![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/saluteteacher?ref=hl
আপনি টিউশনির টাকা জমিয়ে কি করেন?
-নতুন পোশাক কেনেন অথবা ব্লকবাস্টার কোন সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যান!
বিকেলেই বা আপনি কি করেন?
-মোড়ের চায়ের দোকানে অযথায় আড্ডা দেন অথবা গার্ল ফ্রেন্ড বা বয় ফ্রেন্ড নিয়ে বেরাতে বের হন!
আপনার আমার মতোই আরো কিছু মানুষ আছে, যারা এই সময়টা একটু ব্যতিক্রম ভাবে কাটায়। এদেরও অফিস আছে, ক্লাস আছে, বাড়ি ফেরার তারাও আছে, আছে জীবনের নানান ব্যস্ততা। এই ব্যস্থতার মাঝেই ছোটন, নাইস, সম্রাট, শিমুল, আল-আমিন, সোহানা, ফাহাদ, মুক্তা, সাজ্জাদ, সৌমিক, সাদি, মাসনুন, সাহিল, আরিফ, নিশাতসহ প্রায় ২৫ জনের একটি দল এই সময়টাই ভাগাভাগি করে নেয় সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুদের সাঙ্গে। তারা সকলে মিলে ছিন্নমুল শিশুদের নিয়ে গড়ে তুলেছে একটি স্কুল নাম ‘পুস্পকলি’। রবীন্দ্র সরোবরে ওসমান, শুকুর, রাব্বি, ছুমাইলা, হাবিবাসহ যে শিশুরা সমাজের অবহেলা ও অবঙ্গায় বড় হচ্ছে তাদেরই পরম যত্নে কুড়িয়ে এনে শিক্ষা দিচ্ছেন এসকল নিঃস্বার্থ মানুষ। কারণ- তারা জানে বঞ্চিত শিশুরাও আগামির স্বম্ভাবনা, সুযোগ পেলে তারাও বদলে দিতে পারে পৃথিবীকে। তারা প্রত্যেকেই টিউশনির কিছু টাকা একটু একটু করে সঞ্চয় করে মিটায় স্কুলের চাহিদা। কখনো বা মিটায় ছোট এ শিশুদের ছোট ছোট কিছু আবদার। হয়তো অর্থ নেই কিন্তু আছে বিশাল মন যা নিয়ে বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখছে স্নেহপিপাসু নিষ্পাপ শিশুদের। এরা সমাজের তীব্র অনুভুতি সম্পন্ন বিবেকবান কিছু মানুষ এরাই- শিক্ষক। কখনো বা এরা বাবা, মা, ভাই, বোন অথবা বন্ধু। স্যালুট এ সকল শিক্ষকদের।
...
(১ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে পুষ্পকলি স্কুলের শিক্ষদের ফুল দিয়ে স্যালুট করতে গিয়েছিল স্যালুট টিচার সংগঠনের সদস্যরা)
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯
মশিকুর বলেছেন:
নিঃস্বার্থ মানুষদের স্যালুট।