নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অযোগ্যরা ডিগ্রী কেনে, অন্যদিকে যোগ্যরা বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দেয়...

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২

অযোগ্যরা ডিগ্রী কেনে, অন্যদিকে যোগ্যরা বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দেয়...


অযোগ্যরা ডিগ্রী কেনে, অন্যদিকে যোগ্যরা বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দেয়..ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়কে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট উপাধি দিয়েছিল, রাহুল দ্রাবিড় সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুধু ফিরিয়ে দিয়েছেন তা নয়, তারসাথে চমৎকার একটি বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি বলেছেন- "আমার স্ত্রী ডাক্তার, সে এই উপাধি পেতে অসংখ্য বিনিদ্র রজনী ও দিবস কাটিয়েছে। আমার মা কলা বিভাগের অধ্যাপক, তিনি এই ডিগ্রীর জন্য দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর অপেক্ষা করেছেন, অধ্যবসায় করেছেন। ক্রিকেট খেলতে অনেক পরিশ্রম করেছি ঠিক, কিন্তু সেই পরিমাণ পড়াশুনা আমি করিনি, কাজেই এই ডিগ্রী আমি নেই কীভাবে?"

আইনস্টাইনকে ইসরায়েল সরকার ১৯৫২ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আইনস্টাইন বিনীতভাবে বলেছিলেন- "আমি ফিজিক্সের আনাড়ি ছাত্র। রাষ্ট্র পরিচালনার আমি কি বুঝি?"

পেরেলমান নামের জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ সারা পৃথিবীতে গণিত বিষয়ের নোবেল পুরস্কার বলে পরিচিত ফিল্ড মেডেল এবং পুরস্কারের বিশাল অর্থ ফেরত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন- "খুব অভাবের সংসার ছিল আমাদের। মায়ের পয়সা বাঁচাতে হিসেব করে চলতে হতো আমাদের। সেইসূত্রে গণিতে একটু দক্ষতা দেখাতে পেরেছি। এখন সেই অভাব নেই, কাজেই এতো অর্থ দিয়ে কি করবো?"
এই মানুষগুলির বিনয় দেখে সম্মানে ও লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে। নিজের, নিজেদের দিকে তাকালে দেখতে পাই অবিনয়ী, দাম্ভিক, কিম্ভূত কিমাকার মানুষের প্রতিচ্ছবি। এই মানুষগুলি বারবার মনে করিয়ে দেয় বিনয়ী হওয়া মানে ছোট হয়ে যাওয়া নয়, আরও অনেক বড় হয়ে যাওয়া।

কারণ আমরা ছোট হই আমাদের অবিনয়ী উদ্ধত দাম্ভিকতায়, আমরা বড় হই বারবার আমাদের বিনয়ী হয়ে ছোট হওয়ার চেষ্টায়। পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত সত্য হচ্ছে- বড় হতে গেলে ছোট হতে হয়, ছোট হতে গেলে বড় হওয়ার প্রয়োজন হয়না!

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এই অপাত্য বাক্য ভুলে যাই!

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বিনয়ই বড় হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি।

যদিও আমাদের সমাজে যার বিনয় বেশী তাকে বোকা হিসাবেই বিবেচিত করতে ভালবাসে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: সময় বদলে গেছে-এখন চন্ডাল স্বভাবের জয়জয়কার!

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রাহুল দ্রাবিড় বিশ্ব ক্রিকেটে বিরল ব্যক্তিত্ব। উনি কিংবা আইনস্টাইনের মতো মহান ব্যক্তিত্বরা এগুলো হরহামেশাই করতে পারেন। কিন্তু পদের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ আমাদের মতো আম জনতাকে লোভী স্বার্থপর আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে।
বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনাকে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: দ্রাবিড়ের মতো ভদ্র মানুষ সমাজে খুব বেশী নাই। একটা প্রবাদ আছে- "যে মূর্খ সে তো ব্যাটা মূর্খই …"- মূর্খামি করে করেই তার জীবন পাত হচ্ছে। নিজেকে নিয়ে আর মূর্খামি করতেই সে ব্যস্ত …তার কি সাধ্য সমাজকে খারাপ করে? ভাল মন্দের জ্ঞান নেই বলেই তো তাকে এই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

তবে হ্যাঁ, কিছু শিক্ষিত লোকের মূর্খ মানসিকতার জন্য আমাদের সমাজকে, দেশকে অনেক খোরপোশ দিতে হয়েছে এবং হচ্ছেও। এরা হলো শিক্ষিত মূর্খ যাদের কথা সমাজ আর দেশের কিছু মানুষ বেদবাক্য জ্ঞানে বিশ্বাস করে।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দ্রাবিড় ভালো মানুষ ; কিছুদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেটের কোচ হলো; সাফল্য আসবে আশা করি।পৃথিবীর মানুষ নেক্সট আইনস্টাইনের জন্য অপেক্ষা করছে।

অর্থ সম্মানসহিত তাদের কাছেই আসে,যারা অর্থ চায় না; পেরেলম্যান এক্ষেত্রে উদাহরণ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পোস্টের সারমর্মই আপনার সুন্দর মন্তব্য।

ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই লেখা গুলি আগে পড়েছি মনে হচ্ছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ঘটনাগুলো শুধু আমার, আপনার জানা নয়- এগুলো আমাদের অনেকেরই জানা/পড়া। কারণ, ঘটনাগুলো কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন পত্রিকায়, সোস্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত। আমি এক বছর আগে আমার ফেসবুক টাইম লাইনে শেয়ার করেছিলাম, যা গতকাল ফেসবুক মেমোরি ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আমাদের ইচ্ছে ডানা গ্রুপেও শেয়ার করেছিলাম সেই সময়।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার হোল বিনয়ীরা এই যুগে অবহেলিত।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন যারা গলাবাজি করতে পারে, যারা তেল মারতে পারে তারাই সমাজ নিয়ন্তক।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রসংগের বাহিরে একটা প্রশ্ন:
বাংলাদেশের কোন থানায় কর্মরত কতজন পুলিশ ও অফিসার ঘুষ নেয়ার সম্ভাবনা, সরকারী তহবিল থেকে টাকা সরানোর সম্ভাবনা?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যরি, একেবারেই আইডিয়া নাই।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৮

জ্যাকেল বলেছেন: বিনয় খুব কঠিন কাজ যারা কম জ্ঞানী/অজ্ঞ তাদের জন্য। যারা জ্ঞানী তাদেরকে জ্ঞানই বিনয়ী করে তোলে। কোরআন বলেছে, মানুষে মানুষে বিভেদ হইতে পারে একটা জায়গায় সেইটা হইতেছে জ্ঞান।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: কাউকে জ্ঞানই বিনয়ী করে সত্য তবে, বিনয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক শিক্ষা থেকে আসে।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইশশ নুবেলটাও যদি কিনন যাইতো!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: চেষ্টা তদ্ববীরতো কম করছেনা!

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লেগেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গান গাওয়ার একজন গায়িকাও পয়সায় ডিগ্রী কিনে ডক্টর হয়েছে :D

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: তারমতো হাভাইত্যা আরো অনেকেই আছেন। সবার নামতো বলা যাবেনা শুধু এটিএন বাংলার মাহাফুজুর রহমানের নামটাই বললাম।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার লাগলো।

আসুন আরেকটি গল্প শুনি ,

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন , স্কুলের ল্যাব থেকে বোমা বানানোর রাসায়নিক সরঞ্জাম মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তুলে দেয়া , গুরুত্বপূনর্ণ ইনফরমেশন মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট প্রচার করার অপরাধে ভেড়ামারা হাইস্কুলের হেডস্যার কে দুইবার পাক আর্মি তুলে নিয়ে যায়। তিনি অস্ত্র হাতে না নিলেও জীবন বাজি রেখে লড়ে গিয়েছেন। পরবর্তীতে তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ খুব গুরুতর।
১. পাকিস্তানের বিপক্ষে কাজ করা।
২. এবং তার বাবা পরহেজগার আল্লাওয়ালা মানুষ হয়েও পাকিস্তানের পক্ষে কাজ না করা।

যুদ্ধপরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সেই সময় তার মুক্তিযোদ্ধা ছাত্ররা তাকে সার্টিফিকেট নিতে বলেন। তিনি নেননি।
এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
আমি চাইলেই আমার ছাত্ররা আমাকে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দিতো। কিন্তু আমি তো যুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ তো করেছে আমার ছাত্ররা। দেশ স্বাধীন করেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে এতেই আমি খুশি।


৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন আদর্শবান সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধা যেমন আমাদের সমাজে আছেন তেমনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়া ঘৃনিত ৬ জন সচিবও আছেন!

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার এই কৌতুহল আমার ভালো লাগে। আমিও এমনটা করি তবে তা প্রকাশ করা হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.