নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ফিরিয়ে দাও আমার সেই বারোটা বছর.....
'সবার উপরে' ছবির সেই বিখ্যাত সংলাপের কথা- যেখানে মিথ্যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত বাবাকে কারাগারের অন্ধকূপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ছেলে নিজেই বাবার ওকালতি করে জয়ী হয়েছে। জীবনের দুর্মূল্য দীর্ঘ বারোটা বছর জেলে কাটিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অদৃষ্টকে বলেছেন- “দাও, ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমার সেই বারোটা বছর”!
যা শুধু সংলাপ নয়, একজন অসহায়-সর্বহারা মানুষের যে অভিব্যক্তি তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা ছবি বিশ্বাস ছাড়া অন্য কেউ পারতেন না, এই বিশ্বাসই গেঁথে গিয়েছে সাধারণ দর্শক থেকে সিনে-বোদ্ধাদের মনে। ছবি বিশ্বাসের কাঁপা গলায় সেই ঐতিহাসিক আর্তি ভীষণভাবে গেঁথে দিয়েছিল আমার মনের ভেতরও। বুকের ভেতরটা তখন যেন টনটন করে উঠতো- "আহা, সব কি নিয়ে গেল ওর বারোটা বছর!"
জীবনের ৬০ বছর পেরিয়ে খেয়াল হয়- কতকিছুই ঝেড়ে ফেলার ছিল, আবার কতকিছুই অবহেলার ধুলো মেখে পরে রয়েছে। যে প্রেমিক কিশোরী স্টেশনে রেল লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে মুহূর্তকে দাঁড় করিয়ে বলেছিল,
"ভালো আর থাকতে দিলে কই, চলেইতো যাচ্ছো"-
তাকেও ভুলে গেছে মেয়েটি।
মাঝে চলে যাচ্ছে আমাদের অজস্র বারোটা বছর। সিম্ফনি সময়রেখায় দাঁড়িয়ে আয় ব্যয়ের হিসেব করে মুদিওয়ালা। আমরা এক থেকে দশ লিখে ঘুরে ঘুরে ফিরে আসি। প্রতিজ্ঞায় এঁকে রাখি নাছোঁয়া ভালোবাসা। ভালোবাসা, শুধু কি দিতেই হয়? এটাই নিয়ম!
কিন্তু সেদিনের সেই কলেজ উত্তীর্ণ ছেলেটি জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আজও কল্পনায় দেখতে পায়, মেয়েটি ঠিক ওখানেই দাঁড়িয়ে কান্না ভেজা চোখ তুলতে পারেনা এখনো।
না, পেতেও হয়।
হিসেবি হলে কি ভালবাসা যায়?
শুধু আমরা ভুলে যাই বারোটা বছর।
অপশন খুঁজি রোজ।
আরো ভালো, আরো ভালোর খিদে চেপে বসে প্রতিদিন।
আঁশটে গন্ধ উঠে আসে রোজের জীবনে। মিনিট ঘন্টা দিন মাস বছর কাল। অনুতাপ নেই। হারিয়ে ফেলার খোঁজ নেই। শুধু বেটার অপশন, তত্বজ্ঞানে ভরা। ভাঁড়ার শূন্য করি রোজ।
আসলেই, আমার কোনো বারো বছর নেই। মিথ্যে সময় শুধু নেড়েচেড়ে দেখি। তবুও কেন এই মিছে প্রত্যাশা -ফিরিয়ে দাও আমার সেই বারোটা বছর.....
কারণ, আমার কোনো নোংগর নেই।
ফেলে আসা অসংখ্য বারোটা বছর হারিয়ে ফেলি, তবুও বারো বছর ফুরোয় না।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: এভাবেই জীবন তরী বয়ে বেড়াতে হয়।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দীর্ঘ জীবনের পিছনে ফিরে দেখলে এমন কত বার বছর গেছে হেলায়, অবহেলায়, খেলায়, মেলায় তবুও
জীবন যাচ্ছে জীবনের মত বয়ে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: আজ থেকে দু' হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক সেনেকা 'অন দ্য শর্টনেস অভ লাইফ' বই লিখেছিলেন। মজার বিষয় হলো তিনি তার বইয়ে সে সময়ের মানুষের জীবন উপলব্ধি নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, মানুষের যে মনের কথাগুলো বলেছেন, তার সাথে দু' হাজার বছর পর এসেও আমাদের বর্তমান সময়ের চিন্তাধারার কোনো পার্থক্য দেখা যায় না।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: ফিরিয়ে দাও আমার সেই বারোটি বছর!
আহ! জীবনের কত যে হিসাব বাকি রয়ে গেল। মিলবে কি সেই হিসাব কখনও?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: ছাত্র অবস্থায় ভাবি চাকরি জীবন সুখের হবে এখন কষ্ট করি, চাকরি জীবনে এলে ভাবি প্রমোশন পেলে বাড়ি গাড়ি হলে সুখী হব এখন কষ্ট করি। এভাবে ভবিষ্যতের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় এসে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে যাই। এরপর উপলব্ধি সারা জীবন ব্যস্ত ছিলাম, জীবন খুব ছোট।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দেখতে দেখতে জীবন থেকে অনেকগুলি বছর পেরিয়ে গেলো!! কতোকি করার, কতোকি দেখার বাকি রয়ে গেলো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্বাস করুন, ব্যক্তি জীবনে কি পেয়েছি, কি পেলাম না-তা নিয়ে কোনো আপসোস নাই। তবে দেশের জন্য, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য এক বুক হতাশা আছে, স্বাধীন বাংলাদেশে সেই হতাশা ব্যক্ত করারও সাহস নাই।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি পিছনের জীবনে সুখ খুঁজি কেবল
বর্তমান ভেজাইলা, পরাধীন
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সুখ নামক পাখির নিঃসংগ স্বর্গবাস হচ্ছে জীবন।
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: যা একবার জীবন থেকে চলে যাত। সেটা আর ফিরে আসে না। কাজেই আফসোস করা যাবে না। জীবন এরকমই। মেনে নিন।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: মেনে না নেওয়ার কোনো বিকল্প নাই-তাই মেনে নিতেই হয়।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিজয়ী হলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি মেলে..
কিন্তু মাৎসানায় আধারে আলোর রেখা সুদূরপরাহত..
দারুন বেদনার গদ্য কাব্য লিখেছেন ভায়া
+++++
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কমরেড!
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি দুনিয়াতে আবার আসবেন। তখন অতীতের ভুল গুলো আর করবেন না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: দুনিয়াতে দ্বিতীয়বার আসার কোনো নিশ্চয়তা নাই। তবে জীবনানন্দের ভাষায় "হয়তো মানুষ নয়-- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে, হয়তো ভোরের কাক হয়ে"!
৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জীবন এমনই। আফসোস করে লাভ নাই। যেটা পেয়েছি বা করেছি এইটাই যথেচ্ছ মনে হয়
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: নাহ! আপসোস নাই। জীবন যখন যেমন -তেমনই মেনে নিচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ বেদনাময় এক ভাবনার ছোয়া অনুভব করলাম দাদা