নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের তিন লিজেন্ডারী স্পিনার!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫



মোহাম্মদ রফিক
১৯৯৫ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর নিজ সময়ের সেরা স্পিনার এবং সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন। ব্যাট হাতে মাঝে মাঝে ঝড় তোলার পাশাপাশি নিয়মিত উইকেট শিকারী বোলার ছিলেন তিনি। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে দুধরনের ক্রিকেটেই সমানতালে সাফল্য পেয়েছেন এবং দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। তখনকার সময়ে রফিক মানেই ছিলো চার ছক্কার ছড়াছড়ি।


২০০৮ সালে শেষ টেস্ট খেলার আগ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ টেস্টে ১১১ রান বেস্টে ১০৫৯ রান করার পাশাপাশি ১০০ উইকেট শিকার করেছেন। ১২৫ ওয়ানডেতে ৭৭ রান বেস্টে ১১৯১ রান করার পাশাপাশি ১২৫ উইকেট শিকার করেছেন। একমাত্র টি২০ ম্যাচে ১৩ রান ও ১ উইকেট শিকার করেছেন।


আবদুর রাজ্জাক
২০০৪ সালে অভিষেকের পর রাজ্জাকের সাথে জুটি বেধেই খেলেছেন পরবর্তী ৪ বৎসর। রফিকের ছায়া হয়ে খেলেই দলকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন এবং দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট শিকারী বোলার হয়েছেন।


২০১৪ সাল পর্যন্ত ১২ টেস্টে ৪৩ বেস্টে ২৪৫ রান করার পাশাপাশি ২৩ উইকেট শিকার করেছেন। ১৫৩ ওয়ানডেতে ৫৩ রান বেস্টে ৭৭৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ২০৭ উইকেট শিকার করেছেন। ৩৪ টি২০ ম্যাচে ৯ রান বেস্টে ৪১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪৪ উইকেট শিকার করেছেন।


সাকিব আল হাসান
২০০৬ সালে অভিষেক হওয়ার সময় দলে রফিক-রাজ্জাকের মতো দূর্দান্ত স্পিনার থাকলেও নিজের জাত চিনিয়েছেন দারুন ভাবে। সাকিবের অন্তর্ভূক্তির পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট স্পিনে দূর্দান্ত শক্তিশালী হয়। তিন স্পিনার মিলে দূর্দান্ত বোলিং আক্রমন তৈরী হয় বাংলাদেশের। ২০০৮ সালের শুরুতে রফিক আর জাতীয় দলে না খেলায় তখন থেকে রাজ্জাকের সাথে জুটি বেধে দূর্দান্ত সব সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো এক নাম্বার অলরাউন্ডারে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।


নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে সর্বশেষ সিরিজ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৪৬ টেস্টে ২১৭ রান বেস্টে ৩২১৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৬৫ উইকেট শিকার করেছেন। ১৬৬ ওয়ানডেতে ১৩৪ বেস্টে ৪৬৫০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ২২০ উইকেট শিকার করেছেন। ৫৭ টি২০ ম্যাচে ৮৪ রান বেস্টে ১১৫৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৬৭ উইকেট শিকার করেছেন।


২০০৬ সালের শেষের দিক থেকে রফিক-রাজ্জাক-সাকিব জুটিবদ্ধ হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। তিনজনের উপস্থিতি তখনকার সময়ে স্পিন আক্রমনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল।


বর্তমানে রফিক-রাজ্জাক নেই, রাজ্জাক অবসর না নিলেও আর কখনো জাতীয় দলে নেওয়া হবে কিনা তাকে, সেটাও নিশ্চিত নয়। তাই দলে এখন স্পেশালিষ্ট স্পিনার নেওয়া হলেও সাকিবই মূল ভরসা।


জয় হউক বাংলাদেশ ক্রিকেটের, জয় হউক ক্রিকেটারদের।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬

কালীদাস বলেছেন: রফিকের জন্য আলাদা একটা রেসপেক্ট কাজ করে সবসময়। খুব বড় এমাউন্টের প্রাইজমানি নিঃসংকোচে দিয়ে দিয়েছিলেন কেরানীগন্জে স্কুল বানানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.