নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
দেখে আসুন সামরিক জাদুঘরঃ
বাংলায় জাদুঘরের ধারণা এসেছে ব্রিটিশদের মাধ্যমে। কেবল বাংলায় নয় সমগ্র উপমহাদেশে জাদুঘরের ইতিহাসের সূচনা ১৭৯৬ সালে।
জাদুঘর সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কমিশন আইসিওএম (১৯৭৪)-এর দশম সাধারণ সভায় জাদুঘরকে সংজ্ঞায়িত করেছে সমাজের সেবায় এবং উন্নয়নের জন্য অলাভজনক একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ প্রতিষ্ঠান জনগণের শিক্ষা-দীক্ষা এবং বিনোদনের উদ্দেশ্যে মানুষ ও তার পারিপার্শ্বিক বস্তুগত নিদর্শনাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রকাশনা এবং প্রদর্শন করে থাকে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় উৎপত্তি হয় জাদুঘরের। যেখানে সংরক্ষিত থাকে একটি জাতির অতীত, বর্তমান ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। যা থেকে জ্ঞান লাভ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। মূলত এই বিষয়গুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ জাদুঘরের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর, লোকঐতিহ্য জাদুঘর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, সামরিক জাদুঘরসহ আরো অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক বা বিশেষায়িত বিষয়ে জাদুঘর।
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরঃ
নামের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থাৎ সামরিক বাহিনী ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই এই জাদুঘর। সামরিক বাহিনী প্রাচীনকাল থেকে প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সংক্রান্ত সংগঠিত প্রতিষ্ঠান। যা কালের আবর্তে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। অর্থাৎ প্রাচীনযুগ, মধ্যযুগ, ঔপনিবেশিক যুগ, পাকিস্তান আমল এবং বাংলাদেশ আমল। প্রাচীনযুগে সেনাপতি বা মহাসেনাপতি ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সামরিক কর্তা। মহাসেনাপতির তত্ত্বাবধানে পৃথক পৃথক কর্মকর্তাগণ সৈন্যবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ যেমন পদাতিক বাহিনী, অশ্বারোহী বাহিনী, হস্তিবাহিনী এবং নৌবাহিনী পরিচালনা করতেন।
মধ্যযুগের সামরিক অবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। অর্থাৎ সুলতানি আমল ও মোগল আমল। সুলতানি আমলে শাসক সম্পূর্ণভাবে সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভরশীল ছিল।
উপমহাদেশে ইউরোপীয় ধাঁচে সামরিক বাহিনী গঠনের উৎস খুঁজে না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফ্যাক্টরি নির্মাণ থেকে এর উদ্ভব ঘটে।
মোগল সম্রাট শাহজাহানের ১৬৩৪ সালে দেয়া এক ফরমানবলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পাটনা, ঢাকা ও কলকাতায় তাদের ফ্যাক্টরি পাহারা দেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক সিপাহী ও ইউরোপীয় সৈন্য সংগ্রহ করে। ১৬৯৬ সালে ফোর্ট উইলিয়াম স্থাপিত হয়। ১৬৯৮ সালে এই দুর্গটিকে ইউরোপীয় কায়দায় শক্তিশালী করা হয়। ১৭১৭ সালের মধ্যে প্রত্যেটি প্রেসিডেন্সিতে নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করা হয় এবং ১৭৪৮ সালে কোম্পানির সমস্ত বাহিনীর জন্য একজন সেনাপ্রধানের পদ সৃষ্টি করা হয়।
ব্রিটিশ-ভারত সেনাবাহিনীর মুসলমান সৈন্যদের নিয়ে গঠন করা হয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। করাচিকে অস্থায়ী সেনা সদরে পরিণত করে ঢাকা নতুন পূর্ব পাকিস্তান উপএলাকায় সেনা সদর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিতীয় ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। বস্তুত মেজর আবদুল গনি এবং কর্নেল এমএজি ওসমানীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জন্ম এবং তা প্রসারিত হয়। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উত্থান ঘটে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের গণহত্যা শুরু করে। এ সময় পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত পাঁচটি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বিদ্রোহ এবং সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। যা চলে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বাঙ্গালী অফিসার এবং তৎকালীন জাতীয় সংসদের সদস্য কর্নেল এমএজি ওসমানীকে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রধান অংশটি গঠিত হয়। প্যারামিলিটারি ও সর্বস্তরের জনগণও এই মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয় এবং মুক্তিবাহিনী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাহিনীকে এগারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের প্রধান ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন করে বিদ্রোহী সিনিয়র বাঙ্গালী অফিসার। এদের মধ্যে মেজর জিয়াউর রহমান ১নং সেক্টর, খালেদ মোশাররফ ২নং সেক্টর, মেজর কে এম সফিউল্লাহ ৩নং সেক্টর, মেজর সি আর দত্ত ৪নং সেক্টর, মেজর মীর শওকত আলী ৫নং সেক্টর, উইং কমান্ডার এমকে বাসার ৬নং সেক্টর, মেজর কাজী নূরুজ্জামান ৭নং সেক্টর, মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ৮নং সেক্টর ও মেজর এমএ জলিল ৯নং সেক্টরের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১০নং সেক্টর ছিলো নৌ কমান্ডোদের জন্য এবং ১১নং সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর আবু তাহের।
যুদ্ধ এগিয়ে চলার সাথে সাথে বাংলাদেশে একটি জাতীয় সৈন্যবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিয়মতি ইউনিটগুলোর সমন্বয়ে ৩টি ব্রিগেড গড়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই জেড ফোর্স হলো প্রথম ব্রিগেড। প্রথম, তৃতীয় ও অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জেড ফোর্সের আওতায় রাখা হয়। যার প্রধান ছিলেন লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান। চতুর্থ, নবম ও দশম ইস্ট বেঙ্গল নিয়ে সেপ্টেম্বর গঠন হয় কে ফোর্স নামে দ্বিতীয় ব্রিগেড। যার প্রধান ছিলেন লে. কর্ণেল খালেদ মোশাররফ। একই মাসে দ্বিতীয় ও একাদশ ব্রিগেড নিয়ে গঠন করা হয় তৃতীয় ব্রিগেড এস ফোর্স। এই ফোর্সের প্রধান ছিলেন লে. কর্ণেল কে এম শফিউল্লাহ। এছাড়াও জেড ফোর্সের অধীনে দুটি গোলন্দাজ বাহিনীও গড়ে ওঠে।
১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তর কলকাতা থেকে ঢাকা ক্যান্টমেন্টের পুরানো বিমান বন্দরে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৭২ সালে ১৫ মার্চ পুনরায় তা স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান স্থানে আসে। এই স্থানে ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ পদাতিক ডিভিশনের আগের সদর দপ্তর। সে সময় বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তরের নতুন নামকরণ করা হয় জেনারেল হেড কোয়াটার্স (জিএইচকিউ)। ১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসের মধ্যে এগারটি পদাতিক ইউনিট গড়ে ওঠে। অবশ্য এ সময়ে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট আটক অবস্থায় পাকিস্তানে অবস্থান করছিলো।
১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ তিন বাহিনীর যৌথ সদর অবলুপ্ত হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন বাহিনীর পৃথক পৃথক সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অবয়ব। বিবর্তনের এই ধারাগুলোকে আপনি ইচ্ছা করলেই দেখতে পারেন এবং ঘুরে আসতে পারেন তেজগাঁওয়ে বিজয় সরণিতে অবস্থিত বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাদে সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। আগত দর্শকদের সুবিধা ও সহজভাবে বোঝার জন্য কয়েকটি গ্যালারিতে বিভক্ত করা হয়েছে।
গ্যালারিগুলোর নাম হল-অস্ত্রশস্ত্র গ্যালারি, সেনাবাহিনী গ্যালারি, বিজয় গ্যালারি, মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি এবং পোশাক ও পদক গ্যালারি।
অস্ত্রশস্ত্র গ্যালারিঃ
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরের প্রথম গ্যালারিটিই হলো অস্ত্রশস্ত্র গ্যালারি। এই অংশে আপনি দেখতে পারবেন প্রাচীন যুগের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র। যেমন তীর, ধনুক, ঢাল, বর্শা, রামদা, খড়গ, ছোরা, পিস্তল, তরবারি, বিভিন্ন আকৃতির বর্ষা, গজ, ছুরি, কুবরিসহ বিভিন্ন নামের অস্ত্র।
গ্যালারি-২
এই অংশে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র, জেনারেল নিয়াজির আত্মসর্মপণের চিত্রসহ দুর্লভ আরো অনেক বিষয়।
গ্যালারি-৩
এই গ্যালারিতে ৭১ এ যুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিনগান, অরলিকন, মেশিনগান হিসপানো, ব্রাউনিং মেশিনগান, সিমি হ্যান্ড ল্যান্সার, গান পাউডার, ৭ হন্দর গান, কার্তুজ, গান কার্তন, ব্রান্ডিসাইরকেট, মর্টারবম, সেল বিভিন্ন রকম পিস্তলসহ আরো অনেক রকম অস্ত্র সজ্জিত আছে এই অংশে। এছাড়াও রয়েছে গ্রেনেড ট্যাংক এম-৭৫, গ্রেনেড হ্যান্ড ৩৬, গ্রেনেড রাইফেল, মাইল এন্টি পারসোনেল, এনডিপি-২ মাইল এন্টি ট্যাংক, এম-৫ মাইন জেজিপি, মাইন এন্টি পারসোনাল এম ২ এ১, মাইন এন্টি পারসোনাল-৩ এসব নানাধর্মী সমরাস্ত্র।
সেনাবাহিনী গ্যালারিঃ
সেনাবাহিনী গ্যালারিতে রয়েছে সুলতানি আমল। ব্রিটিশ আমল এবং বর্তমান কালে ব্যবহৃত সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পোশাকের প্রদর্শনী। পোশাকের বিবর্তন, পদবি অনুযায়ী বিভিন্ন পোশাকের ব্যবহার, শীতকালীন-গ্রীষ্মকালীন পোশাক এবং মহড়া চলাকালীন যেসব পোশাক ব্যবহার করা হয় তা দেখতে পারবেন এই গ্যালারিতে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পদক ও মেডেল।
বীরশ্রেষ্ঠ পদক, বীরউত্তম পদক, বীরবিক্রম পদক এবং বীরপ্রতীক পদক দেখার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে এই গ্যালারিতে।
মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিঃ
মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে রয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ চিত্র। রয়েছে জেনারেল এমএজি ওসমানীর দেয়া বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারদের নির্দেশনার চিত্র, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সেনাসদস্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামরিক যানসহ আরো অনেক কিছু।
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর ১৯৮৭ সালে মিরপুরে প্রতিষ্ঠার পর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ১৯৯৭ সালে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে যাতায়াত সুবিধা তেমন ভালো না হওয়ায় আগত দর্শকদের বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়। অর্থাৎ হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এছাড়াও রয়েছে পার্কিং সমস্যা। এতসব ঝক্কি-ঝামেলার পরও দর্শনার্থীর সংখ্যা কম নয়। ছুটির দিনে কয়েক হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। তাই আপনিও চলুন না একবার ঘুরে দেখে আসুন ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই সামরিক জাদুঘরকে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশে আসলে আপনাকে নিয়ে যাব আরও যেসব দর্শনীয় স্থান আছে-সেইসব যায়গায়।
ধন্যবাদ।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কয়েকবার গিয়েছি আমি।
এখন নতুন করে সাজিয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সেই ২০০৮ সনে একবারই গিয়েছিলাম।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া যাওয়া হয়নি কখনো
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম ততকালীন ভাষানী নভো থিয়েটার দেখতে-তখন ঢু মেরেছিলাম।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৯
সাসুম বলেছেন: গিয়েছিলাম দেখতে। দেখার মত আহামরি কিছুই নাই, অল্প সময়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল ঘোরাঘুরি। মে বি ২০১৫ সালের দিকে।মূলত গিয়েছিলাম বিজয় সরনীর জ্যামে আটকে থেকে বোর হয়ে যাওয়ার পর নেমে হাটা শুরুর পর দেখতে পেয়ে।
মজার বিষয় হল, এত বড় লেখায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত লিখা লিখলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা শব্দ ও পাওয়া গেল না , ইভেন এমন একটা লিখা যাতে মনে হয় এই লোক বলে কেউ নাই এবং এই জাদুঘরে অন্তত এই ভদ্রলোক এর কোন নিদর্শন ই নাই। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ , ৭১ এসব নিয়ে যেকোন সুস্থ আলোচনায় বঙ্গবন্ধু আসবেন সবার আগে। বংগবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
আপনাদের এই বিষয় টা আমার খুব ভাল লাগে স্যার। এই যে আপনাদের মত করে ন্যারেটিভ সাজান।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সেই ২০০৮ সনে একবারই গিয়েছিলাম। শুনেছি জিয়াউর রহমানের কিছু স্মৃতি সরিয়ে ফেলে এখন আরও সমৃদ্ধ হয়েছে!
এই যে স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বিজয় দিবসের এতো এতো আয়োজন-কতো কতো গর্তেন্টাইন যোদ্ধাদের হম্বিতম্বি দেখালেন, কোথাও একটি বারের জন্যও জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণ করেছেন? আপনাদের এমন ইতিহাস নির্মান আমারও ভালো লাগে! আপনি জেনে তৃপ্ত হবেন, এখন সামরিক জাদুঘরের নাম বংগবন্ধু সামরিক জাদুঘর।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
সাসুম বলেছেন: তো আপ্নারা ৭৫ পরবর্তী সময় থেকে নব্বই এর শুরুর দিকে যার হাতে দেশ হইলো তারে সপরিবারে বিনাশ করার পর, ইতিহাসের পাতা থেইকা নাম মুইছা ফালাইলেন। এরপর উনার দল ক্ষমতায় এসে আপনাদের নেতা এক্স প্রেসিডেন্ট এবং সেক্টর কমান্ডার জিয়ার নাম মুছে ফেল্লো।
বেশ ভাল। এরপর আপ্নারা আবার কোন এক কালে ক্ষমতায় এসে আবার উনার নাম মুছবেন। তো এরপরেও আপ্নারা নিজেদের কে ভাল মানুষের দাবি করেন, নিজেদের কে তাদের চেয়ে বেটার মনে করেন- এটাই বড্ড হাস্যকর।
বিঃদ্রঃ আমি ইতিহাস বিনির্মান করিনা, ইতিহাস বিনির্মানে আমার আগ্রহ নেই। আমার আগ্রহ ইতিহাস বিশ্লেষণে। আমার আগ্রহ ইতিহাস পড়তে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আক্রমনাত্মক মন্তব্যের জবাব দিতে রুচি হয়না।
ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
সাসুম বলেছেন: এটাই মোটাদাগে সমস্যা, আপনাদের ভুল ধরিয়ে দিলেই আপ্নারা রেগে যান, তেড়ে আসেন। অথচ, আমার উপরের ২ মন্তব্যে আমি একটা শব্দ ও মিথ্যা বলিনি। জাস্ট দেখাতে চেয়েছি, যাদের কে খারাপ বলছেন, যাদের কাজকে খারাপ বলে অভিহিত করছেন, সেইম কাজ আপনার পছন্দের দল করলে সেটাকে জাস্টিফাই করেন।
যাই হোক, আপনার পছন্দ অপছন্দ আপনার পারসোনাল ইস্যু। আমি খুব মানুষের ব্লগ পোস্টে কমেন্ট করি। রিসেন্টলি আপনার ২/১ টা পোস্টে কমেন্ট করেছি। আপনি চাইলে আর করব না। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: জনাব, একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বলতে চাই- আমি দলকানা নই। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের বেনিফিশিয়ারী নই। আমি জোট সরকারের বিরুদ্ধেও সমালোচনা করে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছি। আর মহাজোটের কথা বলতে গিয়ে গুম হয়েছি, জেল জুলুম শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আপনি অবশ্যই আমার পোস্টে মন্তব্য করবেন। আমি আগের কোনো এক পোস্টে "আপনার মন্তব্য আমার লেখার সম্পুরক" বলেছি। এখনও বলছি- আপনার মন্তব্য আমাকে আমার চোখ কান খুলে দেয়। সর্বপরি, সামু ব্লগের শুরু থেকেই আছি- আমি বুঝতে পারি আপনি কারোর শত্রু নন বরং অনেকের চাইতেই স্বচ্ছ-সুন্দর মনের একজন মানুষ।
শুভ কামনা নিরন্তর।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: শুধু জিয়ার কিছু নেই
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: জিয়ার মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে পাকিস্তানের দালাল বলে ঘোষণা করেছে! ইতিহাসকে মিথ্যা বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ চমৎকার পোস্ট, সাথে কিছু ছবি থাকলে দারুন হতো। ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময়ে শেষ গিয়েছিলাম। তখনো বর্তমান গ্যালারিগুলোর নির্মাণ কাজ চলছিলো। পোস্টে +++
ধন্যবাদ দারুন পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য। শুভকামনা রইবে সবসময়।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরের আদ্যোপান্ত পড়লাম। পরিশ্রমী পোস্ট ++। কখনও গেলে একবার মিরপুর গিয়ে জাদুঘরে যেতেই হবে। পোস্টে লাইক
শুভেচ্ছা আপনাকে।