![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু, আমার প্রিয় সামু-প্রত্যাশা পুরণে ব্যার্থতার ভারে নূহ্য! বর্তমান সামু কোনো দিন প্রত্যাশিত ছিলনা-তাই আপাতত সামু চর্চা বন্ধ। আপাতত সামু নষ্টদের দখলেই থাকুক। যদি মডারেটর চান-তাহলেই সামু আবার ফিরে আসবে স্বমহিমায়, ফিরে আসবো আমিও অনেকের মতই। ভালো থেকো প্রিয় বন্ধুরা। সকলের জন্য শুভ শুভ কামনা। * প্রানবন্ত কল্পনাশক্তির প্রয়োগে স্বচ্ছ ভাবনা আর বাস্তবতার মিশেলে মানুষ ক্রমশই সংকীর্ণ আর ক্ষুদ্র গন্ডিতে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।সব কিছু ছোট হয়ে যাচ্ছে, ছোট হয়ে যাচ্ছে আমাদের চিন্তা শক্তি-ছোট হয়ে যাচ্ছে আমাদের মন। আসুন পারস্পরিক মূল্যবোধ বিনিময়ে নিজ নিজ ভুল্গুলো শুধরে নিয়ে নিজেকে বিকশিত করি।
Autophagy and fasting....
'Autophagy' কি?
'Autophagy' একটি গ্রিক শব্দ। Auto অর্থ নিজে নিজে বা স্বয়ংক্রিয় এবং Phagy অর্থ খাওয়া এবং অন্য অর্থে ধ্বংসও বলা চলে। সুতরাং অটোফেজি মানে -নিজেই নিজেকে খাওয়া বা আত্মধ্বংস।
মেডিক্যাল সাইন্স নিজের মাংস নিজে খেতে বলছে না। যেটা বলতে চাইছে সেটা হলো, শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকেই "অটোফেজি" বলা হয়।
আরেকটু সহজভাবে বললে, আমাদের ঘরে বা বাইরে যেমন ডাস্টবিন থাকে অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিন থাকে, তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পায় না। ফলে কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা ও ময়লা জমে যায়। শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে । ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই।
মানুষ যখন খালি পেটে থাকে তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা তো আর আমাদের মত অলস হয়ে বসে থাকে না, তাই প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করে। কোষগুলোর আমাদের মতন আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকেই বলা হয় "অটোফেজি"।
এই জিনিসটা আবিষ্কার করেই জাপানের ওশিনরি ওসুমি (Yoshinori Ohsumi) ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
এবার আসি রোজা বা সিয়াম প্রসঙ্গে। যদিও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপোষ আর মুসলমানদের সিয়াম এর মধ্যে বিস্তার ফারাক আছে। তবু্ও অনেকেই উপোষ আর সিয়ামকে এক করে ফেলে।
** মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয়
"সিয়াম"।
** হিন্দু বা বৌদ্ধরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয়
"উপবাস"।
** খ্রিস্টানরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয়
"ফাস্টিং"।
** কোনো দাবীদাওয়া নিয়ে কেউ কিম্বা কোনো গোষ্ঠী, বিপ্লবীরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় "অনশন"।
** আর মেডিক্যাল সাইন্সে উপবাসকে বলা হয় "অটোফেজি"।
খুব বেশি দিন হয়নি, মেডিক্যাল সাইন্স ‘অটোফেজি’র সাথে পরিচিত হয়েছে। ২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ড: ওশিনরি ওসুমিকে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে পুরষ্কার দেন।
অন্যান্য ধর্মের উপোষ এর মতো মুসলমানদের সিয়াম সাধন শুধু উপোষ থাকাই নয়। শুধু না খেয়ে থাকাই সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্য নয়। বরং যাবতীয় পাপাচার থেকে নিজের নফস ও প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে চোখ, মুখ ও জিহ্বাকে সংযত রাখতে হবে। পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব ধরনের অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। তবে এখন সিয়াম মানেই হচ্ছে ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ভুড়িভোজ!
অতএব, মাঝে মাঝে উপবাস করলে পুণ্য অর্জনের পাশাপাশি শরীর যে ঠিক থাকে সেটা প্রমাণিত। একইসাথে কিছুটা আর্থিক সাশ্রয়ও হয়। শরীর সুস্থ থাকলে চিকিৎসার খরচও কম হবে। তাহলে যেকোনো নামেই হোক, মাসে একাধিক দিন "উপবাস" হলে ক্ষতি কি!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ইয়োশিনোরি ওহশোমি বিশয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করছি।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলিম দেশগুলোতে রোজার সময় ঘুষ, মিথ্যা, ভেজাল দেয়া, চুরি, অধিক মুনাফা নেয়া, ইত্যাদি কি কমে আসে?
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: না, ব্যাবসায়ীরা বরং বেশীই খারাপ কাজে লিপ্ত হয়।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি ক্লাশ নিচ্ছেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: মনে হওয়াকে বাধাগ্রস্থ করা যাবেনা।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
ওমেরা বলেছেন: ইসলামে মানুষের জন্য অকল্যাণকর কিছুই নেই ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহজ ভাষায় বেশ ভালো লিখেছেন।
অটোফেজি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণাও আছে। এক শ্রেণির মানুষ প্রচার করেন যে, বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি মুসলমানদের রোজার উপর গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, যা সত্য নয়। মূল গবেষণা শুরু হয় আরো অনেক আগে, সম্ভবত ১৯৫৮ বা ৬০-এর দিকে। ওহশোমির গবেষণা হলো এই সিরিজের তৃতীয় ধাপ।