নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের ক্রিকেট বিনোদনের অন্যতম উদাহরণ তিনি। পৃথিবীর সব হাসিখুশি মানুষগুলোর তালিকা করলে দেখা যাবে সামিও আছেন সেই তালিকার প্রথম দিকে। সামির পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। তিনি ক্রিকেটকে কতটা ভালোবাসেন, ক্রিকেটকে কতটা উপভোগ করেন এবং ক্রিকেটে তার বড় সাফল্যগুলো নিয়েই এই লেখা।
ড্যারেন সামির টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি২০ ম্যাচের রেকর্ড/এভারেজ দেখলে তাকে একজন সাদামাটা ক্রিকেটারই মনে হবে। কিন্তু একজন সামিকে তার রেকর্ড/এভারেজ দিয়ে বিবেচনা করা তার উপর শতভাগ অবিচার করার শামিল।
ড্যারেন সামি বঙ্গুর ওয়স্টে ইন্ডিজ দলকে একসূতায় গেঁথেছেন দায়িত্ব পাওয়ার পর। ২০০৪ সালের পর দীর্ঘ ৯ বৎসর পর ২০১২ সালে দলকে টি২০ বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছেন। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপও জয় করেছেন অধিনায়ক হিসেবে। টি২০ ক্রিকেটে অতিমানবীয় ইনিংস খেলতে জুড়ি নেই সামির। সামির ইনিংসগুলো খুব ছোট, কিন্তু দেখা যাবে তার ৩০ রানের ইনিংসগুলো খেলেছেন মাত্র ১০/১২ বলে। পরিপূর্ণ পাওয়ার হিটার এর সর্বোকৃষ্ঠ উদাহরণ সামি। নিজ দেশের হয়ে দুইটি টি২০ শিরোপা জয়ী অধিনায়ক হিসেবে তার নামে তৈরী হয়েছে স্টেডিয়াম, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় এখন নিয়মিত।
ক্রিকেটে কিভাবে চাপ সামলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়, নেতৃত্বকে উপভোগ করতে হয়, তা সম্ভবত সামিকে দেখেই শেখা যায়। দলের কঠিন বিপর্যয়েও হাসিখুশি থেকে সবকিছু সামলতে হয় তা সামিকে দেখেই শেখা যায়। দলের সব ক্রিকেটারদে কিভাবে সামলাতে হয় এবং আগলে রাখতে হয় তাও সামিকে দেখে শেখা যায়।
বিশেষ করে বিশ্ব ক্রিকেটে টি২০ এর প্রভাবের ফলে টি২০ ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা হয়ে খেলছেন সর্বত্র। নিজ দেশের টি২০ শিরোপা জিতেছেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে অধিনায়কত্ব করে দলকে রানার্সআপ করেছেন। সর্বশেষ পাকিস্তান সুপার লীগে অধিনায়কত্ব করে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। টি২০ ক্রিকেটের সেরা অধিনায়কের তালিকা করলে নিঃসন্দেহে সামির নাম থাকবে সবার উপরে।
সবচেয়ে আশ্চর্য্যজনক বিষয়, যিনি তার দেশকে দুই দুইবার বিশ্বসেরার মুকুট পড়িয়েছেন, তিনিই টেস্ট, ওয়ানডে এবং নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা টি২০ থেকেও বাদ পড়েছেন ফর্মের কারনে। আসলে সর্বশেষ শিরোপা জেতা অর্থাৎ ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপ কিংবা তারও আগের কিছু ম্যাচে ধারাবাহিক খারাপ খেলার দরুন সেরা অধিনায়কত্বও তার স্থান করে দিতে পারেনি দলে। তিন ধরনের ক্রিকেট থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে সামিকে। আহ ক্রিকেট!!!
এই বাদ পড়া কিংবা ফিরে আসা নিয়ে হয়তো সামিরও কোন আক্ষেপ কিংবা চিন্তা নেই। কেননা তিনি যেকোন মুহুর্তকে উপভোগ করতে জানেন, যার বড় প্রমাণ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ এবং পাকিস্তান সুপার লীগ। দুটো লীগেই দূর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছেন নিজে এবং দলকে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিয়েছেন।
সবকিছু ছাপিয়ে একজন ড্যারেন সামির হাসিমুখটার দামই আমার কাছে অনেক বেশি। দলের বিপর্যয়ে ভক্তরাও যেখানে টিভি সেটের সামনে হতাশ হয়ে পড়েন, সেখানে নিজে মাঠে থেকে এবং দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অবস্থায় যেভাবে হাসিখুশি থাকেন সামি, তা নিঃসন্দেহে সেরা অধিনায়কের প্রমাণ দেয়।
সামির বর্তমান বয়সটাও বেশি নয়। ৩৩ চলছে মাত্র। নিজে চাইলেই টি২০ খেলতে পারেন আরো ১০ বৎসর। তবে মন থেকে চাইবো ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে আবার ফিরুক সামি, ওয়ানডে এবং টি২০ খেলুক আরো ৫ বৎসর। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে একজন সামির অবদান হিসেবে, এইটুকু তার প্রাপ্যই।
জুবায়ের আহমেদ
ক্রীড়া লেখক
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
সুমন কর বলেছেন: ড্যারেন সামির কথা পড়ে ভালো লাগল। গুড পোস্ট।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৩
পেতনীর ভূত বলেছেন: তিনি যেকোন মুহুর্তকে উপভোগ করতে জানেন
-সুপার।
-
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সামি আমারও প্রিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন। তাঁর সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৮
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ভাল বলেছেন।