![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনাম শুনেই হয়তো টের পেয়ে গেছেন আজকের আলোচ্য বিষয় কি হতে পারে। প্রশ্নটা কিন্তু আমার না,আপনাদের "শহীদ "-এর!!! "শহীদ "কে? তাইতো? আপনাদের বললাম একটা নাম নির্বাচন করে দিতে, তা তো দিলেন না! তাই নিজেই একটা ছদ্মনাম দিয়ে দিলাম। হাজার হোক আমার নিজের এত ভালো একটা বন্ধু তাকে ও, সে এইসব বলে ডাকতে ভালো লাগছিল না, তাই এমনটা করতে হল!সেজন্য আমি দূঃখিত।
যাইহোক, সবকিছু বলার আগে যা বলার কথা ছিল সেটাই তো এখনো বলা হলোনা! আজ মহান "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস"।আমাদের মাতৃভাষা বাংলা কে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে যারা নিজের প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিতে পিছপা হননি, সেইসব শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।এবং আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই এইজন্য যে আপনারা প্রাণ খুলে বাংলা বলতে পারেন, আমাদের তো সেটা বেশিক্ষণ হয়ে ওঠেনা!!! যখন দেশে মোবাইলে কথা বলি শুধুমাত্র তখনই নিজের মায়ের ভাষায়(আঞ্চলিক) কথা বলতে পারি !!!
অনেক কথা বলে ফেলেছি,এবার আসল কথায় আসি।শহীদ প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের এবং বহিঃবিশ্বের খবর রাখে।আজও ইন্টারনেটে খবরের কাগজ পড়ছিল। হঠাৎ দেখি কি যেন একটা খবর পড়ে অনেকটাই বিচলিত হয়ে গেছে!!! আমি কি হয়েছে জানতে চাওয়ার আগেই ও আমাকে ডেকে বলল, জানিস, পাকিস্তান এবার চীনা ভাষাকে(মেন্ডারিন) তাদের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে !!! পত্রিকার খবরটি পড়তে এই লেখার উপরে ক্লিক করুন।
আমিও আট দশজন বাংলাদেশীর মতো বলে উঠলাম,তাতে আমাদের কি? এটা পাকিস্তানের ব্যাপার, ওরা চীনা ভাষা না জাপানি ভাষা ওদের দাপ্তরিক ভাষা বানাবে তা ওরাই জানে,আমাদের এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কি লাভ বল?
কিছুক্ষণ নিরব থাকার পর শহীদ বলল,শুন, যদি বলি এই বিষয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর অনেক কিছুই আছে !!! আমি অবাক হয়ে বোকার মতো ওকে প্রশ্ন করলাম, কিভাবে?
শহীদ বলতে শুরু করলো,পাকিস্তানে চীনা ছাড়াও আরো ৩টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। অর্থাৎ তাদের দাপ্তরিক ভাষা মোট ৪টি।বাকি তিনটা ভাষা হলো:-
১/উর্দূ(সংখ্যালঘু পাকিস্তানির মাতৃভাষা)।
২/ইংরেজি(বিদেশী, ইংল্যান্ড)।এবং
৩/আরবি (বিদেশী, সৌদি আরব)।
এর মানে হলো তাদের দাপ্তরিক সব কাজ-কর্ম বেশিরভাগই অন্যের দেশের ভাষায় চলে !!! অথচ,সেদেশের দেশীয় ভাষা উর্দূকে রাষ্ট্রীয় ভাষা ও দাপ্তরিক ভাষা বানানো হয়েছে যে ভাষায় মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষ কথা বলে।
পাকিস্তানের ৬০% এর বেশি নাগরিকের মাতৃভাষা হলো পাঞ্জাবী,আর সেই ভাষাই আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি পায়নি তাদের দেশে।হয়েছে উপেক্ষিত,লাঞ্চিত। কারণটা সবারই জানা আছে।
এখন চিন্তা করে দেখ,যদি আমরা তখন ভাষার অপমানের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হতাম,প্রতিবাদ না করতাম কিংবা আন্দোলনে ঝাপিয়ে না পরতাম তাহলে হয়তো আমাদের সোনার বাংলা, প্রাণের বাংলা ভাষার অবস্থা ও পাঞ্জাবী ভাষার মতো হতো।আর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার তো কোন সুযোগ-ই মিলতো না আমাদের !!! কারণ, স্বাধীনতা নামক ঘরের ভিত্তিপ্রস্থর ই তো স্থাপিত হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে!!
এই রকম বিভিন্ন বিষয়ের উপর আমার আরো লেখা পড়তে এবং শহীদ কে তা জানতে এখানে ক্লিক করুণ।
সুতরাং,এত কষ্টে পাওয়া ভাষাকে আমাদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া উচিত এবং মিশ্রভাষা(ইংরেজি+বাংলা) পরিত্যাগ করা উচিত।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: পুরান বক্তব্য।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫০
জুবেল আহমদ বলেছেন: হয়তো।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
জুবেল আহমদ বলেছেন: আমার আরো লেখা পড়তে ক্লিক করুণ।