![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যন্ত্রের জন্যে পদ্য, মানুষের জন্যে গদ্য - এই নিয়ে ভাবাভাবির সারাবেলা
সিঙ্গাপুরে বেশিরভাগ মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে অভ্যস্ত। প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্যতা এবং সস্তা হওয়ার কারণে এখানে এটাই সবার প্রথম পছন্দ।
রেল ষ্টেশনগুলিকে এখানে বলা হয় MRT (Mass Rapid Transit), যেখানে প্রতি দুই তিন মিনিট পর পর একটা করে ট্রেন থামে। মজার ব্যাপার হলো এই ট্রেনগুলো আদৌ কোনো মানুষ দ্বারা চালিত হয় না, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়! মাটির নীচে সারা শহরে রেল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। রেলষ্টেশন ছাড়াও পুরো শহরে কিছুদূর পর পর রয়েছে বাস ষ্টেশন, যথারীতি সেখানেও বাস থামে কিছুক্ষণের ব্যবধানে। শহরের যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো স্থানে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চলে যেতে পারে যে কেঊ।
বাস বা ট্রেন ছাড়াও যে কেউ চাইলে ট্যাক্সি হাকাতে পারে। ফোনে কল দিলে মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ট্যাক্সি হাজির! ট্যাক্সি ব্যয় সাপেক্ষ, কিন্তু পাব্লিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় বড়জোর দু-চার মিনিট আগে যেতে পারে গন্তব্যে, যার কারণে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এর জনপ্রিয়তা অনেক কম!
খুব সচ্ছল মানুষ ছাড়া এখানে পারত প্রাইভেট কার ব্যবহার করে না কেউ, কারণ ছোট দেশ বলে এখানে এটা খুবই ব্যয়বহুল। সম্ভবত একারণেই খুব ব্যস্ত শহর হলেও এখানে ট্রাফিক জ্যাম নেই বললেই চলে। যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো স্থানে যেতে কতক্ষণ লাগবে তা আগে থেকেই বলা যায়। আমার মনে হ্য় সিঙ্গাপুরের এত উন্নতির পেছনে এটা একটা বড় কারণ।
আমার নিজের শহর ঢাকার অনেক সমস্যার মধ্যে ট্রাফিক জ্যাম অন্যতম। আমার জীবনের কতশত কর্মধন্টা রাস্তায় জ্যামে নষ্ট করেছি ভাবতে অনেক দুঃখ লাগে ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে বড় বড় মানুষেরা কত সভা সমিতি করলেন, হাজার-লক্ষ-কোটি টাকা খরচ করলেন, কিন্তু পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট বাড়িয়ে প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট কমানোর জন্য যে পরিমান কঠোর এবং উদ্যোগী হওয়া দরকার, তার কিছুই করেননি।
হাজার-লক্ষ রিক্সা দিয়ে পুরো শহরের রাস্তা ভর্তি হয়ে গেলেও অনেক গুলো দরিদ্র লোক কর্মহীন হয়ে যাবে, এই অজুহাতে রিক্সা উঠানো হয় না। অথচ একটা দেশের রাজধানী ট্রাফিক জ্যামে স্থবির হয়ে গেলে ভোগান্তি হয় পুরো দেশের অর্থনীতির, তথা সকল মানুষের। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেলে শুধু রিক্সাচালকদেরই নয়, পুরো দেশের সবার জন্যে উপযুক্ত কাজের ব্যবস্থা করা খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়।
স্বপ্ন দেখতে ভাল লাগে, উন্নত দেশগুলোর ভালো, পরীক্ষিত নিয়মগুলো থেকে শিখে আমার দেশও কাটিয়ে উঠতে তার নিত্যকার হরেক সমস্যা!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
জয় পাঠক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২
আদার ব্যাপারি বলেছেন: কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন??? সিংগাপুরে আপনি যদি দেরী করে ডিঊটি তে যান তবে কি আপনি যানযটের দোহাই দিতে পারবেন??? এইটা আমার রেগুলার প্রাক্টিস। সো আই ওয়ান্ট টু লিভ হেয়ার।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
জয় পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮
নানাভাই বলেছেন: আইনের শাসন সাথে আইন মানলে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ও কমানো যায়। একটু খেয়াল করেন, আর্মী যখন রাস্তায় নামে তখন কিন্তু এত জ্যাম থাকে না। কেন থাকেনা? ..... কারন তখন গুতা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!
এর সাথে বিভিন্ন রাস্তার স্পীড লিমিটের জন্য গোল করে মোড়ে মোড়ে ফোয়াড়ার মতো করা যেতে পারে। কিছু কিছু রাস্তা বিশেষ বিশেষ সময়ে ওয়ান ওয়ে করলে, জ্যাম অনেক কমবে।
তবে সব কথার বড় কথা, বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? দেশের জন্য কার এ্যাতো মায়া আছে? যে(রাজনীতিবিদরা) লন্কায় যায়, সে ই হনুমান হয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
জয় পাঠক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ
৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৩
ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই আমি সিংগাপুরে থাকি আজ ৬ বছর। আমার দেশটাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার প্রিয় শহর ময়মনসিংহকে। কিন্তু তারপরে ও সিঙ্গাপুর ছেড়ে যেতে মন চায় না। শহরটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। কোথাও কোন পোষ্টার, ব্যানার, সাইনবোর্ড, প্যানা, দেয়াল লিখন নেই। ভাবতে পারেন এটা আমাদের দেশে!!! জ্যাম হয় না যে এমন না। হয়। সেটা ২/৩ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে যায় মিনিটেই। কিন্তু তা থাকে না বেশিক্ষন। ২৫/৩০ মিটার দুরে দুরেই রাস্তা। একটাতে জ্যাম হলে রাস্তার নোটিশ বোর্ডে বলে দেয় বিক্ল্প কোন রাস্তা ফ্রি আছে আর এটাতে জ্যাম ছাড়তে কতক্ষন লাগবে। আর সবাই টাইম মেইনটেন করে। ৫ থেকে ৬.৩০ এর মধ্যেই শ্রমিকরা চলে যায় কাজে। তারপর অফিসের গমনকারি রা যায় তার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী। আরও বড় কথা হলো সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলে। এক সেকেন্ডের জন্যও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে না কেউ, শাসনের ঠেলায়। রাস্তায় রিক্সা, ভ্যান, অটো, সিএনজি, ইজি বাইক নেই। খানা-খন্দ আবুল নেই। গত ১২ তারিখে আমি রাত ৩টায় চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে তোয়াস এসেছি ২৮ মিনিটে ট্যাক্সিতে। ১৩০+ বেগে চায়নিজ ড্রাইভার চালাইছে। এটা কি আমাদের দেশে সম্ভব এয়াপোর্ট থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত!!!
আরো কথা হলো রাস্তার দিকে কোন দোকান, বা ফ্যাক্টরীর লোডিং বা আনলোডিং হয় না। বাইরে কোন মালামাল পড়ে থাকে না। আমি একটা সিরিজ শুরু করবো সিংগাপুর নিয়ে। ফটো ব্লগ। সব কিছু গোছাচ্ছি। তারপর পোষ্ট শুরু করবো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
জয় পাঠক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: সেদেশে জ্যাম নেই কারন তারা দেশটাকে ভালবাসে, প্রয়োজনীয় কাজটুকু করে। আমাদের দেশের মন্ত্রী নেতা নেত্রি আমলাদের মত কমিশন আর ঘুষ খাওয়ার লোভে অপ্রয়োজনীয় ফ্লাই ওভার, মেট্রো রেল বানাতে যায়না!