নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল! কি আশ্চর্যজনক কাজ এটি। ভাবতে পারছেন!
যদি তিন ফরম্যাটে একই অধিনায়ক হয়, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু কখনোই, কোন যুক্তিতেই টেস্ট ও টি২০ এর জন্য এক অধিনায়ক এবং ওয়ানডের জন্য আলাদা অধিনায়ক হতে পারে না।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে এক অধিনায়ক, তারপর টি২০ এ আরেক অধিনায়ক অথবা টেস্টে এক অধিনায়ক ও ওয়ানডে-টি২০ এ আরেক অধিনায়ক। এটাই হলো ফরম্যাট অনুযায়ী অধিনায়কত্বের ভালো সিস্টেম।
বাংলাদেশে বর্তমানে টেস্ট অধিনায়ক টি২০ দলেরও অধিনায়ক হওয়ায় দুইটা দলকে সমন্বয় করা খুব কঠিন, কারণ দুই ফরম্যাটের খেলার ধরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ওয়ানডে ফরম্যাটটা হলে এখানে মধ্যমনি। একটা প্লেয়ারের ওয়ানডে খেলার ধরণ অনুযায়ী তাকে টেস্টে কিংবা টি২০ এ পাঠানো যায়। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো আমাদের ওয়ানডে অধিনায়ক টি২০ না খেলায় ওয়ানডের গুছানো দল থেকে তিনি টি২০ এ দল গুছানোর কাজটা করতে পারেন না।
সাকিব সবাইকে চিনলেও যেহেতু তামিম মাঝখানে ওয়ানডে অধিনায়ক সেহেতু সাকিব দুই পাশের দুই ফরম্যাটের ভিন্ন স্টাইলের খেলাকে স্ব স্ব মহিমায় প্রদর্শন করতে পারছেন না ঠিকমতো।
বাংলাদেশ এখন যে সিস্টেমে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব চলছে, পৃথিবীর কোন দেশে এই সিস্টেম নেই। এটা একটা হাস্যকর সিস্টেম। সাকিব তামিমের মধ্যকার সমস্যা থাকুক না থাকুন, আমি নিশ্চিত তাদের অধিনায়কত্ব যে বাজে সিস্টেমে চলছে এতে করে দ্বন্দ্ব হওয়া খুব স্বাভাবিক।
তামিম অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ভালো করছে এটার চেয়েও বড় কথা সে একটা গুছানো দল পেয়েছে। অপরদিকে সাকিব বাংলাদেশের জন্য দুইটা আতঙ্কের ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এতে করে দুই অধিনায়কের দ্বন্দ্ব না থাকলেও দ্বন্দ্ব তৈরী হবে এবং দুজনের দুই গ্রুপ তৈরী হবে নিঃসন্দেহে।
পাপন স্যার যা বলছে এটা তারই ফল। তামিম টি২০ না খেলা, রিয়াদকে বাদ দিয়ে সাকিবকে টি২০ অধিনায়কত্ব দেয়া, এসবই মূলত দলটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলছে। এর মূল হোতা পাপন স্যার। হতে পারে সাকিব তামিমকে বেশি মূল্যায়ণ করতে গিয়ে এই জগাখিচুরি টাইপের অধিনায়কত্ব করাচ্ছে। যার ফলে দলে বিভক্তি ও পারফরম্যান্স হতাশাজনক।
আমার সাফ কথা, হয় তামিমকে টি২০ এ ফিরিয়ে টি২০ অধিনায়কত্ব দিতে হবে, না হয় ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়তে হবে তামিমকে। না হয় তামিমকে টেস্টেও অধিনায়কত্ব দিতে হবে। সাকিব শুধু টি২০ নেতৃত্ব দেবে। না হয় সাকিবকে টি২০ অথবা টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে। চলমান অবস্থা বজায় থাকলে সিনিয়রদের দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একেবারেই পতনের দিকে নিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
বিটপি বলেছেন: ওয়ানডে আর টি টুয়েন্টি - দুইটা ফরম্যাট একসাথে থাকাই ঠিক না। এক্টাকে ছেঁটে ফেলা দরকার। হয় টী টুয়েন্টি, নইলে ওডিআই।
ওয়ান্ডে ফরম্যাট আগে ৬০ ওভারের ছিল, এখন ৫০ ওভারে হয়। এখন না হয় ২০ ওভারে হবে। ক্ষতি কি?
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা থামিয়ে দেওয়া উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রথম পাতায় একাধীক পোস্ট না করাই ভালো।