![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উনারা ভাবতেন এই কোন বাংলার জন্য আমরা রক্ত ঢাললাম,যেখানে আমার ভাতিজিকে কোকিল ভেবে ভুল করেও যদি কাকের ভিড়ে ছেড়ে দেই, তখন তাদের কা কা ডাকে জীবন দূর্বিসহ হয়ে যায় তার, সাথে আমাদেরও!(যৌতুক)শুধু তাইনা,তাদের চাহিদা পূরণ না হলে ঠোকরে ঠোকরে জর্জরিত করে ফেলে তাকে, কখনও বা তাদেরকে আত্মাহুতি দিতে হয়! তার স্বপ্নগুলো ধুলায় মিলিয়ে যায়।এটাই কি তাঁদের স্বপ্নের সোনার বাংলা? যে স্বাধীন এবং সার্বভৌম সোনার বাংলার ছবি তাঁরা মনের ক্যানভাসে কল্পনার তুলিতে লাল আর সবুজ দুটি রং-এ এঁকেছিলেন সেই বাংলায় আজ নারীরা কতই না নির্যাতিতা,লান্ঞিতা,অবহেলিতা,বন্ঞিতা আর নিন্দিতা সে হিসাব মিলানোর মত কোন গণনযন্ত্র আদৌ কি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত হয়েছে?আমরাই একমাত্র জাতি যারা যুদ্ধে নির্যাতিতা নারীদের লজ্জার সাগর থেকে একটানে তুলে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নতুন বউ করে বসিয়েছিলাম মনের সিংহাসনে!আর আাজ? ভাবতেও অবাক লাগে তখন ছিল ১৯৭১ আর এখন ২০১৬, এই ৪৫ বছরের ব্যবধানে সেই বীরের জাতি, সেই নিন্দিতা কে নন্দিতা-তে রূপান্তরিত করার জাতি আজ কতটা নিচে নেমেছে!!! আমরা,না আমরা বললে ভুল হবে আমাদের মধ্যে কিছু লোক এই সময়গত ব্যবধান মানুষ থেকে পশুর কাতারে সারিবদ্ধ হয়েছে!যেমন,শকুন =ধর্ষক,শেয়াল -কুকুর =ইভটিজার,কাক=যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনকারী ইত্যাদি।এযাবৎ এই বাংলায় প্রতিটা পদক্ষেপেই নারী আঘাতে আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত! প্রতিদিন খবরের পাতা খুললেই দেখা যায় এখানে একজন ধর্ষিতা হয়েছেন তো ওখানে একজন এসিড দগ্ধা,এদিকে একজনকে শ্বসুর দূঃখিত পশুর বাড়ীর লোকেরা নির্যাতন করেছে,মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে ওদিকে আরেকজন শেয়াল-কুকুরের বিরক্তিকর আচরণের কারনে স্কুলে যেতে চাননা!বাবাকে ভালো করে বোঝাতে পারেননি তাই বিষয়টা সুরাহা হয়নি!তাই একবুক কষ্ট,বাবার প্রতি অভিমান,পশুগুলোর প্রতি তীব্র ঘৃণা আর সোনার বাংলা ও বাংলার মানুষগুলোর প্রতি প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে দড়ি দিলো গলে!!! হায়রে সোনার বাংলা মা!!! আর কত সোনার মেয়ের আত্মাহুতির মাধ্যমে স্বর্ণোজ্জল হয়ে উঠবে তোমার সোনার ছেলেরা? এইতো সেদিন সেনানিবাসের মত জায়গায়, যেখানে ২৬শে মার্চ ১৯৭১-১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি হায়নারাও প্রবেশ করার সাহস করেনি সেখানে সোহাগী জাহান তনু নামের একটা মেয়েকে কি নির্মমভাবেই না নির্যাতন করা হল!!!শুধু তাই নয়, তার স্বপ্নভরা সুন্দর জীবনটাও কেড়ে নিলো পশুর দল!!!যে জীবনটা সুন্দর করে সাজাতে সে মেয়ে মানুষ হয়েও রাত-বেরাতেও মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে টিউশন পড়াতো সেই সাধের জীবনই আর থাকলোনা তার!!! এখন প্রশ্ন জাগে,,,, যে জায়গায় অর্থাৎ সেনানিবাসে একজন বাইরের অপরিচিত সাধারণ লোক প্রবেশ করতে তার প্রকৃত পরিচয়, প্রবেশের যুক্তিগত কারণ এবং বিভিন্ন ধরণের তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়! সেখানে কয়েকজন মানুষ সন্ধারাতে ঢুকে এতবড় একটা ঘটনা ঘটাতে পারবে,এটাও কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
তাই আমার মনে হয়, বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা সবাই যদি আজ বেচে থাকতেন,তাহলে নিশ্চয়ই বলতেন"এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি"।আমার আরও লেখা পড়তে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুণ।
[বিঃদ্রঃউত্তর জানা থাকলে দয়া করে মন্তব্যের বাক্সে লিখবেন আশা করি]
©somewhere in net ltd.