নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রাইভার ও যাত্রীদের আন্তরিকতাই কমাতে পারে সড়ক দূর্ঘটনা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

প্রত্যেকটি মৃত্যুই মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় হয়। তবে আমাদের সকলেরই আশা থাকে যেন মৃত্যুটা স্বাভাবিক ভাবে হয়। যেকোন দূর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনাটাই আমাদের দেশে অনেক বেশি। প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, অনলাইন নিউজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের কল্যাণে প্রতিদিনই বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও দূর্ঘটনায় প্রাণহাণির সংবাদ শুনা যাচ্ছে। বিগত কয়েক বৎসর যাবত তা মহামারি আকার ধারণ করেছে। সড়ক পথে পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত করে প্রত্যেকটি মানুষই নিজের কর্ম সম্পাদন করে কিংবা কেউ কেউ শহর থেকে গ্রামের বাড়ী কিংবা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে একেক জায়গায় যাতায়াত করে। কিন্তু একটি দূর্ঘটনা মাত্র একটি ব্যক্তির মৃত্যু/অঙ্গহানি/পঙ্গুত্ব বরণই নয়, একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না।

ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন শহরে থাকার সুবাদে প্রায় প্রতিমাস কিংবা দু’মাস পর পরই গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ঢাকা-কুমিল্লা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-নরসিংদী সহ আরো কিছু বিশ্বরোড দিয়ে আমাকে যাতায়াত করতে হয়েছে এবং এখনও করছি। প্রত্যেকটি ভ্রমনেই আমি দেখেছি ড্রাইভাররা এক হাতে সিগারেট অপর হাতে ড্রাইভিং করছে এবং অপর একটি গাড়ীকে অতিক্রম করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। পাশাপাশি বা সামনে থাকা গাড়ীকে অতিক্রম করার বিষয়টি যেন তাদের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। অপরদিকে যাত্রীরা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ড্রাইভারকে নানা ভাবে প্ররোচিত করে। যাত্রীরা ড্রাইভার হেলপারদেরকে তুচ্ছজ্ঞান করে বিভিন্ন মন্তব্য ছুড়ে দেন। যেন ড্রাইভার ও হেলপারদের জন্মই হয়েছে যাত্রীদের কটু ও বিশ্রি ব্যবহার শুনার জন্য। ড্রাইভার-হেলপার-যাত্রীদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব ভালো ভাবেই ল্য করা যায়।

বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্বরোড মিলিয়ে হাতগুনা কয়েকটি পরিবহন আছে যারা নিরাপদ ভ্রমনের অঙ্গীকার দেয় ও রাস্তায় তা বাস্তবায়ন করে। অধিকাংশ পরিবহনগুলোই পথে পথে যাত্রী নেয় এবং শেষ সময়ে যাত্রীদের আহ্বানে কিংবা ড্রাইভারের নিজের ইচ্ছায় গন্তব্যস্থানে পৌঁছানোর জন্য এমন গতিতে গাড়ী চালায় যা অনাকাঙ্খিত।

বাংলাদেশের বিশ্বরোডগুলো এখনো চার লেন বিশিষ্ট হয়নি। তাছাড়া বিশ্বরোডগুলোতে প্রতি কিলোমিটারের ভেতরে ভেতরে গর্তের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। স্বাভাবিক গতিতে গাড়ী চালালেও মুখোমুখি সংঘর্ষের ভয়টা থাকছেই। বাংলাদেশের বিশ্বারোডগুলোর সীমাবদ্ধতা ও বিভিন্ন প্রকার সমস্যার কথা ড্রাইভার যাত্রীর সবারই জানা আছে। তথাপিও দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য ড্রাইভারকে প্ররোচিত করা কিংবা অন্য গাড়ীকে অতিক্রম করার যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া নিসন্দেহে অন্যায় কাজ যা কখনোই কাম্য নয়।

দূর্ঘটনা কখনোই কারো কাম্য নয়। দূর্ঘটনা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনাও সম্ভবপর নয়। তথাপিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রধান সড়কগুলোর দিকে গভীর নজর দিয়ে চার লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ শুরু করা এবং শুরু হওয়া প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করা এবং গাড়ী চালানো অবস্থায় সিগারেট সহ যেকোন প্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়া নিষিদ্ধ করা জরুরী। পাশাপাশি যাত্রীরা ড্রাইভারদেরকে চাপ প্রয়োগ পরিহার করা এবং ড্রাইভারদেরকেও রাস্তায় অপর গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া বন্ধ করতে হবে। সিগারেট সহ যেকোন প্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

তাহলেই হয়তো সড়ক দূর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। অকালেই ঝড়ে যাবে না অনেক তাজা প্রাণ। নিঃস্ব হবে না কোন পরিবার, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন হারা হতে হবে না কাউকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.