নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবাশ বাংলাদেশ

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২


বেশ বেশ বেশ সাবাশ বাংলাদেশ, আসিফ আকবর এর এই গানটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঘোষিত থিম সং হয়ে আছে শুরু থেকেই। ২০০৩ সালে একটি ভঙ্গুর দলের উপর ভিত্তি করে, এই দলটিকে উজ্জিবিত করার উদ্দেশ্যে নির্মিত এই গানটির কথাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে দিন দিন। এখন শুধু বাকি বিশ্বজয়ের।

যে দলটি ঘরের মাটিতেও করুন পরাজয়বরণ করে নিতো, সেই দলটিই ২০০৬ সাল থেকে ঘরের মাটিতে দূর্দান্ত, একে একে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসাবস্থায় ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্স প্রদর্শনের পরও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ঘরের মাটিতে পাকিস্তান, আফ্রিকা, ভারত এবং সর্বশেষ ইংল্যান্ডকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে হারিয়ে হয়েছি অনন্য এক বাংলাদেশ। নির্বাচন পক্রিয়া বাদ দিলে ক্রিকেটে আমরা সঠিক পথেই আছি, পথচ্যুত হইনি।

বিদেশের মাটিতে ভালো করা সহজ না, এটা প্রতিটি দলের জন্যই কঠিন কাজ। এতে চূড়ান্ত হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

ক্রিকেটের সফলতা ব্যর্থতাকে যদি দুই ভাগে ভাগ করা হয় অর্থাৎ দেশের মাটিতে সফলতা ও বিদেশের মাটিতে সফলতা। তাহলে এক ভাগ অর্থাৎ ৫০% সফলতা আমরা ইতিমধ্যে অর্জন করেছি, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। কেননা ঘরের মাঠেও আমাদের করুন অবস্থার কথা সবাই জানে ও দেখেছে। ধীরে ধীরে বিদেশ জয়ের রাস্তাও তৈরী হবে ইনশাল্লাহ।

তবে বিদেশে সফল হতে গেলে অবশ্যই একটি অভিজ্ঞ দল ঘোষণার কোন বিকল্প নেই। সেটা হউক জিম্বাবুয়েতেও। কেননা দুর্বল জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েও আমরা সিরিজ হেরে আসি, এখনো। কাজেই বিদেশ সফরে অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নেই।

ঘরের মাটিতে দুর্দান্ত সফল হওয়া মিরাজ, বিদেশে পুরোপুরিই ব্যর্থ, এ থেকেই বুঝা যায় ঘরের মাটিতে একটি সিরিজে ৪/৫ জন তরুনকে নিলেও বিদেশে একজন নেওয়াটাও ঝুকির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ঘরের মাঠে সাফল্য পেলেই একই টিম বিদেশেও নিতে হবে, এই মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

বড় বড় দলগুলোও বিদেশ সফর করতে গেলে ২/৩ বৎসর ধরে দলের বাহিরে থাকা অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকেও দলে ফেরায় কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে এবং সফলও হন সেই ক্রিকেটাররা। এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের বুঝতে হবে।

সাফল্যে উচ্ছসিত হওয়া এবং ব্যর্থতায় সমালোচনা থাকবেই। তবে সব বাধা পেরিয়ে ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। যেকোন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আসিফ আকবর এর সাবাশ বাংলাদেশ গানটিই অনুপ্রেরণা হউক পুরো ক্রিকেট দলের এবং ক্রিকেটারদের। অনুপ্রেরণার পূর্ণ রসদ আছে গানটিতে। গানের কথাগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে, বাকি আছে শুধু বিশ্বয়জয়।

ক্রিকেটেই আমার বাংলাদেশ, জয় হউক বাংলাদেশ ক্রিকেটের, জয় হউক ক্রিকেটারদের, জয় হউক ক্রিকেটের পাগলা সমর্থকদের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: I Love Bangladesh Cricket.

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

ভাবুক কবি বলেছেন: কিন্তু আসিফ আকবরের গানের মত ক্রিকেটেও কি এমন অঘোষিত কোন নির্বাচক নিষেধাজ্ঞা চলছে নাতো!!

তবে সর্বোপরি এদেশের ক্রিকেটকে বড্ড ভালবাসি।
স্বপ্ন দেখি বিশ্ব জয়ের।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আশায় থাকি, সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা এক দিন বিশ্ব কাপ জিতব; সেদিন আমি সামুতে ঘোষণা করব, “ আমার দাদার স্বপ্ন ছিল নাতীরা একদিন বিশ্বকাপ জিতবে”।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: আগে বাংলাদেশে খেলা হলে ছয় চার মারলেই আসিফের এই গানটা বাজতো। গানটা শুনলেই একটা জোস চলে আসে।
বাই দ্যা ওয়ে, আসিফ কিন্তু আমার সেই লেভেলের পছন্দের একজন শিল্পী +পছন্দের মানুষ।

দুলছে সবাই, গাইছে সবাই করতালি মাঠে
বিশ্বকাপের স্বপ্ন দ্যাখে প্রাণে জোয়ার ওঠে
বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ
যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.