নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিভিন্ন মাধ্যমের জনপ্রিয় অনেক মানুষই বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করেন। আপাত দৃষ্টিতে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ মনে হলেও যেখানে শান্তির ধর্ম ইসলাম বৃদ্ধাশ্রম সমর্থন করে না সেখানে দেশব্যাপী পিতা মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত না হয়ে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করে সমাজের কুলাঙ্গার সন্তানদেরকে বৃদ্ধাশ্রম চিনিয়ে দেওয়া মোটেও ঠিক নয়।
দেশের মানুষের মধ্যে দল, মত, ধর্ম নিয়ে নানা প্রকার বিভক্তি থাকলেও পিতা মাতার প্রতি সন্তান দায়িত্ব পালন করবে, ঠিক যেমনি করে ছোটবেলায় পিতা মাতা সন্তানকে এতো কষ্ট করে লালন পালন করে, ঠিক তেমনি পিতা মাতা বার্ধক্যে উপনীত হলে সন্তানরা পিতা মাতাকে দেখাশুনা করবে, সকলেই তা একবাক্যে মেনে নেয় অর্থাৎ পিতা মাতাকে সন্তান ভরণপোষণ ও দেখাশানা করবে না, এমন কাজে সম্মতি দেওয়ার মতো একজন ব্যক্তিকেও খুজে পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন পরপরই এইজন সেইজন কর্তৃক বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের সংবাদ শুনা যায়। পাশাপাশি সন্তান কর্তৃক বৃদ্ধা পিতা মাতাকে রাস্তায়/বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে চলে যাওয়ার মতো অনেক সংবাদ শুনতে পাই আমরা, যার চেয়ে নিকৃষ্টতর আর কোন কাজই হতে পারে না।
প্রতিটি সন্তানের গর্ব ও অহংকার পিতা মাতা। ৯/১০ মাস গর্ভেধারণ করে যে মা সন্তানকে আলোর মুখ দেখান এবং যে পিতা দিনের পর দিন কায়িক পরিশ্রম করে সন্তানকে লালন পালন করেন, লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেন, এক সময় সেই সন্তানই পিতা মাতার দুর্দিনে তাদেরকে অনাদর অবেহলায় বাসায় ফেলেন রাখেন কিংবা কেউ কেউ পিতা মাতার উপর বিরক্ত হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেন, তা কখনোই কাম্য নয়। পিতা মাতার বার্ধক্যে তাদের ভরণপোষণ, দেখাশুনা না করার মতো জঘন্য ও নিকৃষ্ট কাজ মানবজীবনে আর কিছুই হতে পারে না।
পিতা মাতা ছোট বেলায় সন্তানকে যে মাধ্যমেই লেখাপড়া করান না কেন, প্রতিটি মাধ্যমেই মা বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং প্রতিটি সন্তানই ছোট বেলা থেকে তার প্রতি মা বাবার উদারতা, মায়া মমতা, ভালোবাসা দেখে দেখে বড় হন। ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে মা বাবার গুরুত্ব সম্পকে অবগত হন। তথাপিও সেই ছোট্ট সন্তানটি বড় হয়ে নিজ পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি চরম অবহেলা প্রকাশ করেন, বাড়ীতে রাখলেও সেবাযত্মে অনীহা প্রকাশ করেন, অনেকেই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেন।
তবে আশার কথা বাংলাদেশ সরকার পিতা মাতার ভরণ পোষণ প্রদান করা বাধ্যতামূলক করে একটি আইন প্রণয়ন করেছেন। আইনের মাধ্যমে এই বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান না হলেও পিতা মাতার অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসরের শাস্তি রাখা হয়েছে এই আইনটিতে, যা ইতিবাচকই বটে।
তবে আইনের মাধ্যমে পিতা মাতার প্রতি সন্তানের আবশ্যিক কর্তব্য পালন পুরোপুরি কখনোই সম্ভব নয়। মা বাবার প্রতি কোন সন্তানেরই ভালোবাসার কমতি নেই। শুধুমাত্র এই ভালোবাসা সঠিক সময়ে প্রয়োগের অভাব। যারা বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করছেন, তারা সহ দেশের সচেতন নাগরিকরা যদি নিয়মিত এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কাজ করেন, একদিন আস্তে আস্তে দেশ থেকে বৃদ্ধাশ্রম নির্মুল হবে। প্রতিটি সন্তানই পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হবে। বার্ধক্যে পতিত হলে পিতা মাতাও পাবে যথাযথ মূল্যায়ণ।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে খুব একটা বেশী বৃদ্ধাশ্রম নেই।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯
সাইফ সুলতান বলেছেন: সহতম
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আহা রুবন বলেছেন: যারা বাবা-মা-কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় খোঁজ নিয়ে দেখেন কেউ-ই নাস্তিক নয়। ছোট বেলা থেকে তাদের কম ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়নি। বুড়ো কালে তাদের নৈতিকতা কতটুকু শেখানো যাবে? আপনি বৃদ্ধাশ্রম তৈরির বিপক্ষে মত দিয়েছেন, আমি তাদের সৎ উদ্যোগের প্রশংসা করি। উপদেশ দেয়ার জন্য ধর্মগুরুরা আছেন তারা আরও জোরেশোরে শুরু করুক। তবে কিছু মানুষ নামের অমানুষ থাকবেই যাদের মন কোনও কিছুতেই গলবে না। এদের জন্যই দরকার আইন, শাস্তি, বৃদ্ধাশ্রম তৈরির মত অমানবিক প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজে হাত দেয়া। আবার বর্তমানে অনেকেই আছেন যাদের তেমন কোনও আত্মীয় নেই, নিঃসন্তান তাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম খুবই প্রয়োজন। যে সব ভদ্রলোক বাবা-মা-কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় তাদের মুখোশ সমাজের কাছে উন্মোচন করা প্রয়োজন। এই অপকর্মটা করে ছেলেরা স্ত্রীর প্ররোচনায়। মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মান দেয়ার ক্ষেত্র ততটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। মূলত বাবা-মা-ই মেয়েকে ওভাবে গড়ে তোলেন মেয়েদের। ভুলে যাই আমি যেমন কূপমণ্ডুপ মেয়ে তৈরি করছি, পাশের বাড়ির মেয়েটিকে তার বাবা-মা মেয়েকে আমার মতই কূপমণ্ডুক করে গড়ে তুলছেন, যে হয়ত আমার ছেলের বউ হয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়াবে
কিছু মানুষ আছেন যারা ভবিষ্যৎ চিন্তা করেন না। শহরে চাকরি করতে এসে গ্রামকে ভুলে যান। আমাদের গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক সেভাবেই রাখা উচিত যেন প্রয়োজনে আবার সেখানে গিয়ে বসবাস শুরু করা যায়। গ্রামে একেবারে আপন কেউ না থাকলেও বেশ ভালভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। অন্তত বৃদ্ধাশ্রমের চেয়ে হাজারগুণ ভাল। একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, অনেক সময় এমনও হতে পারে ছেলে-মেয়ের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হয়ত তাকে রাখা সম্ভবপর না-ও হয়ে উঠতে পারে। এখনকার বাসাগুলো সেভাবেই তৈরি করা হয়।
আমাদের নৈতিক, ধর্মীয় শিক্ষার আজ ভয়াবহ সঙ্কট! এমন অমানবিক সমাজ আমরা চাই না। সে যত উন্নতই হোক না কেন।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: টিভিতে বৃদ্ধাশ্রমের শোগুলি দেখে একটা ব্যাপার বুঝলাম - বৃদ্ধাশ্রমে দুই ধরনের মানুষ থাকে হতদরিদ্র আর এলিট শ্রেণী। এলিট শ্রেণীর বেশির ভাগেরই সন্তান বিদেশে পড়ালেখা করা বা সেখানে সেটেল। পশ্চিমা আদর্শে দীক্ষিত হয়ে বাবামাকে হোমে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই শ্রেণীতে আছেন জাতিসংঘে চাকরি করা মা আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বাবা, প্রফেসর শাহেলা ওবায়েদের নামটাও কয়দিন পর যুক্ত হতে যাচ্ছে। আরেকটা কথা, সকল ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। যারা টাকার পিছনে ছুটে বাচ্চাদের সময় দিচ্ছেন না তারা বুড়া হলে সন্তানদের সংগ পাওয়ার আশা বাদ দেন। বাচ্চাকে ডে কেয়ারে ফেলে রাখলে বড় হয়ে সেও বাবামাকে হোমে ফেলে রাখবে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: যারা টাকার পিছনে ছুটে বাচ্চাদের সময় দিচ্ছেন না তারা বুড়া হলে সন্তানদের সংগ পাওয়ার আশা বাদ দেন। বাচ্চাকে ডে কেয়ারে ফেলে রাখলে বড় হয়ে সেও বাবামাকে হোমে ফেলে রাখবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪
পলাশমিঞা বলেছেন: যে দেশে ইসলাম ধর্মকে সন্ত্রাস ধর্ম বলা হয় সে দেশে অশান্তিই সম্বল।