নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যা ৭ টায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন নিপা, রাস্তায় দুই বখাটে পিছু নিল নিপার। পিছু পিছু হাটছে, আর বিভিন্ন বিশ্রি মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে নিপার প্রতি। একা একা নিপা দ্রুত হাটছে আর অস্বস্থিতে ভুগছে। রাস্তাটি নিরব হওয়ার কারনে এবং মানুষের চলাচল কম হওয়ার কারনে কাউকে ডাকতেও পারছে না নিপা। বড় বড় পা ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে নিপা, পেছনে আসছে দুই বখাটে তরুন, রাস্তায় মানুষের চলাচল কম দেখে বখাটেদ্বয় নিপার পথরুদ্ধ করে তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে, এই সময় সামনের দিক থেকে এক যুবক এসে দুই বখাটেকে ধমক দিতেই ওরা চলে যায়, হাফছেড়ে বাঁচে নিপা, ধন্যবাদ দেয় সাহায্যকারী যুবকটিকে।
সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে তরুন যুবকটি নিপার নাম ঠিকানা, কি করে কোথায় থেকে আসছে সব জেনে নিচ্ছে, নিপার গা ঘেঁষে পাশাপাশি হাটছে, নিপা কিছু বলতে চাইলেও উপকারের কথা ভেবে কিছু বলছে না, নিপার নিরবতার সুযোগ নিতে থাকে যুবকটি, এক সময় নিপার হাত ধরে ফেলে, হোটেলে বসে চা নাস্তা খাওয়ার প্রস্তাব দেয় যুবকটি। ছেলেটির কুমতলব বুঝতে পেরে রাজী হয় না নিপা। এরই মধ্যে বাসার কাছাকাছি জায়গায় চলে আসায় দ্রুত হেটে বাসায় চলে আসে নিপা।
শুধুমাত্র মেয়ে ঘটিত বিষয়েই নয়, প্রতিটি মাধ্যমেই এমন ঘটনা ঘটে, যেখানে উপকার/সহযোগিতাকে হাতিয়ার করে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিবর্গ, যা কখনোই কাম্য নয়।
প্রতিটি মাধ্যমেই আমাদের উপকারগুলো হউক নিঃস্বার্থ। মানুষ মানুষের জন্য, এটাই হউক আমাদের অঙ্গীকার।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
রাইসা আন্তা বলেছেন: ভালো লিখছেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমানে এ ধরণের ফ্লপ খাওয়া গল্প নাযিল হওয়ায় জাতি আজ দ্বিধাভক্ত।
আপনার গল্পের শান্ নূযুল পড়ে হেসে উঠলাম।
দুই রাবণ একজন সিতাকে যৌন হয়রানি করছে। সেখানে আরেকজন রাম এসে দেবতার ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়ে সিতাকে উদ্ধার করল। সেই দেবতা সমতুল্য রাম আবার রাবণ হয়ে সিতাকে অপরহণ করে ভোগ করতে চায়।
দেশে যদি এতই রাবণের রাজত্ব হয় তাহলে রামের রাজত্ব এখনও টিকে আছে কিভাবে!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: আসলে আমার লেখার মূল বিষয়বস্তু শেষের তিন লাইনেই পরিস্কার করা হয়েছে। নিপার ঘটনাটি উদাহরণ স্বরূপ মাত্র, তবে তা কোনভাবেই সম্পূর্ণ কাল্পনিক নয়।
উপকারের মাধ্যমে কাছে এসে সম্পর্ক তৈরী করে পরবর্তীতে হিংস্রতা দেখানোর মতো ঘটনা এ দেশে অহরহ ঘটছে। ছেলে-মেয়ে কিংবা যেকোন মানুষই এর শিকার হতে পারে এবং হচ্ছে।
আমার গল্পে মেয়েটি উপকারকারী ছেলেটির হাবভাব বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে মাত্র। কিন্তু বাস্তবে এরূপ ঘটনার জের অনেক ভয়ানক হয় প্রায় সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের সমাজে স্বার্থপর মানুষই বেশি