নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মুড়ি....
মুড়ি এমন এক খাদ্যদ্রব্য যা খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই, পদ্ধতিও নেই৷ আপনি দিন অথবা রাত্রে যেকোন সময় মুড়ি খেতে পারেন, যেকোনকিছুর সাথেই মুড়ি খেতে পারেন৷ টিভি দেখতে দেখতেও খেতে পারেন, পড়শুনা করতে করতেও খেতে পারেন, আবার একহাতে মোবাইলে আমার এই লেখা পড়তে পড়তে অন্য হাতেও মুড়ি খেতে পারেন৷ আপনি চপ দিয়ে খেতে পারেন, চানাচুরে মিশিয়েও খেতে পারেন৷ তরকারী দিয়ে, নারকেল দিয়ে, চিনি গুড় দিয়ে, মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে, শুকনো, ভিজিয়ে...মোটামুটি আপনার যেভাবে যেমন ইচ্ছে মুড়ি খেতে পারেন৷ আমার পছন্দঃ—
(১) শুকনো মুড়ির সাথে ঘনদুধের সর অথবা ঘাওয়া ঘি'র সাথে অল্প চিনি মিশিয়ে খাওয়া।
(২) ঘানি ভাংগা সরিষার তেলে একটু চানাচুর, পেঁয়াজ, কাচমরিচ কুচো, শশাকুচি মেশানো মচমচে মুড়ি!
(৩) মধুর সাথে মুরগির মাংসের গ্রেভী মিশিয়ে শুকনো মুড়ি মাখা।
এতক্ষন ধরে এই যে মুড়ি খেতে উৎসাহিত করছি তার কিছু কারন আছে বৈকি। আসুন দেখে নিই মুড়ির গুনাগুন কি! প্রসঙ্গত বলে রাখি, মুড়ির গুনাগুন সম্পর্কিত তথ্যগুলি আমি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছি!
মুড়ির গুনাগুণঃ—
উচ্চ পরিমাণে শর্করা থাকায় মুড়ি শক্তি বৃদ্ধিতে করে এবং প্রাত্যহিক কাজে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে!
ডায়াটিরি ফাইবার এর উপস্থিতিতে মুড়ি হজমে সাহায্য করে। মুড়ি অন্ত্রে অবস্থান ঠিক রাখতে সাহায্য করে, শরীরের মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি, রাইবোফ্লাভিন এবং থিয়ামিনের উৎস হিসেবেও মুড়ির অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে মুড়িতে, তাই মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।
মুড়ি সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম কন্টেন্ট প্রসারিত করতে সহায়তা করে, ফলে এটি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে৷ মুড়ি হাই ব্লাডপ্রেশার প্রতিরোধেও সাহায্য করে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
আপনার বাচ্চা যাতে আইনস্টাইনকেও পিছনে ফেলে দেয় সেজন্য আপনার চেষ্টার শেষ নেই৷ বাজারচলতি নানারকম পুষ্টিদ্রব্য উচ্চদামে গুলে খাওয়াচ্ছেন, ছেলেমেয়েও গুণিতক হারে 'টলার- শার্পার- শক্তিমান' হয়ে উঠছে! মুড়িতে রয়েছে নিউরোট্রান্সমিটার পুষ্টিগুণ। মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। এমনকি মুড়ি মস্তিষ্কের ডেভলপমেন্ট এবং কগনেটিভ ফাংশনের উন্নিতে সাহায্য করে।
রোগা হোন বা মোটা, দেখতে খারাপ হোন বা ভাল, ডায়েট কন্ট্রোল করতে আমরা সদা তৎপর৷ ডায়েটের নাম করে কতকিছুই না করি আমরা! মুড়ি খান৷ মুড়ি ওজন কমাতেও এক্সপার্ট। আপনি নিশ্চিন্তে মুড়িকে নির্ভরযোগ্য ডায়েট স্ন্যাকস মানতে পারেন৷
এছাড়া বাজার চলতি নানান স্পাইসিফুডে আপনার পেট যদি বিদ্রোহ করে, তাহলে তাকে শান্ত করে নিয়ন্ত্রনে আনার কাজেও মুড়ির জুড়ি মেলা ভার৷
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি কি বরিশাল শহরের?
গির্জা মহল্লার দধি ঘরে অনেক দিন দৈ-চিড়া এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবার খেয়েছি। অসাধারণ!!! ওদের খাবার পরিবেশন এখনো পিতল কাসার বাউলে।
এখনো বরিশাল গেলে ওখান থেকে গাওয়া ঘি কিনে নিয়ে আসি।
ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ড সাকুল্যে ১০০০ জন। আমার যেকোনো ফেসবুক পোস্টে এভারেজ রিচ ১৫০ হলেও আমার লেখা যারা নিজ নামে চালিয়ে দেয় তাদের রিচ হাজারের বেশি। Quora সাইট খুঁজে দেখতে চেষ্টা করবো। যদি ওই সাইটের লিংক থাকে তাহলে এখানে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তখন আমি মুড়ি খাই। কিছুটা উপকার পাই।
তাছাড়া রাতে মুভি দেখার সময় সামনে এক বাটি মুড়ি রাখি। একটু পর পর খাই। ভালো লাগে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: মুড়ি গ্যাস্ট্রিকের প্রতিরোধে ভালো কাজ করে। মাঝেমধ্যে অফিসে বিকেলের দিকে আমি মুড়ি সরিষার তেল আর কাসুন্দি মাখিয়ে খাই।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুড়ি আমার প্রিয় খাদ্যের তালিকায় আছে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুড়ি খাওয়া এখন সহজ।অনেক বড় বড় কোম্পানি মুড়ি বিক্রি করে।লুঙ্গির কোছায় মুড়ি সাথে খেজুরের গুড়ের পাটালি সেই স্বাধ আর পাই না।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলায় গ্রামের বাড়িতে যেয়ে মাঠের মধ্যে (ধান ক্ষেতে) মুড়ি গুড় খাওয়ার তেমন স্মৃতি আমারও আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
সাজিদ! বলেছেন: মধুর সাথে মুরগীর মাংসের গ্রেভী মিশিয়ে শুকনো মুড়ি খাওয়া হয়নি কখনো। খাওয়ার ইচ্ছে আছে।
বরিশাল শহরের দধি ঘর নামের একটা দোকান ৮০ বছর ধরে মুড়ি+ দধি+ ঘোল+ চিড়া + ছানা + মাখনের একটা মিক্সার পাওয়া যায়, এক বন্ধুর শেয়ার করা ভিডিওতে দেখেছিলাম। এটা অনেকটা আপনার প্রথম রেসিপির একটু আপডেটেড বাণিজ্যিক ভার্সন। সেটাও খেয়ে দেখার ইচ্ছে আছে।
চমৎকার পোস্ট। প্লাস। ও আচ্ছা, আরেকটা কথা।সিংগারা নিয়ে আপনার পোস্টটা Quora তে এক ভারতীয় বাঙ্গালি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে, একটু ঢু মেরে দেখুন।