নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় ছেলের গল্পের কোন শেষ নেই

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২


হাসান (ছদ্মনাম) পরিবারের বড় ছেলে। তার ছোট দুই বোন। কোন ভাই নেই। এইচএসসি ২য় বর্ষে পড়ছে হাসান, ছোট দুই বোন পড়ছে ৭ম শ্রেণীতে। হাসানের কলেজে যাতায়াতের পথেই একদিন দেখা হয় সাথি (ছদ্মনাম) এর সাথে। প্রথম দেখাতেই সাথিকে ভালো লাগে। হাসান তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুমনের মাধ্যমে সাথিকে হাসানের পছন্দের কথা জানায়ও। সাথি সরাসরি হাসানের প্রস্তাব গ্রহণ না করলেও বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হয়। এভাবেই শুরু হয় হাসান ও সাথির সম্পর্ক। এরই মধ্যে এইচএসসি পাশ করে হাসান। হাসানের বাবা রফিক আহমেদ হাসান ও তার মাকে একত্রে ডেকে জানিয়ে দেয়, হাসান যেন পরিবারের হাল ধরে। তিনি একা আর সংসারের ঘানি টানতে পারছেন না। তাছাড়া হাসানের দুই বোন বড় হচ্ছে, তাদের পড়ালেখার খরচ বাড়ছে এবং বিবাহও দিতে হবে। হাসান বাবার দুটি হাত ধরে তাকে আশ্বস্ত করে, পরিবার ও বোনদের সব দায়িত্বই যে সঠিক ভাবে পালন করবে, যেভাবেই হউক, পরিবারের প্রতি এতটুকু অবহেলা করবে না সে।

হাসানের সব বন্ধুরা ভার্সিটি ভর্তি কোচিংয়ে ব্যস্ত তখনই চাকুরীর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে হাসান। গ্রামে মেয়েদের সামান্য পড়ালেখা করিয়েই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়, সাথির বাবাও সাথীকে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। হাসানকে বিষয় অবহিত করে সাথি। দিশেহারা হয়ে যায় হাসান। মা-বাবা, বোনদের মুখ তার সামনে ভেসে উঠে।

সাথির বড়লোক বাবা হাসানকে কখনোই মেনে নেবে না, আর মেনে নিলেই বা কি, হাসানের দ্বারা এই অবস্থায় বিয়ে করা সম্ভব নয়, সংসারের সমস্ত দায়িত্বই হাসানের কাঁধে, কোন ভুল করার সময় এটা নয়, এসব ভেবে ভেবেই সাথির সাথে দেখা করে পরিবার, বাস্তবতা ভবিষ্যত বিষয়ে খুলে বলে হাসান। সাথিও হাসানের কথা শুনে নিশ্চুপ হয়ে যায়, শুধুমাত্র ভালোবাসার নামে পরিবারের প্রতি গুরু দায়িত্ব কর্তব্য ভুলে গিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ছুটে যাওয়ার কোন মানে হয় না। দুটি মন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেলেও দুজনকেই মেনে নিতে হচ্ছে নিষ্ঠুর বাস্তবতা।

যথারীতি সাথির বিয়ে হয়ে যায, হাসান ভালো কোন চাকুরী খুজে না পাওয়ায় বাবার পৈত্রিক কয়েক শতক কৃষি জমি বিক্রি করে ছোট একটা ব্যবসা করে। গ্রামের বাজারে দীর্ঘ ৫ বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় হাসান। ইতিমধ্যে দু বোনকেই ভালো পাত্রস্থ করে হাসান। মা বাবারও গর্বের শেষ নেই হাসানকে নিয়ে।

এমনও হাজারো হাসান আছে আমাদের সমাজে, যারা নিরবে নিবৃতে নিজের ইচ্ছা আকাঙ্খা, ভালো লাগা ভালোবাসা বাদ দিয়ে পরিবারের হাল ধরেন, সুন্দর ভাবে বাঁচার জন্য সংগ্রাম করেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বড় ছেলে নাটকটি এখনও দেখা হয়নি।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পরিবারের বড় ছেলে হলেই তাকে সব দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে হবে এটাই আমাদের সমাজে রীতি নীতি হয়ে গেছে।

কেন ? শুধু বড় ছেলেই কেন তার শাখ, সাধ, আহ্লাদ বাদ দিয়ে সব দায়িত্ব পালন করে যাবে আর মেঝ, সেঝ, ছোটগুলো হাওয়া খেয়ে বেড়াবে।

দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: বড়দের কাছ থেকেই পিতা মাতা চায় বেশি, প্রথমে সেক্রিফাইসটা তাদেরই করতে হয়,

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

মিথী_মারজান বলেছেন: ব্যপারটা আসলে বড় ছেলে না। এটা হবে দায়িত্ববান সন্তান। সব ফ্যামিলিতেই কিন্তু বড় ছেলেরা স্যাক্রিফাইজ করে না। দায়িত্ববান হতে পারে মেজ, সেজ, ছোট ছেলে অথবা কোন মেয়ে সন্তান।

উপরের গল্পটায় কিন্তু বড় ছেলে হিসাবে কোন ক্রেডিট বা স্যাক্রিফাইজ নেই (সাথির ক্ষেত্রে)। হাসান সবেমাত্র এইচ.এস.সি. পাশ করেছে। পড়ালেখা সম্ভব না জন্য কর্মমুখী হয়েছে। আর আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এই বয়সী মেয়েদের অনেকক্ষেত্রেই বিয়ে হয়ে যায়। এবং যোগ্যতা সম্পন্ন না হওয়ায় অভাবে এই বয়সের আর পজিশনের ছেলেরা মেয়ের বাবা-মায়ের পছন্দের তালিকায় পড়েনা।
হাসানের জন্য ব্যপারটা আবেগের এবং কষ্টকর কিন্তু বড় ছেলে হিসাবে এখানে কোন দোষ-গুণ পেলাম না।
তবে পরবর্তীতে সংসারের হাল ধরাটা দায়িত্ববোধের পরিচয় ছিল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: গুণ বলতে পিতা বেশ সাবলম্ভী হলে হাসান নিজের লেখা পড়া শেষ করতে পারতো, কিন্তু পরিবারের হাল ধরার জন্যই কাজে নেমে পড়তে হয়েছে তাকে, পড়ালেখা শেষ করতে পারেনি, এটাই গুণ বা পরিবারের প্রতি সেক্রিফাইজ বুঝাতে চেয়েছি, ধন্যবাদ

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইন্টারের একটা ছেলে প্রেম, বিয়ে এসব নিয়ে ভাবারই বা দরকার কি? যত্তসব উদ্ভট চিন্তা কিশোরদের মনে উদয় হয় মেয়ে দেখলেই!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: গ্রামে এটাই হয় বেশি, ইন্টার তো অনেক দূর, এসএসসি লেভেল থেকেই শুরু হয়, আর গ্রামে এখনো সব পরিবারে লেখাপড়া মানেই অনার্স মাস্টার্স করাতে হবে,এমন ধারণা এখনো তৈরী হয়নি, এসএসসি বা এইসএসসি পাশ করাতে পারলেই ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করেছে, এটাই ধরে নেওয়া হয়, আর পরিবারের বড় ছেলে হলে, পিতা কিছুটা আর্থিক দূর্বল হলে, এমনটাই হয় প্রায় সময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.