নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া সকল শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি, ঘৃণা পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় দোসরদের প্রতি

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬




আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, যে হারায় সে-ই বুঝে হারানোর বেদনা, যার গায়ে ব্যথা, সে-ই বুঝে ব্যথা। আমরা সকলেই এটা বিশ্বাস করি। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ওয়ারিশরাও এটা বলে, যা গেছে আমাদেরই গেছে। স্বজন হারানোর ব্যথা শুধু স্বজনরাই বুঝে, অন্যদের ততটা গায়ে লাগে না।

কিন্তু ১৯৭১ এ হারানোর ঘটনা কি কারো না কারো না লাগার মতো। স্বজন হারানোর ব্যথা শুধু স্বজনরা বুঝলেও একাত্তুরে আমরা যাদের হারিয়েছি, তারা তো শুধু নিজ নিজ পরিবারের নয়, গোটা বাঙ্গালী জাতির সম্পদ ছিলো। একাত্তুরে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে যারা বুদ্ধিজীবি ছিলো, তারা ছিলো দেশের একেক সেক্টরের সম্পদ। যাদেরকে ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এ হত্যার মাধ্যমে এই দেশকে শত বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও তো সেই ক্ষত শুকিয়ে এগুণো সম্ভব হয়নি।

একাত্তুরে ৩০ লাখ তাজা প্রাণকে হারানোর বেদনার মাঝেও আনন্দের বিষয় বাঙ্গালী বিজয় ছিনিয়ে এনেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। কিন্তু এই আনন্দের মাঝে হারানোর বেদনাকে ভুলে যাওয়া, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙ্গালীকে পিছিয়ে দিতে বর্বর হত্যাকান্ড চালানো পাকিস্তানের মাস্টারমাইন্ড প্ল্যানিংয়ের গভীরতা না বুঝে তারাও মুসলিম, আমরাও মুসলিম বলা, খেলার ছেলে ইনিয়ে বিনিময়ে পাকিদের সমর্থন করা কতটা বর্বোরোচিত মানসিকতার কাজ, তা বুঝতে হলে স্বজন হারানো কিংবা দেশ পিছিয়ে যাওয়ায় আমরাও পিছিয়ে আছি, এই উপলব্ধি মগজে ঢুকতে হবে।

দরুণ আপনি একাত্তুরে স্বজন হারিয়েছেন, তাহলে আপনি কি পারতেন আজ মুসলিমের ছলে কিংবা খেলা’র ছলে পাকিদের সমর্থন করতে, যে পাকিরা তাদের পূর্ববর্তী নরপিসাশদের বর্বোরোচিত কর্মকান্ডের কারনে ক্ষমা চায়নি, যারা তাদের পূর্ববর্তীদের কর্মকান্ডকে সঠিক মনে করে।

দরুন আপনার ভাই-বোন-পিতা-মাতার কাউকে খুন করলো আপনার পার্শ্ববর্তী কোন মুসলমান, তাহলে আপনি কি পারবেন মুসলমানের দোহাই দিয়ে খুনিকে ক্ষমা করতে কিংবা তার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে? কখনোই পারবেন না। কিন্তু আপনি ঠিকই পারছেন একাত্তুরের ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তের সাথে বেঈমানি করে খুনিদের সমর্থন করতে।

আপনি স্বজন হারাননি কিন্তু স্বজন হারানোর ব্যথাও উপলব্ধি করতে পারছেন না। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ই ডিসেম্বর জাতিকে মেধাশুণ্য করার যে ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালিয়েছে বর্বররা, আপনি একজন বাংলাদেশী হিসেবে সেই ক্ষত উপলব্ধি করতে পারছেন না। আপনি খেলার সাথে রাজনীতি কিংবা ১৯৭১ কেনো মিশানো হয় বলে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারছেন, কিন্তু আপনি স্বজন না হারালেও আপনার পার্শ্ববর্তী কেউ না কেউ স্বজন হারিয়েছে, আপনি তাদের ব্যথা উপলব্ধি করতে পারছেন না। আপনার দেশকে মেধাশুণ্য করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনি ব্যথিত হতে পারছেন না, উল্টো ইনিয়ে বিনিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করছেন। ধিক আপনার প্রতি, আপনার মানসিকতার প্রতি, ধিক!


জুবায়ের আহমেদ
১৪/১২/২০২১ইং
আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, যে হারায় সে-ই বুঝে হারানোর বেদনা, যার গায়ে ব্যথা, সে-ই বুঝে ব্যথা। আমরা সকলেই এটা বিশ্বাস করি। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ওয়ারিশরাও এটা বলে, যা গেছে আমাদেরই গেছে। স্বজন হারানোর ব্যথা শুধু স্বজনরাই বুঝে, অন্যদের ততটা গায়ে লাগে না।

কিন্তু ১৯৭১ এ হারানোর ঘটনা কি কারো না কারো না লাগার মতো। স্বজন হারানোর ব্যথা শুধু স্বজনরা বুঝলেও একাত্তুরে আমরা যাদের হারিয়েছি, তারা তো শুধু নিজ নিজ পরিবারের নয়, গোটা বাঙ্গালী জাতির সম্পদ ছিলো। একাত্তুরে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে যারা বুদ্ধিজীবি ছিলো, তারা ছিলো দেশের একেক সেক্টরের সম্পদ। যাদেরকে ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এ হত্যার মাধ্যমে এই দেশকে শত বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও তো সেই ক্ষত শুকিয়ে এগুণো সম্ভব হয়নি।

একাত্তুরে ৩০ লাখ তাজা প্রাণকে হারানোর বেদনার মাঝেও আনন্দের বিষয় বাঙ্গালী বিজয় ছিনিয়ে এনেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। কিন্তু এই আনন্দের মাঝে হারানোর বেদনাকে ভুলে যাওয়া, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙ্গালীকে পিছিয়ে দিতে বর্বর হত্যাকান্ড চালানো পাকিস্তানের মাস্টারমাইন্ড প্ল্যানিংয়ের গভীরতা না বুঝে তারাও মুসলিম, আমরাও মুসলিম বলা, খেলার ছেলে ইনিয়ে বিনিময়ে পাকিদের সমর্থন করা কতটা বর্বোরোচিত মানসিকতার কাজ, তা বুঝতে হলে স্বজন হারানো কিংবা দেশ পিছিয়ে যাওয়ায় আমরাও পিছিয়ে আছি, এই উপলব্ধি মগজে ঢুকতে হবে।

দরুণ আপনি একাত্তুরে স্বজন হারিয়েছেন, তাহলে আপনি কি পারতেন আজ মুসলিমের ছলে কিংবা খেলা’র ছলে পাকিদের সমর্থন করতে, যে পাকিরা তাদের পূর্ববর্তী নরপিসাশদের বর্বোরোচিত কর্মকান্ডের কারনে ক্ষমা চায়নি, যারা তাদের পূর্ববর্তীদের কর্মকান্ডকে সঠিক মনে করে।

দরুন আপনার ভাই-বোন-পিতা-মাতার কাউকে খুন করলো আপনার পার্শ্ববর্তী কোন মুসলমান, তাহলে আপনি কি পারবেন মুসলমানের দোহাই দিয়ে খুনিকে ক্ষমা করতে কিংবা তার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে? কখনোই পারবেন না। কিন্তু আপনি ঠিকই পারছেন একাত্তুরের ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তের সাথে বেঈমানি করে খুনিদের সমর্থন করতে।

আপনি স্বজন হারাননি কিন্তু স্বজন হারানোর ব্যথাও উপলব্ধি করতে পারছেন না। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৪ই ডিসেম্বর জাতিকে মেধাশুণ্য করার যে ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালিয়েছে বর্বররা, আপনি একজন বাংলাদেশী হিসেবে সেই ক্ষত উপলব্ধি করতে পারছেন না। আপনি খেলার সাথে রাজনীতি কিংবা ১৯৭১ কেনো মিশানো হয় বলে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারছেন, কিন্তু আপনি স্বজন না হারালেও আপনার পার্শ্ববর্তী কেউ না কেউ স্বজন হারিয়েছে, আপনি তাদের ব্যথা উপলব্ধি করতে পারছেন না। আপনার দেশকে মেধাশুণ্য করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনি ব্যথিত হতে পারছেন না, উল্টো ইনিয়ে বিনিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করছেন। ধিক আপনার প্রতি, আপনার মানসিকতার প্রতি, ধিক!


জুবায়ের আহমেদ
১৪/১২/২০২১ইং

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন:


বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া সকল শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি আর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তীব্র ঘৃণা পাকিস্তান ও তাদের এদেশীয় দোসরদের প্রতি।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা যুদ্ধের শেষদিকে হত্যাকান্ড চালায়েছিলো, তাদের সমর্থকরা সংখ্যায় অনেক বেড়েছে দেশে।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন রাজাকার মানসিকতার লোক দেশে থাকবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.