নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের সঙ্গ করিলে মানুষ তখন মানুষ হয়, জন্মদরা জংযাতনা থাকে না তার কোন ভয়। ওস্তাদ আব্দুল করীমে কয় নয়ন রাখ মাসুকপূর।ই-মেইল: [email protected]

কালনী নদী

সিলেট থেকে দিরাইর একটি বহমান নদী, আব্দুল করিমের কালনী।

কালনী নদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুকান্ত ভট্টাচার্য্য।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৪

হে-মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন, কঠোর গদ্যে আনো,
পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো!
প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা—
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥




বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। ১৯২৬ সালের ১৬ অগাস্ট বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা এই প্রতিভা কলকাতার ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটে তার নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার(বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার উনশিয়া গ্রামে)।

তার বাবার নাম নিবারন ভট্টাচার্য আর মা সুনীতি দেবী। ১৯৪৫ সালে সুকান্ত প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু তার আগেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে যান। ফলে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন। সুকান্তের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার অবসান হয় সেখানেই।

সুকান্তের সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে তার ছোটবেলা থেকেই। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল কমলা বিদ্যামন্দিরে পড়ার সময় সেখানকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্ররা মিলে একটি হাতে লিখা পত্রিকা বের করে। সুকান্ত এই পত্রিকার নাম দেন “সঞ্চয়” , এতে তিনি নিজেও একটি হাসির গল্প লিখেন। সেই ছেলেবেলাতেই সুকান্ত অভিনয়েও পারদর্শীতা দেখান। স্কুলের নাটক “ধ্রুব”তে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

সুকান্তর প্রথম মুদ্রিত লেখা প্রকাশিত হয় বিজন কুমার গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘শিখা’ পত্রিকায়- বিবেকানন্দের জীবনী। ১৯৪১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুকান্ত রেডিওতে গল্পদাদুর আসর নামে এক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করে প্রশংসা লাভ করেন সবার। আগে থেকেই সাম্যবাদে বিশ্বাসী সুকান্ত ১৯৪২ সালে যোগ দেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে। বিশ্ব জুড়ে তখন ২য় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে চলেছে। এদিকে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে একদিকে ছড়িয়ে পড়েছে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আরেকদিকে তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ। সুকান্ত এসব কিছুকেই করে তোলেন তার কবিতার উপজীব্য।

তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ নিয়ে কবি লিখেছেন “আকাল” শিরোনামে কবিতা সংকলন। গোলাম কুদ্দুস সম্পাদিত ‘একসূত্রে’ সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সুকান্তের ‘জনযুদ্ধের গান’।

স্বাধীনতা অর্জনের ঠিক প্রাক্কালে পুরো উপমহাদেশ জুড়ে যখন চরম অস্থিরতা বিরাজ করছিল , ঠিক সেই সময় সুকান্ত তার কবিতায় লিখে গিয়েছেন জীবনের জয়গান আর অন্যায় – বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বাণী। ১৯৪৪ সালে সুকান্ত ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন।

মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন। সুকান্তের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে সুকান্ত সমগ্র নামে তাঁর রচনাবলি প্রকাশিত হয়। সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পীসঙ্ঘের পক্ষে আকাল (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। এছাড়াও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন।

পার্টি ও সংগঠনের কাজে অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে দুরারোগ্য যক্ষারোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতায় যাদবপুর টি বি হাসপাতাল মৃত্যুবরণ করেন। কবির বয়স তখন মাত্র ২১।

কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে। পাশের বাড়ীটিতে এখনো বসবাস করেন সুকান্তের একমাত্র জীবিত ভাই বিভাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুকান্তের নিজের ভাতুষ্পুত্র। ©

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৬

স্বরব্যঞ্জ বলেছেন: যা জানতাম, এবার তারচেয়ে একটু বেশি জানলাম। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩২

কালনী নদী বলেছেন: পাঠান্তে অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রবিন্দ্র বলয় ভেঙ্গে মাত্র ২১ বছরের কিশোর বালক
তার প্রতিভাদৃপ্ত ভিন্নমাত্রার কবিতা সম্ভারে বাংলা
কাব্যজগতকে একটি ভিন্ন মাত্রিকতা দিয়ে গেছে।
আগামী মাসেই তার জম্ম বার্ষিকী । তাকে
আমাদের স্মরণে আনার জন্য রইল
প্রাণডালা শুভেচ্ছা ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০৬

কালনী নদী বলেছেন: আগামী মাসের তার জন্মদীন, ব্যাপারটা আমার গোচরে ছিল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার প্রিয় ভাই।

কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥

সুকান্তের মতন ঠিক এমন করে বাস্তবতাকে প্রকাশ করতে খুব কম বাঙ্গালি কবিকে পেয়েছি। ঠিক এমনটি এখনও নজরে আসে নি। আসলে ক্ষুদার্থের সময় একটা রুটিও ঝল্সানো চাঁদ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তথ্যটা আপনার লিখার প্রথমেই আছে, সেখান হতেই নেয়া । মাটির চুলাটা দারুন হয়েছে । অনুমতি দিলে ছবিটা উঠিয়ে নিয়ে যাব । আগামী জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় দেয়ার জন্য ।
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥

এটা বাংলা সাহিত্য সেই সাথে এপার
ওপার বাংলায় বিদ্যমান অসম
সামাজিক ও আর্থিক দৈনতা প্রকাশের
কাল জয়ী উপমায় পর্যবেশিত হয়েছে ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

কালনী নদী বলেছেন: এই ছবিটা আমার তুলা না, এন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত। তথসূত্র
এটা বাংলা সাহিত্য সেই সাথে এপার
ওপার বাংলায় বিদ্যমান অসম
সামাজিক ও আর্থিক দৈনতা প্রকাশের
কাল জয়ী উপমায় পর্যবেশিত হয়েছে
খুশি হলাম ভাই। এই্ কবিতা সটা ডিজার্ভ করে।
পুন:মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অসাধারণ কবির জন্মদিন মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ছোট সময় হয়তো কবিতা পড়ার সময় দেখেছিলাম জন্মমৃত্যু সাল। কিন্তু আজ বিস্তারিত জানতে পেরে ভালো লাগল।

পৃথিবীতে বিখ্যাত যারা, তাঁরা কর্মেই বেঁচে থাকে হাজার হাজার বছর। তিনিও থাকবেন পরিবর্তনশীল সাম্যবাদী হৃদয়জুড়ে।
ভালো লাগলো ভাই

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কালনী নদী বলেছেন: কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি॥


এই ধরণের আরেকটা সৃষ্টি আপনার হাতেই সম্ভব! জ্বলেরে বন্ধু ভিতরে বাহিরে তুষের আগুণ জ্বলে।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আমার মাঝে মাঝে খুব মনে হয় ইশ সুকান্ত আরো কিছু দিন বেচে থাকতো যদি, আমরা আরো অনেক মানিক্য পেতাম।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০০

কালনী নদী বলেছেন: ভালো মানুষের জন্য এই পৃথিবী নয়! এমনটাই মনে হয়। হয় তারা প্রাকৃতিক নীয়মে খুব কম সময়ই বাঁচেন আর নয়ত হত্যা করা হয়।

সুন্দর মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ, বোন।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১

সুমন কর বলেছেন: উৎস যখন দিয়েছেন, তখন ভালো ভাবেই দিতে পারতেন। ওখানে কি আপনি লিখেছিলেন?

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০২

কালনী নদী বলেছেন: আমার লিখা না, দাদা।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাত্র ২১ বছর বয়সে এমন এক বিস্ময়কর প্রতিভার মৃত্যু বাংলা কবিতা তথা বাংলা সাহিত্যের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য স্বাভাবিক আয়ু পেলে বাংলা কবিতা আরও কত যে সমৃদ্ধ হতো, অনুমান করাও মুশকিল। প্রয়াত এই কিশোর কবির প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ধন্যবাদ কালনী নদী।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩

কালনী নদী বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাই।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না :
তবু জেনো
মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-
বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস ;
আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি ।
মনে আছে সেদিন হুলুস্থূল বেধেছিল ?
ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন-
আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুড়ে ফেলায় !
কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে,
কত প্রাসাদকে করেছি ধূলিসাৎ
আমি একাই-ছোট্ট একটা দেশলাই কাঠি ।
এমনি বহু নগর, বহু রাজ্যকে দিতে পারি ছারখার করে
তবুও অবজ্ঞা করবে আমাদের ?
মনে নেই ? এই সেদিন-
আমরা সবাই জ্বলে উঠেছিলাম একই বাক্সে ;
চমকে উঠেছিলে-
আমরা শুনেছিলাম তোমাদের বিবর্ণ মুখের আর্তনাদ ।
আমাদের কী অসীম শক্তি
তা তো অনুভব করছে বারংবার ;
তবু কেন বোঝো না,
আমরা বন্দী থাকব না তোমাদের পকেটে পকেটে,
আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
শহরে, গঞ্জে, গ্রামে-দিগন্ত থেকে দিগন্তে ।
আমরা বারবার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়-
তা তো তোমরা জানোই !
কিন্তু তোমরা তো জানো না :
কবে আমরা জ্বলে উঠব-
সবাই-শেষবারের মতো ॥


......................এই একটা কবিতা পড়েই আমি ওর ভক্তের তালিকায় নাম লিখেয়ে ফেলেছিলাম, আজ ওনার জীবনীটা পড়ে নিলাম, ধন্যবাদ নদী

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

কালনী নদী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ভাই।

আপনার জন্য।

আগ্নেয়গিরি

কখনো হঠাৎ মনে হয় :
আমি এক আগ্নেয় পাহাড় ৷
শান্তির ছায়া–নিবিড় গুহায় নিদ্রিত সিংহের মতো
চোখে আমার বহু দিনের তন্দ্রা ৷
এক বিস্ফোরণ থেকে আর এক বিস্ফোরণের মাঝখানে
আমাকে তোমরা বিদ্রূপে বিদ্ধ করেছ বারংবার
আমি পাথর : আমি তা সহ্য করেছি ৷

মুখে আমার মৃদু হাসি,
বুকে আমার পুঞ্জীভূত ফুটন্ত লাভা ৷
সিংহের মত আধ–বোজা চোখে আমি কেবলি দেখছি :
মিথ্যার ভিতে কল্পনার মশলায় গড়া তোমাদের শহর,
আমাকে ঘিরে রচিত উৎসবের নির্বোধ অমরাবতী,
বিদ্রূপের হাসি আর বিদ্বেষের আতস–বাজি—
তোমাদের নগরে মদমত্ত পূর্ণিমা ৷

দেখ, দেখ :
ছায়াঘন, অরণ্য–নিবিড় আমাকে দেখ,
দেখ আমার নিরুদ্বিগ্ন বন্যতা
তোমাদের শহর আমাকে বিদ্রূপ করুক,
কুঠারে কুঠারে আমার ধৈর্যকে করুক আহত,
কিছুতেই বিশ্বাস ক'রো না—
আমি ভিসুভিয়স–ফুজিয়ামার সহোদর ৷
তোমাদের কাছে অজ্ঞাত থাক
ভেতরে ভেতরে মোচড় দিয়ে ওঠা আমার অগ্ন্যুদ্‌গার,
অরণ্যে ঢাকা অন্তর্নিহিত উত্তাপের জ্বালা ৷

তোমার আকাশে ফ্যাকাশে প্রেত আলো,
বুনো পাহাড়ে মৃদু–ধোঁয়ার অবগুন্ঠন :
ও কিছু নয়, হয়তো নতুন এক মেঘদূত ৷
উৎসব কর, উৎসব কর—
ভুলে যাও পেছনে আছে এক আগ্নেয় পাহাড়,
ভিসুভিয়স–ফুজিয়ামার জাগ্রত বংশধর ৷
আর
আমার দিনপঞ্জিকায় আসন্ন হোক
বিস্ফোরণের চরম, পবিত্র তিথি ৷৷

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এসে হল যে প্রাপ্তি আনেক
কবি সুকান্ত রচিত কবিতা
দিয়াশলাই কাঠি দিয়েছে
জ্বেলে আলোর জ্যোতি
যাবযে আরো পিছনে
ফিরে মনসা মঙ্গলের
যুগে করিতে কাব্য
সুধা অন্বেষণ ।
ভাল আছেন
জেনে হব
প্রীত ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

কালনী নদী বলেছেন: আপনার স্ব-রচিত! অসাধারণ।

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাইয়া এটা কাব্য নয়
বাংলা কাব্য জগতের অতীত
কৃর্তীময় জগতে ফিরে
যাওয়ার একটি
ঈঙ্গিত ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৪

কালনী নদী বলেছেন: ভালো ইঙ্গিত ভাই।

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কিশোর বয়সেই এই কিশোর কবি সম্পর্কে প্রথম জেনেছিলাম। তখন থেকেই উপরের কবিতার শেষ দু'লাইন মনে গেঁথে গিয়েছিলো। আজ আরো কিছুটা বিস্তারিত জানতে পারলাম আপনার লেখা থেকে। লেখাটিতে এ পর্যন্ত পাওয়া পাঠকের মন্তব্য কম হলেও, মন্তব্যগুলো বেশ ওজনদার হয়েছে এবং একাধিক 'লাইক' পেয়েছে। এটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৭

কালনী নদী বলেছেন: প্রিয় কবির প্রতি আপনার ভাবনা খুব সুন্দর। আরো সুন্দর আপনার মন্তব্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাই।

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

বিজন রয় বলেছেন: হঠাৎ সুকান্তকে নিয়ে লিখলেন।

গরিবের কবি বলে?

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

কালনী নদী বলেছেন: কবিরা বৃত্তভান, সে হিসেবে অর্থের মাপকাটিতে বাকিরা গরীব।।

এ মুহুর্তে ঠিক এমনটি মনে হচ্ছে, দাদা।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

কল্লোল পথিক বলেছেন:








সুন্দর উপস্থাপন।
অনেক কিছু জানা হল।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৯

কালনী নদী বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, দাদা। আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুকান্তের কবিতা আমারও খুব ভালো লাগে ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩১

কালনী নদী বলেছেন: জেনে খুব খুশি হলাম সাধক ভাই। আপনার গল্পও আমার কাছে অসাধারণ লাগে।

মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১২

নীলপরি বলেছেন: সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতা আমারও ভালো লাগে ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

কালনী নদী বলেছেন: ঠিক যেমনটি আমার দিদিমনির কবিতা আমার কাছে ভালোলাগে। :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৪

কালনী নদী বলেছেন: দিদি আপাতত মনে হয় কমেন্ট ব্যানে আছি, তবে সুখবর সেফ মোডে আসছি। আপনার পোস্টে করা আমার উল্টা পাল্টা কমেন্টগুলা দয়া করে অপসারণ করলে বাধিত হই। আমি এতটাই লজ্জিত যে আপনাদের সাথে কথা বলতেই লজ্জাবোধ হচ্ছে।
কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে আসি বোন। আমার কথা কখনও সিরিয়াস নেবেন না।

আমার শ্রদ্ধেয় দিদিমনি।

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সুকান্ত আজীবন আমাদের মাঝে কিশোর কবি হয়ে থাক ।যেমন পিঁপড়েরা………………

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

কালনী নদী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ফুলচন্দন দাদা, এক ফু দিয়ে মুক্তি দিয়ে দিলেন। হৃদয়ের থেকে ধন্যবাদ জানবেন। :)

সুকান্ত অমর হয়ে থাক বাংলার সব কবির ইতিহাস হয়ে।

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

নীলপরি বলেছেন: আরে আমি বুঝেছি । আপনি আমার উত্তরগুলো দেখবেন আশাকরি । আর অভিমান হলে নিজেদের মধ্যে শেয়ার করাই ভালো । উল্টা পাল্টা না , ভালো কাজই করেছেন ।

শুভকামনা । :)

ভালো থাকবেন ।

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কালনী নদী ,




স্মৃতির দর্পনে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছবি আবারও তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ ।

এই নিদানের কালে একজন সুকান্তের বড়ই প্রয়োজন আমাদের ।

২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩০

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: স্বরব্যঞ্জ বলেছেন: যা জানতাম, এবার তারচেয়ে একটু বেশি জানলাম। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ ভাই।


হুম পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.