নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৪ সালে মান্না অভিনিত ভিলেন ছবিতে ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও গানটি করা হয়। গানটি গেয়েছিলেন মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি এ্যাকশানধর্মী হওয়ায় এবং প্রচারের কারনে গানটি অসাধারণ হলেও আট দশটা গানের মতোই সাধারণ মানে পড়ে থাকে গানটি।
২০০৫ সাল কলকাতার ছবিতে জিৎ ও প্রিয়াংকা অভিনিত সাথী ছবিতে ব্যবহার করা হলো ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও গানটি। গানের সুর ও প্রথম অন্তরা ঠিক রেখে পরের দুই অন্তরা পরিবর্তন ও গায়কীর ঢংয়ে নতুনত্ব আনা হয়। আর এই একটি গান দিয়ে কলকাতার ছবিতে নতুন যুগের আবির্ভাব হয়েছিল তখন। ছবিটি ও জিৎ বাজিমাত করলো এক গানের উপর নির্ভর করে।
আর আমাদের দীর্ঘশ্বাসই বেড়েছে এতে, ফুটিয়ে তুলতে না পারার দীর্ঘশ্বাস। সাথী ছবিটি দেখলেই হতাশ হয়ে যাই আমি, এখনো।
হৃদয়ে আছো তুমি নামের একটি গানের ছবি মুক্তি পায় বাংলাদেশে। সামিনা চৌধুরী ও এস.আই টুটুল এর কণ্ঠের সবগুলো গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছিল, কিন্তু দুর্বল নির্মাণ ও গানের ছবিতে নায়ককে ক্যান্সারের রোগী বানিয়ে মেরে ফেলা সহ নানা অসঙ্গতি এবং প্রচারের কারনে ছবিটি তেমন জনপ্রিয় হয়নি। অথচ এ ছবির প্রতিটি অডিও গান তখন আকাশচুম্বি জনপ্রিয় হয়েছিল।
কলকাতার প্রায় সব ছবিই নকল করা, তবে নির্মাণের মুন্সিয়ানার কারনে ওদের নকলগুলো হয়ে যায় শিল্প, আর আমাদের নকলগুলো হয় চুরি, কারন নকলটাও আমরা ঠিক মতো করতে পারি না।
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও গানটি ও হৃদয়ে আছো তুমি ছবিটির ব্যর্থতা দেখার পর এদেশের চলচ্চিত্রকারদের আর বিশ্বাস করা যায় না।
সাফল্য অর্জনের মতো যথেষ্ট উদাহরণ আমাদের হাতেই কিন্তু আছে-হৃদয়ের কথা ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা এবং রানি কুঠির বাকি ইতিহাসের মতো ছবিগুলো কিন্তু প্রচার ও গানের সৌজন্যেই জনপ্রিয় হয়েছে।
ছবি মানে বিনোদন, বিনোদনে কষ্টের স্থান ১০% থাকতে পারে, তার বেশি নয়। মানুষ ছবি দেখে চোখের পানি আনতে নয়, হাসার জন্য। মনকে খুশি করার জন্য ও খুশি রাখার জন্য। ছবি হতে হবে কমেডি ও গান নির্ভর, সাথে একটু বিরহ ও আবেগ। গান হতে হবে ওহ,আহ টাইপের শব্দ ব্যতীত।
কলকাতার সঙ্গীত বাংলা চ্যানেলের মতো বাংলাদেশেও একটি গানের চ্যানেল দরকার, শুধুমাত্র প্রচারের জন্য। একটি কাজের প্রাপ্য সম্মান ও সঠিক ব্যবসার নিমিত্তে প্রচারের কোন বিকল্প নেই।
বাংলা ছবি বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবে, এই কামনা।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৯
CamEye বলেছেন: "কলকাতার প্রায় সব ছবিই নকল করা, তবে নির্মাণের মুন্সিয়ানার কারনে ওদের নকলগুলো হয়ে যায় শিল্প, আর আমাদের নকলগুলো হয় চুরি, কারন নকলটাও আমরা ঠিক মতো করতে পারি না। "
কলকাতার ছবি বলতে মনেহয় আপনি শুধু কমার্শিয়াল ছবি গুলোই বোঝেন!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
ধানক্ষেতের ইঁদুর বলেছেন: আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প শিল্পের পর্যায়ে নেই। ঘুরেফিরে চৌধুরি সাহেবের কন্যা আর গরিব ছেলেরই প্রেম হয়। কথায় কথায় হার্ট এটাক হয়। কাহিনী বৈচিত্রতা নেই। আছে শুধু গানগুলো। কিন্তু ইদানিং সেগুলোও শেষ। এখনকার বাংলা গান শুনলে মনে বিশুদ্ধ পানি খেয়ে (পান করে নয়) আত্মহত্যা করি। সৃজনশীলতা বলতে কিছু নেই এখন। নতুন কণ্ঠশিল্পী তো....... কোথায় সাবিনা ইয়াসমিন, এস আই টুটুল, এণ্ড্রু কিশোর, কনক চাঁপা (কয়টা বলবো?) আর বর্তমানের..........
থাক, ফাঁকা মাঠে চেঁচিয়ে গলা ভাঙা ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না।