নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুদ্দাকির (চিন্তাশীল/যে মনে রেখেছে)

মুদ্‌দাকির

"আমি বামের ডানে, আবার ডানেরও ডানে, আমি ডানের এত ডানে যে বাম আমার থেকে দূরে না! এজন্যই জীবন চক্রে আমি মধ্যবর্তি!" "just because i appreciate you, doesn't mean i am a great fan of yours" "স্বিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি স্বিবগাতান ওয়া নাহনু লা--হু-- আ-বিদুওন " "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" "কাদিয়ানী মিথ্যাবাদিরা আমার প্রকাশ্য শত্রু !!!"

মুদ্‌দাকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহের মানবিক গুনাবলী (গিগা পোষ্ট)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫১

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম





আল্লাহের মানবিক গুনাবলী





আল্লাহের নামগুলো নাকি মানুষের কল্পনার সৃষ্টি এবং নাম গুলো নাকি মানবিক বিভিন্ন গুন। অনেক সো-কল্ড প্রগতি বাদীর লেখাতে এই রূপ পড়েছি, সত্যি কথা বলতে কি অনেক সময় কনফিউজড হয়ে গেছি আর প্রতিবাদের ভাষাও পাইনি। আমারা মুসলিমরা কত অজ্ঞ হাড়ে হাড়ে টের পাই, যে ধর্মটাকে আমরা অনেক সময় অন্ধের মত ভালোবাসি সেই ধর্ম সম্পর্কেই আমরা নুন্যতম জ্ঞান রাখিনা। আল্লাহের সিফাত গুলোযে মানবিক না তা আগেই জানতাম, কিন্তু সবগুলো নাম আলাদা আলাদা করে স্টাডি করা ছিলোনা। আপনারা অনেকেই হয়ত আমার মতই। তাই ভাবলাম সবার জন্য আল্লাহের সিফাত গুলো নিয়েই লিখি। হাদিসে আছে এই নাম গুলো আত্নস্থ হলে নাকি জান্নাত পাওয়া যাবে। দেখুন না চেষ্টা করে, এই ক্ষুদ্র এ্যফোর্টেই খুশি হোয়ে আল্লাহ যদি জান্নাত দিয়ে দেন, সমস্যা কি!!!





হাদিসেই আছে আল্লাহের ৯৯ নামের কথা, আবার অনেকেই বলেছেন হাদিসটার ভিত্তি নাকি দূর্বল। আবার হাদিসেই আছে আল্লাহের অপ্রকাশিত অনেক নামের কথা, অর্থাৎ যে নাম গুলো আল্লাহ মানুষের কাছে প্রকাশ করেন নাই তার কথা। তাওরাত আর যবুরে নাকি আরো অনেক অনেক বেশী নামের অস্তিত্ত ছিল। আর কুরয়ানে নাম আকারে বা গুন আকারে এই ৯৯টার সব গুলো নাই। কোন কোন টা আছে ক্রিয়ার আকারে। যাই হোক আমি আরবী ভাষা বা গ্রামার জানি না, আমি মুহাদ্দিসও নই। তাই এই গুলার সমালোচনার যোগ্যতা আমার নাই। আমি নাম গুলো এক জন ধর্মিক মুসলমান হিসাবে যতটুকু বুঝলাম, ততটুকুই লিখলাম, আসলে প্রতিটা নাম নিয়ে হয়ত রচনা লেখা যাবে কিন্তু অত জ্ঞান আমার নাই। ক্ষমা সুন্দর মনভাব কাম্য। তবে ভুল দেখিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।





সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৩৮(২:১৩৮)



صِبْغَةَ اللَّـهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّـهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ স্বিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি স্বিবগাতান ওয়ানাহনু লাহু আবিদুন।



কাছাকাছি অর্থঃ আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি।



এই আয়াতে আল্লাহ শব্দটি ব্যাবহারিত হয়েছে।



১) ইয়া আল্লাহু (এই নামের অর্থ কেউ জানে কিনা তা আমি জানি না, বলা হয় এটা আল্লাহের সত্তাগত নাম)





সূরা আল হাশর, আয়াত ২২,২৩,২৪ (৫৯:২২,২৩,২৪)



هُوَ اللَّـهُ الَّذِي لَا إِلَـهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَـنُ الرَّحِيمُ ﴿٢٢﴾ هُوَ اللَّـهُ الَّذِي لَا إِلَـهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّـهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ ﴿٢٣﴾ هُوَ اللَّـهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿٢٤



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ হুয়াল্লাহুল্লাযি লাইলাহা ইল্লাহুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশশাহাদাতি হুয়াররাহমানুররাহিম। হুয়াল্লাহুল্লাযি লাইলাহা ইল্লাহুয়া আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মুউমিনুল মুহাইমিনুল আযিযুল জাব্বারুল মুতাকাব্বিরু সুবহানাল্লহি আমমা ইয়ুশরিকুন। হুয়াল্লাহুল খ্বালিক্বুল বারিউল মুসাওউইরু, লাহুল আসমাউল হুসনা, ইউসাব্বিহু লাহুমাফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়াহুয়াল আযিযুল হাকিম।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনিই আল্লাহ , তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্নশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১৪টি সিফাতঃ



২) ইয়া রাহমানু (হে পরম করুনাময়)



কিছু কথাঃ আপনি আপনার তুলনায় অনেক নিম্ন ক্ষমতার কাউকে করুনা করতে পারেন। তা এক জন হতে পারে দুইজন, ২০০জন বা দুই লক্ষ জন কিন্তু পরম করুনাময় আল্লাহ তার সৃষ্টির সকল কিছুকে করুনা করে থাকেন, এই মহাবিশ্বের কোন কিছুই তার করুনার বাইরে না। আবার ইসলামের দৃষ্টিতে আপনি যখন কাউকে সম্পদ দিয়ে করুনা করছেন, তখন আসলে আপনি আল্লাহকে ঋন দিচ্ছেন, উত্তম ঋন, এই ঋনের সকল কিছুতো আপনি ফিরত পাবেনই, বরং তারচেয়ে অনেক গুন বেশি আপনি আখিরাতে পাবেন। তাই আপনি যখন কাউকে করুনা করছেন আসলে আপনি তা আপনার নিজের জন্যই করছেন। কারন এরচেয়ে অনেক গুন বেশি ফেরতের আশায় করছেন। তাহলে কর্মটা আর এবসোলুট হইলনা কিন্তু!!! আবার কাউকে যখন আপনি অবস্তুগত কোন করুনা করছেন, তখনো আপনি নিশ্চিত যে আল্লাহ এর বিনিময়ে আপনাকে করুনা করবেন, তাই এই কর্মটাও কিন্তু এবসোলুট হইল না!!! তাই মানুষ রহমান হয় না, রহমানের দাশ হইতে পারে, তাঁর দাশ হয়ে, তাঁর বলে দেয়া অনুসারে তাঁর অন্য সৃষ্টি কে আপেক্ষিক করুনা করতে পারে, এর বেশি কিছুতো না!!



৩) ইয়া রাহিমু (হে পরম দয়ালু)



কিছু কথাঃ পরমকরুনাময় সম্পর্কে বুঝলে পরমদয়ালু সম্পর্কে বলার আর কিছু থাকে না। নবীজী সাঃ বলেছেন, “যে অন্যকে দয়া করেনা,সে আল্লাহের দয়া হতে বঞ্চিত।” অর্থাৎ আপনি যখন কাউকে দয়া করবেন তা আল্লাহের দয়া পাবার আশায়ই করবেন। আসলে ইসলাম হইল, হিজ হিজ হুজ হুজ ধর্ম, এর মূল concept খুবই স্বার্থপর। কারন আপনার নিজের ultimate targate হইল বেহেস্ত আর বেহেস্তের নিয়ামত, আর কিছু না। আপনার চারপাশের কেউ কেয়ামতের দিন আপনার দিকে তাকাবে পর্যন্ত না, না আপনার বাবা, না আপনার মা। its only you, you all alone । আপনি বেহেস্তের প্রতি এমন লোভী হবেন যে দুনিয়ার কোন কিছুর প্রতি আর লোভ করবেন না, তাই আপনার লোভ দ্বারা দুনিয়ার কেউ বঞ্চিতও হবে না। as simple as that.



৪) ইয়া মালিকু (হে প্রকৃত বাদশাহ)



কিছু কথাঃ এই বাদশাহ হলেন সেই যিনি নিজের গুন দ্বারাই সব কিছু থেকে স্বাধিন, যে কোন কিছু থেকে অমুখাপেক্ষি, সবকিছুর অস্তিত্তই তাঁর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, তাঁর রাজ্যের সমস্ত কিছুই তাঁর। আপনারা এই রকম কোন বাদশাহকে চিনেন নাকি??? আল্লাহ ছাড়া।



৫) ইয়া কুদ্দুসু (হে পবিত্র)



কিছু কথাঃ প্রকৃত পক্ষে, আল্লাহের পবিত্রতার ধারনা মানুষের কল্পনার শক্তি নাই। তিনি পবিত্র এবং সকল অপবিত্রতার উর্ধে। কোন মানুষ আছে নাকি যার দ্বারা এই রকম হওয়া সম্ভব?? আপনি যত পরিস্কারই হন না কেন, you are full of shit. আপনি বাহ্যিক ভাবে যত পরিস্কারি হন না কেন, your inside stinks. বিশ্বাস না হলে যে কোন সার্জেন কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।



৬) ইয়া সালামু (হে শান্তিদাতা)



কিছু কথাঃ শান্তিদাতার অর্থ হল, এমন যে সকল প্রকার খুত ও অক্ষমতার উর্ধে, যার গুন গুলোতে কোন অভাব নাই, যার যে কোন কাজ খারাপের সংস্পর্শতার বাইরে। তাই সে এমন যে, তাঁকে ছাড়া শান্তি ও সৌহার্দের অস্তিত্ত্ব নাই। কি বুঝলেন? যার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে বা যার কাজে খারাপের সংস্পর্শতা আছে সে সত্যিকারের শান্তিদাতা হতে পারে না!!



৭) ইয়া মুউমিনু (হে নিরাপত্তাদাতা)



কিছু কথাঃ যে আপনার সকল ভয়কে সরিয়ে নিতে পারে, সেই আপনার নিরাপত্তাদাতা। যতক্ষন আপনার সকল ভয় জয় না হয় ততক্ষন আপনি নিরাপদ বোধ করতে পারবেন না। আর আপনার জীবন হারানোর সম্ভাবনা যতক্ষন থাকে ততক্ষন আপনার ভয়ও বিদ্যামান থাকবে!!! আর এই জীবনের মালিকতো এক মাত্র আল্লাহ। তাই তাঁর চেয়ে বড় বা এবসোলুট নিরাপত্তাদাতা কি কেউ আছেন???



৮) ইয়া মুহাইমিনু (হে রক্ষাকারী)



কিছু কথাঃ যার জ্ঞানের বাইরে এই মহাবিশ্বের কিছুই নাই, তা হোক যত ক্ষুদ্র বা বিশাল, যার হুকুমের বাইরে কোন কিছুই নাই, যিনি চরম নিরাপত্তাদাতা তিনিই সবচেয়ে ক্ষমতাবান রক্ষাকারি। উনি রক্ষাকরার ইচ্ছা করলে সাধহরন কয়েক জন যুবকও কয়েক শত বছর এক গুহায় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, আর তিনি রক্ষা না করলে প্রতাপশালী রাজাও সমুদ্রে ডুবে মরে!!! তিনি রক্ষা করার ইচ্ছা না করলে ইমানদারের ঘরেও নাস্তিকের জন্ম হয় আবার তিনি রক্ষা করতে চাইলে মূর্তি পূজকের ঘরেও নবীরা জন্মান।



৯) ইয়া আযিযু (হে মহাপ্রভাবশালী)



কিছু কথাঃ সমস্ত প্রশংসা যার, যিনি কখন কোন ভুল করেন নাই, কারো কাছে কোন কারনে ইতস্তত হন নাই, যার কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা কারো নাই, যার অনুকরন করা সম্ভব না, যাকে পরাজিত করা সম্ভব না, যার ক্ষমতার ধারের কাছেও কেউ কোন দিন যেতে পারবে না তিনিই আলআযিয।



১০) ইয়া জাব্বারু (হে মহাক্ষমতাশালী)



কিছু কথাঃ তিনি সেই যে, না খালি সকল নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিস ঠিক করেন বরং সেই জিনিসের আরো উন্নতি ঘটান। সংক্ষেপে বললে তিনি সকল অসংগতি ঠিক করেন। অন্য আরেক ভাবে বলাহয় যে তিনি সেই যার ইচ্ছার বিপরীত কিছুই হয় না, কেউ তা পছন্দ করুক বা অপছন্দ।



১১) ইয়া মুতাকাব্বিরু (হে গৌরবান্বিত)



কিছু কথাঃ আলমুতাকাব্বির তিনিই যিনি সকল প্রকার মহানতার অধিকারি, যিনি তাঁর সৃষ্ট কোন কিছুর গুনাবলী ধারন করেন না, তাঁর সৃষ্ট কোন কিছুই তাঁর ক্ষতি করতে পারেনা। যার মহানতা আর অহংকার সর্বচ্চ।



১২) ইয়া খালিকু (হে সৃষ্টিকর্তা)



কিছু কথাঃ তিনিই যিনি আমাদের জানা অজানা সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। যিনি সব কিছু পার্ফেক্টলি সৃষ্টি করেন, অন্য কারো বুদ্ধি ছাড়া অন্য কারো জ্ঞান ছাড়া, তিনি কোন সৃষ্টিতে এমন বিকৃতি আনেন যা না ঘটা পর্যন্ত কোন দ্বিতীয় কেউ কল্পনাও করতে পারে না।



১৩) ইয়া বারিউ (হে উদ্ভাবনকর্তা)



কিছু কথাঃ যিনি শূন্য থেকে কিছু সৃষ্টি করেন বা কিছুনা থেকে কিছু সৃষ্টি করেন। যিনি এমন কিছু সৃষ্টি করেন যে জিনিসের মত কিছু আগে ছিল না।



১৪) ইয়া মুসাউইরু (হে আকৃতিদানকারী)



কিছু কথাঃ মুসাউইরু তিনি যিনি সবছেয়ে বড় স্টাইলিশ। তাঁর চেয়ে স্টাইলিশ কেউ নাই। তাঁর প্রতিটা সৃষ্টির ভিন্ন ভিন্ন আকৃতিদেন তিনি। তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিই ইউনিক !! তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে একবার ভাবুন।?? এমনকি মনোজাইগোটিক টুইনদেরকেও সহজেই আলাদা করে চেনা যায় আর সুক্ষ পার্থক্যতো তাদের অনেকই থাকে, অথচ তারা একি জাইগোট থেকেই সৃষ্ট।



১৫) ইয়া হাকিমু (হে প্রজ্ঞার অধিকারী)



কিছু কথাঃ তিনিই হাকিম যার কাছে সকল কিছুর জ্ঞান আছে। প্রকৃতপক্ষে তাঁর প্রজ্ঞার সঙ্গা তিনি ব্যাতিত আর কেউ ভালো করে দিতে পারবে না!!! ডাক্টার বা বায়োক্যামিস্ট্রির কেউ কি আছেন, একবার ভাবেন মানুষকে যদি আমরা কৃত্রিম ভাবে বানাতে চাই, কি পরিমান প্রজ্ঞা প্রয়োজন, কত মানুষের বছরের পর বছরের কাজ, এক করলে একটা মানুষ তৈরি করা যাবে? বা আদৌকি তা সম্ভব?? বোটানি বা জুলজির কেউ কি আছেন পারবেন কি একটা নতুন ইকোসিস্টেম তৈরি করতে?? বা পুরনো কোন ডিয়ারেঞ্জড ইকোসিস্টেমকে সারিয়ে তুলতে?? বা অ্যাসট্রোফিজিসিশটরা ভাবেন কি পরিমান প্রজ্ঞা থাকলে গোল্ডিস লক জোনে পৃথিবীর অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব?? পৃথিবীর কক্ষপথটা আর এক কিলো এদিক সেদিক হলে কিই বা এমন হত??



সূরা আল হাদীদ, আয়াত ১,২,৩ (৫৭:১,২,৩)



سَبَّحَ لِلَّـهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ﴿١﴾ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿٢﴾ هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ সাব্বাহালিল্লাহি মাফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়াহুয়াল আযিযুল হাকিম। লাহু মুলকুসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ইউহই ওয়া ইউমিইতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদির । হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখ্বিরু ওয়াযযোহিরু ওয়াল বাতিনু ওয়াহুয়া বিকুল্লি শাইইন আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি শক্তিধর; প্রজ্ঞাময়। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম। তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ৮টি সিফাতঃ



১৬) ইয়া মুহঈ (হে জীবনদাতা)



কিছু কথাঃ বলার কিছুই নাই। কিন্তু মানুষ জীবনদাতা হতে পারে কি?? প্রতি মুহুর্তে আপনার ভিতর অসংখ্য কোষ জন্ম নিচ্ছে, কোন কনট্রোল আছে কি আপনার?? জীবন কি আপনি তা জানেন কি ??



১৭) ইয়া মুমিতু (হে মৃত্যুদাতা)



কিছু কথাঃ এখানেও বলার কিছু নাই!!! প্রতি মূহর্তে আপনার শরিরের ভিতর অসংখ্য কোষ মরে যাচ্ছে, কোন কনট্রোল আছে কি আপনার?? আপনার কি ক্ষমতা আছে আপনাকে মারবার বা অন্য কাউকে? আপনি জাস্ট একটা উপায় হতে পারেন এই আর কি ??



১৮) ইয়া কাদিরু (হে সামর্থবান)



কিছু কথাঃ যিনি তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দ্বারা যা প্রয়োজন তাই করতে পারেন, এরচেয়ে বেশীও করেন না বা এরচেয়ে কমও করেন না তিনি কাদির। সামর্থবান কথাটা উচ্চারন করলেই কেমন যেন সামর্থবান পুরুষ কথাটা চলে আসে, যাই হোক সামর্থবান পুরুষদের কেই জিজ্ঞাস করি, তিনি না চাইলে আপনার স্ত্রীকে সন্তান দিতে পারবেন?? আর তিনি চাইলে কোন ভাবে সন্তান হওয়া থেকে বাধা দিতে পারবেন????



১৯) ইয়া আউয়ালু (হে সর্বপ্রথম)



কিছু কথাঃ আউয়াল তিনিই যার পূর্বে কোন কিছুর অস্তিত্ত ছিল না। বা সকল কিছু অস্তিত্তে আসার পূর্বেই তিনি ছিলেন। একবার এক বেদুইন রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন, “সৃষ্টি করার আগে আল্লাহ কোথায় ছিলেন?”উত্তরে রাসূল সাঃ বললেন, “তিনি ছিলেন,আর তাঁর সাথে কিছুই ছিল না।” বেদুইন আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “এখনকার অবস্থা কি?” রাসূল সাঃ উত্তরে বললেন, “তিনি যেমন ছিলেন তেমনি আছেন।”



২০) ইয়া আখিরু (হে সর্বশেষ)



কিছু কথাঃ সৃষ্টির কিছুই যখন অস্তিত্তে থাকবে না, তখনো তিনি থাকবেন।



২১) ইয়া যাহিরু (হে প্রকাশমান)

২২) ইয়া বাতিনু (হে অপ্রকাশমান)



কিছু কথাঃ একভাবে বলাহয় যে তিনি যাহির কারন তাঁর কাছে যাকিছু প্রকাশমান তার জ্ঞান বিদ্যমান, আর তিনিই বাতিন কারন তাঁর কাছে যাকিছু অপ্রকাশমান তার জ্ঞানও বিদ্যমান।

আরেক ভাবে বলতে গেলে, তিনি যাহির যথেষ্টতার দ্বারা, তিনি বাতিন বস্তুনিষ্ঠতার দ্বারা, তিনি যাহির তাঁর উদারতার কারনে, তিনি বাতিন তাঁর করুনার কারনে। প্রকাশ্যেই সব কিছু তাঁর নিয়ন্ত্রনাধিন আবার তিনি সব কিছুর গোপন খবর জানেন। তিনি প্রকাশ্য তাঁর অস্তিত্তের অকট্য প্রমানের কারনে, তিনি অপ্রকাশমান কারন তাঁর আকৃতি আমরা দেখতে পাই না। সকল সৃষ্টির আরালে আছেন তিনি তাঁর জ্যোতি দ্বারা, তিনি আরালে আছেন তাঁর উপস্থিতির তিব্রতার কারনে।



২৩) ইয়া আলিমু (হে সর্বজ্ঞ)



কিছু কথাঃ যিনি সব কিছু জানেন, যিনি সব কিছুর সব কিছু জানেন। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কিছুই নাই বা থাকতে পারে না।





সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৫৫ (২:২৫৫)/আয়াতুল কুরশী



اللَّـهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়ুল ক্বাইইয়ুম, লাতাখ্বুজুহু সিনাতাহুম ওয়ালা নায়ুম, লাহু মাফিসসামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদ্বি, মান যাল্লাযি ইয়াশফায়ু ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহি, ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামাখ্বালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম মিনইলমিহি, ইল্লাবিমাশাআ, ওয়াসিয়াকুরসিহুসসামাওয়াতি ওয়ালারদ্বা, ওয়ালা ইয়াইয়ুদ্দুহু হিফযুহুমা, ওয়াহুয়াল আলিয়ুল আযিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



২৪) ইয়া হাইয়ু (হে চিরঞ্জীব)

২৫) ইয়া কাইয়ুমু (হে চিরস্থায়ী)



কিছু কথাঃ কিছুই বলার নাই, না বুঝারও কিছু নাই। খুব সম্ভবত আল হাইয়ু আর আল কাইউমু আল্লাহের মহানতম দুইটি সিফাত।



২৬) ইয়া আলিয়ু (হে অত্যুচ্চ)



কিছু কথাঃ তাঁর সত্তা এতটাই উচ্চ যে তাঁর পূর্নাংগ সত্তাকে উপলব্ধি করা কোন মানুষের দ্বারা সম্ভব না। তাঁর সত্তাকে দেখা কোন মানুষের দ্বারা সম্ভব না।



২৭) ইয়া আযিমু (হে অতিমাহান)



কিছু কথাঃ কিছু বলার নাই, তাঁর চেয়ে মহান কি কেউ আছে? আপনার জানা?



সূরা আলে ইমরান,আয়াত ২৬ (৩:২৬)



قُلِ اللَّـهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ক্বুলিল্লাহুমমা মালিকালমুলকি তুয়তিলমুলকা মানতাশায়ু ওয়াতানযিউল মুলকা মিম মানতাশায়ু ওয়াতুইযযু মানতাশাউ ওয়াতুযিল্লু মানতাশায়ু বিইয়াদিকাল খ্বাইরু ইন্নাকা আলা কুল্লিশাইইন ক্বাদির।



কাছাকাছি অর্থঃ বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ৩টি সিফাতঃ



২৮) ইয়া মালিকালমুলকি (হে সার্বভৌমত্তের মালিক)



কিছু কথাঃ খেয়াল করলে দেখবেন যে, দুনিয়ার কোন রাজাই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্তের মালিক নয়, তারা সকলেই কোন না কোন শক্তির উপর নির্ভর করে, কেউ তাদের সেনাবাহিনি, কেউ তাদের অর্থ-সম্পদ, কেউ তার মন্ত্রীদের উপর, কেউবা সরাসরি জনগনের উপর, আবার তাদের সার্বভৌমত্ত স্থায়ীও হয় না, প্রতি নিয়তই ছোট শক্তি বড় শক্তির কাছে পরাজিত হয়। আবার আজ যে বড় শক্তি কাল সে ছোট শক্তি। কিন্তু সকল রাজাদের রাজা আল্লাহ প্রকৃত সার্বভৌমত্তের মালিক। তাঁর ক্ষমতা খর্ব করার মত কেউ নাই।। তাই তিনিই প্রকৃত সার্বভৌমত্তের মালিক। তিনিই সকল ক্ষমতার উৎস।



২৯) ইয়া মুইযযু ( হে সম্মানদাতা)

৩০) ইয়া মুযিল্লু (হে অপমানকারী)



কিছু কথাঃ আসলে কে কখন কিভাবে সম্মানিত হবেন আর অপমানিত হবেন তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আল্লাহের ইচ্ছার বাইরে কেউ প্রকৃত সম্মান প্রাপ্ত হতে পারেন না। আর আল্লহ যাকে অপমানিত করেন, তাকে কেউই সম্মান ফিরিয়ে দিতে পারে না, আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহের কাছে যিনি সম্মানিত তিনি হয়ত জানেন তার সম্মানের কথা, অন্যের এই ব্যাপারে জ্ঞান নাই থাকতে পারে। একি কথা আল্লহের কাছে যে অপমানিত তার বেলায়ও প্রযোজ্য। কিন্তু দুনিয়াতে যে কেউ আপনাকে সম্মানদেখালেই আপনি নিশ্চত হতে পারবেন না যে সে আপনাকে সম্মান দেখাল। একি কথা উলটা ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।



সূরা সাদ,আয়াত ৬৫,৬৬(৩৮:৬৫,৬৬)



قُلْ إِنَّمَا أَنَا مُنذِرٌ وَمَا مِنْ إِلَـهٍ إِلَّا اللَّـهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ ﴿٦٥﴾ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ক্বুল ইন্নামা আনা মুনযিরুন ওয়ামামিন ইলাহিন ইল্লাল্লাহুল ওয়াহিদুল কাহহার। রাব্বুসসামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়ামাবাইনাহুমাল আযিযুল গাফফারু।



কাছাকাছি অর্থঃ বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, পরাক্রমশালী, মার্জনাকারী।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ৩টি সিফাতঃ



৩১) ইয়া ওয়াহিদু (হে এক-অদ্বিতীয়)



কিছু কথাঃ কিছু বলার নাই। বিশাল তিনি, মহান তিনি, অসীম তিনি Al-Wahid cannot be counted. He Alone is the source of all knowledge; the Only One Who reveals what is hidden. His existence has neither duration nor a limit, nor can anyone carry out a decision against Him, nor can His Essence ever suffer any decrease or increase whatever



৩২) ইয়া কাহহারু (হে শাস্তিদাতা)



কিছু কথাঃ কাহহার হচ্ছেন তিনি, যিনি যখন শাস্তি দেন বা প্রতিশোধ নেন তখন কেউই ক্ষমতা রাখেনা তা প্রতিরোধ করবার। ঠিক যতটুকু অন্যায় ততটুকু শাস্তি। ৩ জনকে কেউ খুন করলে ঐ খুনিকে তিনবার মৃত্যুরস্বাধ কেউ কি দিতে পারবেন?? কাহহারু পারবেন।



৩৩) ইয়া গাফফারু (হে ক্ষমাকারী)



কিছু কথাঃ ধরুন আপনি অনেক ক্ষমতাশালী আপনার প্রতি অন্যায় করেছে এমন কয়জন কে ক্ষমা কবেন আপনি? আপনি হয়ত, আপনার প্রতি করা, সবার অন্যায়ের হিসাবই করতে পারবেন না!! গাফফারু তিনি যিনি সকল সৃষ্টির সকল অপরাধ ক্ষমাকরার ক্ষমতা রাখেন।





সূরা আলে ইমরান,আয়াত ৮,৯ (৩:৮,৯)



رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ ﴿٨﴾ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللَّـهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ রাব্বানা লা তুযিগ ক্বুলুয় বানা বায়দা ইয হাদাইতানা ওয়াহাবলানা মিল্লাদুনকারাহমাতান ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহহাব। রাব্বানা ইন্নাকা জামিউন নাসি লিইয়াওমিল লারাইবাফিইহি ইন্নাল্লাহা লা ইউখ্বলিফুলমিইয়াদ।



কাছাকাছি অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবেঃ এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৩৪) ইয়া ওয়হহাবু (হে মাহান দাতা)



কিছু কথাঃ তিনি আপনাকে আপনার যা চাহিদা তাই দিতে পারেন, তিনি যাইচ্ছা তাই দিতে পারেন, তিনি এই দানের কোন বিনিময় গ্রহন করেন না বা করবেন না বা করেন নি।



৩৫) ইয়া জামিউ (হে মহান একত্রকারী)



কিছু কথাঃ তিনি শেষ বিচারের দিনে আমাদের সকল কে একত্রিত করবেন, সকল সৃষ্টিকে তিনি একত্রিত করবেন।





সূরা আযযারিয়াত,আয়াত ৫৮(৫১:৫৮)



إِنَّ اللَّـهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইন্নাল্লাহা হুয়াররাযযাক্বু যুল ক্বুওয়াতিল মাতিনু।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ তাআলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৩৬) ইয়া রাযযাক্বু (হে রিযিকদাতা)



কিছু কথাঃ আপনার বেচে থাকবার জন্য যা প্রয়োজন তাই হচ্ছে রিযিক। এর মধ্য খাদ্য, বাতাস, গাছপালা, পশু পাখি, ছত্রাক, এমিবা, ব্যাক্টিরিয়া............ইত্যাদি সবই আপনি যোগ করতে পারেন। যিনি এই রিজিক দান করেন তিনিই রিযিক দাতা।



৩৭) ইয়া মাতিনু (হে অটল)



কিছু কথাঃ তাঁর যা ইচ্ছা তিনি তাই করেন, কেউ তা পরিবর্তন করতে পারে না।



সূরা সাবা,আয়াত ২৬(৩৪:২৬)



قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِالْحَقِّ وَهُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ক্বুল ইয়াজমায়ু বাইনানা রাব্বুনা স্বুমমা ইয়াফতাহু বাইনানা বিলহাক্বক্বি ওয়াহুয়াল ফাত্তাহুল আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ বলুন, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে সমবেত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৩৮) ইয়া ফাত্তাহু (হে বিজয়দানকারী)



কিছু কথাঃ তিনি অমিমাংসিত বিষয় গুলোর মিমাংসা করেন, কঠিন বিষয় গুলোকে সরল করে দেন, তিনি খুলেন যা কিছু বন্ধ আছে, তাঁর কাছে সব কিছুর চাবি আছে, তিনি যেকারো জন্য বন্ধ পথ আপনার জন্য খুলে দিতে পারেন, যার ফলে আপনি বিজয়ী হবেন।





সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৪৫ (২:২৪৫)



مَّن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّـهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللَّـهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ মান যাল্লাযি ইউক্বরিদ্বুল্লাহা ক্বারদ্বান হাসানান ফাইউদ্বায়িফাহু লাহু আদ্বয়াফান কাস্বাইরিতান ওয়াল্লাহু ইক্ববিদ্বু ওয়া ইয়াবসুতু ওয়াইলাইহি তুরজিয়ুওন।



কাছাকাছি অর্থঃ এমন কে আছে যে, আল্লাহকে করজ দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহই সংকোচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা সবাই ফিরে যাবে।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৩৯) ইয়া ক্বাবিদ্বু (হে সংকোচনকারী)



কিছু কথাঃ তিনিই যিনি আমাদের আত্নাকে আমাদের শরির থেকে, তাঁর অধিনে নিয়ে নেন।



৪০) ইয়া বাসিতু (হে প্রশস্ততাকারী)



কিছু কথাঃ তিনিই যিনি আমাদের আত্নাকে শান্তিদেন খুশি আর আনন্দের মাধ্যমে।



সূরা আল মুজাদালাহ,আয়াত ১১(৫৮:১১)



يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قِيلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوا فِي الْمَجَالِسِ فَافْسَحُوا يَفْسَحِ اللَّـهُ لَكُمْ وَإِذَا قِيلَ انشُزُوا فَانشُزُوا يَرْفَعِ اللَّـهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّـهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইয়া আইয়ুহাল্লাযিনা আমানু ইযাক্বিইলা লাকুম তাফাসসাহুও ফিলমাজালিসি ফাফসাহুও ইয়াফসাহিল্লাহু লাকুম ওয়াইযা ক্বিইলানশুযুও ফানশুযুও ইয়া রফাইল্লাহুল্লাযিইনা আমানু মিনকুম ওয়াল্লাযিইনায়ুতুলইলমা দারাজাতিন ওয়াল্লাহু বিমা তায়মালুনা খ্বাবিইর।



কাছাকাছি অর্থঃ মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্ত করে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে দিও। আল্লাহর জন্যে তোমাদের জন্য প্রশস্ত করে দিবেন। যখন বলা হয়ঃ উঠে যাও, তখন উঠে যেয়ো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৪১) ইয়া রাফিউ (হে সমুন্নতকারী)



কিছু কথাঃ তিনিই যিনি সকল বস্তুগত জিনিস বা অবস্তুগত জিনিস উপরে তুলতে পারেন, তিনি যেমন কারো মানের উন্নতি করেন তেমনি তাঁর ইচ্ছাতেই একটা পাখি আকাশে উড়ে বেরায়।



৪২) ইয়া খ্বাবিরু (হে সর্বাজ্ঞ)



কিছু কথাঃ সকল কিছুর সুক্ষ গুপ্ত জ্ঞান তাঁর কাছে আছে। তিনি সকল কিছুর গোপন ভেদ জানেন। তিনি জানেন কিভাবে সমস্যার সৃষ্টি হয় আর তিনি জানেন কিভাবে তাঁর সমাধান করা যায়।





সূরা আন নিসা,আয়াত ৫৮(৪:৫৮)



إِنَّ اللَّـهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَىٰ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ النَّاسِ أَن تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّـهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ إِنَّ اللَّـهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইন্নাল্লাহা ইয়ামুরুকুম আন তুয়াদ্দুল আমানাতি ইলা আহলিহা ওয়াইযা হাকামাতুম বাইনাননাসি আনতাহকুমুবিল আদলি ইন্নাল্লাহা নিয়িমমাইয়াইযুকুমবিহি ইন্নাল্লাহা কানা সামিইয়াম বাসিইর।



কাছাকাছি অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ৩টি সিফাতঃ



৪৩) ইয়া হাকামু (হে হুকুমদাতা)



কিছু কথাঃ তিনিই যিনি হুকুমদেন, যে হুকুমকে কেউ প্রশ্ন বিদ্ধকরতে পারে না। যে হুকুমকে কেউ অমান্য করতে পারে না। তিনি সেই যার প্রতিজ্ঞায় কোন সন্দেহ নাই, তিনি সেই যার কাজে কোন ভুল নাই, যার হুকুমে আত্নারা তাঁর অনুগত আর অধিনস্ত। তিনি সত্যকে মিথ্যা হতে আলাদা করে দেন।



৪৪) ইয়া সামিয়ু (হে সর্বশ্রোতা)



কিছু কথাঃ যিনি তাঁর সকল সৃষ্টিকে শুনেন এবং তার উত্তর দেন।



৪৫) ইয়া বাসিরু (হে সর্বদ্রষ্টা)



কিছু কথাঃ তিনি সব কিছু দেখেন। মাইক্রস্কোপিক অথবা ম্যেক্রস্কোপিক !! ইলেকট্রন বা প্রটন !!



সূরা আল আনআম,আয়াত ১১৫(৬:১১৫)



وَتَمَّت كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدقًا وَعَدلًا لا مُبَدِّلَ لِكَلِماتِهِ وَهُوَ السَّميعُ العَليمُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াতামমাত কালিমাতু রাব্বিকা সিদক্বিন ওয়া আদলাল লা মুবাদদিলা লিকালিমাতিহি ওয়াহুয়াসসামিউল আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৪৬) ইয়া আদলু (হে ন্যায় বিচারক)



কিছু কথাঃ তিনি ছাড়া আর কেউ প্রকৃত ন্যায় বিচার করতে পারেন না। দুনিয়ার বিচারকরা যা করতে পারেন তা হচ্ছে আপেক্ষিক ন্যায় বিচার। আর বিচারের নামে আজকাল কি কি হয় তা তো সবাই দেখছেন!!!





সূরা আশশূরা,আয়াত ১৯(৪২:১৯)



اللَّـهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আল্লাহু লাতিফুম বিইবাদিহি ইয়ারযুক্বু মানইয়াশাউ ওয়াহুয়াল ক্বাউইয়ুল আযিয।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা, রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৪৭) ইয়া লাতিফু (হে সুক্ষদর্শী)



কিছু কথাঃ তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী, সবচেয়ে দয়ালু, সবচেয়ে উদার, তাই তিনি তাঁর সৃষ্টির প্রতি সবচেয়ে স্নেহ শীল।



৪৮) ইয়া ক্বাবিয়ু (হে শক্তির আধার)



আমি যা বুঝিঃ যার শক্তি আপরিসিম। যার শক্তির কাছে তাঁর শত্রুদের শক্তি ও ক্ষমতা কিছুই না বা যার কোন তুলনাই হয় না। মজার ব্যাপার হচ্ছে তাঁর শত্রুও শক্তির জন্য তাঁরই মুখাপেক্ষি !!!!





সূরা বনী ইসরাঈল,আয়াত ৪৪(১৭:৪৪)



تُسَبِّحُ لَهُ السَّماواتُ السَّبعُ وَالأَرضُ وَمَن فيهِنَّ وَإِن مِن شَيءٍ إِلّا يُسَبِّحُ بِحَمدِهِ وَلـكِن لا تَفقَهونَ تَسبيحَهُم إِنَّهُ كانَ حَليمًا غَفورًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ তুসাব্বিহু লাহুসসামাওয়াতুসসাবয়ু ওয়াল আরদ্বু ওয়ামান ফিহিননা ওয়াইমমান শাইইন ইল্লা ইউসাববিহু বিহামদিহি ওয়ালাকিললা তাফক্বাহুনা তাসবিহাহুম ইন্নাহু কানা হালিমান গাফুর।



কাছাকাছি অর্থঃ সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৪৯) ইয়া হালিমু (হে অত্যন্ত ধৈর্যশীল)



কিছু কথাঃ আসলে এখানে কিছুই বলার নাই। তিনি সাথে সাথে প্রতিশোধ গ্রহন করেন না, তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতিনিয়ত ভালো হবার সুযোগ দিতেই থাকেন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। আর এ জন্যই হয়ত নাস্তিকেরা প্রতিনিয়ত আল্লাহের সানের প্রতি ব্যায়াদবি করে যান এবং কেউ কেউ প্রকাশ্য নিজেদের ধবংস কামনা করেন, কিন্তু তাঁরা ধবংস হন না। প্রকৃত পক্ষে তারা হয়ত আল্লাহের এই সিফাতটা জানেনই না!!!!!!



৫০) ইয়া গাফুরু (হে ক্ষমাশীল)



আমি যা বুঝিঃ যিনি বারবার ক্ষমা করতেই থাকেন। আর ক্ষমা করতেই থাকেন কোন বিনিময় ছাড়া।





সূরা ফাতির,আয়াত ৩৪(৩৫:৩৪)



وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّـهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াক্বালুল হামদুলিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আন্নালহাযানা ইন্না রাব্বানা লাগাফুরুন শাকুর।



কাছাকাছি অর্থঃ আর তারা বলবে-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দূঃখ দূর করেছেন। নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৫১) ইয়া শাকুরু (হে কৃতজ্ঞতা পছন্দকারী)



আমি যা বুঝিঃ আল্লাহ কৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন। তিনি বান্দাকে সামান্য ভালো কাজের বিনিময়ে অসীম নেয়ামত দান করেন। সামান্য একটা ভালো কাজ হয়ত আমাদের অনেককে জান্নাতে নিয়ে যাবে।



সূরা রাদ,আয়াত ৯(১৩:৯)



عالِمُ الغَيبِ وَالشَّهادَةِ الكَبيرُ المُتَعالِ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আলিমুলগাইবি ওয়াশশাহাদাতিল কাবিরুল মুতাআলি।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৫২) ইয়া কাবিরু (হে অতিবড়)



আমি যা বুঝিঃ তাঁর চেয়ে বড় আর কিছু নাই, না তাঁরচেয়ে ক্ষমতায় বড় কেউ আছে না শক্তিতে?????!!!



৫৩) ইয়া মুতাআলি (হে সর্বচ্চ)



আমি যা বুঝিঃ যার সম্মান ও মহত্ত্ব সর্বচ্চ। তাঁর অবস্থান এত উচুতে যে তা কোন মানব মন কল্পনাও করতে পারে না।



সূরা হাজ্জ,আয়াত ৬৪(২২:৬৪)



لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنَّ اللَّـهَ لَهُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ লাহুমাফিসসামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি ওয়াইন্নাল্লাহা লাহুয়াল গানিইউল হামিদ।



কাছাকাছি অর্থঃ নভোমন্ডল ও ভুপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সব তাঁরই এবং আল্লাহই অভাবমুক্ত প্রশংসার অধিকারী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৫৪) ইয়া গানিয়ু (হে অফুরন্ত সম্পদশালী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি সেলফ সাফিসিয়েন্ট। তাঁর কোন রকম কোন অভাব নাই। তাঁর কোন প্রয়জনের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় না। তিনি যখন যা ইচ্ছা যাকে ইচ্ছা প্রচুর সম্পদ দিতে পারেন, এর জন্য তাঁর কোন হিতাহিত চিন্তা করতে হয় না। এর ফলে তাঁর সম্পদের ভান্ডারে কোন কমতিও হয় না।



৫৫) ইয়া হামিদু (হে প্রশংসিত)



আমি যা বুঝিঃ তিনি প্রশংসিত। অন্য কারো ইচ্ছায় না, নিজের গুনের কারনেই প্রশংসিত।





সূরা আশশূরা,আয়াত ৬(৪২:৬)



وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ اللَّـهُ حَفِيظٌ عَلَيْهِمْ وَمَا أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াল্লাযিনাত তাখ্বাজু মিনদুওনিহি আওলিয়া আল্লাহু হাফিইযুন আলাইহিম ওয়ামা আনতা আলাইহিম বিওয়াকিইল।



কাছাকাছি অর্থঃ যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। আপনার উপর নয় তাদের দায়-দায়িত্ব।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৫৬) ইয়া হাফিযু (হে মাহারক্ষক)



আমি যা বুঝিঃ তিনি সেই যিনি কোন কিছু ভুলেন না, কোন কিছু অবহেলা করেন না, কখনো অসতর্ক হন না। তিনি সেই যিনি ইলেকট্রন কে প্রটন থেকে রক্ষা করেন, তিনি সেই যিনি গরমকে গরম আর ঠান্ডাকে ঠান্ডা রাখেন। তিনি সেই যিনি সাগরের লবনাক্ত পানি নদিতে মিশে যেতে দেন না। তিনি সেই যার জন্য সৃষ্টি জগতের সকল কিছুর বৈশিষ্ট রক্ষিত হয়।





সূরা আন নিসা,আয়াত ৮৫,৮৬(৪:৮৫,৮৬)



مَّن يَشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَكُن لَّهُ نَصِيبٌ مِّنْهَا وَمَن يَشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَكُن لَّهُ كِفْلٌ مِّنْهَا وَكَانَ اللَّـهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ مُّقِيتًا ﴿٨٥﴾ وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللَّـهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ মানইশফায় শাফায়াতান হাসানাতান ইয়াকুল্লাহু নাসিইবুমমিনহা ওয়ামান ইশফায় শাফায়াতান সাইয়িয়াতান ইয়াকুল্লাহু কিফলুমমিনহা ওয়াকানাল্লাহু আলা কুল্লি শাইইমমুক্বিইতা। ওয়াইযা হুই ইতুম বিতাহিইইয়াতিন ফাহাইয়ুও বিয়াহসানামিনহা আওরুদ্দুহা ইন্নাল্লাহাকানা আলা কুল্লি শাইইন হাসিব।



কাছাকাছি অর্থঃ যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৫৭) ইয়া মুক্বিতু (হে আহার্যদাতা)



আমি যা বুঝিঃ যিনি হাফিয তিনিই মুক্বিত, মুক্তাদির আবার তিনিই রাজ্জাক। তিনি আত্মা ও শিরিরের যা কিছু প্রয়োজন তাই দান করেন। একটা জেট বিমান যদি দরকার হয় যার কাছে চাবেন, একটা জুতার ফিতা যদি দরকার হয় যার কাছে চাবেন তিনিই মুক্বিত। He has made accessible to us what is necessary and what is a luxury.



৫৮) ইয়া হাসিবু (হে হিসাব গ্রহনকারী)



আমি যা বুঝিঃ যিনি আমাদের পুরষ্কারদেন, যিনি আমাদের যা প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমানে দেন, যার উপর সবাই নির্ভর করে থাকে তিনিওই হাসিবু। যিনি এই বিশাল কসমস এর প্রতিটি পরমানুর ইলেকট্রন প্রটনের হিসাব থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্রের কখন কি হবে, কখন কি হবেনা তা নির্ধারন করেন তিনিই হাসিবু। তিনিই হাসিবু যিনি আমার শরিরের বিলিয়ন বিলিয়ন কোষ কখন কি কাজ করবে তাঁর হিসাব রাখেন।





সূরা আন নিসা,আয়াত ১১০(৪:১১০)



وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّـهَ يَجِدِ اللَّـهَ غَفُورًا رَّحِيمًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়ামান ইয়ামাল সুওয়ান আওইয়াযলিম নাফসাহু স্বুমমা ইয়াসতাগফিরিল্লাহি ইয়াজিদিল্লাহা গাফুরার রাহিম।



কাছাকাছি অর্থঃ যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে

ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।




এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



৫৯) ইয়া ওয়াজিদু (হে অস্তিত্ত দানকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনিই যার প্রাচুর্য আছে, স্বাধীনতা আছে, কোন কিছুর অভাব নাই, তাঁর যা ইচ্ছা হয় তিনি তা করতে অক্ষম নন, যার জ্ঞানের বাইরে কিছু নাই, যিনি কোন কিছু অবহেলা করেন না। তিনি তার বিপরীত যে সবকিছু হারিয়েছে।



সূরা হাজ্জ,আয়াত ৬,৭(২২:৬,৭)



ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّـهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿٦﴾ وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّـهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ যালিকা বিয়ান্নাল্লাহা হুয়াল হাক্বক্বু ওয়াআন্নাহু ইউহইল মাওতা ওয়াআন্নাহু আলা কুল্লি শাইইন ক্বদিইর। ওয়াআন্নাসসায়াতা আতিয়াতুললারাইবা ফিইহা ওয়াআন্নাল্লাহা ইয়াবয়াস্বু মানফিল ক্বুবুর।



কাছাকাছি অর্থঃ এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৬০) ইয়া হাক্বু (হে চিরসত্য)



আমি যা বুঝিঃ তিনি অনড়। তিনি সার্বক্ষনিক ভাবে উপস্থিত, কখনই অদৃশ্য নন, He is the absolute. Everything that exists is from Him, and to Him is its ultimate end.



৬১) ইয়া বাইসু (হে পুনরুত্থানকারী)



আমি যা বুঝিঃ প্রকৃত পক্ষে যে পুনরুত্থান ব্যাপারটা কি তা ঠিক মত জানেন, তিনিই যানেন বাইসু মানে কি, কিন্তু আমি যত দূর বুঝি, যিনি মানুষের বা সকল কিছুর জাগ্রত মনকে (consciousness) ফিরিয়েদেন তিনিই বাইসু। প্রতিদিন আমরা ঘুম থেকে উঠি তাঁরই জন্য, যুগে যুগে নবী রাসূলদের পাঠিয়ে তিনি আমাদের জাগ্রত করেছেন, আবার আমাদের ক্ষমা করেও উনি আমাদের জাগ্রত করেন।





সূরা আল আরাফ,আয়াত ১৪৩(৭:১৪৩)



وَلَمّا جاءَ موسى لِميقاتِنا وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ قالَ رَبِّ أَرِني أَنظُر إِلَيكَ قالَ لَن تَراني وَلـكِنِ انظُر إِلَى الجَبَلِ فَإِنِ استَقَرَّ مَكانَهُ فَسَوفَ تَراني فَلَمّا تَجَلّى رَبُّهُ لِلجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا وَخَرَّ موسى صَعِقًا فَلَمّا أَفاقَ قالَ سُبحانَكَ تُبتُ إِلَيكَ وَأَنا أَوَّلُ المُؤمِنينَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়ালামমা জায়া মূসা লিমিইক্বতিনা ওয়াকাল্লামাহু রাব্বুহু ক্বলা রাব্বি আরিনি আনযুর ইলাইকা ক্বলা লানতারানি ওয়ালাকিনিনযুর ইলাল জাবালি ফাইনিস্তাক্বররামাকানাহু ফাসাওফা তারানি ফালাম্মা তাজাল্লি রাব্বুহু লিলজাবালি জায়ালাহু দাক্কান ওয়াখ্বাররা মূসা স্বইক্বান ফালামমা আফাক্ব ক্বলা সুবহানাকা তুবতু ইলাইকা ওয়াআনা আওয়ালুল মুউমিনিইন।



কাছাকাছি অর্থঃ তারপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তার পরওয়ারদেগার কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার দীদার আমাকে দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না, তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দঁড়িয়ে থাকে তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা পবিত্র, তোমার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৬২) ইয়া জালিলু (হে অত্যন্ত মর্যাদাশীল)



আমি যা বুঝিঃ তিনি সেই যিনি আদেশ নিষেধ করার যোগ্য। যিনি কাবিরু যিনি আযিমু তিনিই জালিলু। জালিলু আসলে তাঁর গুন গুলোর সমষ্টির মর্যাদার কথাই বলে।





সূরা আল ইনফিতার,আয়াত ৬(৮২:৬)



يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইয়াআইয়ুহাল ইনসানু মাগাররাকা বিরাব্বিকাল কারিইম।



কাছাকাছি অর্থঃ হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৬৩) ইয়া কারিমু (হে অনুগ্রহকারী)



আমি যা বুঝিঃ যার কাছে দুনিয়া আখিরাতের সকল ক্ষমতা তিনিই তো কারিম। ইনফ্যাক্ট মানুষের জীবনের প্রতিটা সেকেন্ড তাঁর অনুগ্রহ ছাড়া আর কিছুই না। কারিমু সেই মহান সত্ত্বা যার অনুগ্রহ তাঁর বিরুদ্ধাচরন কারিরাও ইনজয় করেন প্রতি নিয়ত।





সূরা আল বুরূজ,আয়াত ১৩,১৪,১৫(৮৫:১৩,১৪,১৫)



إِنَّهُ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيدُ ﴿١٣﴾ وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ ﴿١٤﴾ ذُو الْعَرْشِ الْمَجِيدُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইন্নাহু হুয়া ইউবদিয়ু ওয়া ইউইয়দু। ওয়াহুয়াল গাফুরুল ওয়াদুদু। যুওল আরশিল মাজিদু।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনিই প্রথমবার অস্তিত্ব দান করেন এবং পুনরায় জীবিত করেন।তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়। মহান আরশের অধিকারী।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ৪টি সিফাতঃ



৬৪) ইয়া মুবদিয়ু (হে আদি সৃষ্টিকারী)

৬৫) ইয়া মুয়িদু (হে পুনঃসৃষ্টিকারী)



আমি যা বুঝিঃ মুবদিয়ু তিনিই যিনি সব কিছুর শুরু করেছেন, মুইদু তিনিই যিনি সব কিছু শেষ হয়ে যাবার পড় পুনরায় সব কিছুর শুরু করবেন। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন যখন আমারা কিছুই ছিলাম না এবং নির্ধারন করেছেন আমাদের গন্তব্য।



৬৭) ইয়া ওয়াদুদু (হে প্রেমদানকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি আমাদের ভালোবাসেন আমারা তাঁর অনুগতই থাকি আর বিরূদ্ধাচরন কারীই হই। তিনি তাঁর ভালবাসার কোন বিনিময় চান না, না তা দেয়া সম্ভব!! তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন তাদের জ্ঞান উপহার দিয়ে। তিনি ভালোবাদেন ক্ষমাদিয়ে। তিনি ভালোবাসেন রিযিক দিয়ে আর প্রাচুর্য দিয়ে। যা কিছু ভালো তার সব কিছুই দেন যিনি তিনিই ওয়াদুদু।



৬৮) ইয়া মাজিদু (হে মহা সম্মানিত)



আমি যা বুঝিঃ যিনি তাঁর দাস দের চরম করুনা ও উদারতার পরিচয় দেন তিনিই মাজিদু, যিনি মহা ক্ষমতাবান হওয়া সত্তেও তাঁর দাশদের সকল চাহিদার খেয়াল রাখেন এবং তাদের ভালোবাসেন তিনিই মাজিদু। মাজিদু তিনিই যিনি কোন কিছু ইচ্ছা করে “হও” বললেই হয়ে যায়।





সূরা আল মায়েদা,আয়াত ১১৭(৫:১১৭)



مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّـهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ وَكُنتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَّا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنتَ أَنتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ মাক্বুলতু লাহুম ইল্লামা আমারতানিবিহি আনিইবুদুল্লাহা রাব্বি ওয়া রাব্বাকুম ওয়াকুনতু আলাইহিম শাহিদাম মাদুমতু ফিইহিম ফালামমা তাওাফফাইতানি কুনতা আনতার রাক্বিইবা আলাইহিম ওয়া আনতা আলা কুল্লি শাইইন শাহিদ।



কাছাকাছি অর্থঃ আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৬৯) ইয়া শাহিদু (হে প্রত্যক্ষকারী)



আমি যা বুঝিঃ শাহিদু তিনিই যিনি, না খালি আপনার কর্ম কাণ্ড চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করছেন বরং আপনার অন্তর কি ভাবছে তাও প্রত্যক্ষ করছেন। তিনি এমন প্রত্যক্ষকারী যার দৃষ্টির কোন সীমা নাই, তিনি চরম ক্ষুদ্র থেকে চরম বৃহৎ সব কিছু দেখেন, এবং সব কিছু সর্বদা দেখেন।



৭০) ইয়া রাক্বিবু (হে নিরীক্ষনকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনিই রাক্বিব যিনি সর্বদা উপস্থিত তাঁর জ্ঞান দ্বারা। কোন কিছুই ঘটেনা তাঁর জ্ঞানের বাইরে।





সূরা হূদ,আয়াত ৬১(১১:৬১)



وَإِلى ثَمودَ أَخاهُم صالِحًا قالَ يا قَومِ اعبُدُوا اللَّـهَ ما لَكُم مِن إِلـهٍ غَيرُهُ هُوَ أَنشَأَكُم مِنَ الأَرضِ وَاستَعمَرَكُم فيها فَاستَغفِروهُ ثُمَّ توبوا إِلَيهِ إِنَّ رَبّي قَريبٌ مُجيبٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াইলা স্বমুদা আখ্বাহুম সোলিহান ক্বলা ইয়াক্বওমিয়বুদুল্লাহা মালাকুমমিনইলাহিন গাইরুহু হুয়াআনশাআকুমমিনাল আরদ্বি ওয়াসতায়মারাকুমফিইহা ফাসতাগফিরুহু স্বুম্মা তুয়বুয় ইলাইহি ইন্নারাব্বি ক্বরিবুম মুজিইবু।



কাছাকাছি অর্থঃ আর সামুদ জাতি প্রতি তাদের ভাই সালেহ কে প্রেরণ করি; তিনি বললেন, হে আমার জাতি। আল্লাহর বন্দেগী কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন উপাস্য নাই। তিনিই যমীন হতে তোমাদেরকে পয়দা করেছেন, তন্মধ্যে তোমাদেরকে বসতি দান করেছেন। অতএব; তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর অতঃপর তাঁরই দিকে ফিরে চল আমার পালনকর্তা নিকটেই আছেন, কবুল করে থাকেন; সন্দেহ নেই।





এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭১) ইয়া মুজিবু (হে প্রত্যুত্তরদাতা)



আমি যা বুঝিঃ ইয়া মুজিবু তিনিই যিনি তাঁর সকল দাসদের তাঁকে ডাকতে বলেছেন, এবং সকল প্রার্থনারি প্রত্যুত্তর তিনি দেন, তাঁর যখন ইচ্ছা হয়, তাঁকে ডাকা হয় কিন্তু তিনি উত্তর দেন না এই রূপ কখন হয় না বা হবে না, মুজিবু উত্তর দিবেন যখন তাঁর ইচ্ছা এবং যখন এটি তাঁর দাসের জন্য সর্বত্তম।





সূরা আল বাকারা, আয়াত ২৬৮(২:২৬৮)



الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِالْفَحْشَاءِ وَاللَّـهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًا وَاللَّـهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আশশাইতানু ইয়াইদুকুমুল ফাক্বরা ওয়াইয়ামুরুকুম বিলফাহশাই ওয়াল্লাহু ইয়াইদুকুম মাগফিরাতাম মিনহু ওয়াফাদ্বলান ওয়াল্লাহু ওয়াসিয়ুন আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭২) ইয়া ওয়াসিউ (হে অসীম)



আমি যা বুঝিঃ যার কোন অভাব নাই, যিনি সব কিছুর দাতা, যিনি সকল জ্ঞানের উৎস, যিনি যা কিছু ইচ্ছা করেন তাই হয় তিনিই প্রাচুর্যময় , তাঁর প্রাচুর্যের কোন সীমা নাই , তিনি এত বড় যে অংকের হিসাবে তিনি অসীম, তিনিই ওয়াসিউ।



সূরা আল মুজাম্মিল,আয়াত ৯(৭৩:৯)



رَّبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَـهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ রাব্বুল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি লাইলাহা ইল্লাহুয়া ফাততাখ্বিযহু ওয়াকিইলা।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৩) ইয়া ওয়াকিলু (হে মহান কার্যনির্বাহী)



আমি যা বুঝিঃ সব কিছু তাঁর জ্ঞানের মধ্যে, তিনি সব কিছু পর্যবেক্ষন করেন, তিনি সব কিছুর মালিক, তিনি স্বাধীন, অভাব মুক্ত, তাঁর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয় না, তাই তিনিই ওয়াকিলু।





সূরা রাদ,আয়াত ১১(১৩:১১)



لَهُ مُعَقِّباتٌ مِن بَينِ يَدَيهِ وَمِن خَلفِهِ يَحفَظونَهُ مِن أَمرِ اللَّـهِ إِنَّ اللَّـهَ لا يُغَيِّرُ ما بِقَومٍ حَتّى يُغَيِّروا ما بِأَنفُسِهِم وَإِذا أَرادَ اللَّـهُ بِقَومٍ سوءًا فَلا مَرَدَّ لَهُ وَما لَهُم مِن دونِهِ مِن والٍ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ লাহু মুয়াক্বক্বিবাতুম মিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়ামিন খ্বালফিহি ইয়াহফাযুওনাহু মিন আমরিল্লাহি ইন্নাল্লাহা লা ইউগাইইরু মা বি ক্বাওমিন হাত্তা ইয়ুগাইইরু মা বিয়ানফুসিহিম ওয়াইযা আরাদাল্লাহু বিক্বাওমিন সুওয়ান ফালামারাদ্দালাহু ওয়ামা লাহুমমিনদুউনিহি মিন ওয়ালি।



কাছাকাছি অর্থঃ তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৪) ইয়া ওয়া’লি (হে তত্ত্বাবধায়ক)



আমি যা বুঝিঃ আল ওয়া’লি তিনিই যিনি সকল সৃষ্টির সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধান করেন।





সূরা আন নিসা,আয়াত ৪৫(৪:৪৫)



وَاللَّـهُ أَعْلَمُ بِأَعْدَائِكُمْ وَكَفَىٰ بِاللَّـهِ وَلِيًّا وَكَفَىٰ بِاللَّـهِ نَصِيرًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াল্লাহু আয়লামু বিয়ায়দাইকুম ওয়া কাফাবিল্লহি ওয়ালিইইয়ান ওয়া কাফাবিল্লাহি নাসিইরান।



কাছাকাছি অর্থঃ অথচ আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে যথার্থই জানেন। আর অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৫) ইয়া ওয়ালিইয়ু (হে প্রকৃত বন্ধু)



আমি যা বুঝিঃ ওয়ালিইয়ু তিনিই যিনি আপনার সব কিছু জানেন, আপনার ভালো-খারাপ সকল সময় আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তি থাকেন, আপনাকে ভালোবাসেন, এবং প্রকৃত ভালোর দিকে আহবান করেন।





সূরা আননাবা,আয়াত ২৯(৭৮:২৯)



وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াকুল্লা শাইইন আহস্বইনাহু কিতাবা।



কাছাকাছি অর্থঃ আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৬) ইয়া মুহস্বি (হে সবকিছুবেষ্টনকারী)



আমি যা বুঝিঃ উনি সকল সৃষ্টির সুক্ষাতি সুক্ষ বিষয়ের খেয়াল রাখেন, আমরা কি করি, কি করতে পারতাম, কি করা উচিৎ ছিল, সব কিছুর খায়াল রাখেন, এবং সহ্য করেন, কিন্তু ভুলে যান না কারন শেষ বিচারের দিন তিনিই হবেন বিচারক।





সূরা এখলাস,আয়াত ২(১১২:২)



اللَّـهُ الصَّمَدُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আল্লাহুস্ব স্বামাদ।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৭) ইয়া স্বমাদ (হে আমুখাপেক্ষী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি হচ্ছেন সব শেষ গন্তব্য, তাঁর আদেশ ছাড়া কিছুই হয় না, সকল অনির্ধারিত বিষয় তাঁর বিবেচনার জন্য অপেক্ষা করে, আর তিনিই হচ্ছেন সেই, সকল ব্যাপারে আমরা যার মুখাপেক্ষী।





সূরা আল কামার,আয়াত ৪২(৫৪:৪২)



كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كُلِّهَا فَأَخَذْنَاهُمْ أَخْذَ عَزِيزٍ مُّقْتَدِرٍ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ কাযযাবু বিয়াইয়াতিনা কুল্লিহা ফাআখ্বাযনাহুম আখ্বযা আযিযিম মুক্বতাদির।



কাছাকাছি অর্থঃ তারা আমার সকল নিদর্শনের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর আমি পরাভূতকারী, পরাক্রমশালীর ন্যায় তাদেরকে পাকড়াও করলাম।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৭৮) ইয়া মুক্বতাদির (হে ক্ষমতাশালী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি সব কিছুর নিয়ন্ত্রক, তাঁর সকল সৃষ্টিকে তিনি নিয়ন্ত্রন করেন বা কোন কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রনের বাইরে নয়। তিনি আছেন বলেই good and evil can coexist. তিনি আছেন বলেই খারাপ ভালোকে শেষ করে দেয় না।





সূরা নাহল,আয়াত ৬১(১৬:৬১)



وَلَو يُؤاخِذُ اللَّـهُ النّاسَ بِظُلمِهِم ما تَرَكَ عَلَيها مِن دابَّةٍ وَلـكِن يُؤَخِّرُهُم إِلى أَجَلٍ مُسَمًّى فَإِذا جاءَ أَجَلُهُم لا يَستَأخِرونَ ساعَةً وَلا يَستَقدِمونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়ালাও ইউয়াখ্বিযুল্লাহুননাসা বিযুলমিহিম মাতারাকা আলাইহা মিন দাব্বাতিন ওয়ালাকিন ইউয়াখ্বখ্বিরু হুম ইলা আজালিম মুসামমান ফাইযাজাআ আজালুহুম লাইয়াসতাখ্বিরুওনা সাআতান ওয়ালাইয়াসতাক্বদিমওন।



কাছাকাছি অর্থঃ যদি আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরাম্বিত করতে পারবে না।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ২টি সিফাতঃ



৭৯) ইয়া মুয়াখ্বখ্বিরু (হে পশ্চাৎবর্তিকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি পিছিয়ে দেন, তাঁর কারনেই নাস্তিকেরা নিজের ধ্বংশ কামনা করেও ধ্বংশ হতে পারে না, তাঁর কারনেই খারাপ কাজ করেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ পাওয়া যায়। আবার তিনিই আমাদের সৎ কর্মের পুরষ্কার বিলম্বিত করেন।



৮০) ইয়া মুকাদ্দিমু (হে অগ্রবর্তিকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি এগিয়ে দেন, মর্যাদা উন্নত করে দেন, যেমন সকল সৃষ্টির মধ্যে মানুষের মর্যাদা, মানুষের মধ্যে ভালোমানুষের মর্যাদা, ভালো মানুষদের মধ্যে ইমানদারদের মর্যাদা, ইমানদারদের মধ্যে নবী-রাসূলদের মর্যাদা। তিনি ইমানদারদের মনে এনে দিতে পারেন বেহেস্তের সুখ, বেহেস্তে যাবার পূর্বেই, তেমনি উল্টাটাও করেন।





সূরা আততুর,আয়াত ২৮(৫২:২৮)



إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلُ نَدْعُوهُ إِنَّهُ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيمُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইন্না কুন্না মিন ক্বাবলু নাদয়ুহু ইন্নাহু হুয়াল বাররুররাহিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আমরা পূর্বেও আল্লাহকে ডাকতাম। তিনি সৌজন্যশীল, পরম দয়ালু।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৮১) ইয়া বাররু (হে পরমউপকারী)



আমি যা বুঝিঃ সকল ভালোর মিলিত রূপ হল বাররু, দুনিয়া-আখিরাতের যত কিছু আছে যা ভালো তা যিনি দেন তিনিই বাররু।



সূরা নসর,আয়াত ৩(১১০:৩)



فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ফাসাববিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহু ইন্নাহু কানা তাওয়াবা।



কাছাকাছি অর্থঃ তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৮২) ইয়া তাওয়াবু (হে তওবাকবুলকারী)



আমি যা বুঝিঃ আপনার অপরাধ যাই হোক না কেন তিনি ক্ষমা করতে পারেন। তিনি শুধু তওবা কবুলই করেন না, বরং সঙ্গত হলে উনি পাপ গুলোকে পূন্যে রূপান্তর করে দিতে পারেন।



সূরা সেজদা,আয়াত ২২(৩২:২২)



وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنتَقِمُونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়ামান আযলামু মিমমান যুক্কিরাবিয়াইয়াতি রাব্বিহি স্বুম্মা আয়রাদ্বা আনহা ইন্না মিনাল মুজরিমিইনা মুনতাক্বিমুওন।



কাছাকাছি অর্থঃ যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৮৩) ইয়া মুনতাক্বিমু (হে শাস্তিবিধানকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি প্রতিটি পাপ কর্মের শাস্তি দেবেন, বড় থেকে বড় পাপ কিংবা ছোট থেকে ছোট। ধরেন একজন অন্যায় ভাবে ৫টা খুন করল, কোন শাস্তি বিধান কারি কিন্তু ঐ খুনিকে ৫ জনের মৃত্যুর পরিমান কষ্ট দিতে পারবেন না, কিন্তু মুনতাক্বিমু পারবেন। কারন তিনি সুক্ষাতি সুক্ষ বিষয়ের খোঁজ রাখেন। তিনি ঐ টুকুই শাস্তি দিবেন যতটুকু প্রাপ্য এক বিন্দু কমও না আবার বেশীও না।



সূরা আন নিসা,আয়াত ১৪৯(৪:১৪৯)



إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّـهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইনতুবদু খ্বাইরান আওতুখ্বফুহু আওতায়ফুও আন সুওইন ফাইন্নাল্লাহা কানা আফুওয়ুন ক্বাদির।



কাছাকাছি অর্থঃ তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



৮৪) ইয়া আফুউয়ু (হে অতি ক্ষমাশীল)



আমি যা বুঝিঃ তওবা যদি ঠিক মত কেউ করেন, আফুউয়ু না শুধু তাকে ক্ষমা করবেন বরং তার অপরাধের কোন অস্তিত্ত্বই তিনি রাখবেন না। বা প্রকৃত তওবাকারীর অপরাধ তিনি মুছে ফেলবেন। রোজ কেয়ামতের ভরা মজলিসে যেখানে দুনিয়ার আদি থেকে অন্তের সকলে উপস্থিত থাকবেন এবং এর পর যাদের সাথে আপনি থাকবেন চিরকাল, তাদের সামনে বা আল্লাহ এবং সকল নবী রাসূল গনের সামনে আপনার অনেক ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র দোষের আলোচনাও আপনার জন্য চির লজ্জার কারন হতে পারে।





সূরা হাশর, আয়াত ১০(৫৯:১০)



وَالَّذِينَ جَاءُوا مِن بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াল্লাযিইনা জায়ুও মিম বায়দিহিম ইয়াক্বাওলুওনা রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখ্ব্বওয়ানিনাল্লাযিইনা সাবাক্বুওনা বিলইইমানি ওয়ালাতাজয়ালফিক্বুলুওবিনা গিললাললিললাযিইনা আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আর এই সম্পদ তাদের জন্যে, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৮৫) ইয়া রাউফু (হে অতি স্নেহশীল)



আমি যা বুঝিঃ চিন্তা করুনতো এমন কেউ কি আছেন যিনি আপনার প্রতি আপনার মায়েরচেয়ে স্নেহশীল। খুবি difficult or impossible এই রকম কাউকে খুজে বের করা!! রাউফু তিনিই যিনি আপনার প্রতি আপনার মায়েরচেয়ে স্নেহশীল।





সূরা আর রাহমান,আয়াত ২৭(৫৫:২৭)



وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়া ইয়াবক্বও ওয়াজহু রাব্বিকা যুলজালালিওয়ালইকরাম।



কাছাকাছি অর্থঃ একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



৮৬) ইয়া বাক্বিয়ু (হে চিরন্তন)



আমি যা বুঝিঃ তিনি সময় শুরুর আগে বিদ্যমান ছিলেন, সময়ের শেষেও তিনি থাকবেন। He is ever-Present, perpetual, eternal, and endless



৮৭) ইয়া যুলজালালিওয়ালইকরাম (হে প্রতাপশীল গৌরব ও মহত্ত্বের অধিকারী)



আমি যা বুঝিঃ বলা হয়ে থাকে এটি আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলোর মহানতম গুলোর একটি। এই নামে আল্লাহের গৌরব, সৌন্দর্য আর মহানতার কম্বিনেশন আছে। এই নাম বুঝবার কাছা কাছিও আমি পৌছাইনি, বলা হয়ে থাকে যে, no servant of Allah can achieve knowledge except if he becomes familiar with “যুলজালালিওয়ালইকরাম”





সূরা আলে ইমরান,আয়াত ১৮(৩:১৮)



شَهِدَ اللَّـهُ أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ শাহিদাল্লাহু আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া ওয়ালমালাইকাতু ওয়াউলুলইলমি ক্বাইমা বিলক্বিসতি লাইলাহা ইল্লা হুয়াল আযিযুল হাকিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



৮৮) ইয়া মুক্বসিতু (হে ন্যায় বিচারক)



আমি যা বুঝিঃ মুক্বসিতু তিনিই যিনি তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির সাথে ইনসাফ করেতে পারেন, আর ইনসাফ তিনিই করতে পারেন যিনি তাঁর সকল বিবেচনায় নিরপেক্ষতা সচ্ছতা ন্যায্যতা ন্যায় সাম্যতা বিধান করতে পারেন। আমিতো চিন্তাই করতে পারিনা how it is possible. পক্ষ পাত দুষ্ট হবার দোষ আমার আছে, আল্লাহের এই সিফাত বুঝবার জন্য হয়ত খুবি পরিস্কার কলবের কোন মানুষ প্রয়োজন। চিন্তা করেন, বাঘ হরিন বা তার বাচ্চাকে খাবে, কারন এটাই তার খাবার এখানে বাঘকে যদি ইনসাফ করতে হয়, হরিন বা তার মাকে কি ভাবে ইনসাফ করবেন??? আপনি হয়ত পারবেন না, কিন্তু মুক্বসিতু পারবেন।





সূরা আনআম,আয়াত ১৭(৬:১৭)



وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّـهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِن يَمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়াইন ইয়ামসাসকাল্লাহু বিদ্বুররিন ফালা কাশিফালাহু ইল্লা হুয়া ওয়াইন ইয়ামসাসকা বিখ্বাইরিন ফাহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বদির।



কাছাকাছি অর্থঃ আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবে তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৮৯) ইয়া দ্বাররু (হে ক্ষতিকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি যাকে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা ক্ষতি করতে পারেন, তিনি বান্দাদের কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করে তার মর্যাদাও বৃদ্ধি করেন, তিনি যে ক্ষতি শুরু করেন তা যখন ইচ্ছা রোহিত করতে পারেন। তিনি দুনিয়ার ক্ষতি দিয়ে আখিরাতের ক্ষতি কমাতে পারেন। এই অর্থে তাঁর ক্ষতির অর্থ হয় সম্পূর্ন বিপরিত।





সূরা আররূম,আয়াত ৩৭(৩০:৩৭)



أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللَّـهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লাহা ইয়াবসুতুররিযক্বা লিমান ইয়াশাউ ওয়াইয়াক্বদিরু ইননাফিই যালিকা লাআইয়াতিল লিক্বাওমিন ইউমিনুওন।



কাছাকাছি অর্থঃ তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের কিছু সিফাতঃ



৯০) ইয়া নাফিউ (হে উপকারকরারমালিক)



আমি যা বুঝিঃ উনি সমস্ত উপকার, উপকারি বস্তু, উপকারি জ্ঞান তাঁর সৃষ্টিকে দান করেন, এবং আমাদের শেখান কিভাবে তাঁর সৃষ্টি থেকে উপকার নিতে হবে। He is the one who causes all the benefits and harm. একটা হাদিস যা দ্বাররু আর নাফিউ সিফাত গুলো বুঝতে সাহায্য করতে পারেঃ Prophet Moses once complained to his Lord about a tooth-ache, so the Almighty instructed him to apply a certain type of herb on the area of his pain, which he did, and the aching stopped. A few days later, the same pain came back to him, so he went and took the same herb and applied it, but this time his pain intensified many times more. He complained to Allah saying, "Lord! Did You not order me to apply this type of herb and tell me where I could find it?" The Almighty inspired him, "O Moses! I am the One Who heals and Who grants good health; I am the One Who causes harm and Who benefits. You came to Me the first time, so I removed the cause of your ailment, whereas this time you went to the plant (on their own) instead and did not come to Me."





সূরা হাজ্জ,আয়াত ৫৪(২২:৫৪)



وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَيُؤْمِنُوا بِهِ فَتُخْبِتَ لَهُ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ اللَّـهَ لَهَادِ الَّذِينَ آمَنُوا إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়ালিইয়ালামাললাযিইনা উওতুলইলমা আন্নাহুল হাক্বক্বু মিররাব্বিকা ফাইউমিনুবিহি ফাতুখ্ববিতালাহু ক্বুলুবুহুম ওয়াইন্নাল্লাহা লাহাদিল্লাযিইনা আমানু ইলা সিরাতিমমুস্তাক্বিম।



কাছাকাছি অর্থঃ এবং এ কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞানদান করা হয়েছে; তারা যেন জানে যে এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাস স্তাপন করে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি বিজয়ী হয়। আল্লাহই বিশ্বাস স্থাপনকারীকে সরল পথ প্রদর্শন করেন।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯১) ইয়া হাদিয়ু (হে পথ প্রদর্শক)



আমি যা বুঝিঃ সকল সৃষ্টিকে যার যার নিজের পথ দেখান, একটা শিশুকে শেখান কিভাবে মায়ের স্তন থেকে পান করতে হবে, মৌমাছিকে শেখান কিভাবে মধু সংগ্রহ করতে হবে আর ষষ্ঠভুজ আকৃতি্র মৌচাক বানাতে হবে, ইত্যাদি সকল সৃষ্টিকে ঐ সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য যে পথে যাওয়া প্রয়োজন সেই পথের প্রদর্শক হচ্ছেন হাদিয়ু, এমন কি তিনি পাপিকে ক্ষমা ও প্রায়সচিত্ত্যের পথ দেখান।



সূরা আল বাকারা, আয়াত ১১৭(২:১১৭)



بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضَىٰ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُن فَيَكُونُ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ বাদিইয়ুস সামাওয়াতি ওয়ালয়ারদ্বি ওয়াইযা ক্বাদ্বা আমরান ফাইন্নামা ইয়াক্বুওলু লাহু কুন ফাইয়াকুওন।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উদ্ভাবক। যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, হয়ে যাও, তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।



এই আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯২) ইয়া বাদিয়ু (হে বিনা নমুনাতে সৃষ্টিকারী)



আমি যা বুঝিঃ বিগ ব্যাং কে যদি সত্য ধরে নেই, তাহলে সহজেই বুঝা যায়, ব্যাং এর আগের সেকেন্ডেও কোন সৃষ্টিই ছিল না বা তাদের কোন নমুনা। এখনও আমরা যতদূর জানি সমস্ত ইউনিভার্সের সব কিছুর ক্ষুদ্রাংশে যে জিনিস গুলো আছে(ইলেক্ট্রন, প্রটন, নিউট্রন, ফোটন, বোসন, পজিট্রন...।) তা সবই কমন, কিন্তু সৃষ্টির কি ভিন্নতা!!! নামুনা বিহীন ভাবে যিনি সৃষ্টি করতে পারেন, এক মাত্র তাঁর দ্বারাই সম্ভব এই রূপ সৃষ্টি যজ্ঞ। অথচ মানুষতো বিনা নমুনাতে কিছু সৃষ্টিই করেতে পারে না। মানুষের তৈরি বস্তুর ইনস্পিরেশন মিলে হয় প্রাকৃতিক কিছু থেকে অথবা মানুষেরই কোন পুরাতন সৃষ্টি থেকে।



সূরা হিজর,আয়াত ২৩(১৫:২৩)



وَإِنّا لَنَحنُ نُحيي وَنُميتُ وَنَحنُ الوارِثونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ওয়া ইন্না লানাহনু নুহই ওয়ানুমিইতু

ওয়ানাহনুল ওয়ারিস্বুওন।




কাছাকাছি অর্থঃ আমিই জীবনদান করি, মৃত্যুদান করি এবং আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯৩) ইয়া ওয়ারিস্বু (হে সকলের উত্তরাধিকারী)



আমি যা বুঝিঃ সব মানুষের মৃত্যু হয়ে যাবার পরও তিনি থাকবেন, তাই তিনিই সকলের উত্তরাধিকারী।





সূরা আল বাকারা,আয়াত ২৫৬ (২:২৫৬)



لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَن يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللَّـهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىٰ لَا انفِصَامَ لَهَا وَاللَّـهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ লা ইকরাহা ফিদদিইনি ক্বাত্তাবাইয়ানাররুশদু মিনাল গাইয়ি ফামান ইয়াকফুর বিততোগুওতি ওয়াইউমিন বিল্লাহি ফাক্বদিসতামসাকা বিলয়ুরওয়াতিল উস্বক্বলান ফিস্বমালাহা ওয়াল্লাহু সামিইউন আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী তাগুতদেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯৪) ইয়া রাশিদু (হে সঠিক পথ প্রদর্শনকারী)



আমি যা বুঝিঃ যার ব্যাবস্থাপনায় কোন খুত নাই, যার নিরীক্ষণে কোন ভূল নাই, যার আনুগত্য, দয়া বা ইচ্ছা ব্যাতিরেকে সঠিক পথ পাওয়া যায়না তিনিই হচ্ছেন রাশিদু।





সূরা আলে ইমরান, আয়াত ২০০ (৩:২০০)



يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّـهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইয়া আইয়ুহাললাযিনা আমানুস্ববিরু ওয়াস্বাবিরু ওয়ারাবিতু ওয়াততাক্বুল্লাহা লা আল্লাকুম তুফলিহুওন।



কাছাকাছি অর্থঃ হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯৫) ইয়া সাবুরু (হে অতি ধৈর্যশীল)



আমি যা বুঝিঃ তিনি রাজাদের রাজা, সবচেয়ে ক্ষমতা দর, ক্ষতিকারী হয়েও তাঁর বিরূদ্ধাচরন কারীদের যখন তখন ধ্বংশ করে দেন না। চিন্তা করেন একজন ধনীর যদি ১০০ জন কর্মচারী থাকে তার মধ্যে ৫ জনও যদি তার বিরূদ্ধে অযোচিত মিথ্যা বলেন, এবং সাথে সাথেই তিনি তা জানতে পারেন তবে ধরেই নেয়া যায় ঐ ৫ জন কোন না কোন ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আর সাবুরু অমুখাপেক্ষি অভাবহীন সর্ব শ্রোতা সর্ব দ্রোষ্টা সকল ক্ষমতার মালিক হয়েও তাঁর বিরূদ্ধাচরন কারীদের যখন তখন ধ্বংশ করে দেন না।





সূরা আল ওয়াক্বিয়া,আয়াত ৩(৫৬:৩)



خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ খ্বাফিদ্বাতুর রাফিয়াত।



কাছাকাছি অর্থঃ এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।



এই আয়াতে ব্যাবহৃত হয়েছে এমন আল্লাহের ১টা সিফাতঃ



৯৬) ইয়া খ্বাফিদ্বু (হে অবনতকারী)



আমি যা বুঝিঃ নিচু করে দেন যিনি, সব কিছুতেই নিচু করে দিতে পারেন যিনি, ধন-সম্পদে নিচু, জ্ঞানে নিচু, চিন্তায় নিচু, শান্তিতে নিচু, ভালোবাসায় নিচু, মর্যাদায় নিচু, উঁচু স্থানকে নিচু, যাবতিয় যত উচ্চতা সম্ভব সব কিছুকেই নিচু করেদেন যিনি তিনিই খ্বাফিদু।



সূরা আততওবাহ,আয়াত ২৮(৯:২৮)



يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنوا إِنَّمَا المُشرِكونَ نَجَسٌ فَلا يَقرَبُوا المَسجِدَ الحَرامَ بَعدَ عامِهِم هـذا وَإِن خِفتُم عَيلَةً فَسَوفَ يُغنيكُمُ اللَّـهُ مِن فَضلِهِ إِن شاءَ إِنَّ اللَّـهَ عَليمٌ حَكيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ইয়া আইয়ুহাল্লাযিনা আমানু ইন্নামাল মুশরিকুনা নাজাসুন ফালাইয়াক্বরাবুল মাসজিদাল হারামা বায়দা আমিহিম হাযা ওয়াইন খ্বিফতুম আইলাতান ফাসাওফা ইউগনিইকুমুল্লাহু মিন ফাদ্বলিহি ইন শাআ ইন্নাল্লাহা আলিইমুন হাকিম।



কাছাকাছি অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯৭) ইয়া মুগনিউ (হে সম্পদদানকারী)



আমি যা বুঝিঃ যিনি সকল সম্পদের মালিক , যিনি সব কিছুর মালিক তিনিই তো মুগনিউ। তাঁর সৃষ্টিকে সম্পদ দানের কারনে তাঁর কোন অভাব হয় না, তিনি সবাই কে সব কিছুদিয়েও অভাব মুক্ত।





সূরা আল মূলক,আয়াত ২১(৬৭:২১)



أَمَّنْ هَـذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আমমান হাযাল্লাযি ইয়ারযুক্বুকুম ইন আমসাকা রিযক্বাহু বাল্লাজজু ফি উতুউই ওয়ানুফুর।



কাছাকাছি অর্থঃ তিনি যদি রিযিক বন্ধ করে দেন, তবে কে আছে, যে তোমাদেরকে রিযিক দিবে বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টা সিফাতঃ



৯৮) ইয়া মানিউ (হে বাধাদানকারী)



আমি যা বুঝিঃ তিনি যে কোন কিছুতেই বাধা দিতে পারেন। তিনি তাঁর দাসদের রক্ষা করার জন্য বাধাদেন, তিনি তাঁর দাসদের বাধাদেন অনেক সময় যখন তিনি চান না যে আর দাসরা কোন একটা নির্দিষ্ট কাজ করুক। তিনি নক্ষত্রকে ব্ল্যাক হোল হতে বাধাদেন যতক্ষন পর্যন্ত না তিনি চান যে তা ব্ল্যাক হোল হউক।





সূরা আননূর,আয়াত ৩৫(২৪:৩৫)



اللَّـهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ نُّورٌ عَلَى نُورٍ يَهْدِي اللَّـهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ وَيَضْرِبُ اللَّـهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ وَاللَّـهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ



কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ আল্লাহু নূরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি মাস্বালু নূরিহি কামিশ কাতিন ফিইহা মিস্ববাহুল মিস্ববাহু ফি যুজাজাতিযযুজাজাতু কাআন্নাহা কাওকাবুন দুররিইয়ুন ইউ ক্বাদু মিন শজারাতিম মুবারাকাতিন যাইতুওনাতিললা শারক্বিইয়াতিন ওয়ালা গারবিইয়াতিন ইয়াকাদু যাইতুহা ইউদ্বিয়ু ওয়ালাওলাম তামসাসহু নারুননূরুন আলা নূরিন ইয়াহদিল্লাহু লিনূরিহি মান ইয়াশাউ ওয়াইয়াদ্বরিবুল্লাহুল আমস্বলা লিননাসি ওয়াল্লাহু বিকুল্লি শাইইন আলিম।



কাছাকাছি অর্থঃ আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।



এই আয়াত থেকে পাওয়া যায় এমন আল্লাহের ১টি সিফাতঃ



৯৯) ইয়া নূরু (হে জ্যোতি)



আমি যা বুঝিঃ আমি আলো পর্যন্তই বুঝি, বলতে গেলে এই নাম বুঝবার মত জ্ঞান আমার এখনও নাই, এইটুকু বুঝি যে নূরু আমাদের চিরচেনা সাধারন কোন আলো নয়। সূরা নূরের ৩৫নং আয়াত বুঝবার অনেক চেষ্টা করেছি , পারি নাই, নূরু একদিন হয়ত তৌফিক দিবেন, ইনশাল্লাহ।



এখন এই গুনবাচক নাম গুলোর মধ্যে কোনটা আপনার মানবিক মনে হল??? আমার একটাও মনে হয়নি। হ্যাঁ তিনি আমাদের যখন সৃষ্টি করেছেন তাঁর কিছু গুনের ছিটা-ফোটা আমাদের সমস্ত সৃষ্টিকে এবং মানুষকে দিয়েছেন, কারন আমরা তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্ট হয়েছি। আবার তাঁর কোন কোন গুন(রহমানু, রাহিমু, সাবুরু,গাফুরু, ইত্যাদি ...।) উনি আমাদের বেশী বেশী চর্চা করতে বলেছেন, বা নিজেদের মধ্যে ধারন করার চেষ্টা করতে বলেছেন, তাঁর মানে কিন্তু এই না যে আমার গুন আল্লাহ নিয়েছেন।





আবার ধরেন মানুষের একটা গুনবাচক নাম যদি চলনশীল হয়, তাহলে মানুষের তৈরি একটা রিক্সাও চলনশীল, এখন রিক্সা বা বাস সম্প্রদায় যদি মানুষকে অস্বীকার করা শুরু করে তাহলে কেমন হবে বলেন????





তর্ক করার জন্য অনেক আলতু ফালতু কথা বলা যায় বা কল্পনা করে যায়। কিন্তু সত্যের রিয়ালাইজেসন সবারই হবে, একদিন। যেমন ধরেন ইয়া হাইয়ু, ইয়া কাইয়ুমু, ইয়া আউয়ালু, ইয়া আখিরু, ইয়া বাক্বিয়ু ইত্যাদি নাম গুলো কোন মানুষের বা কোন সৃষ্টির গুন কখনই হতে পারে না। এখন আপনি ভুল করে কোন কিছুর নাম যদিদেন শিখা চিরন্তন বা ভুল করে যদি বলেন অমুকদেশ চিরজীবী হোক তাহলেতো আর কিছু বলার নাই। এগুলোতো আর ইসলামের ভুল না।





আবার যেমন ধরেন আমাদের অনেক গুন আল্লাহের নাই, যেমন আমাদের তৈরি বাস বা রিক্সার অনেক গুন আমাদের নাই। যেমন উনি সন্তান গ্রহন করেন না, উনি মিথ্যা বলেন না, উনার কিছু খেতে হয় না, উনি অন্যায় কারি হতে পারেন না এই সব গুলোই আমরা পারি।



এই পোস্টটা সিরিয়াসলি নিবেন না, আশা করি আপনি নিজে স্টাডি করলে এরচেয়ে ভালো মত বুঝতে পারবেন। আমি মোটেও জ্ঞানী না। তাই কোন কিছু ভুল দেখলে তা অবশ্যই বিজ্ঞ কারো কাছে যাচাই করে নিবেন।







**************************************************



আল্লাহের সকল অসুস্থ বান্দা বান্দীর জন্য, আপনারা দুয়া করবেন।





**************************************************



আমার আরেকটা লেখা আমার "আবু লাহাব" প্রেম



আল্লাহহাফেজ!!!



আসসালামুয়ালাইকুম !! !

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুন্দর আর পরিশ্রমী পোস্ট । আপনার ছোট বোনের জন্য শুভ কামনা । তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ ! অনেক অনেক ধন্যবাদ

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

গ্রীনলাভার বলেছেন: তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

আস্‌সালামুআলাইকুম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!! ওয়ালাইকুমাসসালাম !!

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

বেলা শেষে বলেছেন: Assalamualikum, 1: let her to good treatment.

2.Thenkyou very much for good & valuable writing.

3.Ading for good place:



﴿ أَمَّنۡ هُوَ قَٰنِتٌ ءَانَآءَ ٱلَّيۡلِ سَاجِدٗا وَقَآئِمٗا يَحۡذَرُ ٱلۡأٓخِرَةَ وَيَرۡجُواْ رَحۡمَةَ رَبِّهِۦۗ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ﴾ [الزمر: ٩]

“যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, আখেরাতের আশংকা রাখে এবং তার রবের রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান যে এরূপ করে না? বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না উভয় কি সমান হতে পারে?” [সূরা যুমার, আয়াত:৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:

﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ﴾ [المجادلة: ١١]

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন”। [সূরা মুজাদালাহ্‌, আয়াত :১০]

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

তবে মন্তব্যের অনেক অংশ বুঝি নাই,

আসসালামুয়ালাইকুম

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

লাবনী আক্তার বলেছেন: মাশআল্লাহ ! এতো সুন্দর একটা পোস্ট। প্রিয়েতে নিলাম সবার আগে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক এবং আপনার বোনের সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

এইবার আবার পড়তে যাই:)


আপনার কষ্টকে আল্রাহ কবুল করুন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!! অনেক ধন্যবাদ !!

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০

শাহরিয়ার26 বলেছেন: অনেক কিছুই জেনেছি ধন্যবাদ ভাই

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পড়ার জন্য

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

শাহরিয়ার26 বলেছেন: মেনশান নট।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঠিক আছে !!!

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট , ধিরে ধিরে পড়ব !! :) :) :) :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঠিক আছে !!!

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ধন্যবাদ!
এতো বড় লিখা পর্ব আকারে দিলে আরও ভালো হতো!
জাযাকাল্লাহু খয়রান!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!!

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ভালই লাগল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !!!

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। কুবই সুন্দর পোস্ট ভাই।প্রিয়তে রাখলাম।
নিস্চই আল্লাহপাক উ্ত্তম প্রতিদান দিবেন।

মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে বোনের এবং আপনার পরিবারের জন্য সকল মজ্ঞল কামনা করছি।আমিন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

আশা করি পোষ্টটা কাজে লাগবে, আশা করি সেয়ার করবেন

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: ভাই , চমৎকার একটা পোষ্ট , প্রিয় তে নিয়ে ৪ দিনে পড়লাম , আমার ফেস বুক নাই তাই সেয়ার করতে পারি নাই , আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :) :) :)

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

ঘর জামাই বলেছেন: আপনি অনেক কষ্ট করে পোস্টটি লিখেছেন আর সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ । অনেক তথ্যবহুল বিধায় প্রিয়তে নিলাম । আপনার ছোটবোনের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো । আল্লাহ যেন তাকে রোগমুক্ত করেন ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আশা করি শেয়ার করবেন :) :) :)

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অত্যন্ত চমৎকার ও শ্রমসাধ্য একটা পোস্ট।খুব চমৎকার।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছোটবোন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এ দোয়া করি ||

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আশা করি শেয়ার করবেন :) :) :)

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

Sumon Mahmud বলেছেন: অনেক জায়গাতে দেখি "ইয়া" এর জায়গাতে "আল" লেখা হয় যেমন: আল জব্বার, আল আজিজ এরকম। দুটির পার্থক্য সম্পর্কে কিছু জানালে উপকৃত হতাম।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমি ব্যাপারটা পরিষ্কার জানি না, কিন্তু খুব সম্ভবত ইয়া যোগ করতে হবে যখন তাকে আপনি ডাকবেন , যেমন ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুমু আর সাধারন ভাবে সব নামের আগেই আল বা আর ইত্যাদি থাকবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আশা করি শেয়ার করবেন :) :) :)

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন:
আপনার বোনের সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেন।


অনেক তথ্যবহুল বিধায় প্রিয়তে নিলাম । :D :D :D

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

ভুং ভাং বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট।প্রিয়তে নিলাম ।আল্লাহ আপনার ছোটবোন অতি দ্রুত সুস্থ করে দিক

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

পারলে শেয়ার করবেন!

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

সবুজ সাথী বলেছেন:
চমৎকার, মুদ্‌দাকির ভাইয়ের পোস্ট মানেই ...... :)

যাযাকাল্লাহ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !! :)

শেয়ার করবেন আশা করি।

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্‍কার পোষ্ট ।
প্লাস প্লাস

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !! অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!! :) :)

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

সত্যের সন্ধানী এক যুবক বলেছেন: সমস্ত প্রশংসা মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার।

আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার। আপনার সুন্দর এই উত্তম প্রচেষ্ঠার জন্য মহান প্রভু আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন আপনার বোন কে আরোগ্য দান করেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শেয়ার করবেন আশা করি।

২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নাছির84 বলেছেন: দুর্দান্ত একটা পোষ্ট। অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ ভাই।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: শেয়ার করবেন আশাকরি

আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!

২২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

না পারভীন বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট । ব্যাপক পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট । আল্লাহ আপনাকে ও আপনার পরিবারকে এর জন্য উত্তম প্রতিদান দিন এই প্রার্থনা রইল । প্রিয়তে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক পরিশ্রম করেছি বলা ঠিক হবেনা, কারন নিজের জন্যই স্টাডি করা দরকার ছিল। তবে হাঁ বছরের অধিক সময় লেগেছে, করি করছি টাইপের আলসেমির কারনে!!!

আসলে কি, ভেবে ছিলাম অনেকে অনেক ভুল ধরাবে বা আমি যে ভাবে বুঝলাম তার ভিন্ন অন্য কোন কিছু বলবে, কিন্তু কেউ কিছুই বলল না। :( :(

তবে এই পোষ্ট আমাকে অনেক অনেক অনেক কিছু শিখিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!!!!

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আপনাকে আরো সুন্দর সুন্দর উচ্ছল পোষ্টের আগাম শুভকামনা!!

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এটা কি আপনি নিজে লিখেছেন, নাকি ওহী হিসেবে পাবার পর, কপি-পেস্ট করেছেন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
B:-) B:-) B:-)
"রাব্বি আয়ুযুবিকা মিন হামাযাতিসসাইয়াতিন ওয়া আয়ুযুবিকা রাব্বি আন ইয়াহদুরুওনি" :D :D :D

২৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩

না পারভীন বলেছেন: বাহ , একবছরের বেশি সময় ধরে স্টাডি করে লিখা পোস্ট আসলেই ভাল হয়েছে । আর মানুষ দু একজন এদিক ওদিক কথা বলবেই , এগুলিতে রেগে গেলে হবেনা ।
আবু লাহাবের পোস্ট আমি পড়েছি । আমি তিন বছর ধরে ভাবছি আবু লাহাবের উপর লিখবো , কিন্তু অনেক কিছু করা হয়েছে সেই পোস্ট আর লিখা হয়না ।
আমার পোস্ট কে উচ্ছল বলার জন্য অত্যন্ত প্রীত হলাম । :) আপনার ফেইস বুক নাই ?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আমার আবু লাহাব পোষ্ট ইন্সটেন্টলি লেখা একটা পোষ্ট। মনটা আসলেই খারাপ ছিল তারপর লিখে ফেললাম। পরে দেখলাম আল্লাহের রহমতে অনেকেই পছন্দ করেছিল। যাই হোক আপনার আবুলাহাব পোষ্টের অপেক্ষায় থাকব। লিখে ফেলেন।

না আমি ফেসবুকিং করিনা। ফেস বুকে সামুর পাঠকরাই ভরসা, কারো কোন পোষ্ট ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করেন, আপনিও ইচ্ছা হলে লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। :) :) :)

আর আমি কিছু মনে করিনা!!! ইসলাম বিরোধিদের আমার পোষ্টে স্বাগতম :) :) :) কিন্তু খেয়েল করলে দেখবেন তাদের মন্তব্য আমার পোষ্টে খুবি কম, নাই বললেই চলে।

আসসালামুয়ালাইকুম

২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই সুন্দর লাগলো। আপনার কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনি কুর'আন ও সুন্না নিয়ে ধারাবাহিক পোষ্ট দিবেন। অথবা ইসলামের মৌলিক বিষয় ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে নিয়মিত হবেন।


আল্লাহ আপনার সহায় হ'ন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম, আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার অনুরোধ অনেক ওজন দার, আর আমার জ্ঞান খুবই হালকা, তবে আমি আমার সাধ্যের মধ্যে থাকার চেষ্টা করি, আল্লাহের কাছে দুয়া করবেন যেন তিনি আমার অলসতার ঔষধ দেন, আর জীবনের অন্য সকল বিষয়েই যেন সাহায্য করেন।

আপনাকে আবারো অনুরোধ থাকল, আমার অন্য লেখা গুলো পড়ার, পারলে লিঙ্ক শেয়ার করুন।

২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫০

রাসেলহাসান বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলোর আসলেই কোন তুলনা হয়না!! প্রিয় তে নিচ্ছি।
"আল্লাহ" আপনার মঙ্গল করুক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: তুলনা হয়না আপনাদের, যারা আমার পোষ্ট গুলো পছন্দ করেন আর মন্তব্য করেন !!! এগুলো ভালো লাগার মত মন আল্লাহ আপনাদের দিয়েছেন তার তুলনা হয়না, যাই হোক ভালো থালবেন।

আর দেখুনতো পোষ্ট টা আবার, আরবীতে আয়াত গুলো যোগ করলাম, কেমন হল ???!!!

এই কালই আরবী কুরয়ানের আয়াত গুলো কপি -পেষ্ট করা শিখলাম, আর আজ সময় পেয়েই করে ফেললাম!!! কোন ভুল থাকলে বা মতা মতের দৈততা থাকলে জানাবেন!!

২৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৫

রাসেলহাসান বলেছেন: কাছাকাছি বাংলাউচ্চারনঃ ক্বুলিল্লাহুমমা মালিকালমুলকি তুয়তিলমুলকা মানতাশায়ু ওয়াতানযিউল মুলকা মিম মানতাশায়ু ওয়াতুইযযু মানতাশাউ ওয়াতুযিল্লু মানতাশায়ু বিইয়াদিকাল খ্বাইরু ইন্নাকা আলা কুল্লিশাইইন ক্বাদির।

ক্বুলিল্লাহুমমা মালিকালমুলকি তুএতিলমুলকা মানতাশায়ু ওয়াতানযিউল মুলকা মিম মাংতাশায়ু ওয়াতুইযযু মানতাশাউ ওয়াতুযিল্লু মানতাশায়ু বিইয়াদিকাল খ্বাইরু ইন্নাকা আলা কুল্লিশাইইন ক্বাদির।

(যেহেতু "হামজাহ" উচ্চারন স্পষ্ট হবে এজন্য "য়" এর জায়গায় "এ" যোগ করে দিলে ভালো হবে। "মানতাশা" না দিয়ে "মাংতাশা" দিলে উচ্চরন ঠিক থাকে। যেহেতু এখানে "ইখফা" আছে।

আরো কিছু কিছু আয়াতে "عِ" উচ্চরনের জায়গাতেও "য়" পড়ে গেছে। এখানে "আ" করলেও হতে পারতো। এরকম অনেক জায়গাতে ছোট ছোট কিছু ভুল আছে বাংলা উচ্চরনে। এদিকে একটু নজর দিলে ফুল ওকে।

যাই হোক আদারওইজ খুব ভালো হয়েছে।।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনি আসলেই ঠিক ব্যাপারটাতেই হাত দিয়েছেন, বাঙ্গলা অক্ষরে আরবী উচ্চারন লিখে কোন ভাবেই সন্তুষ্ট হওয়া যায় না!!! :( :( :(

এজন্যই শেষ পর্যন্ত আরবী যোগ করার অপেক্ষাতেই ছিলাম!! আল্লাহ শেষ পর্যন্ত মিলিয়ে দিলেন, যদিও এত দিনে অনেকেই পড়ে ফেলেছেন!!!

আসসালামুয়ালাইকুম !!

২৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

এম এ কাশেম বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট,
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা,
আর ও পোস্ট চাইকিন্তু,

ছোট বোনের জন্য অনেক দোয়া-
আল্লাহ যেন শেফায়ে কামেলা আজেলা দান করেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ!!! চেষ্টা করে যাব, ইনশাল্লাহ!!

২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০২

রওনক বলেছেন: ভাই সালাম নেন। ভাল আছেন?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি !! আপনি কেমন আছেন?? আপনিও আমার সালাম নিবেন

৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

saamok বলেছেন: সূরা আলে ইমরান,আয়াত ২৭, আমি রাতকে দিন করি এবং দিনকে করি রাত, জিবীতকে করি মৃত এবং মৃতকে করি জিবীত ও জাকে খুশি দান করি বেহিসাব রিজিক। .... অনুবাদটি একেবারে কোরানুল করিমের আয়াতের হুবহু হয়নি তবে মূল ভাবটি তুলে ধরেছি। ২৬ নাম্বার আয়াতটিতে যেমনি গুনগত পরিচয় তেমনি এই ২৭ নাম্বার আয়াতটিতেও তার গুনগত পরিচয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আয়াত দুটি সব সময় পড়া উচিৎ !!

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ !!

৩১| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:





+++++++

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !! :)

৩২| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এই পোষ্টের শেষ দিকে সবাইকে আমার আসুস্থ ছোটবোনের জন্য দুয়া করার অনুরোধ করে ছিলাম, ওর ইন্তেকাল হয়ে গেছে " ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন ", সবার কাছে আবারো অনুরোধ থাকবে ওর নাযাত আর মাগফিরাতের দুয়া করার জন্য।

আল্লাহ যেন ওকে জান্নাতুল ফিরদৌসে ঠিকানা করে দেন।
(আমিন)

১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
যেই দিন আমি একা হয়ে গেলাম।

তারিখটা ছিল ১০-০৬-২০১৪ , ১১ই শাবান ।

আল্লাহ যেন ওকে জান্নাতুল ফিরদৌসে ঠিকানা করে দেন।
(আমিন)

৩৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

লাবনী আক্তার বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন


আপনার বোনের মৃত্যু সংবাদ শুনে খুব খারাপ লাগছে। ডিসেম্বর এ জেনেছিলাম আপনার বোন অসুস্থ। ৬ মাসের মাথায় চলে গেলেন। আপনার বোনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।


সংবাদ টা দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।



২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক কিছুই করছি, অবসর পেলেই ব্লগে আসছি, কুরয়ান পড়ছি রিকভার করতে পারছি না!!

আপা ধন্যবাদ, ওর মাগফিরাতের জন্য দুয়া করবেন !!

৩৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: ++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ধন্যবাদ !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.