নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশী জার্সি কিনুন, বিদেশী জার্সি বর্জন করুন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

জুবায়ের আহমেদ: বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই ক্রীড়াপ্রেমী। বিশেষ করে বলতে গেলে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছিই। ক্রীড়া ও ক্রিকেট খেলা নিয়ে উম্মদানার অংশ হিসেবে জার্সিও যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল ও ক্রিকেট দল ব্যতীত আমরা বিদেশী দলগুলোকে সমর্থন করার সুবাদে তাদের দলীয় জার্সি আমরা ব্যবহার করি। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট/ফুটবল কাবকে সমর্থন করার কারনে তাদের জার্সি ব্যবহার করি। খেলাধূলার বাহিরেও আমরা সে সব জার্সি পড়ে থাকি, যা সচরাচরই দেখা যায়।

আইপিএল কিংবা ফুটবলের ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ সহ জনপ্রিয় সবগুলো দলের জার্সি বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার হয়। প্রতিজনই নিজ নিজ পছন্দের দলের কিংবা খেলোয়ারের নামের জার্সি ব্যবহার করেন। এটা একমাত্র ভালোলাগার জায়গা থেকেই করা হয়।

বাংলাদেশে ফেইসবুক জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে ক্রিকেট/ফুটবল কিংবা সামাজিক অন্যান্য যেকোন বিষয় নিয়ে শত শত গ্র“প তৈরী হয়েছে এবং জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক গ্র“পই নিজস্ব নামে জার্সি তৈরী করছে এবং কোন খেলোয়ারের নামের গ্র“প হলে সেই খেলোয়ারের নাম ও জার্সি নাম্বার কিংবা গ্র“পের নিজস্ব স্টাইলে জার্সি তৈরী করছে গ্র“পের পরিচালকরা, যা খুবই ইতিবাচক মনে হয়েছে আমার কাছে।

বিদেশী দল, বিদেশী লীগের দল কিংবা বিদেশী পছন্দের খেলোয়ারের জার্সি ক্রয় এবং পরিধান করা দোষের নয়, ভালোলাগা থেকেই এটা করা হয়। তবে বিদেশী জার্সির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হওয়ার কারনে যদি আমার দেশের খেলোয়ার ও দলের জার্সি এবং গ্র“পের নাম দিয়ে তৈরী জার্সি আমরা পরিধান না করে অবহেলায় ফেলে রাখি, তা নিশ্চয়ই ভালো বিষয় নয়।

বিদেশী দল ও খেলোয়ারের জার্সি এই দেশে বিক্রি হবে না, এ নিয়ে নিশ্চয়ই বিদেশীদের কিছু করার নেই, বলারও নেই। কিন্তু আমরা যদি আমাদের জাতীয় ফুটবল, ক্রিকেট দল, বিপিএল, খেলোয়ারের এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ক গ্র“পের তৈরী জার্সি ক্রয় ও পরিধান করি, তাহলে নিশ্চয়ই শত শত স্বপ্নবাজ তরুন ভালো কাজের প্রতি আগ্রহী হবে ও স্পৃহা তৈরী হবে।

খেলাধূলার বিষয়টা পুরোপুরি ভালোলাগার বিষয় হলেও সামাজিক যেকোন বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত গ্র“পগুলোর জার্সি যদি আমরা ক্রয় ও পরিধান করি তাহলে গ্র“পের পরিচালকগুলো উৎসাহ পাবে ভালো কাজে। যে উদ্দেশ্যে তাদের গ্র“প পরিচালনা, সে উদ্দেশ্যও উৎসাহের সহিত পূরণ করা সম্ভব হবে।

জাতীয় দল ও খেলোয়ারের জার্সি ব্যতিত ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গ্র“পের জার্সিই আমার চোখে পড়েছে। একটা বিষয় খেয়াল করেছি-গ্র“পের নির্দিষ্ট মেম্বার ছাড়া অন্য কেউ এ জার্সি/টি-শার্ট ক্রয় করতে ইচ্ছুক হয় না কিংবা আয়োজকরাও বিক্রি করার জন্য চেষ্টা করেন না কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে জার্সি তৈরী করেন না বলে প্রচার করেন না। তবে বিদেশী জার্সির উম্মাদনা কমিয়ে দেশী জার্সি প্রচার করা নিশ্চয়ই ভালো কাজ। গ্র“পের সাথে সরাসরি জড়িত নয় এমন ক্রীড়াপ্রেমীরাও এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশের ক্রীড়া কিংবা অন্যান্য যেকোন সামাজিক বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত গ্র“পগুলোর প্রতি আমার আহ্বান আপনারা নিজেদের গ্র“পের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জার্সি তৈরী করুন, সবাইকে কিনতে আগ্রহী করুন। আপনাদের পুরোপুরি ব্যবসায়িক মনমানসিকতা না থাকলেও গ্র“প সুষ্টু ভাবে পরিচালনা ও গ্র“পের মাধ্যমে মহৎ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। তাতে করে এক সময় সবাই দেশী জার্সি ক্রয়ে ও পরিধানে আগ্রহী হবে, বিদেশী জার্সি বর্জনের চেষ্টা করবে।

দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রমানের শত শত মাধ্যমের মধ্যে দেশের তৈরী জার্সি ক্রয় ও পরিধান করাও অন্যতম একটি মাধ্যম। যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব এবং দলবদ্ধ হয়ে বাস করে, সেহেতু এই গ্র“পের মাধ্যমে দলবদ্ধ হওয়ার উম্মাদনা থাকবে চিরকাল। প্রয়োজন সকলের আন্তরিকতা। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরীতে আন্তরিকতার কোন বিকল্প নেই।

আমরা সবাই নিজেকে দেশপ্রেমি হিসেবে দাবী করি, কিন্তু দেশের জন্য সত্যিই কিছু করছি কিনা, তা ভাবি না, তেমন কিছু করিও না। দেশপ্রেমের ন্যুনতম উদাহরণ সৃষ্টির জন্য আসুন, বিজয়ের মাসে দেশী জার্সি ক্রয় ও পরিধানের বিষয়ে আগ্রহী হই এবং বিদেশী জার্সির চেয়েও বেশি প্রাধান্য দেই বাংলাদেশী জার্সিকে। পারলে বিদেশী জার্সি বর্জন করি। এটাই হতে পারে দেশপ্রেমের সামান্যতম উদাহরণ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: লিখনি শক্তি খুবই সুন্দর।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: welcome

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: এই ব্যাপারটা সমাধান করা এত সহজ নই। ক্রিকেট এর ক্ষেত্রে এমনটা এখন দেখা যায়না। ফুটবলে বাংলাদেশ অনেক ফিছিয়ে পড়ার কারনে এই রকম হচ্ছে। বাংলাদেশের সকল খেলা যত উন্নতি করবে ততই বিদেশি পোশাক কমতে থাকবে।
দেশ নিয়ে এত সুন্দর ভাবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামত, অনুপ্রেরণা হিসেবে নেব,,, আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.