নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
একালের বুদ্ধিজীবী এবং সেকালের ভীষ্ম-দ্রোণ-কৃপাচার্য এবং একজন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ ............
যখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বেঁধে গেল, তখন পাণ্ডবেরা আশা করেছিলেন যে ন্যায়নিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীরা অন্যায়কারী কৌরবদের বিরোধিতা করবেন ও পান্ডবদের পক্ষে দাঁড়াবেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা তা করলেন না, কৌরবদের অন্যায়কারী জেনেও তাঁরা পান্ডবদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করতে নামলেন।
পান্ডবরা যখন তাঁদের পক্ষে যুদ্ধের সেনাপতিত্য গ্রহণের জন্য ভীষ্ম-দ্রোণ-কৃপাচার্যের কাছে আবেদন জানালেন, তখন কৌরবদের বিরোধিতা করতে তাঁরা অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন এই বলে -
"আমরা কৌরবদের অর্থসাহায্যে জীবন ধারণ করেছি, সে কারণেই ক্লীবের মতো আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে কৌরবরা যত অন্যায়ই করুক ওদের বিরুদ্ধে আমরা যেতে পারি না, কারণ সকল মানুষই অর্থের দাস, অর্থ কারুর দাস নয়।"
কী কঠিন ও মর্মান্তিক স্বীকারোক্তি!
এরকম স্বীকারোক্তি বর্তমান কালের খুব কম সংখ্যক বুদ্ধিজীবীই করেন বা করতে পারেন। অর্থের দাস বা অন্নদাস অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীই বরং বুদ্ধির মারপ্যাঁচের আশ্রয় নিয়ে অন্যেকেও প্রতারণা করেন আবার আত্মপ্রতারণাও করেন। তাঁরা কিছুতেই পারে না তাদের অন্নদাতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ বলতে বা লিখতে। স্বৈরাচারী ক্ষমতাসীনের একটা ফোনকল বা একটা নিমন্ত্রণে তাঁদের চোখ চকচক করে ওঠে। জুটলেও জুটতে পারে পরবর্তী নির্বাচনী টিকিট অথবা অন্নদাতার লংগরখানার এক কোণে স্থান। "তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়" লেখা হয় কেবল কবিতা বিক্রির জন্য। বাস্তবে কবি/শিল্পী/বুদ্ধিজীবীরা রাণীমার পায়ে ল্যাজ নাড়ায়।
তবে এই রাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের নগদ ও সুদূরপ্রসারী সাফল্যের মধ্যে অন্যতম সাফল্য, আমাদের কালের অনেক বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গায়ক/গায়িকা, সাংবাদিকের আসল চেহারার উন্মোচন। সময় নামক কষ্টি পাথর যাচাইয়ে তারা ধরা দিয়েছেন। যারা সুবিধাবাদী তারা সব সময়ই সুবিধাবাদী। একজন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ ছদ্মবেশী দালাল ও ভন্ড চেহারা নিজেই খুলে দিয়েছে এই সময়। নিপুণ সুশীল শিরদাঁড়ার ছদ্মবেশটি যারা নিয়েছেন বেশ, তাদের দ্বারা আন্দোলনের মাঠে শরিক যারা এবং চোখ কান খোলা যাদের, তারা এর পর অবশ্যই বিভ্রান্ত হবেন না আশা করি।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ফলাফল, সাধারণ মানুষের জন্য দুটোই ক্ষতিকর!
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শেষ টুকুর খবর রাখি না। প্রথমটুকু চমৎকার লিখেছেন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি একটা বিশেষ আঙ্গিকে ওনাকে বলেছেন ঠিকই। মানুষ মাত্রই কিছুনাকিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকবে। কাজেই একজন মানুষ সবার কাছে প্রিয় হতে পারেন না।আবু সাইদ স্যারকে আমি শ্রদ্ধা করি। ওনার বহু লেকচার আমি শুনেছি।বলতে পারেন একজন ফ্যান বৈকি। অস্বীকার করব না এতো পাওয়ারফুল লেকচার আমার কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে শুনিনি। সেই মানুষটি যদি কোনভাবে আপনারো প্রিয় হতেন তাহলে ভীষণ খুশি হতাম।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। প্রফেসর আবদুল্লা আবু সায়ীদ স্যার অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আমারও শ্রদ্ধেয়জন। তাঁর মোটিভেশনাল স্পীস অসাধারণ!
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০২
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশে 'বুদ্ধজীবী' শব্দটি তার সকল ভাব-গাম্ভীর্য, সম্মান এবং জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম সঠিক। সবাই কোনো না কোনো পক্ষপাতদুষ্ট, তবে আমজনতার প্রত্যাশার বাইরে।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ একজন প্রিয় শিক্ষক, জ্ঞ্যানি মানুষ।
নষ্ট সমাজে ভন্ডদের ভিড়ে উনি একটি বাতিঘর
স্যারকে শ্রদ্ধা করি।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রফেসর আবদুল্লা আবু সায়ীদ স্যার অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আমারও শ্রদ্ধেয়জন। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সূচনা লগ্ন থেকেই আমি জড়িত।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৫২
সোবুজ বলেছেন: আধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ ,যুব সমাজ এবং দেশের জন্য যা করেছে ,নোবেল পাওয়া সুদ খোররা যদি তার সিকিও করতো তবে দেশের অবস্থা অন্য রকম থাকতো।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সবাই সব কাজ পারেন না।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৩
সাসুম বলেছেন: অধ্যাপক আবু সাঈদ কে কারা গাইলায়, কেন গাইলায় এবং কি কারনে ঘৃণা করে এটা বেশ জানা সবার।
সামু ব্লগে এটা নতুন কিছু না। আপনি ঘৃণা করেন এটাও নতুন কিছুনা। আপনি জাফর ইকবাল কেও মারাত্মক ঘৃণা করে পোস্ট দিয়েছিলেন।
এটাই আপাতত সামু ব্লগের জয়জয়কার অবস্থার প্রতিফলন।
এই পোস্ট স্টিকি করা হোক।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি চাইলে সামু স্টকি করতে পারে।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
বিটপি বলেছেন: ভীষ্ম কেন কৌরবপক্ষে ছিলেন? তিনি তো অন্নদাস ছিলেন না! বরং তার করুণাতেই ধৃতরাষ্ট্র রাজা হয়েছিলেন। তিনি তো চাইলেই পান্ডব পক্ষে যোগ দিতে পারতেন?
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: কে কি পারতেন, কিম্বা পারতেন না -সেটা সময় এবং প্রয়োজনই নির্ধারণ করে। তবে সাধারন মানুষ বিবেচনা করেন-কে কি করেছেন সেটাই।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এখনকার তৈল ছাড়া কিছু নেই যার ত তৈল বেশী তার ত নাম ডাক ভাল থাকবেন দাদা
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রফেসর আবদুল্লা আবু সায়ীদ স্যার অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আমারও শ্রদ্ধেয়জন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তার গুণমুগ্ধ।
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার একজন সমাজ সংস্কারক। সিংহ রাশির জাতক।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: তিনি রাশিতে বিশ্বাসী নাকি?
১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার কে সবাই ভালো বলে। জ্ঞানী মানুষ বলে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও তাঁকে অত্যন্ত জ্ঞানী মানি। তাই বলে জ্ঞানীরা খারাপ কাজ করতে পারেনা সেটা মানিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫০
সোবুজ বলেছেন: সমাজে নীতিবান এবং ক্ষমতাবান কারো প্রভাব কম নয়।নীতিবানের ক্ষমতা টের পাওয়া যায় না,ক্ষমতাবানের ক্ষমতা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়।