নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুদ্দাকির (চিন্তাশীল/যে মনে রেখেছে)

মুদ্‌দাকির

"আমি বামের ডানে, আবার ডানেরও ডানে, আমি ডানের এত ডানে যে বাম আমার থেকে দূরে না! এজন্যই জীবন চক্রে আমি মধ্যবর্তি!" "just because i appreciate you, doesn't mean i am a great fan of yours" "স্বিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি স্বিবগাতান ওয়া নাহনু লা--হু-- আ-বিদুওন " "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" "কাদিয়ানী মিথ্যাবাদিরা আমার প্রকাশ্য শত্রু !!!"

মুদ্‌দাকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূহ কি? আমরা কি জানি?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

রূহ কি ?


অন্য আরেকটা ব্যাপার নিয়ে একটু স্টাডি করছিলাম, রূহ এর কনসেপ্ট নিয়ে কনফিউসান হল। মনে হচ্ছে রূহ সম্পর্কে নানা ধারনা শুধুই ধারনা মাত্র। কোন জানা বিষয়ের সাথে এর ধারনাকে মিলানো অকারনেই করা হয়েছে। রূহকে মনে হল সম্পূর্ন আলাদা এক প্রজাতি অথবা জিনিস অথবা অস্তিত্ত অথবা শক্তি যার আলাদা স্বাতন্ত্র আছে।

কুরয়ানে রূহ (رُوحِ) শব্দটি বিভিন্ন ভাবে ব্যাবহার হয়েছে এমন অনুবাদ গুলো যদি দেখি, মনে হবে যেন একি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন মানে করা হয়েছে। যদিও প্রয়োজন হয়ত ছিলনা। যদি রূহ শব্দটাকে রূহই অর্থ করেন এবং এটাকে আল্লাহের এক বিশেষ নেয়ামত(এটা কি জানি না,প্রকৃত পক্ষে এটাকি কেউ জানে না) ভাবেন তবে দেখবেন, ব্যাপারটা সহজ।


(আমি কুরয়ান ডট কম এর সহী ইন্টারন্যাসনাল ইংরেজী ও বাংলা অনুবাদ অবিকৃত ভাবে ব্যাবহার করেছি। চেষ্টা করা হয়েছে আয়াতের রূহ শব্দটা বোল্ড করার এবং অনুবাদে ঐ অংশটুকুই বোল্ড করার)

সূরা বাকারা আয়াত ৮৭ঃ

(وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَقَفَّيْنَا مِن بَعْدِهِ بِالرُّسُلِ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ أَفَكُلَّمَا جَاءكُمْ رَسُولٌ بِمَا لاَ تَهْوَى أَنفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقاً كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقاً تَقْتُلُونَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And We did certainly give Moses the Torah and followed up after him with messengers. And We gave Jesus, the son of Mary, clear proofs and supported him with the Pure Spirit. But is it [not] that every time a messenger came to you, [O Children of Israel], with what your souls did not desire, you were arrogant? And a party [of messengers] you denied and another party you killed.

অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রসূল পাঠিয়েছি। আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ।)

সূরা বাকারা আয়াত ২৫৩ঃ

(تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۘ مِّنْهُم مَّن كَلَّمَ اللَّهُ ۖ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ ۚ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ۗ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا اقْتَتَلَ الَّذِينَ مِن بَعْدِهِم مِّن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَلَـٰكِنِ اخْتَلَفُوا فَمِنْهُم مَّنْ آمَنَ وَمِنْهُم مَّن كَفَرَ ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا اقْتَتَلُوا وَلَـٰكِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ )

কাছাকাছি অর্থঃ

(Those messengers - some of them We caused to exceed others. Among them were those to whom Allah spoke, and He raised some of them in degree. And We gave Jesus, the Son of Mary, clear proofs, and We supported him with the Pure Spirit. If Allah had willed, those [generations] succeeding them would not have fought each other after the clear proofs had come to them. But they differed, and some of them believed and some of them disbelieved. And if Allah had willed, they would not have fought each other, but Allah does what He intends.

এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে পরিস্কার নির্দেশ এসে যাবার পর পয়গম্বরদের পেছনে যারা ছিল তারা লড়াই করতো না। কিন্তু তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের কেউ তো ঈমান এনেছে, আর কেউ হয়েছে কাফের। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা পরস্পর লড়াই করতো, কিন্তু আল্লাহ তাই করেন, যা তিনি ইচ্ছা করেন।)

এই আয়াতের অনুবাদে জিব্রাইলের মাধ্যমে কথাটা বেশী আছে।

সূরা নিসা আয়াত ১৭১ঃ

(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ ۚ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَىٰ مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُ ۖ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ۖ وَلَا تَقُولُوا ثَلَاثَةٌ ۚ انتَهُوا خَيْرًا لَّكُمْ ۚ إِنَّمَا اللَّهُ إِلَـٰهٌ وَاحِدٌ ۖ سُبْحَانَهُ أَن يَكُونَ لَهُ وَلَدٌ ۘلَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ وَكِيلًا)

কাছাকাছি অর্থঃ

( O People of the Scripture, do not commit excess in your religion or say about Allah except the truth. The Messiah, Jesus, the son of Mary, was but a messenger of Allah and His word which He directed to Mary and a soul [created at a command] from Him. So believe in Allah and His messengers. And do not say, "Three"; desist - it is better for you. Indeed, Allah is but one God. Exalted is He above having a son. To Him belongs whatever is in the heavens and whatever is on the earth. And sufficient is Allah as Disposer of affairs.

হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তার রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।)

সূরা মায়েদা আয়াত ১১০ঃ

(إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلَىٰ وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا ۖوَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنجِيلَ ۖ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي ۖ وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ بِإِذْنِي ۖ وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَىٰ بِإِذْنِي ۖ وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنكَ إِذْ جِئْتَهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَـٰذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ)

কাছাকাছি অর্থঃ

([The Day] when Allah will say, "O Jesus, Son of Mary, remember My favor upon you and upon your mother when I supported you with the Pure Spirit and you spoke to the people in the cradle and in maturity; and [remember] when I taught you writing and wisdom and the Torah and the Gospel; and when you designed from clay [what was] like the form of a bird with My permission, then you breathed into it, and it became a bird with My permission; and you healed the blind and the leper with My permission; and when you brought forth the dead with My permission; and when I restrained the Children of Israel from [killing] you when you came to them with clear proofs and those who disbelieved among them said, "This is not but obvious magic."

যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা সাহায্য করেছি। তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে, অতঃপর তুমি তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্টরোগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন আমি বনী-ইসরাঈলকে তোমা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা বললঃ এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়।)

সূরা ইউসুফ আয়াত ৮৭ঃ

(يَا بَنِيَّ اذْهَبُوا فَتَحَسَّسُوا مِن يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَيْأَسُوا مِن رَّوْحِ اللَّهِ ۖ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِن رَّوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ)
কাছাকাছি অর্থঃ

(O my sons, go and find out about Joseph and his brother and despair not of relief from Allah . Indeed, no one despairs of relief from Allah except the disbelieving people."

বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।)

আল্লাহের রহমতের কথা বলা হয়েছে এখানে একি শব্দের মাধমে, হতে পারে রহমতের কাজে নয়জিত আল্লাহের কাছথেকে প্রেরিত রূহ

সূরা হিজর আয়াত ২৯ঃ

(فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration."

অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।)

এখানে আল্লাহের রূহ না, আল্লাহের কাছথেকে আসা রূহ।যা শুধুই শরীর নামক যন্ত্রটাকে চালাবে



সূরা নহল আয়াত ২ঃ

(يُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ بِالرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ أَنْ أَنذِرُوا أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنَا فَاتَّقُونِ)

কাছাকাছি অর্থঃ
(He sends down the angels, with the inspiration of His command, upon whom He wills of His servants, [telling them], "Warn that there is no deity except Me; so fear Me."

তিনি স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর।)

এই আয়াত দেখলে বুঝা যাবে ফেরেশতা আর রূহ এক না, রূহ ভিন্ন একটা কিছু , যা আল্লাহের পক্ষথেকে যে কারোজন্য নাজিল হয়ে তাদের অগোচরেই তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। পুরা ব্যাপারটা হয়ত বান্দার অগোচরেই হয়ে থাকে।আর রূহ এবং ফেরেশতা যদি ভিন্ন হয় তবে রুহুল কুদ্দুস কেন জিব্রাইল আঃ হবেন?

সূরা নহল আয়াত ১০২ঃ
(قُلْ نَزَّلَهُ رُوحُ الْقُدُسِ مِن رَّبِّكَ بِالْحَقِّ لِيُثَبِّتَ الَّذِينَ آمَنُوا وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ)
কাছাকাছি অর্থঃ

(Say, [O Muhammad], "The Pure Spirit has brought it down from your Lord in truth to make firm those who believe and as guidance and good tidings to the Muslims."

বলুন, একে পবিত্র ফেরেশতা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিশ্চিত সত্যসহ নাযিল করেছেন, যাতে মুমিনদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এটা মুসলমানদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সু-সংবাদ স্বরূপ।)

এই আয়াতের অনুবাদেই দেখেন আবারো রূহ এর যায়গায় ফেরেশতা ব্যাবহার হয়েছে।

সূরা বনী-ঈসরাইল আয়াত ৮৫ঃ

(وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And they ask you, [O Muhammad], about the soul. Say, "The soul is of the affair of my Lord. And mankind have not been given of knowledge except a little."

তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।)

রূহ সম্পর্কে এটাই আসলে প্রকৃত কথা। এর চেয়ে সত্য আর নাই। আমি বুঝিনা কুরয়ানের এই নির্দেশনার পরেও রূহকে কেন সব সময় মিনিং ফুল একটা কিছু বা পরিচিত বা জানা একটা কিছুর সাথে সিনো নাইম বা হোমো নাইম হিসাবে ব্যাবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে!!!!!!!

সূরা মারইয়াম আয়াত ১৭ঃ

(فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And she took, in seclusion from them, a screen. Then We sent to her Our Angel, and he represented himself to her as a well-proportioned man.

অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।)

খুব সম্ভবত রূহ আল্লাহের আদেশ পালনের নিমিত্তে আকার আকৃতিও পরিবর্তন করতে পারে। আসলেতো আল্লাহের নির্দেশে সবই সম্ভব।

সূরা আম্বিয়া আয়াত ৯১ঃ

(وَالَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهَا مِن رُّوحِنَا وَجَعَلْنَاهَا وَابْنَهَا آيَةً لِّلْعَالَمِينَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And [mention] the one who guarded her chastity, so We blew into her [garment] through Our angel [Gabriel], and We made her and her son a sign for the worlds.

এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।)

সূরা শো’য়ারা আয়াত ১৯৩ঃ

(نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(The Trustworthy Spirit has brought it down

বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।)

এই আয়াতের আগে এবং পরের আয়াত গুলো উল্লেখ করা প্রয়োজন, "এটা তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।বিশ্বস্ত রূহ একে নিয়ে অবতরণ করেছে।আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। " এখানে এটা স্পষ্টযে কুরয়ান নাজিলের কথা বলা হয়েছে এবং আমরা জানি কুরয়ান নিয়ে জিব্রাইল আঃ আসতেন নবীজীর কাছে। তাহলে কি "বিশ্বস্ত রূহ" জিব্রাইল আঃ ?? হতেওতো পারে যে কুরয়ান নাজিল হবার সময় জিব্রাইল আঃ এর সাথে কোন বিশ্বস্ত রূহ ও নিয়জিত ছিলেন। এবং এই আয়াত গুলোর যেমন বর্ননা সে অনুযায়ী, কুরয়ানের বানী অন্তরে গ্রথিত হবার জন্য হয়ত রূহরা সাহায্য করতেন। তফসির গ্রন্থ গুলোতে এমনোতো অনেক হাদিস আছে যেখানে বলা আছে অনেক সংখ্যক ফেরেশতা কোন নির্দিষ্ট আয়াত বা কোন নির্দিষ্ট সূরা নাজিলের সময় সঙ্গে অবতির্ন হয়েছেন। হতেও পারে উনাদের সঙ্গে রূহরাও অবতির্ন হয়েছেন, আর এখানে তাদের কথাই বলা হচ্ছে। আর যদি বিজ্ঞরা একেবারেই নিশ্চিত হন যে রূহুল আমিন মানে জিবরাইল আঃ তাহলে আমার তাদের সাথে কোন তর্ক নাই!!

সূরা সেজদা আয়াত ৯ঃ

(ثُمَّ سَوَّاهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِن رُّوحِهِ ۖ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۚ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(Then He proportioned him and breathed into him for His [created] soul and made for you hearing and vision and hearts; little are you grateful.

অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।)

সূরা সাদ আয়াত ৭২ঃ

(فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِن رُّوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(So when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration."

যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তাতে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সম্মুখে সেজদায় নত হয়ে যেয়ো।)

আল্লাহের পক্ষথেকে রূহ

সূরা মুমিন আয়াত ১৫ঃ

(رَفِيعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِي الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ)

কাছাকাছি অর্থঃ

([He is] the Exalted above [all] degrees, Owner of the Throne; He places the inspiration of His command upon whom He wills of His servants to warn of the Day of Meeting

তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।)

সূরা শুরা আয়াত ৫২ঃ

(وَكَذَ‌ٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا ۚ مَا كُنتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَـٰكِن جَعَلْنَاهُ نُورًا نَّهْدِي بِهِ مَن نَّشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا ۚ وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And thus We have revealed to you an inspiration of Our command. You did not know what is the Book or [what is] faith, but We have made it a light by which We guide whom We will of Our servants. And indeed, [O Muhammad], you guide to a straight path

এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন)


সূরা ওয়য়াকিয়া আয়াত ৮৯ঃ

(فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّتُ نَعِيمٍ )

কাছাকাছি অর্থঃ

(Then [for him is] rest and bounty and a garden of pleasure.

তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।)

সূরা মুজাদিলা আয়াত ২২ঃ

(لَّا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ ۚأُولَـٰئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ ۖ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ أُولَـٰئِكَ حِزْبُ اللَّهِ ۚ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ )

কাছাকাছি অর্থঃ

(You will not find a people who believe in Allah and the Last Day having affection for those who oppose Allah and His Messenger, even if they were their fathers or their sons or their brothers or their kindred. Those - He has decreed within their hearts faith and supported them with spirit from Him. And We will admit them to gardens beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. Allah is pleased with them, and they are pleased with Him - those are the party of Allah . Unquestionably, the party of Allah - they are the successful.

যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।)

এই আয়াতে ঐ একি রূহ এর মানে নেয়া হয়েছে অদৃশ্য শক্তি। এখানে কোন ফেরেশতা বা এই রকম কিছু মনে হয়নি। আমি অবশ্য এই রূপ অর্থের পক্ষেই বেশী।

সূরা তাহরিম আয়াত ১২ঃ

(وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(And [the example of] Mary, the daughter of 'Imran, who guarded her chastity, so We blew into [her garment] through Our angel, and she believed in the words of her Lord and His scriptures and was of the devoutly obedient.

আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।)

সূরা মায়ারিজ আয়াত ৪ঃ

(تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ )

কাছাকাছি অর্থঃ

(The angels and the Spirit will ascend to Him during a Day the extent of which is fifty thousand years.

ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।)

আপনাদের কি মনে হয় জানি না কিন্তু আমার এই আয়াত পরে মনে হয় যে ফেরেশতা এবং রূহ ভিন্ন জিনিস। এবং এখানে কুরয়ানের মূল ভাষায় দুটি ভিন্ন শব্দই ব্যাবহার করা হয়েছে।

সূরা নাবা আয়াত ৩৮ঃ

(يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَـٰنُ وَقَالَ صَوَابًا)

কাছাকাছি অর্থঃ

(The Day that the Spirit and the angels will stand in rows, they will not speak except for one whom the Most Merciful permits, and he will say what is correct.

যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।)

এখানে খুব সম্ভবত কেয়ামতের দিনের কথা বলা হয়েছে। আমি যত দূর জানি মানুষ মানুষের রূপেই পুনরত্থিত হবে এবং ঐ রূপেই শেষ বিচারের ময়দানে যাবে। তাহলে রূহ আর ফেরেশতা যদি পাশাপাশি দাঁড়ায় তাহলে দুটা নিশ্চয়ই ভিন্ন হবারই কথা!! আর এখানে উভয়ের কথাই বলা হয়েছে।

সূরা কদর আয়াত ৪ঃ

(تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ)

কাছাকাছি অর্থঃ

(The angels and the Spirit descend therein by permission of their Lord for every matter.

এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।)

এই আয়াত থেকে বুঝাই যায় রূহদের আল্লাহের আদেশ ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু নির্দিষ্ট কাজ আছে যা আল্লাহের আদেশ ক্রমে হয়ে থাকে, এখানেও স্পষ্ট যে রূহ আর ফেরেশতা ভিন্ন। তারা উভয়েই নির্দিষ্ট কাজে আদিষ্ট হয়ে কদরের রাতে অবতির্ন হন।


হাদীসের আলোচনা আমার ক্ষমতার বাইরে, আন্তরিকতা থাকলে কুরয়ানে সহজেই খোঁজা যায়, কিন্তু হাদীসে রূহ কথাটাকে খোঁজা আমার জন্য বর্তমান বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব। তবুয় তিনটা হাদিস উল্লেখ করতে চাই।

(Narrated 'Abdullah: While I was going with the Prophet through the ruins of Medina and he was reclining on a date-palm leaf stalk, some Jews passed by. Some of them said to the others: Ask him (the Prophet) about the spirit. Some of them said that they should not ask him that question as he might give a reply which would displease them. But some of them insisted on asking, and so one of them stood up and asked, "O Aba-l-Qasim ! What is the spirit?" The Prophet remained quiet. I thought he was being inspired Divinely. So I stayed till that state of the Prophet (while being inspired) was over. The Prophet then said, "And they ask you (O Muhammad) concerning the spirit --Say: Thespirit -- its knowledge is with my Lord. And of knowledge you (mankind) have been given only a little)." (17.85) (Book #3, Hadith #127))

এখানে রূহ এর ট্রান্সলেসন করা হয়েছে spirit । যদি খেয়াল করেন তবে বুঝবেন এখানে সূরা বনী ঈসরাইলের কথাটাই রিপিট করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই রূহ জিনিশটা কি সে সম্পর্কে আসলে আমাদের তেমন একটা জ্ঞান দেয়া হয়নি।

(Narrated Hassan bin Thabit Al-Ansari: I asked Abu Huraira "By Allah! Tell me the truth whether you heard the Prophet saying, 'O Hassan! Reply on behalf of Allah's Apostle. O Allah! Help him with the Holy spirit." Abu Huraira said, "Yes . " (Book #8, Hadith#444))

(Narrated Sa'id bin Al-Musaiyab: 'Umar came to the Mosque while Hassan was reciting a poem. ('Umar disapproved of that). On that Hassan said, "I used to recite poetry in this very Mosque in the presence of one (i.e. the Prophet ) who was better than you." Then he turned towards Abu Huraira and said (to him), "I ask you by Allah, did you hear Allah's Apostle saying (to me), "Retort on my behalf. O Allah! Support him (i.e. Hassan) with the Holy spirit?" Abu Huraira said, "Yes." (Book #54, Hadith #434))

এই উপরের হাদিস দুটি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন নবীজী সাঃ ইমাম হাসান রাঃ কে পবিত্র রূহ এর মাধ্যমে সাহায্য করার জন্য দূয়া করেছেন। এখন জিব্রাইল আমিন যদি পবিত্র রূহ হয়ে থাকেন, উনিকি রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পরেও ইমাম হাসান রাঃ কে সাহায্যের জন্য এসে থাকবেন ???

আসলে নিজের মনের মধ্যে একটা জিনিশ বুঝা আর অন্যকে বুঝানো ব্যাপারটা এক না। আমি জানি পোষ্টের বিষয় বস্তু অনেকে বারাবারি মনে করবেন। তবুয় বলতে চাই সকল জ্ঞানী আলেমের মতকে সম্মান দিয়েই বলতে চাই যে নিজের ধর্মটাকে নিজে বুঝার চেষ্টা করা উচিৎ। তাই করার চেষ্টা করি। কোন ফিতনা তৈরির বিন্দু মাত্র ইচ্ছা বা সাহস নাই। হাদীসে কোন পরিষ্কার নির্দেশ থাকলে কেউ জানাবেন কারন রূহ কথাটার উল্লেখ করে এমন হাদিস সব আমি পড়িনি আর জানিও না। তবে কুরয়ান অনুযায়ী আমার মনে হয়। প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী রূহুল আমিন বা রূহুল কুদ্দুস জিব্রাইল আঃ নন। অন্য কেউ বা অন্য কিছু। রূহ একটা ভিন্ন জিনিস। যার ধারনা কারো কাছেই নাই। এই ব্যাপারে আমার সূরা বনী-ঈসরাইলের ৮৫ নং আয়াতে দেয়া আল্লাহের রায়ই চূড়ান্ত মনে হয়, আর চূড়ান্ত মনে হয় উপরে উল্লেখ করা প্রথম হাদীসটিকে।

রূহ পবিত্র হতে পারে অপবিত্র হতে পারে বিশ্বাসী হতে পারে অবিশ্বাসী হতে পারে। হতে পারে মানুষের যে রূহ বা আত্নার কথা বলা হয় তা শুধুই আল্লাহের হুকুমে মানুষ নামক যন্ত্রের চালিকা শক্তি মাত্র। আরো অনেক রকম রূহ হয়ত আছে যারা আল্লাহের আদেশে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীন ভাবে, মানুষের শরীরের অধিনে নয়। যেমন ধরুন একটা মোবাইল ফোনে কিছুই না তাঁর সিম ছাড়া, বা বলতে পারেন খুবই সামান্যই কাজে আসে সিম ছাড়া, অনেকটা একটা মৃত দেহের মত। একটা সিম যোগ করেদেন ,এখন এর একটা অস্তিত্ত্ব আছে , পরিচয় আছে কিন্তু এখনো এটির কোন ক্ষমতা নাই এটি একটা ঘুমন্ত মানুষের মত। এখন এই সিমে কিছু ব্যালেন্স(টাকা) দিয়েদিন, এখন এর রূহ যুক্ত হল। এখন এটির তুলনা একটি জিবন্ত রূহ যুক্ত মানুষের মত। অর্থাৎ মোবাইল ফোনটির রূহ হল টাকা। কিন্তু টাকার একমাত্র কাজ মোবাইফোনকে জীবিত রাখা নয়। এর অনেক রকম অনেক কাজ আছে, যা শুধুই এর মালিকের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে। তেমনি রূহও এমন একটা কিছু যা শুধুই আমাদের শরীর সম্পর্কিত নয়।

আল্লাহই ভালো জানেন।

আসসালামুয়ালাইকুম!!

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো সায়েন্টিস্ট হয়ে গেছেন; আগে কেহ বলেনি?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: নিন্দুকেরা কত কিছুইতো বলবে!!! তবে দুঃখ আপনি আমার পোষ্ট পড়েন না!!!

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আরবী পড়তে পারি না; সেজন্য বাংলাটুকু পড়ি; আপনি যেসব প্রমাণ আনেন, সেগুলো আর গ্রহযোগ্য নয়।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমি আবার কবে কি প্রমানের চেষ্টা করলাম???

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সব কিছু
আল্লাহই ভালো জানেন।
ভাল লাগলো লেখাটি । শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম , আল্লাহই ভালো জানেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পর্যবেক্ষণে থাকলো। দেখি কে কি বলেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার অবস্থাও আপনার মতই !!!

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পর্যবেক্ষণে থাকলো। দেখি কে কি বলেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: :) :)

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

বিজন রয় বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট, আবার আসতে হবে।
++++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়বার অনুরোধ থাকল !!

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরোটা পড়িনি, তবে ইন্টারেস্টিং লাগল। আবার এসে পড়ব।

প্রথম প্লাস।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অপেক্ষায় থাকব। প্লাসের জন্য ধন্যবাদ !!

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

বিপরীত বাক বলেছেন: সুকৌশলে ঢাক ঢাক গুড় ভাবে আইএসায়ন চলছে।
লোকজনের সতর্ক থাকা দরকার।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমাদের একটা ডায়াগনোসিস আছে "learning defect"। মনে হচ্ছে আপনি এতে আক্রান্ত। আপনার জন্য লিখেছিলাম ( !!!!!মৌলবাদ!!!! )

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির এই বিষয় টা নিয়ে লেখার জন্য । অনেক দিন থেকেই বিষয় টা মাথায় , পোস্ট লিখবো বলে শুরু ও করেছিলাম কিন্তু শেষ আর করা হয়নি । সায়েন্টিফিক ডকুমেন্টারির উপর ভিত্তি করেই লেখার ইচ্ছে ছিল , সাথে কুরআনের আয়াত আমাদের কি ধারনা দিচ্ছে তার যোগসূত্র । এনিওয়ে , পুরোটা মন দিয়ে পড়ার সুযোগ হল না এখন , প্রিয়তে নিয়ে নিলাম পরে আবার পড়ে মন্তব্য দেবো ভাইয়া ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপা। আপনার এই বিষয়ের উপরে লেখার অপেক্ষায় থাকব। আর আপনার মন্তব্যেরও অপেক্ষায় থাকব।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

এ্যামালগাম বলেছেন: দিলেনতো প্যাঁচ লাগায়া !! বড়ই ভালো পাইতাম আপনারে। গতকাল আপনার লেখা পইড়া মন খারাপ হইল।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এজন্যই অনেক ব্যাপার নিয়ে ভাবলেও তা নিয়ে লেখা যায় না। দেখুন আমি কোন মত নিয়ে জোরাজুরি করি নাই আমিই ঠিক অন্যেরা ভুল তাও বলি নাই। শুধু নিজের বুঝ বুঝানোর চেষ্টা করেছি। হতেই পারে সেটা ভুল। তবে লেখায় জ্ঞানত কোন লুকাচুরি নাই। খুব সম্ভবত রূহ শব্দটা আছে এমন সবগুলো কুরয়ানে র আয়াত উল্লেখ করেছি!!!!

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

এ্যামালগাম বলেছেন: এই ভাবে সবাই মতামত দিলে কেমনে হবে। ফিতনা তো ফিতনাই তাই না?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই, ফিতনা সৃষ্টি করা আমার উদ্দেশ্য না, এই কথাটা আমি আমার পোষ্টে বলেই দিয়েছি আর এ জন্যই এই কথাটাও বলেছি যে আমি মেনেই নিবো কেউ আমাকে ব্যারটা বুঝিয়ে দিলে। আসলে আমার নিজের বুঝবার ব্যাপারটাও এই পোষ্টে র অংশ। কই কেউতো কিছুই বললেন না!!

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আরও জানতে হবে ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: শুধুই আমার আইডিয়া মাত্র, এটা চুরান্ত কিছু মনে না করাই উচিত। আরো পড়ে আপনার কি ধারনা জানালে খুশি হব।

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দারুণ পোষ্ট। +++++

তবে আমি একটু ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছি। ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছি পুরো বিষয়টি ভাল করে নিজে বোঝার স্বার্থে।

প্রথম কথা হলো রুহ কি একবচন না বহুবচন ?

মানুষ যখন সৃষ্টি হলো তখন ছিলো শুধুই মাটির একটি মূর্তি। সেখানে রুহ সেট করার সাথে সাথেই মানুষ সচল হলো। আবার মৃত্যুর পর মানুষ অচল। এইযে পৃথিবীতে এত এত মানুষ সবার জন্য রুহ নিশ্চয় একটি নয়। পৃথক পৃথক রুহ থাকার কথা। রুহ হলো প্রাণ শক্তি কিন্তু মানুষের মগজ হলো সেই সিস্টেম যা মানুষকে পাপ পূণ্যের পথে পরিচালনা করে থাকে। আল্লাহ রুহকে পবিত্র বলেছেন কারণ এইটা প্রাণ শক্তি যা আল্লাহর হুকুমে মানুষকে সচল রাখে। বাকি সব মানুষের ব্রেন নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই ব্রেন সচল থাকে চালিকা শক্তি রুহের মাধ্যমে। আর ফেরেশতারা রুহ নয় তবে তাদেরও চালিকা শক্তি এই রুহ হতে পারে। রুহ আসলে সকলের জন্য চালিকা শক্তি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে আমার মনে হয়।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমি যতদুর বুঝেছি একবচন।
কিন্তু বহুবচনাত্মক ব্যাবহার হতে পারে, সুরা কদরের লাইনটা দেখুন।

আর আপনি যা বলেছেন তার সাথে আমি এক মত।

কিন্তু আমি ভাবি ঘুম যদি টেম্পোরারি ডেথ হয় তাহলে আবার রূহ কিভাবে জিবনিশক্তি হয়? নাকি শুধুই আমাদের কনশাস নেস? আসলে এটা এমন কিছু যা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অতি অল্প।

আরো একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন কিনা ভাই? সাধারন মানুষ সৃষ্টির যে বর্ননা কুরয়ানে এসেছে সে স্থান গুলোতে রূহ এর কথা আসে নাই, কিন্তু শুধুই হযরত আদম আঃ আর হযরত ঈসা আঃ এর সৃষ্টির কথা যখন এসেছে তখনই রূহ এর কথা এসেছে !!!

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: অনেক জটিল বিষয়। এতো মাথায় ধরে নি। তবে আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত পাঠক। অনেক বিরতি নিয়ে পোষ্ট দেন আপনি। মাঝে কিছু দিন ব্লগেই ছিলেন না। নিয়মিত হবেন আশা করি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম জটিল বিষয় তো অবশ্যই, আমি নিজেও ঠিক মত বুঝি নাই। বুঝবার চেষ্টা য় ছিলাম, ভেবেছিলাম একেকজন একেক দিকথেকে আলোচনা করবেন। কিন্তু তা আর হয়ত হবে না।

আপা, আমিও আপনার মত পাঠকি ছিলাম, এখন পাঠক।

প্রতিটা এপরিসিয়েসন আমার কাছে মাইল স্টোনের মত। আপনাকে ধন্যবাদ।

আর অনিয়মিত হওয়ার ব্যাপারটা আমার ইচ্ছাধীন নয়। দোয়া করবেন। আসসালামুয়ালাইকুম

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিষয়টা ভাবনারতো বটেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক কিছুই ভেবে লাভ নেই, তবুয় ভাবি।

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


তা ঠিক।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম :)

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: অনেক ভালো একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগল।
যদিও বিষয়টা আগে থেকেই জানি।
ধন্যবাদ।
++

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

প্রান্ত বড়ুয়া বলেছেন: বিশাল জ্ঞানবহুল লেখা। পুরোটা পড়িনি। আবার পড়বে। পড়তে ভালই লাগছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আশা করি পুরোটা পড়বেন :)

২০| ১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ সকাল।

সময় করে পড়ে নেব ভাইয়া।

১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: শুভ সন্ধা

আসসালামুয়ালাইকুম

২১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম
অনেকদিন পর লেখা দিলেন!

সূরা বনী-ঈসরাইল আয়াত ৮৫ঃ

(وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا)

কাছাকাছি অর্থঃ
তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।)

রূহ সম্পর্কে এটাই আসলে প্রকৃত কথা। এর চেয়ে সত্য আর নাই।

রূহ,ক্বুলুব,নফস,সুদুর,ফুয়াদ এই শব্দগুলো নিয়ে ‍একটি সাধারন স্টাডি করতে গিয়ে রূহ সম্বন্ধে এই আয়াত ও এর তাফসীর পড়ার পর ক্ষান্ত দিয়েছি।এটা নিয়ে ইয়াসীর ক্বাদীর একটা লেকচার আছে , সম্ভবত তাঁর সীরাত সিরিজের কোন একটা পর্বে অথবা সূরা কাহাফের তাফসীর লেকচার ঠিক মনে করতে পারছিনা।

অনেক কিছুই ভেবে লাভ নেই, তবু ভাবি।
ভাবেন আর আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর কনসেপ্টের পোষ্ট উপহার দিন।
আমীন!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই, আসসালামুয়ালাইকুম, মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে আল্লাহের আদেশ নিষেধ এর বাইরে গেলেই যত ফিতনা। ভয়ানক ঘটনা ঘটেগেল গুলশানে গত শুক্রবার। সমাধান সবারই অজানা!! তবুয় আমাদের বেকুব বুদ্ধি জীবীর দল নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে সমাধানের উপায় বলে যাচ্ছে। মৌলবাদ নিয়ে আই এস জন্মের শুরুর দিকে একটা পোষ্ট লিখেছিলাম, কুরয়ানে র দিকে ফিরতে হবে, তাহলে এই সব ফিতনা থেকে বাচব আমরা
ভালো থাকবেন।

২২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

মাদিহা মৌ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষনী পোস্ট। অন্তত কুরআন রূহ সম্পর্কে কী কী বলছে, তা তো জানা হল!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: ভাই সালাম ! আশা করি ভালো আছেন।সাহায্যের জন্য আপনাকে নক করা। সম্ভবত আপনারই কোন এক লেখায় অথবা মন্তব্যে ইউসুফ আলীর ইং রেজী অনুবাদ (কোরআন) থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক রেহনুমা...(ঠিক মনে করতে পারছিনা) একটি ওয়েব সাইটের লিংক দিয়েছিলেন । গুগল করেও পাচ্ছিনা !
অগ্রীম ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক দেড়িতে দেখলাম, আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হয়েছে। তবে আমি বুঝতেই পারিনি আপনি কি সম্পরররকে আমাকে জিজ্ঞাস করলেন!! আসসালামুয়ালাইকুম!

২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: @কান্ডারি অথর্ব বলার চেষ্টা করেছেন তবে আরো ব্যাপকভাবে বলা যায়। আমি এই পোস্টে আবার ফিরে আসবো। এবং আমার মতামত দিয়ে যাবো।
পোস্ট ভাল লেগেছে। প্রিয়তে রেখে দিলাম আবার পড়ার জন্য।
আল্লাহ বলেছেন ইকরা এবং এটার কোনো বিকল্প নেই।
আল্লাহ হাফেজ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: স্বাগতম। আসসালামুয়ালাইকুম।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: ব্লগার নীল আকাশ এর সূত্র ধরে আমিও চলে এলাম। দীর্ঘ পোস্ট। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। আপাতত প্রিয়তে

এরকম বিশ্লেষণাত্মক লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: স্বাগতম। আসসালামুয়ালাইকুম।

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

নতুন বলেছেন: একটা কম্পিউটার বা ইলেক্ট্রনিং ডিভাইসও কি একই রকমের কিছু?

একটা বন্ধ এবং চালু কম্পিউটারের মাঝে যেমন পার্থক্য তেমনি একজন সদ্য মৃত এবং জীবিত মানুষ তেমন।

বিদ্যুত প্রবাহ বন্ধ হলেই কম্পিউটার মৃত। কিন্তু জিবীত কম্পিউটারে যখন কৃত্তিমবুদ্ধিমত্বা যোগ হবে তখন তো কম্পিউটার একজন মানুষের মতন ভাবতে বা কথাবলতে পারবে।

তাহলে আমরা কিন্তু তখন বিদ্যুতকে রুহ বলবো না। তেমনি হয়তো মানুষেও রুহ বলে আলাদা কিছু নাই।

আমিত্ব বোধ হয়তো এক রকমের বুদ্ধিমত্বা যেটা মানুষের মস্তিস্কে থাকে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মানুষের consciousness মানুষের ঘিলু দিয়ে explain করা যায় না। আসসালামুয়ালাইকুম!

২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

আরোগ্য বলেছেন: و عليكم السلام و رحمة الله

এ প্রশ্নটা আমার মাথায়ও ছিলো যে, যদি ফেরেশতা ও রুহ একই ধরনের সত্তা হয় তবে কোরআনে কেন একই আয়াতে পৃথকভাবে আছে। যদিও আমি এটা নিয়ে রিসার্চ করার সময় সুযোগ পাইনি কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে স্বস্তি পেলাম। তবে বুঝতে পারলাম না আপনি কেন সুরা ইউসুফ ও সুরা ওয়াকিয়ার আয়াত উল্লেখ করেছেন। এই দুই আয়াতে তো রাওহ্ শব্দ এসেছে, রুহ্ না। রাওহ্ অর্থ বিশ্রাম, সাহায্য বা অনুগ্রহ।

তাফসিরকারকগণ বিভিন্ন স্থানে রুহের ভিন্ন অর্থ করেছেন। কোথাও ওহী, কোথাও কোরআন, কোথাও ফেরেশতা ( বিশেষ করে জীবরীল আঃ), কোথাও আবার আত্মা। বুঝলাম না তাদের এই অর্থকরণের পিছনে দলিল কি আছে। আমার যতদুর বুঝ আছে, এইটুকু বলতে পারি, কোরআনের অনুবাদ অন্য ভাষায় সম্ভব না, কিছু শব্দের অর্থকরণ তো কস্মিনকালেও সম্ভব না। যেমনঃ রুহ। তবে যেগুলো অনুবাদ নামে পড়া হয় সেগুলো সংক্ষিপ্ত তাফসির। যদি রুহ শব্দের কোন অর্থ দাঁড় করতেই হয় তবে সুরা বনী ইসরাইল এর ৮৫ নং আয়াত মোতাবেক বলা যায়, রুহ হচ্ছে আল্লাহর আদেশ বা বিষয়। যেহেতু أمر শব্দের অর্থ আদেশ বা বিষয় /কাজ।

আপনার পোস্ট পড়ে কিছু হাদিস দেখলাম। যে কয়েকটা দেখলাম সেখানে রুহ মানে জীবরীল বা অন্য কিছু নির্দিষ্ট করে বলেন নি। তবে বনী ইসরাইল এর আয়াতটাই বলেছেন। আরো একটি পোস্ট পড়লাম, ভালো লাগলো তাই শেয়ার করছি।
view this link

সুরা কামারে আল্লাহ মুদ্দাকিরকে আহবান করেছেন কয়েকবার। আপনার পোস্টে আপনার নিকের প্রতিফলন আছে। আপনার কাছে আল কোরআন নিয়ে আরো পোস্ট করার অনুরোধ করছি।

جزاك الله خيرا.

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: I was fascinated by the word 'Muddakir'. এখনো কিছুটা তাই, এই ব্লগে এসেছিলাম মুদ্দাকির নিয়ে যা বুঝেছিলাম, শুধু তাই লিখবার জন্য, আজো লিখা হয়নি। আমি মনে করি আমি মুদ্দাকির, আমরা অনেকেই মুদ্দাকির। সুবহানাল্লাহ!!

রা-ওয়া-হা এই রুটের meaning হতে পারে, wind, to blow, to fan, smell, scent, fragrant shrubs to sniff, to decay, to smell rotten, soul, sprit, the jinn, the angles, the evening, to go home, to return after days toil, to bring livestock home, to rest, great herd of animals, to pasture, grazing place, to depart, to walk away, to commence travelling, might, power, victory, mercy, bounty, pleasure, children, to do intermittently, to interchange.

কি কনফিউজ করে দিলাম? depends how you use the root!!

রুহ - soul, sprit, breath, revelation, divine inspiration, the archangel Gabriel ইত্যাদি হিসেবে এসেছে,

আবার

রাউহ - mercy, grace, spirit, joy, happiness, tranquility ইত্যাদি হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে।

এই একি রুটের আরো ভিন্ন শব্দ গুলোর অর্থ ভিন্ন, কিন্তু কেমন যেন সব কিছুতেই একটা মিল আছে। জানিনা!! কিছুই জানি না!!
মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষের consciousness মানুষের ঘিলু দিয়ে explain করা যায় না। আসসালামুয়ালাইকুম!

এখন হয়তো যায় না।

কিন্তু আপনি এপেল এর সিরি বা গুগুলের এলেক্সা এর সাথে কথা বলেছেন কখনো? আরো ১০০ বছর বা হাজার পরে পরে Artificial Intelligence এর কতটা উন্নতি হতে পারে বলে আপনার ধারন?

আমরা Artificial Intelligence কে ওয়ালা কম্পিউটারের ভেতরে রুহ নাই এটা বুঝি।

কিন্তু মানুষের ভেতরেও যে এই Artificial Intelligence এর মতন কিছু নাই সেটা কিভাবে বুঝবেন? এবং সেটাকেই আমরা রুহ বলে ভাবছি???

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই offence নিয়েন না, কিন্তু আপনার যদি programming সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতো, মানুষের শরীর তত্ত্ব সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকত, আপনি কখনো এই দুই ধারার দুই ভিন্ন জিনিশ তুলনাই করতেন না। সিরি- এলেক্সার সাথে কথা বলে আমি চমকিত হইনা, বরং আমার মনে হয় কবে এরা ক্যালকুলেটরের মত আরো বেটার পারফর্ম করবে। ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করেও আমি কখনোই আমার অংক করার ক্ষমতার সাথে তুলনা করি নাই। Sorry , আমি অক্ষম মানুষ আর AI এর তুলনা করতে। Bicentennial man সিনেমাটা দেখে ফেলেন। আপনার মজা লাগবে। আসসালামুয়ালাইকুম।

২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই offence নিয়েন না, কিন্তু আপনার যদি programming সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতো, মানুষের শরীর তত্ত্ব সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকত, আপনি কখনো এই দুই ধারার দুই ভিন্ন জিনিশ তুলনাই করতেন না। সিরি- এলেক্সার সাথে কথা বলে আমি চমকিত হইনা, বরং আমার মনে হয় কবে এরা ক্যালকুলেটরের মত আরো বেটার পারফর্ম করবে। ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করেও আমি কখনোই আমার অংক করার ক্ষমতার সাথে তুলনা করি নাই। Sorry , আমি অক্ষম মানুষ আর AI এর তুলনা করতে। Bicentennial man সিনেমাটা দেখে ফেলেন। আপনার মজা লাগবে। আসসালামুয়ালাইকুম।

ভাই জিনিসটা আপনাকে সম্ভবত বোঝাতে পারিনাই। আর প্রগ্রামিং সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আছে।

যদি ধরেনেন মানুষ বিবর্তনের ফলে বর্তমানের অবস্থানে এসেছে সেই টাইমলাইট লক্ষ কোটি বছরের হিসাব।

আর AI এর ধারনা মাত্র সেই তুলনায় কয়েক বছর। তাই কয়েক শত বছর পরে AI যে মানুষের মতন ভাবতে পারবেনা সেটা আমার মনে হয় না।

তাই বলছি কম্পিউটারে যেমন বিদ্যুতের প্রবাহই আসল জিনিস। এবং AI রুহ না।

তেমনি মানুষের বুদ্ধিমত্বাও হয়তো একই রকমের একটা জিনিস রুহ বলে কিছু নাই।

একটা শিম্পান্জি দেখতে এবং গঠনে প্রায় মানুষেরই মতন। দুজনের বেচে থাকার পদ্বতীও একই রকমের। জন্ম, বেচে থাকা, মৃত্যুর পদ্বতী একই রকমের।

কিন্তু আপনি শিম্পান্জির রুহ আছে কি নাই সেটা নিয়ে কথা বলবেন না।

মানুষের বুদ্ধিমন্তা আছে বলেই কিন্তু আপনি রুহ জিনিসটার কথা ভাবছেন, কোরান বা হাদিসে কি অন্য কোন প্রানীর রুহ নিয়ে কোন কথা আছে?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: রুহ টার্মটা মানুষ ভিন্ন অন্য প্রানীর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়েছে কিনা আমার ঠিক জানা নাই। মানুষের বুদ্ধিমত্তার সাথে রুহের কি সম্পর্ক আমার তাও জানা নাই। জীব জগতের অন্যান্য বুদ্ধিমান প্রানীর রুহের সাথে কোন সম্পর্ক আছে কি না তাও আমার জানা নাই। মানুষ এবং মানব সভ্যতার সাথে বিবর্তনের কোন সম্পর্ক নাই, মানুষ শুরু থেকেই এখনকার মত বুদ্ধিমান সামাজিক প্রাণীই ছিল, শুধু সময়ে সময়ে মানুষের চাহিদা আর ভালো লাগার বিবর্তন হয়েছে মাত্র। AI স্বতস্ফুর্ত ভাবে বিবর্তন হচ্ছে না, develop হচ্ছে, প্রতিটি লাইন লিখে লিখে develop করতে হচ্ছে। human consciousness আর intelligence দুটা এক না। but i got your point , আপনি রুহকে intellect এর সাথে সম্পর্কিত ভাবছেন। On which i humbly refuse to comment.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.