নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
৭৮৬ মানে কি বিসমিল্লাহ্ নাকি হরে কৃষ্ণ?
আমাদের দেশে আমরা অনেকেই বিভিন্ন চিঠি-পত্র, নিমন্ত্রন পত্র, অফিসের প্যাড, লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, নেইমপ্লেট, ঘরের দরজা ইত্যাদি স্থানে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" না লিখে সংক্ষেপে ৭৮৬ লিখে থাকি। এটা কতটুকু যৌক্তিক এবং ইসলামসম্মত তা নিম্মে তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই আসুন দেখে নেই বিসমিল্লাহ্'কে কিভাবে ৭৮৬ তে রুপান্তরিত করা হলোঃ-
রোমান সংখ্যায় যেমন V=5, X=10, L=50, C=100, D=500, M=1000 বুঝানো হয়, তেমনি ভাবে আরবি ভাষার প্রতিটি বর্ণেরও একটি নির্দিষ্ট মান আছে। আরবি ২৮টি বর্ণের মান নিম্নরূপঃ---
ا= ১, ب=২, ج=৩, د=৪, هـ=৫, و=৬,ز= ৭, ح=৮, ط=৯
ي=১০, ك= ২০, ل=৩০, م=৪০,ن=৫০, س=৬০, ع=৭০,ف=৮০, ص=৯০
ق=১০০, ر=২০০, ش=৩০০, ت=৪০০, ث=৫০০, خ=৬০০, ذ=৭০০, ض=৮০০, ظ=৯০০
غ=১০০০
বিসমিল্লাহর বর্ণগুলোর মানঃ-
আরবিতে বিসমিল্লহির রাহমানির রাহীম লিখতে যে বর্ণগুলো ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো- (ب، س، م، ا، ل، ل، ه، ا، ل، ر، ح، م، ا، ن، ا، ل، ر، ح، ي، م)
বর্ণগুলোর মান বসায়ে যোগ করলে আমরা পাই- (২+৬০+৪০+১+৩০+৩০+৫+১+৩০+২০০+৮+৪০+১+৫০+১+৩০+২০০+৮+১০+৪০)= ৭৮৭
এখানে দেখা গেল বিসমিল্লহির রাহমানির রাহীম লিখতে ব্যবহৃত বর্ণগুলোর মান= ৭৮৭। এখন প্রশ্ন হলো তাহলে আমরা ৭৮৬ কিভাবে পেলাম?
তার জওয়াব হল যে সকল পন্ডিত বিসমিল্লার এই সংখ্যা বের করেছেন তারা ভুল বশতঃ আররাহমান লিখতে মীমের উপড়ে যে আলিফ আছে (খাড়া যবর) যার মান হলো-১, তা বাদ দিয়ে হিসেব করে ৭৮৬ বানিয়েছেন।
হতবাক হওয়ার মত বিষয় হলো- এই ৭৮৬ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটা ধর্মীয় প্রতীক। তারা এর মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন জীবনে তাদের দেবতা "কৃষ্ণ" এর নাম নেয়ার ব্যবস্থা করেছে! বিশ্বাস না হলে চলুন দেখে নেই "হরে কৃষ্ণ" শব্দটির আরবি মান বসিয়ে কত হয়।
"হরে কৃষ্ণ" শব্দটি আরবিতে লিখতে ৮টি বর্ণ লাগে (هري كرشنا) এদের মান বসায়ে যোগ করলে আমরা পাই- (৫+২০০+১০ +২০+২০০+৩০০+৫০+১)= ৭৮৬।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ লিখলে বা পড়লে প্রতিটির বর্ণের জন্য দশটি সাওয়াব পাওয়া যাবে। কাজের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা বরকত দিবেন। পক্ষান্তরে ৭৮৬ আমৃত্যু জপলেও একটি সাওয়াবও পাওয়া যাবে না।
আমাদের দেশে এই শব্দের ব্যাপক প্রচলন শুরু করেছিল বামপন্থী বুদ্ধিজীবী এবং তাদের চেলা-পেলারা। ছাত্র ইউনিয়ন কিংবা জাসদের কোন ডকুমেন্ট দেখলে দেখতে পাবেন সেখানে বিসমিল্লাহ্র পরিবর্তে ৭৮৬ লেখা আছে। এটা ছিল তাদের একটা ধোঁকা। সাধারণ মানুষদেরকে বুঝাত, কে বলেছে আমরা নাস্তিক? দেখেন, আমরা আমাদের সব কাজ বিসমিল্লাহ্ দিয়ে শুরু করি। অন্যদিকে নিজেদের কাছে নিজেরা বলত এটা তো ৭৮৬ একটা সংখ্যা। এটা বিসমিল্লাহ্ নয়।
অতএব, আমরা যদি বিসমিল্লাহ লিখতেই চাই তাহলে আমরা নাম্বর না লিখে আমরা পুরো বিসমিল্লাহ্ শব্দটাই লিখতে পারি।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তার নির্দেশিত পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
(লেখাটা সংগৃহিত এবং এডিট করা)
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২২
নতুন বলেছেন: এই সব নিয়ে মানুষের ভাবার সময় আছে এখনো?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: যার ভাবনার দরকার সেই ভাববে।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
জগতারন বলেছেন:
সুন্দর পোষ্ট !
সুন্দর ও উপকারী বক্তব্য !!
পোষ্টে +++ !!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক জীবন পার করে দিলাম কোন দিন ব্যবহার না করে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও কোনোদিন ব্যবহার করিনি।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ এই ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্যে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার ধারনা এইগুলে অনেকেই অনেকবার দেখেছে-পড়েছে-শুনেছে।
ব্যাক্তিগ ভাবে আমি মনে করে সংখ্যার মধ্যে ধর্ম খোঁজা বোকামী। অংখ্যা দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়,, যার সাথে ধর্মকে টেনে আনার এমন কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি অনেক পড়ুয়া স্বজ্জন-তাই অনেকবার পড়েছেন কিন্তু আমার মতো অনেক নাদান পাব্লিক আছেন যারা পড়েননি, জানেননা, তাদের জন্যই এই লেখা।
আপনি ফুল নিয়ে লেখেন, মসজিদ নিয়ে লেখেন-সেগুলোও অনেকেরই জানা/শোনা-তারপরও আপনি লিখেন আপনার দৃষ্টিকোন থেকে অনেক নান্দনিকতায় যা পটড়ে আমরা মুগ্ধ হই।
ধন্যবাদ,
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০০
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: যোগই কেন করা লাগলো ? গুন, বিয়োগ বা ভাগ করা যেত না ?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: যেখানে যা দরকার তাই করা হয়েছে।
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৩
জটিল ভাই বলেছেন:
হরে কৃষ্ণের উদাহরণটা সংস্কৃত দিয়ে মাপা দরকার। তবে এসব সর্টকাট ধর্মকর্ম দিয়ে হয়তো সর্টকাটে দোযখে যাওয়া হবে, বেহেস্তে নয়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। তারপরও আমরা ধর্মের নামে অপচর্চা করি।
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩৯
বিটপি বলেছেন: বিসমিল্লাহ যদি বাংলায় বলি, তাইলে কি সওয়াব পাওয়া যাবে?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: না হওয়ার কোনো কারন নাই। কোরআন হাদিস সমর্থন করে মাতৃভাষায় ধর্মীয় চর্চা করার জন্য।
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হরে কৃষ্ণ আরবিতে লিখে তার মান বের করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতীক কেনো বানাতে হলো? গীতা বেদ কি আরবি লেখা?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ীতা বেদ পড়ে দেখুন কোনো ভাষায় লেখা।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কি বলেন আমি তো জানতাম বেদ সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে!
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভালো পোস্ট। এত বিস্তারিতভাবে জানতাম না। ধন্যবাদ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মতে বিসমিল্লাহ বা হরে কৃষ্ণ কোনটারই কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যার যার ধর্ম বিশ্বাসের গুরুত্ব অবশ্যই দিতে হবে।
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৩
কালো যাদুকর বলেছেন: বিসমিল্লাহ বলার জন্য বিসমিল্লা, আর হরে কৃষ্ঞ বলার জন্য হরে কৃষ্ঞ বললেই হয়। এত গানিতিক সমীকরন করার প্রোয়জন কি? আমার কাছে মনে হয় এনার্জি নস্ট করা হল।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি আপনার এনার্জি জমিয়ে সিন্দুকের ভরে রাখুন।
১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার মেইলে ৭৮৬ আছে । একটা বিশ্বাসে এটা ধারন করেছি । এটা পরিবর্তন অযোগ্য ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বাস যদি যুক্তি দিয়ে খণ্ডণ করা যায় তাহলে সেই বিশ্বাসের কোনো মূল্য নাই।
১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্কুলে পড়ার সময় অনেককে দেখেছি ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলটাই করতো। সুন্দর সচেতনমূলক পোস্টে++++++
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: মরারপরে দেখলেন আল্লা টাল্লা বলে কেউ নেই, কৃষ্ণতার সখী টখী নিয়ে বেহস্তে রংলীলা করছে, তখন তো ধরা খেয়ে যাবেন,
তার চেয়ে ভাই ৭৮৬, ৪২০ এইসব লিখে যদি পার পাওয়া যায় অসুবিধা কি? আবার বেহস্তের মালিক যদি কালী হয়, তাহলে তো
সর্বনাশ, এখনই জোড়া পাঠার মানত করে রাখেন ভাই। আবার যদি দেখা যায় স্বর্গে আফ্রিকার দেবতা বুঙ্গা বুঙ্গা বসে আছে তখন
কি করবেন? তাই যে কোনো একটা ইশ্বরকে বিশ্বাস করলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী দেখতে পাচ্ছি। যতটা সম্ভব সবাইকে তোয়াজ
করে চলেন ভাই। লটারি তো লেগেও যাতে পারে।
২০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অনেক উপকার হলো। এই পোস্ট পড়ে কি সওয়াব পাওয়া যাবে?
০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭
ইসলামিক_নলেজ বলেছেন: ৭৮৬ মানে হরে কৃষ্ণ.
বিসমিল্লাহ্ কখনোই হতে পারে না