নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ও আমার পৃথিবী......

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১১

আমি ও আমার পৃথিবী......

আজও খুব ভোরে উঠেছি প্রতিদিনের মতো। আকাশে তখনও আলগোছে লেগে রয়েছে রাত্রির মিহি প্রলেপ। আমার চেনা পাখিরা জেগে ওঠেনি তখনও। মনটা কেমন যেন একটু বিস্বাদে ভরে আছে। মনে পড়লো, গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম......

জীবনকে ভাবতে হয় মৃত্যুর কাছে গিয়ে। মৃত্যুর কাছে গেলেই জীবনের মানে উন্মোচিত হয়। অামরা বুঝতে পারি; অামরা কী করছি অার কী করা উচিত।

মৃত্যুর কাছাকাছি না গিয়ে জীবনকে উপলব্ধি করে ওঠাটাই হলো শিল্প অার বাকিটা অনুভব। শিল্প অার জীবন দুটোর মাঝে একটা ফারাক থাকে। একটাতে কল্পনা বাস্তবের মিশ্রণ থাকে, অপরটাতে শুধুই গবেষণা ভিত্তিক অাবিষ্কার।

এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ন্ত্রিত হলেও মৃত্যু এখনও নয়। প্রতিটি জীবের কোষের প্রতিদিন জন্ম-মৃত্যু হতে হতে একদিন সবটাই অকেজো হয়ে পড়ে। ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। জ্ঞানেন্দ্রিয়ের চলন শক্তি হারিয়ে যায়। আমরা বলি- ইস্, মানুষটা বড় ভালো ছিল।

এর ব্যতিক্রম হলেই মনে ধাক্কা লাগে। প্রাণে বেজে ওঠে নিবিড় ব্যাথার সুর। সে আমার কাজের মানুষ হোক বা নামকরা কেউ। নামী মানুষের ক্ষেত্রে মূহুর্তে সবাই জেনে যান। শোকের প্রাবল্য উথলে ওঠে। ক্ষুদ্র পরিসরে কেউ মারা গেলেও তাই হয়। সারাদিনের একটা মন খারাপ সঙ্গী হয়। কিন্তু মানুষ সময়ের আগে নিজের জীবনের বিরতি ঘটায় কেন!

এখন প্রশ্ন হলো, সময়টা কখন। একটা আট বছরের ছেলে পছন্দের মোবাইল না পাওয়ায় তার কি ঐ সময় উপস্থিত হয়েছিলো! একজন সত্তরোর্ধ্ব মানুষের একাকীত্বের নিবৃত্তিতে সময় উপস্থিত হয়েছিলো। নাকি ৩৪ বছরেই জীবনকে টেনে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব বোধ হয়েছিলো! কে বলবেন, কে এর ব্যাখ্যা দেবেন? এর ইউনিফর্ম ব্যাখ্যা হয় বলে, আমি বিশ্বাস করি না।

অনেক সময় জীবনে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়। এরপরে কি ভাবে এগিয়ে যাবো, ঠিক বোধগম্য হয় না। পরের দিনের ভোর দেখতে মন চায় না। আমারই দু বার হয়েছিলো। একবার হঠাৎ বাবার মৃত্যুতে। বুঝতে পারছিলাম না, এরপর থেকে আমার ভূমিকা কি হবে। কি ভাবে থাকবো নিঃসঙ্গ পৃথিবীতে! আর একবার নিশ্চিত মৃত্যুর কিনারা থেকে ফিরে এসেছিলাম, সে অন্য গল্প।

এখন তো মন খারাপ হওয়ার কত আয়োজন। প্রিয় জনদের মৃত্যু দেখে অনেকে অবসাদে ভোগেন। কোনো সান্ত্বনাই মনে জোর আনতে পারেনি সে সময়। এমনি করেই প্রিয় গাছটির মৃত্যু হলে, প্রিয় পোষা পাখি মারা গেলে, প্রেম অবসৃত হলে, চাকরি চলে গেলে, দীর্ঘ চেষ্টা করে চাকরি না পেলে, এরকমই হাজারো কারণে মানুষ অবসাদে চলে যায়। ব্যক্তিগত জীবনে এ সবেরই সাক্ষী আমি। তখন যাই বলা হোক না কেন, অবসাদ দূর হয় না। এ অসুখ অতো সহজে সারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের থেকে সেরে যায়- তাই রক্ষে।

আমার কলেজ বেলায় আমারই এক প্রাণবন্ত ছাত্র একদিন বিকেলে মাঠ থেকে খেলে ফিরে ওর বাবার লাইসেন্স করা পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। অথচ ছেলেটা সব কিছু আমায় বলতো। সব কিছু। ওর নিজের মা, বাবার আবার বিয়ে করা দ্বিতীয় মা - সব কিছু। খুব কষ্ট হয়েছিল। অনেক দিন মরমে মরে গিয়েছিলাম, আমি একটুও বুঝতে পারি নি, রাজীব এ রকম করতে পারে। ভিতরের ক্ষয় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ধরা পড়ে না কোনো আধুনিক যন্ত্রেই।

শত কষ্টেও মানুষ ঠিক বেঁচে থাকে, থাকতে চায়। কালকে কি খাবে, তার বন্দোবস্ত নেই। তবুও মানুষ বেঁচে থাকে। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে থাকে! অথচ কয়েক শো কোটির মালিক শিল্পপতির পুত্র আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

বেঁচে আছি, মন ঠিক আছে বলেই আছি। যেদিন মন বিগড়ে যাবে, দুমরে মুচড়ে যাবে, রিপেয়ারিং এর বাইরে চলে যাবে সেদিন থেকে আর ফেসবুকের স্ক্রীণে আর কোনো পোস্ট থাকবে না। মৃত নক্ষত্রের মতো ভেসে বেড়াবো সীমাহীন মানসপটে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ শত কষ্টের মাঝে বেঁচে থাকতে চায় । নিদারুন কষ্ট বুকে নিয়েও সবাই ই বলতে গেলে চায় আরও একটা বেশি দিন বেঁচে থাকতে । বেঁচে থাকার ভেতরে কি দারুন একটা আকর্ষণ !! মানুষের মন বুঝি এই বেঁচে থাকার আকর্ষণ থেকে কিছুতেই নিজেকে দুরে রাখতে পারে না । সবাই বেঁচে থাকতে চায় ।

আর যতদিন এই মন ঠিক আছে, মানে মনের ভেতরে বেঁচে থাকার আকর্ষণ আছে ততদিন সবাই বেঁচে থাকতে চাইবে । যেদিন মন বিগড়ে যাবে সেদিন হয়তো আমিও সব কিছু উজার করে পাড়ি দিব ওপাড়ে !

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: .....যেভাবে মামলায় ফাঁসিয়েছে তাতে বিনা দোষে দোষী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে কারাগারে..... সেই জীবনের চাইতে মৃত্যু শ্রেয়।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের উচিত মৃত্যু চিন্তাকে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করা। কিন্তু সমস্যা হোল আমাদের মাথায় হাজার চিন্তা আসলেও মৃত্যু চিন্তা অনেকের মধ্যে আসে না। মৃত্যু চিন্তা মাথায় আসা খারাপ না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: মৃত্যুর জন্য ভীত নই। কিন্তু বিনা দোষে দোষী সাবস্ত করে মৃত্যুর চাইতেও ভয়ংকর শাস্তির যাবতীয় এন্তেজাম চুড়ান্ত করেছে......

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: এই ক্ষনিকের দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য কতই না লড়াই।
প্রতিটা লড়াই এ জিতে গিয়ে আনন্দে ভেসে চলা।
মৃত্যু সে এক অবশ্য সম্ভাবী সত্য।

যে কোনো সময় যে কোনো মুহুর্তে থেমে যেতে পারে এই জীবনের কোলাহল।

যতটুকু জীবন ততটুকুই বেঁচে থাকার আনন্দ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: শায়মা বলেছেন, যতটুকু জীবন ততটুকুই বেঁচে থাকার আনন্দ
আসলে সবার জীবনে বেঁচে থাকাই আনন্দ নয়।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮

সোবুজ বলেছেন: জীবন আর মৃত্যু নিয়ে ভাবার কিছুই নাই।যতক্ষন বেছে আছি তৎক্ষন জীবিত,যেই মরে গেলাম সব শেষ।যতক্ষন বেঁচে আছি ততক্ষন যাতে ভাল ভাবে বেছে থাকতে পরি এটাই জীবনের উদ্দেশ্য ,কেউ শিকার করে কেউ করে না।কিন্তু এটাই বাস্তবতা।প্রমানহীন কিছু কল্পনা করে মানুষ কত কিছু করে,কিন্তু যেটার প্রমান বর্তমান সেটা মানুষ মানতে চায় না।
ধর্মে বিশ্বাসী মানুষরা একটা ধাঁধার মধ্যে আছে।কেউ কি বলতে পারবে ৪২০০+- ধর্মের মাঝে কোনটা সঠিক ধর্ম।এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নাই।প্রতিটা মানুষ বিশ্বাস করে তার ধর্ম সঠিক।জ্ঞান বিজ্ঞান কেউ কম নয়।ধর্মীয় বিশ্বাস তাকে প্রেরনা দেয় একথা বিশ্বাস করতে যে তার ধর্ম সঠিক,আর কিছু না।
এই যে একটা মানুষ মরে গেলে অবসাদে ভোগে বলে প্রচার করছে,এটাও তার চিন্তাধারার ফল।সবাই ভোগে একথা সত্য নয় তবে অনেকে ভোগে।পাশের সৈনিকটা গুলি লেগে মরে গেলও বেঁচে থাকা সৈনিকটা দ্বিগুন উত্সাহে শত্রু নিধনে মেতে উঠে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো উপলব্ধি, সাহসী চিন্তা ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই।
শুভ কামনা।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১২

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: অনেক সময় ভোর জাগি। ফজর নামাজ শেষ হবার পরপর মসজিদ থেকে মৃত্যু সংবাদ ভেসে আসে প্রায়ই । মন খারাপ হয়ে যায় । বেশি না ভেবে কোনো কোনদিন আরো একটু ঘুম দেই । যেদিন ঘুম আসেনা সেই দিনগুলো বেশ শান্তিময় । মৃত্যু হবেই সেটা বুজতে পারি , শান্তি সে কারণেই আসে বোধহয় ।
নিজেকে বিলিয়ে দেবার প্রথার বিরুধ্যে মনকে যে পরিমান শক্তিশালী করা উচিত তার জন্য যে শিক্ষা ,ভরসা ,ভালবাসা দরকার তা সমাজ পরিবার কোনটাই দেয়না ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে বাস্তবতার কষাঘাতে জীবন যখন দুর্বিসহ হয়ে যায় তখন শিক্ষা ,ভরসা ,ভালবাসা দরকার সমাজ পরিবার কোন কিছুর উপরই ভরসা রাখা যায়না।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাবার বড় ভাই মারা গিয়েছে কয়েক বছর আগে, মাত্র কয়েকদিন আগে বাবা ছোট ভাইও একজন মারা গিয়েছে। তারপর হতে উনার মন খারাপ হয়ে পড়েছে বেশী এবং আমাদের ভয় করে উনাকে নিয়ে যদি আমার বাবাও মরে যায়। আসলে মরণকে ভয় আমিও করি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যি কথা বললে, আমি এখন মরনের চাইতেও বেশী ভয় যন্ত্রণাময় বেঁচে থাকা।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেঁচে থাকাটাই এখন অনেক কিছু --------
দোয়া করি ভাল ও সুস্থ থাকাবেন

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জন্মের মতোন একদিন মানুষের ইচ্ছা মৃত্যু হবে। ক্যান্সারের মতো রোগ পর্যন্ত এখন ভালো হয়। প্রচুর টাকা থাকলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথা ধরেন। বিজ্ঞান তাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জন্ম মৃত্য এবং ইচ্ছা মৃত্যুও পূর্ব নির্ধারিত.....
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.