিন্তু আমার হোম টাউন কক্সবাজার। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে মাষ্টার্স শেষ করেছি চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে এবং পাশাপাশি একটি প্রাইভেট শিপিং কোম্পানিতে চাকুরী করি।১ ভাই এবং ১ বোন আমরা। আমার মা-বাবাই হচ্ছে আমার জীবনের চলার আদর্শ। আমি বেড়াতে এবং লিখতে খুব ভালবাসি । আমি আমার লেখার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। আমি চাই আমার লেখার মাধ্যমে একটা সফেদ সমাজ উপহার দিতে এবং তার জন্য আমি কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতেও ভয় করিনা। কারণ আমার লেখাটা পড়ে যদি সমাজের কোনো উপকার করতে পারি তবেই আমার লেখার সার্থকতা। তার জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

রাজেশ চক্রবর্তী জিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিধির বিধান

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

প্রতিদিনের মত অফিস থেকে বের হয়ে ক্লান্তিময় শরীরে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছি গাড়ির অপেক্ষায়। কিন্তু হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি এসে আমাকে পুরোটা ভিজিয়ে দিল যেহেতু আমার কাছে ছাতা ছিল না। ক্লান্তিময় শরীরে অনেকটা স্বস্তি অনুভব করছিলাম তখন। কিন্তু বৃষ্টিতে একটাই ভিজেছি যে আমার হাতে থাকা কিছু কাগজপত্র এবং আমি সম্পূর্ণটাই ভিঁজে সিক্ত হয়ে গেলাম। ঠিক একটু পর লক্ষ্য করলাম একটি মেয়ে একটু দূরে দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। রহস্যময় মেয়েটির হাসি দেখে এবার অস্বস্তি্ই বোধ করলাম। মেয়েটি আমার কাছে এগিয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি কোথায় যাব। আমার গন্তব্যটা তাকে বললাম। সে আমার মতই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল অনেকক্ষণ ব্যাপি। মেয়েটি শহরে নতুন এসেছে তাই কিছু চিনতে পারছেনা বলে জানাল আমাকে। জানিনা কতটুকু সত্য কথা মেয়েটি আমাকে বলল। এইদিকে গাড়িতেও প্রচুর ভিড় তাই একটা রিকশা নিলাম আমি। আজকালকার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে একটা অচেনা শহরে একটা অসহায় মেয়েকে এভাবে এত রাতে একা রেখে চলে আসাটা কাপুরুষতা ভাবলাম তাই মেয়েটিকে আমার সাথে যাবে কিনা জিজ্ঞেস করতেই সে আমার রিকশাই উঠে গেল। আমার মনে সন্দেহই লাগল ব্যাপারটা। চেনা জানা ছাড়া একটা মেয়ে হুট করে একটা অপরিচিত ছেলের সাথে যাওয়া ব্যাপারটা কেমন এলোমেলোই লাগল।। মেয়েটির সাথে হালকা কথাবার্তা চলতেই লাগল রিক্সার ভিতর।। কিন্তু মেয়েটিকে যাই জিজ্ঞেস করি শুধুই হেসেই যাচ্ছে।। মেয়েটি পরীক্ষা সেন্টার থেকে পরীক্ষা দিয়েই বাসায় যাবার উদ্দেশ্যেই গাড়ির জন্য দাড়িয়ে ছিল।। মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী ছিল সে। মাঝে মাঝে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে আর হাসছে।। যা্ই হোক, মেয়েটির হাসির মাঝে কেমন একটা দুঃখের ছাপ লক্ষ্য করলাম। একটু পর আমিও দুষ্টুমি করে বললাম, আজকে বৃষ্টিতে ভিজে একটা নতুন বন্ধুর সাথে পরিচিত হলাম। মেয়েটি আবার হাসল আর এবার আমাকে উত্তর দিলো, কোনও লাভ নেই। অবাক হয়ে জানতে চাইলাম আমি, কেন এটা বললেন? মেয়েটি উত্তর দিল- সে একজন ক্যান্সার রোগী। ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছে সে আর বেশিদিন বাঁচবেনা। হঠাৎ যেন আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ল কারণ মেয়েটার এত সুন্দর হাসির মাঝে এত দুঃখ লুকিয়ে আছে দেখে। আমার বুঝতে আর বাকি রইল না মেয়েটির মিষ্টি হাসির মাঝে অনেক দুঃখ লুকিয়ে আছে। আমিও স্তব্ধ হয়ে গেলাম। মেয়েটি আমাকে ভারাক্রান্ত মনে বলল- তারও বাঁচতে খুব ইচ্ছে করে, বন্ধুদের সাথে হাসি খুশিতে দিন কাটাতে খুব ইচ্ছে করে।। মেয়েটির মনে অনেক বড় আশা ছিল অনেক বড় হবে জীবনে। আমার যদি কোনও অন্তিম ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি তখনই আমার আয়ুর অর্ধেক তাকে ভাগ করে দিয়ে দিতাম। কিন্তু আমার কাছে তাকে ভরশা দেবার মত কোনও কথাই ছিল না। প্রকৃতির অমোঘ বিধানে সবাইকেই এক সময় যেতে হবেই এই পৃথিবী ছেড়ে কিন্তু এভাবে যাওয়ার কথা কেউ ভাবতেই পারেনা। হঠাৎ আমাদের রিকশার চাকাটাও নষ্ট হয়ে গেল। রিকশাওয়ালা আমাদের দুজনকে নামিয়ে দিল।। এখনো অনেক পথ বাকি দুজনের গন্তব্যটা। আজকে ভাগ্যটা খুব খারাপ দুজনের। দুজনে অনেক্ষণ হাটতে লাগলাম। মেয়েটিকে যথাসাধ্য তার গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে আমিও চলে আসলাম। কিন্তু আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে মেয়েটার জন্য।। এত কথার মাঝে মেয়েটির নামটাও জানা হল না আমার। আজও মেয়েটির নাম জানিনা আমি কিন্তু মনের মাঝে সেই মেয়েটার জন্য অনেক কষ্ট লুকিয়ে রইল। যেখানেই থাকুক মেয়েটির দীর্ঘায়ু কামনা করি আমি। সৃষ্টিকর্তা মেয়েটির মনের বাসনা পূর্ণ করুক, ভাল রাখুক।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

eunknown_rafi বলেছেন: এটা কি কাল্পনিক ছিলো??

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

রাজেশ চক্রবর্তী জিতু বলেছেন: কাল্পনিক ব্যাপার কেন লিখতে যাবো বলুন।। এটা আমার জীবনের একটা বাস্তব ঘটনা।।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

ভিটামিন সি বলেছেন: পৌষের শীতের এই রাতে বৃষ্টি। ধুর, ভাল্লাগে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.