নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই সংগ্রহ এবং পড়া....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বই সংগ্রহ এবং পড়া....

বিষয় হিসেবে 'বই' আমার বরাবর আগ্রহের। 'বই'- কে বিষয় করে লেখা কত বই যে আমি সংগ্রহ করেছি তার ইয়ত্তা নেই। যখন যেমন সন্ধান পেয়েছি বই জোগাড় করেছি। একজায়গায় সেগুলো রাখলে হয়তো ছোটখাটো লাইব্রেরি হয়ে যাবে।

দুস্পাপ্য বই নিয়ে প্রবাদপ্রতিম লেখক নিকোলাস ব্যাসবেনসের দুটো বই 'আ জেন্টেল ম্যাডনেস' ও 'পেসেন্স অ্যান্ড ফর্টিটিউড' আমার সংগ্রহে আছে। আছে ভারতীয় বইয়ের ইতিহাস নিয়ে স্বপন চক্রবর্তী ও অভিজিৎ গুপ্তর সম্পাদনায় 'প্রিন্ট এরিয়াস' ও 'মুভেবল টাইপ'! সহস্রাধিক পৃষ্ঠার দুই খণ্ডে 'দ্য অক্সফোর্ড কম্পানিয়ন টু দি বুক' - সম্প্রতি সন্ধান পেয়েছি। পাঠক সমাবেশ এবং প্রথমায় দুই খণ্ডের বইটি টাকার অভাবে সংগ্রহ করতে পারিনি। দাম ৪৬,০০০/- টাকা!

'বই কেন পড়ব', 'বই কীভাবে পড়ব', 'বই কেন পড়ব না' বা 'বই না পড়েও সেই বই নিয়ে কীভাবে লিখব' - কত শত বিষয় আর কত শত তার লেখক!
'প্যাশন ফর বুক' আমার একটি অতি প্রিয় বই। যুগে যুগে শাসক চক্রের রোষানলে পড়ে যেসব বই পোড়ানো হয়েছে তা নিয়ে বই 'বুকস্ অন ফায়ার'- এখনো কিনতে পারিনি। আর বই নিয়ে উমবের্তো একোর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার 'দিস ইস নট দ্য এন্ড অফ দ্য বুক'- বইটি আমাকে গিফট দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের আমার প্রিয় শিক্ষক ডঃ মহব্বত আলী খান স্যার, যা আজ অবধি পড়ে রপ্ত/ আত্মস্থ করতে পারিনি তবে পাঠ জারি আছে।

একটা মিষ্টি মধুর বই 'দ্য ইয়োলো-লাইটেড বুকশপ'!ফাডিমানের 'বইয়ে বইয়ে বিবাহ' নিয়ে লেখাটা তো মিথের পর্যায়ে। বই নিয়ে অজস্র বাংলা বইও লেখা হয়েছে। যার অনেক গুলিই আমার সংগ্রহে আছে।

আজ একটি বই নিয়ে আমার মুগ্ধতার কথা জানাব, তবে বইটি আমার সংগ্রহে নাই। একজন অতিরিক্ত সচিব এর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি সচিব মহোদয়ের সাথে একটা মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় আমার হাতে বইটি দিয়ে সময় কাটাতে বলেন। আমি তাঁর টেবিলেই ১৫/২০ মিনিট চোখ বুলিয়ে মুগ্ধ হয়েছি- সুমন ভট্টাচার্যর লেখা 'বই-শাখ হে'।

বই নিয়েই যাঁদের যাপন
বই কেনা থেকে না-কেনা, পড়া থেকে না-পড়া
এবং
বই চুরি পর্যন্ত
গ্রন্থ চর্চার সাতকাহন 'বই-শাখ হে'!

সূচি:

বই-ভবের ওয়ারিশান
বই কেনার পাঞ্জা-ছক্কা
বই পড়ার ষড়যন্ত্র
বইচুরির সপ্তকাণ্ড
তৎ-পড়া বই-এর অস্টাধ্যায়ী
না-কেনা বই-এর নহলা
বই-এর দশ দশা

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৯

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: কোথায় যেন পড়েছিলাম, 'বই এবং বউ একজায়গায় রেখো না। একটিকে পাশের ঘরে রেখো।'
এই 'প্রবাদ বাক্য' ভুলে গিয়ে কতোদিন বউয়ের ঝারি খেয়েছি, এই লাইট নিভাও, আমার ঘুম পাচ্ছে।'
কিংবা, 'বইয়ের সঙ্গে এতো প্রেমতো আমাকে বিয়ে করলে কেন !' হা হা হা। =p~ =p~ =p~

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: বই তথা পাঠমগ্নতায় আমার বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ আজীবনের। তবুও নিজেকে বদলাতে পারিনা।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: বই মানেই হচ্ছে ভালোবাসা । তবে আমার আগ্রহ কেবল বই পড়ার প্রতি । প্রায় সবারই বই পড়ার সাথে সেটা যত্নে সংগ্রহ করে রাখার অভ্যাস কিন্তু আমার কেন জানি বই সংগ্রহ করে রাখার ব্যাপারে আগ্রহ কম । একবার যে বই পড়া শেষ সেই বইয়ের প্রতি আমার আর আগ্রহ থাকে না ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বেলায় হয়েছে উলটো। বই আমার কাছে যক্ষের ধন!

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বই পড়রার কোন বিকল্প নেই কিন্তু জীবনটা এতোটাই যান্ত্রিক হয়ে গেছে যে সময় পাওয়াই মুশকিল।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন ও জীবিকার সাথে পাল্লা দিয়ে বই পড়ার সময় বের করা সত্যিই কষ্টের।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: বইয়ের প্রতি আমার ও বিশেষ দুর্বলতা আছে। পড়া শেষ হলেও আমি বই রেখে দিই। বই যত পুরোনো হোক সেলফে রেখে দিতে খুব ভালো লাগে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো বই চিরদিনের।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যতই অনলাইনে জয় জয়কার হোক কাগজের বই পড়ার মজাই আলাদা।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অনলাইনে বই পড়ে মজা পাইনা। সব সময় হার্ড কপি পড়ার চেষ্টা করি।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: আমি টিফিনের টাকা জমিয়ে বই কিনতাম। কিছু টাকা জমলেই মোহাম্মদপুরের শের শাহ শুরি রোড থেকে নীলক্ষেত পায়ে হেঁটে চলে যেতাম। পছন্দ মত নতুন পুরাতন বই কিনতাম। অনেক সময় দেখা যেত একটা বই কিনতে গিয়ে আরও দুটো বই পছন্দ হয়েছে তখন সেই দোকানে টাকা মিটিয়ে কেনা বই জমা রেখে আবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে ছুটতাম অন্য বইটি সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে। এ সময় অদ্ভুত একটা টেনশন কাজ করতো যদি অন্য বইটি কেউ কিনে নিয়ে যায়। একবার তো খামার বাড়ির কাছে
বি আর টি সি বাসের চাপায় পড়তে পড়তে দুই/ তিন সেকেন্ডের জন্য বেঁচে গেছিলাম।তখন ফার্মগেট ওভার ব্রিজের কাছে বেশ কিছু বইয়ের লাইব্রেরি ছিল।
এরকম বই সংগ্রহ আর বই পড়া নিয়ে যে কত কত অভিজ্ঞতা আছে বলে শেষ করা যাবে না।

শুভ কামনা রইলো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এইদিক থেকে আমি সৌভাগ্যবানদের একজন। ছেলে বেলা থেকেই পরিবার থেকে বই কেনার জন্য একটা বরাদ্ধ পেতাম। আর যখন নিজেই কামাই রোজগার করতে শুরু করি- তখন সবার আগে বই কেনার জন্য বাজেট করে বই কিনতে শুরু করি।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: আম্মু আমাকে বই কেনার জন্য মাসে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতেন কিন্তু আমার ছিল বই কেনা ও বই পড়ার প্রচন্ড নেশা।আম্মুও অনেক বই কিনতেন। লুকিয়ে লুকিয়ে সে সব বইও পড়তাম বিশেষ করে দস্যু বনহুর সিরিজ। নিহাররঞ্জন গুপ্ত,আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের বই। দুটো দৈনিক ও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন,সিনে পত্রিকা চিত্রালী, পূর্বানী নিয়মিত নিতো বাসা থেকে। সব আমার পড়া চাই। সেই রকম বই খোর ছিলাম বলা যায় হা হা হা তবে স্কুলের বইয়ের প্রতি ততটা মনোযোগী ছিলাম না। আব্বু অবশ্য এসব নিয়ে ভীষণ কথা শোনাতো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পড়ার নেশা এতটাই প্রকট যে চলতি পথে বই, খবরের কাগজ পড়া শেষ হলে ঠোংগা খুলেও পড়ি!

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সংগ্রহে কত বই আছে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: সঠিক বলতে পারবোনা। তবে ৭/৮ হাজার হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.