![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আগের নিক 'হাসান কালবৈশাখী' বিকল হয়ে যাওয়াতে এই ২য় নিক।
মাহামুদুর রহমান
মাহামুদুর রহমান যেভাবে তার উত্থান
বহুল আলোচিত উত্তরা ষড়যন্ত্রের নায়ক। বিএনপি-জামাত জ়োট সরকারের সাবেক জালানি উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক।
আসলে সাংবাদিক তো দূরের কথা, কোন কালে কোন সংবাদপত্রে এক কলম লিখেছিলেন কি না সন্দেহ।
ছিলেন প্রকৌশলী, দুর্নিতীবাজ সরকারি আমলা। পরে এরশাদের চামচা।
জামাই সুত্রে ঢুকলেন মুন্নু পরিবারে, পরে বেক্সিমকো, ১৯৯৯ সালে আরটিসান সিরামিকস নামে নিজের একটি কোম্পানিও খোলেন। পরে বেক্সিমকোর শাইনপুকুর সিরামিক্স এর এমডি (মালিক) বনে যাওয়া। চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী একই সাথে দুই পদে থাকা অসম্ভব ও বেআইনি। মাহামুদুরের কাছে এসব কোন ব্যাপারই না! এরপর আর উত্থান আর ঠ্যাকায় কে। সংগবদ্ধ দুর্নিতীগ্রস্থ মাল্টিন্যাসনাল তেল কম্পানিগুলো বেক্সিমকোর ছায়ায় জালানি উপদেষ্টা করে ঢুকিয়ে দেয়া হল। জালানিমন্ত্রী বিহীন মন্ত্রনালয়, মাহামুদুর তখন রাজা। নাইকো কেলেঙ্কারির নেপথ্যের রুপকার, নিজেরা (হাওয়া ভবন গ্রুপ) শতকোটি টাকা আত্নসাত করে, মাত্র এককোটি টাকার একটি লেক্সাস গাড়ীর কারনে ফেঁসে যান তৎকালিন জালানী প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ। পদত্যাগও করতে হয় এই সামান্য কারনে।
রক্তাক্ত ২৮সে অক্টোবর,
প্রথম অবস্থায় ইয়াজুদ্দিন-আজিজ তত্তাবধায়ক সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক দেখা যায়। চলে ষড়যন্ত্র, তৈরি হচ্ছিল পরিকল্পিত নির্বাচন কারচুপির ছক। দেড় কোটি ভুয়া ভোটার রেডি, এরপরও সন্তুষ্ট বা আস্বস্ত হতে পারছেনা, উপদেষ্টা বদল চলছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকি পক্ষে যুদ্ধকারি পাকিস্তানি অবঃ সেনা কর্মকর্তাকেও উপদেষ্টা করা হয়েছিল। দলসমর্থক রাষ্ট্রযন্ত্রের একদল আমলা রেডি করা হল যারা সাজানো নির্বাচনের ছক বাস্তবায়ন করবে। ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং ও চলছিল সমানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে, তার এক পর্যায়ে তাদের আনা হল উত্তরার একটি বাড়ীতে। বাড়িটিতে কেউ না থাকলেও বাড়ীর মালিক মাহামুদুর রহমান। রাতবিরেতে এতোগুলো সরকারি আমলাকে কেন উত্তরার একটি বাসায় এনেছিলেন, তার কোন ব্যাখ্যা দিলেন না। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মটরসাইকেলে চার-পাচজন সাংবাদিক গেইটের কাছে আসলে ওনারা খাবার ফেলেই দেয়াল টপকে দৌড় দিলেন! তাদের গাড়ীগুলো বেশ দূরেই লুকিয়ে পার্কিং করা ছিল,
উচ্চপদস্থ আমলা, যাদের দেখলে মানুষ ভয়পায় তারাই মুখ লুকিয়ে দৌড়াচ্ছেন পার্কিং করা গাড়ীর দিকে!
জরুরি অবস্থার সময়ও ফক্রুদ্দিন তত্তাবধায়ক সরকার এর সাথে তার ব্যাপক উঠাবসা
দেখা যায়। একটি মামলায় হাজিরা দিতে, জামিন পেয়েও হাতপা ছুড়ে অজ্ঞাত কাউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে আদালত থেকে বের হতে দেখেছিলাম। জরুরি অবস্থায় বাঘা বাঘা নেতারা তখন জেলে সে অবস্থায় ওনার দাম্ভিকতা দেখে অবাক হয়েছিলাম। জরুরি অবস্থার শুরুতেই বিশ্বএস্তেমার মোনাজাত শেষে ধরা হয় ফালুকে, তত্তাবধায়ক সরকারের সাথে ঘনিষ্টতাকে অবলম্বন করে ফালু কে জেলে ঢুকিয়ে চাপে রাখে। এর কিছুদিন পর জামিনের লোভ দেয়া, ফালুর ভাইয়ের সাথে দরকষাকষি করে আমারদেশ পত্রিকা নামমাত্র মুল্যে কিনে নেয়। সম্পাদক আমানুল্লাকবিরকেও বরখাস্ত করে। এরপর নিজেই সম্পাদক বনে গেলেন। এরমাঝে এন্টিভি-আমারদেশ ভবনে অবস্থিত ফালুর অফিস ও তারেকের প্রাক্তন অফিসের কাগজ পত্র পোড়ানো হয়, এতে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পরেছিল
(পরে জেল থেকে বের হয়ে ফালু ম্যাডামের কাছে এসব নিয়ে বিচার দিয়েছিলেন, বিচারে
কিছু একটা সমঝোতা হয়েছিল, কিন্তু আমার দেশ পত্রিকা ফিরে পাননি ফালু)
২০০৯ এর একটি মামলায় উনি তো গায়ে পড়ে সেচ্ছায় জেল খেটেছিলেন।
একটি আদালত অবমাননা মামলায় হাজিরা দিয়ে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল অথবা সামান্ন জরিমানা দিয়ে মুক্ত হতে বলা হয়েছিল।
(এভাবে মতিউররহমান, মানব্জমিনের মতিউররহমান, শেখ হাসিনা সহ অনেকেই মুক্ত হয়েছিলেন)
তিনি তার কোনটাই না করে জেল খাটতে মনস্ত করেন। উনি ভালকরেই জানেন এদেশে জেলখাটার রেকর্ড একটা রাজনৈতিক এসেট। যাতে বলতে পারে, এই জুলুমবাজ সরকার সাংবাদিকে জোরপুর্বক জেলে রাখছে।
এখন আবার এই জেলখাটা নিয়েই নতুন বইও লিখেছেন।
এখন বালিশের পাশে রাখেন কোরান। এখন নতুন ভং ধরছেন, চোখে চশমা পরে নাকে মেশিন-অক্সিজেন, লাগিয়ে আইসিইউ এর বেডে শুয়ে কোরান পাঠ করেন, বালিশের পাশে কোরান রেখে ফটোসেশনও চলে!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
এই পোষ্টের প্রায় সকল তথ্য দৈনিক পত্রিকাগুলো থেকে সংগ্রহিত
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
হ্যারিয়ার টু বলেছেন: দেড় কোটি ভুয়া ভোটার রেডি, এরপরও সন্তুষ্ট বা আস্বস্ত হতে পারছেনা, উপদেষ্টা বদল চলছে
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৯
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
সেই সময় এই রকমই চলছিল! যে কারনে ১-১১
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
আসলে সাংবাদিক তো দুরের কথা কোন কালে কোন সংবাদপত্রে এক কলম লিখেছিলেন কি না সন্দেহ!
সহমত
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
তাকে সাংবাদিক না বলে 'দুষ্ট রাজনীতিবিদ' বলাই ভাল।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
রাখালছেলে বলেছেন: ছাগল আর পাগলদের দিয়ে এইদেশ চলেছিল চলছে চলবে । ইহাই চরম সত্য । যে সাংবাদিকের ক খ কিছুই বুঝে না তিনি হলেন সম্পাদক । আমরা মানুষ চিনি । কারা কারা কি কি করে তাও জানি । তাই বলছি সাবধান । নইলে ...
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
উনি সাংবাদিক তো দূরের কথা, কোন কালে কোন একটি সংবাদপত্রে এক কলম লিখেছিলেন কি না সন্দেহ।
৫| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
নবকবি বলেছেন: দেশের তদন্ত কমিটিগুলা তো আপনাকেই খুজছে। মুহুর্তে এমন বস্তুনিষ্ঠ? তথ্যবহুল রিপোর্ট তৈরীতে আপনারন জুড়ি মেলা ভার।
৬| ১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
ভবগুরে ছেলেটা বলেছেন: I like your writting style...the way you present the informations.... it's nice.
২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: Thanks a lot!
৭| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১২
মমতাজ-কলি বলেছেন: ঝাড়ুদারের পেশা হল আবর্জনা পরিস্কার করা। আর যারা তাদেরকে ঘৃণা করে তাদের পেশা হল: নোংরা ও আবর্জনা সৃষ্টি করা।
১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
বুঝলাম না
একটু বুঝিয়ে বলুন।
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
রওশন নাজ পলি বলেছেন: প্লাম্পিনাট প্রোডাক্ট টি নতুন এসেছে। দামঃ ১৫০ টাকা / প্যাকেট। বেশী পরিমানে কিনতে চাইলে আমি যোগাযোগের ঠিকানা দিতে পারি। Click This Link
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ধন্যবাদ, অনেকদিন পর্যন্ত কথাটা মনে রাখার জন্য।
প্লাম্পিনাট প্রোডাক্ট টি সম্মন্ধে জেনে ভাল লাগল, অন্য কারো লাগলে জানিয়ে দিব।
৯| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:২২
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: লেখাটি যদি আপনার হয়ে থাকে, অনেকগুলো ভুল আছে। কাইন্ডলি সংশোধন করে নেবেনঃ
১ - মাহমুদুর রহমান নিজেকে কখনোই সাংবাদিক হিসেবে দাবি করেননি। তিনি কেন কেউই জেনে বুঝে এই দাবি করেনি। বরং আদালত থেকে তাকে বলা হয়েছে 'চান্স এডিটর'
২ - তিনি দুর্নীতিবাজ সরকারী আমলা - এটা কোন সরকার দূরে থাক, আওয়ামী ভাবাপন্ন কোন পত্রিকাও কোনদিন দাবি করেনি।
৩ - তিনি যদি দুর্নীতিই করতেন, তবে এই সরকারকে তাকে ফাঁসানোর জন্য এত কৌশলের আশ্রয় নিতে হতোনা। একটা দুর্নীতির মামালায়ই ১৪ বছরের জন্য ঢুকিয়ে দেয়া যেত।
৪ - এই দেশে জেলখানাগুলোতে কয়েদীদের সাথে যে অমানবিক আচরণ করা হয়, তাতে গায়ে পড়ে কেউ জেল খাটতে চাইবে - এ কথা কোন ছাগলেও বিশ্বাস করবেনা। এটি উল্লেখ করে আপনি নিজেকেই হাসির পাত্রে পরিণত করেছেন।
মাহমুদুর রহমান বাতাস খেয়ে প্রকৌশলী হন নাই। বুয়েটের মত একটা ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক করার পর বাইরে থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন। আইবিএ থেকে এম বি এ করেছেন - সাধারনের কাছে স্বপ্নের মত ক্যারিয়ার গড়েছেন। সুখ-সমৃদ্ধি তাকে সারা জীবন হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কিসের নেশায় তিনি এসব ছেড়ে ছুঁড়ে দিয়ে এখন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জীবন পার করছেন - একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
এ জাফর বলেছেন: মাশায়াল্লাহ। ভালই লিখেছেন! টেবিলে বসে রিপোর্ট বানানোতে আপনাকে মেডেল দেওয়া যেতে পারে। তবে বলি কি ভাই এখন আর জনগন এসব খায়না। জনগন এখন অনেক বেশী সচেতন। দিন বদলাইছে না?