![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় তড়িৎপ্রকৌশলী, নেশা বই পড়া, গান গাওয়া আর শোনা;একটুআধটু ফোটোগ্রাফির চর্চা করি, অবসরে বন্ধুদের সাথে ট্রেকিঙে বেরোই। নারীলিপ্সু মানুষ, সামান্য পানাভ্যাস আছে, তবে ধূমপান করিনা।একটু নিরিবিলিতে নিজের মতো করে বাঁচতে চাই ... ব্যস। আমার স্বাক্ষরকৃত অনুমোদন ছাড়া সামহোয়্যারইন ব্লগে প্রকাশিত আমার কোন লেখা কোন মুদ্রণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। আমার অনুমোদন না নিয়ে দয়া করে কেউ কোন লেখা ওয়েবে পুনপর্্রকাশ করবেন না। ধন্যবাদ।
[পান প্রসঙ্গে পোস্টটা যদি পড়ে থাকেন, তাহলে পানশালার উদ্দেশ্যও আপনার কাছে পরিষ্কার হবার কথা। পানশালায় পানই মুখ্য। পান করে যে শালারা, তাদের জন্যেই পানশালা খোলা। ধন্যবাদ।]
মদ আমাকে খায় না, আমিই মদকে খাই, এই ভ্রান্তি বুকে পুষে আকৈশোর যাতায়াত করছি আমার প্রিয় শুঁড়িখানা, এই দুষ্ট শহরের বুকের মিষ্টি মধু হোটেল গিলগামেশ বার অ্যান্ড রেস্তোরাঁয়। গিলবার জন্য গিলগামেশের চে ভালো জায়গা হয় না। সস্তায় ভালো মদ, একটু দাম দিয়ে কেনা বাদামের চাট, আর ভালো মাতালদের সঙ্গ পেতে চান, গিলগামেশে ঢুকে পড়ুন।
আমার ঐ তীর্থস্থানে পান্ডামি করেন ফাকরুল ভাই। তিনিও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, পান্ডা প্যালেস নামে একখানা চৈনিক খাবার দোকান চালান তিনি। ফাকরুল ভাই নামের মর্যাদা রাখেননি, আইনকানুনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অটল, তবে পেটে কিঞ্চিৎ জলবত্তরলম পড়লেই তিনি জেগে ওঠেন, বুকে জমে থাকা সব কথা, সব ব্যথা বিজবিজ করে তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। বড়বড় লোকজনের জননীর সাথে সঙ্গমের দৃঢ় প্রত্যয় আর কিছু পবিত্র খিস্তিকে ছেঁকে আলাদা করা গেলে তাঁর গল্পগুলো এমন খারাপ কিছু নয়।
আজ একটু দেরি করে গিয়ে দেখি ফাকরুল ভাইয়ের সামনে বোতলে তরলের শীর্ষ সেই নিকষস্তরে, যে স্তরে আশাবাদী আর নিরাশাবাদীর মধ্যে সব ফারাক দূর হয়ে যায়। আমি আশাবাদী, বলি, "উস্তাদ, বোতল দেহি এখনও অর্ধেক ভরা!"
ফাকরুল ভাই রক্তিম চোখে বোতলটাকে দেখেন। তারপর বলেন, "আহ, কী মাল যে ছিলো!"
বিগত তরলের সাথে বর্তমান তরলের কোন গুণগত পরিবর্তন দেখি না, গুণের পরিবর্তন যদি কিছু ঘটে থাকে তো ফাকরুল ভাইয়ের মধ্যে। আমি বাদামের পর্বতপ্রমাণ চাটে চামচ চালিয়ে বলি, "ঠিক!"
ফাকরুল ভাই হুঙ্কার দ্যান, "ঠিক মানে? কিয়ের ঠিক? আমি কই মালের গল্প আর তুমি কও ঠিক! হাল্লা ভুদাই!"
আমি সায় দেই, "হ, হাল্লা ভুদাই!"
ফাকরুল ভাই আমাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু আমি সায় দিয়ে যাই। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে তিনি গল্পটা শুরু করেন। গল্প আগায়, বোতলের তরল নামতে থাকে।
1980 সালের কথা। ফাকরুল ভাই তখন সেন্টমার্টিনে জাহাজডুবি হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। পাঁচ ছয় হাজার লোক নিয়ে তাঁর জাহাজ ডুবে গেছে বঙ্গোপসাগরে, একা তিনি মাইল পাঁচেক সাঁতরে সেন্ট মার্টিনের সৈকতে উবুড় হয়ে পড়েছিলেন।
তো, জ্ঞান ফিরে পেয়ে তিনি আবিষ্কার করলেন, প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। তিনি আশেপাশে হোটেলের খোঁজ করলেন, পেলেন না, কারণ আমাকে বুঝতে হবে যে সময়টা 1980 সাল, তখনও সেন্ট মার্টিন একটা বুনো দ্্বীপ, পাহাড় পর্বতে ভরা জংলা একটা জায়গা, সেখানে কোন মানুষের বসতি নাই, তিনিই সে দ্্বীপে প্রথম আদম। আমি আমতা আমতা করে বলতে চেয়েছিলাম যে সেন্ট মার্টিন তো একটা প্রবালদ্্বীপ, কিন্তু ফাকরুল ভাই "কী বাল কইলা?" বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দ্যান আমার কথা।
যাই হোক, সেন্ট মার্টিনের সৈকতে ভরা তালতমাল গাছ, একটাও নারিকেল গাছ নাকি তখন ছিলো না, ফাকরুল ভাই তাই নারিকেল পেড়ে তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারেন নাই। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে তিনি একটা কাঁঠালগাছ আবিষ্কার করেন। একটি প্রমাণ সাইজের রসখাজা কাঁধে করে তিনি আবার সৈকতে ফিরে আসেন। কাঁঠালটাকে ছিলে সেটার চামড়া দিয়ে তিনি একটি কৌপীন নির্মাণ করেন, এবং সেটিকে কোমরে এঁটে লজ্জা নিবারণ করেন। আমি জানতে চাই, তিনি ল্যাংটা ছিলেন কেন। ফাকরুল ভাই বলেন, কী আশ্চর্য এই সাধারণ কথাটা আমি কেন বুঝি না, জাহাজডুবি হয়েছে, বিশপঁচিশ মাইল সাঁতরাতে হয়েছে, জামাকাপড় কোথায় গেছে কে জানে। আমি বললাম, লজ্জার কী ছিলো, দ্্বীপে যদি ফাকরুল ভাই একা হন। ফাকরুল ভাই জানতে চাইলেন, ভালো দেখে একটা কাঁঠালের চামড়া পরেছিলেন দেখে আমার কেন পশ্চাদ্দেশ জ্বলে।
তো, কাঁঠালের চামড়া দিয়ে লজ্জানিবারণের পর (ভাগ্যিস) কাঁঠালটা ভেঙে তিনি খাওয়া শুরু করলেন, এক কোষ দুই কোষ করে, আহা কী মিষ্টি, সেন্ট মার্টিনে এখন কাঁঠাল লুপ্ত হয়ে গেছে, নাহলে তিনি রোজ ওখান থেকে আনিয়ে খেতেন ... এমন সময়, হ্যাঁ, এমন সময় তাঁর সামনে এসে হাজির হলো এক অপরূপা সুন্দরী। একেবারে ডানাকাটা পরী।
ফাকরুল ভাই হাঁ করে সেই ললনাকে তাকিয়ে দ্যাখেন। কী সুন্দর চেহারা, কী শরীরের গড়ন! একেবারে দিল মে চাক্কু।
সুন্দরী তাঁকে দেখে জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটে, তারপর বলে, "হ্যাল্লো।"
ফাকরুল ভাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকেন।
সুন্দরী হাত বাড়ায় কাঁঠালের দিকে। "খান। দিয়া খান।"
ফাকরুল ভাই কাঁঠালটাকে আড়াল করেন। "না, দিমু না। আমার বহুত ভুখ লাগছে। এই বালের দ্্বীপে কোন নাইকল নাই, দিন লাগায় খুইজ্যা এই কাডাল পাইছি, দশ মাইল হাঁটন লাগছে, এখন আপনি ক্যাঠা না ক্যাঠা আয়া কইবার লাগছেন দিয়া খাইতে। দিমু না। খাইতে মন চাইলে গিয়া পাইড়া খান।"
সুন্দরী হাঁ করে তবু তাকিয়ে থাকে কাঁঠালের দিকে, ফাকরুল ভাই বিরক্ত হয়ে উলটা দিকে ঘুরে আবার এক কোষ দুই কোষ করে কাঁঠাল ভেঙে খেতে থাকেন। সুন্দরী হাঁ করে দ্যাখে তার কাঁঠাল খাওয়া।
এমন সময় কোত্থেকে হাফপ্যান্ট পরা টুপি মাথায় এক লোক এসে হাজির হয়, এসে বলে, "এ কি দিয়া? এই জংলিটা কে? কাঁঠালের ছাল পড়ে বসে কাঁঠাল খাচ্ছে?"
সুন্দরী বলেন, "হ্যাঁ, লোকটা অদ্ভূতই। কিন্তু বিষ্টা, এই দ্্বীপে তো জানতাম কোন লোকজন নেই, এ কোত্থেকে এলো?"
বিষ্টা বলেন, "দাঁড়াও দেখি জিজ্ঞেস করে।"
ফাকরুল ভাইয়ের ততক্ষণে কাঁঠাল খাওয়া শেষ, বিষ্টা বুক ফুলিয়ে তাঁর সামনে গিয়ে বলে। "দে। বিষ্টা দে।"
ফাকরুল ভাই আকাশ থেকে পড়েন, এক সুন্দরী তাঁর কষ্টার্জিত কাঁঠালে ভাগ বসাতে এসেছিলো, আর তার চামুন্ডারা এসে বিষ্ঠা দাবী করছে, কাঁঠাল ঠিকমতো হজম হবার আগেই! তিনি প্রবল হাল্লাচিল্লা শুরু করে দ্যান। অনেক বাক বিতন্ডা শেষে তিনি বুঝতে পারেন, তিনি কথা বলছেন প্রবাদপ্রতিম সিনেমা পরিচালক বিষ্ণুচরণ দে ওরফে বিষ্টা দে-এর সাথে, আর ঐ সুন্দরী হচ্ছেন নায়িকা দিয়া খান। সিনেমার শু্যটিং চলছে সেন্ট মার্টিনে, সিনেমার নাম, নিরালায় অভিসার।
তো, সে যাত্রা উদ্ধার পেয়ে যান তিনি, সিনেমার দলের সাথেই অক্ষত দেহে আবার সভ্য দুনিয়ায় ফিরে আসতে পারেন। তবে সিনেমার লোকজন যে এতো অসভ্য, এতো বেলেল্লা হয় তিনি নিজে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতেন না।
তারপর বিড়বিড় করে বলেন, "কী যে মাল আছিলো একখান!"
আমিও গোলাপী হাতি দেখার প্রস্তুতি নেই, বলি, "ক্যাঠা? ঐ দিয়া খান? হেই মাতারি?"
ফাকরুল ভাই বলেন, "আরে দূরো। আমি কই কাডলের কথা! কী ফাউল প্যাচাল পারো হালায়?"
২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
অতিথি বলেছেন: পানশালা নিয়ে যা পান দেখালেন হিমু, কি আর কমু ,কাঁঠাল আর মাল সব ভুলভাল হয়ে গেলো। আর ফাকরুল ভাই ফুলপেটে এমন হুলসমেত গুল ঝেঁড়ে গেলো তাও আপনার উপর হিমু, কি আর কমু, আপনিও ওর সাথী, গোলাপী দেখেন হাতি। তা গুঁতাগুঁতি করে আপনাদের চেতন ফিরায়ে আনবে এমন বেতন ভোগী কেউ কি ছিলো না গিলগামেশে। মানে শেষে বাড়ি এসে ঘুম দিয়েছেন তো শেষে? যাক, বুঝে সুজে মাঝে সাঝে খেলে টেলে তাও চলে কিন্তুনা বুঝে বেবুঝের মত মদ টানলে প্যাচাল ছাড়া আর কিছু পাড়া যাবে বলে মন মানে না।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৪:০৩
হিমু বলেছেন: হিক! ... ঠিক! কেউ বুঝে টানে কেউ টেনে বোঝে, কিন্তু বোঝাই যখন বোঝার মতো মস্তকে চাপে, তখন প্যাচাল ছাড়া গতি কী?
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৪:০৩
অরূপ বলেছেন: টাকিলা সানরাইজ দেখে
ডেকে ওঠে মার্গারিটা
ব্লুলেগুনে নেয়ে আসি
সিঙ্গাপুর শ্লিং বড় মিঠা
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
অতিথি বলেছেন: হুমমম ভিয়ার জিন্ড ইনসগেজামট ফিয়ার, এয়ার, ঈষ উন্ড দু বাইডে !!!
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ১১:০৩
অতিথি বলেছেন: চলে!
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ২:০১
অতিথি বলেছেন: মাল !
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৪:১৮
পথিক!!!!!!! বলেছেন: একেবারে খাসা টাল টাল
৯| ১৪ ই মে, ২০০৭ রাত ১:২৩
সুমন চৌধুরী বলেছেন: এইটা প্রথম
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০০৬ বিকাল ৩:০৩
অরূপ বলেছেন: ওই শালা! ইন-বিটুইন খেলিশ তোরা? খেলে জানান দিস! আরেকটা আছে, 6 গেলাশের খেলা। এক প্যাকেট তাশ কিন্তু লাগে..