নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গঞ্জিকা সেবনকারীরাই পঞ্জিকা লিখে....

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

গঞ্জিকা সেবনকারীরাই পঞ্জিকা লিখে....

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যাহিক জীবনে পঞ্জিকা একটি অপরিহার্য বিষয়। তাদের পুজো, বার-তিথি-নক্ষত্র দেখা ছাড়াও পঞ্জিকার গুরুত্ব আছে বাংলা সাহিত্যে। আমার মতে, পঞ্জিকার মতো নির্মল হাস্যরসের ভাণ্ডার বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নেই বলেই মনে করি।


পঞ্জিকার আর এক নাম পাঁজি। ভাবছেন, পাঁজি আবার সাহিত্য হল কবে? যাঁরা এমনটা ভাবছেন, তাঁদের ভুল ভাঙানোর জন্যে বলি, অনুগ্রহ করে সময় নিয়ে এক দিন ভালো করে পুরো একটা পাঁজি পড়ে ফেলুন। সব পড়বেন, সূচনাপত্র থেকে শেষ পাতার বিজ্ঞাপন পর্যন্ত, সব! যদি একটু ধৈর্য ধরে পুরো পাঁজিখানা পড়তে পারেন, দেখবেন, বাংলায় অমন রসসাহিত্য আর দ্বিতীয়টা নেই!

পঞ্জিকাতে কী নেই? সূচিপত্রে ৭০ টা বিষয় আছে। যারমধ্যে কয়েকটি বিষয়ের নাম লিখছিঃ- ভূমিকা, হরপার্বতী, গংগাদিস্নানযোগ, মমজ্ঞকাদি গ্রহের রাশ্যাদি সঞ্চার, তারাশুদ্ধি, পতাকীচক্র, অন্তদর্শাকাল নিরুপণ, বিংশোত্তরী অন্ত্ররদশা, আশৌচ বিবেক, যমজাশৌচ, নিত্যদশা ফল, তর্পণ বিধি, শাগ্রামশিলায় পুজা, ঘটোৎসর্গ, ব্রাতকরণমীব্রত, স্তবকবচ প্রকরণ- ইত্যাদি ইত্যাদি।

একেবারে গোড়ার দিকে পঞ্জিকার গণক ও অনুমোদক পণ্ডিতদের তালিকায় চোখ বোলান। দেখবেন, কাব্যতীর্থ, কাব্যমধ্য, ব্যাকরণতীর্থ, জ্যোতিষতীর্থ, জ্যোতিষমধ্য, পুরাণরত্ন, বিদ্যাভূষণ, ন্যায়তীর্থের ছড়াছড়ি(১২ পৃষ্ঠা থেকে ৩৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত)। সারা জীবন ঘুরে বেড়ালেও অত তীর্থ দর্শন করতে পারবেন না, যা পারবেন একবার পাঁজির পাতায় চোখ বোলালে। গোটা দুই বাংলায় তো বটেই সারা ভারত জুড়েই ছড়িয়ে আছেন সেই সব ‘তীর্থ’রা এবং তারা সবাই গোল্ড মেডালিস্ট।

এবার আসা যাক গণনায়ঃ
পঞ্জিকা সব বিষয়েই গণনা করে আগাম ফল বলে দিতে পারে! পঞ্জিকাওয়ালাদের দাবি সেই রকমই। বৃষ্টি গণনা, বার্ষিক রাষ্ট্রফল, ব্যক্তির বার্ষিক লগ্নফল, রাশিফল..... মোদ্দা কথা ফলের ছড়াছড়ি! আবহাওয়ার হাল-হদিশ দিতে যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান আর আবহাওয়াবিদেরা হিমশিম খেয়ে যান, সেখানে উচ্চতর কোনও গাণিতিক পদ্ধতির সাহায্য ছাড়াই শুধু যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করে সারা দেশের বৃষ্টি ও আবহাওয়ার খবর দেওয়া কম কৃতিত্বের নয়! বিশ্বাস হল না নিশ্চই? এই ১৪২৭ বঙ্গাব্দের পঞ্জিকা খুলুন, দেখবেন- আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন মাসের বৃষ্টি গণনা করতে গিয়ে পঞ্জিকা জানাচ্ছে, "এই মাসে যেখানেই মেঘের সঞ্চার ঘটিবে সেইখানেই বারিপাত হইবে।"- মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!

চলে আসুন, বার্ষিক রাষ্ট্রফল বিভাগে:
এই বিভাগে বিস্তৃত ভাবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চিন, রাশিয়া, জাপান, ইজরায়েল, আমেরিকা মহাদেশ ও ব্রিটেনের এবং অল্প কথায় পৃথিবীর আরও অনেক রাষ্ট্রের বার্ষিক রাষ্ট্রফল বলা আছে। হাতে সময় কম থাকলে যে কোনও একটা বা দুটো রাষ্ট্রের বর্ষফল পড়লেই চলবে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রায় একই কথা লেখা আছে সবগুলোর ক্ষেত্রে।

পঞ্জিকার সব থেকে আকর্ষণীয় অংশ হল ‘জ্যোতিষ বচনার্থ’!
কী নেই সেখানে? প্রথমেই রয়েছে ‘বারবেলা’ ও ‘কালবেলা’। রবিবার থেকে শনিবার— সপ্তাহের প্রতিটা দিনেরই কোনও না কোনও সময় ‘বারবেলা’ বা ‘কালবেলা’ পড়বে। আর আছে ‘কালরাত্রি’। এই ‘বারবেলা’, ‘কালবেলা’ ও ‘কালরাত্রি’ সময়কালে কোনও কাজ করা যাবে না। করলে নানা বাধা-বিঘ্ন, এমনকী প্রাণ সংশয় পর্যন্ত!

সন্তানের অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, বিবাহ যে কোনও শুভ কাজেই হোক, পঞ্জিকার জ্যোতিষ বচনের নির্দেশ না মানলে সমূহ সর্বনাশ! পঞ্জিকা মতে, যে কোন কাজেই জ্যোতিষরা আপনার সহায়। ধরা যাক, কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন জলযানে- খবরদার! পাঁজি না দেখে জলযানে চড়তে যাবেন না ভুলেও। ‘জ্যোতিষ বচনার্থ’-এর ‘নৌযাত্রা’য় বলা আছে— ‘অশ্বিনী হস্তাপুষ্যা মৃগশিরা পূর্বফাল্গুনী পূর্বাষাড়া পূর্বভাদ্রপদ অনুরাধা ধনিষ্ঠা ও শ্রবণা নক্ষত্রে, শুভ তারাচন্দ্রে, যাত্রোক্ত দিবসে, শুভ বারতিথিযোগকরণে নৌযাত্রা প্রশস্ত।’ বোঝা গেল কিছু?
এর পরে আসা যাক পঞ্জিকার মূল অংশে, যেখানে মাস অনুযায়ী প্রত্যেক দিনের বর্ণনা রয়েছে। এই অংশটাও কম রসাসিক্ত নয়! বার, তারিখ, তিথি, নক্ষত্র, বারবেলা-কালবেলা ছাড়াও এখানে প্রতি দিন কী কী খাওয়া যাবে, কি খাওয়া যাবে না তার তালিকাও দেওয়া আছে। বিশ্বাস না হয়, একটা পঞ্জিকা নিয়ে কোনও একটা দিনের পাতা খুলুন। হয়তো দেখবেন, লেখা আছে, "ঘ ৮।৩৮।৩৭ মধ্যে নারিকেল ভক্ষণ তৈল মৎস মাংসাদি সম্ভোগ ও প্রায়শ্চিত্ত নিষেধ ও পরে অলাবু ভক্ষণ নিষেধ।" অতিরিক্ত ওজন-সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা আর কোনও কারণে না হোক, এই ‘ডায়েট-চার্ট’-এর জন্যেই একটা করে পঞ্জিকা কিনতে পারেন।

বলাই বাহুল্য, পঞ্জিকার পাতায় যা ছাপা থাকে, সেগুলি সবই ‘গ্যারান্টেড’! আর কিছু লাভ না হোক, পড়ে আনন্দ পাবেন— এটা অন্তত ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে বলা যেতে পারে। পঞ্জিকার মতো নির্মল হাস্যরসের ভাণ্ডার বাংলা সাহিত্যে আর দ্বিতীয়টা নেই।

পঞ্জিকার শুরুতেই ভূমিকা পর্বে গণনা সম্পর্কে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলা হয়েছে, "এই পঞ্জিকার গণনা ফল কেহ মিথ্যা প্রমাণ করিতে পারিলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হইবেক।" এবং সব শেষে সবিনয়ে নিবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, "সকল প্রকার ভুল ত্রুটি মার্জনীয়!"

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে পঞ্জিকার চাঁদ দেখার হিসাবটা মনে হয় সঠিক হয়। মুসলমানদের ঈদের সময় চাঁদ কখন দেখা যেতে পারে এই ব্যাপারে পঞ্জিকায় উল্লেখিত সময় প্রায়ই সঠিক হয়। এটা অবশ্য জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, চাঁদ দেখার বিষয়ে একদা পঞ্জিকার উপর নির্ভর করতো। তবে এখন সময় বদলেছে-এখন বিজ্ঞানের বদৌলতে শতবর্ষী ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়। চাঁদ, অমাবস্যা, পূর্ণিমা, চন্দ্র গ্রহণ, সূর্য্যগ্রহণ এর তারিখ, দিনক্ষণ আগাম বলে দেওয়া হয়। ২৬ বছর পর পর হ্যালীর ধূমকেতু পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে কেমন দেখা যাবে তা সুস্পস্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৬

সাসুম বলেছেন: , পঞ্জিকার মতো নির্মল হাস্যরসের ভাণ্ডার বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নেই বলেই মনে করি। এটা একটা ভুল জেনারালাইজড স্টেটমেন্ট।

আপনি এক কাজ করেন, সমুদ্র পারে থাকে, জোয়ার ভাটা , নৌকা, জেলে এ জাতীয় ৫০ উর্ধ মানুষ কাউকে পেলে জিজ্ঞেস করবেন তার জীবনে পঞ্জিকার ভুমিকা কি ছিল।

এই মাত্র ১০-১৫ বছর আগেও বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে পঞ্জিকা ছিল প্রতি বছর বিকৃত হওয়া সবচেয়ে বেশি বই।

এর অন্যতম কারন- নিখুত ইংরেজি, বাংলা ক্যালেন্ডার, রোজার সময় ইফতারের সময়, ইভেন নামাজের ওয়াক্ত ও দেখেছি আমি পঞ্জিকাতে।

সবচেয়ে দরকারি জিনিষ যেটা হাজার হাজার বছর ধরে এই পঞ্জিকা থেকে মানুষ জানত- জোয়ার ভাটার সময়। এটার উপর সমুদ্র পাড়ের মানুষের জীবন নির্ভর ছিল।

হিন্দুদের কাছে এই পঞ্জিকা ছিল আরো বেশি জনপ্রিয় কারন তাদের দিন রাশি নক্ষত্র বিশ্বাস এই পঞ্জিকার সাথে মিলে যেত এবং তারা পঞ্জিকা মতে তিথি এবং কাল মেনে চলত।

আর গননা বা জ্যোতিষ গিরী এসব ভন্ডামি সব যায়গাতেই আছে, সোলেমানি তাবিজের কিতাব তার বড় উদাহরণ।


আপ্নার এই লিখায় আমার আপত্তির যায়গাটা- পঞ্জিকা কে জেনারালাইজড করে খালি ভুয়া ভবিষ্যৎ বাণীর ভান্ডার বলা। এটা ঠিক তেমন জেনারালাইজড করা হবে, কেউ যদি কোন হুজুরকে তার ঝাড়ফুক, স্বপ্নে পাওয়া ওষধ, পানি পড়া, তাবিজ কবজ , বান মারা, জিনের আসর থেকে শুরু করে সকল ভন্ডামির জন্য জেনারালাইজড করে পুরো হুজুর সম্প্রদায় কে।


বাংলা ভূখন্ডে তথা ভারত বর্ষের পঞ্জিকা এক অতি দরকারী জিনিষ ছিল মানুষ যখন দিন তারিখ জোয়ার ভাটার সময় জানতে পারত না গুগুল করে ।


আমি এত কথা কেম্নে জানি?? আমি ১৯৯৫ থেকে বইয়ের দোকানে বসি আব্বার সো কি বই চলত খুব পই পই করে জানি এবং সমুদ্র উপকূলে বাস করার কারনে জোয়ার ভাটার হিসাব করার জন্য প্রতিবার শহরে আসার সময় পঞ্জিকা চেক করতাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমিও অস্বীকার করছিনা বাংলা পঞ্জিকার অবদান। আমি শুধু ফান করার জন্যই খারাপ দিকটা হাই লাইটস করেছি। পঞ্জিকা নিয়ে অল্পবিস্তর পড়াশুনাও করেছিলাম। সমাজ জীবনে পঞ্জিকার ব্যবহার ঠিক কবে শুরু হয়েছিল সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট দিন ক্ষণ জানা না থাকলেও; ১১২৯ সনে (১৭২২-২৩) প্রকাশিত হাতে লেখা পুঁথির সংবাদ জেমস লঙের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। পঞ্জিকার আলোচ্য বিষয় বর্ণনার ক্ষেত্রে ১৩৬৪ সনে (১৯৫৭-৫৮) ইন্ডিয়া মেটিওরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম রাষ্ট্রীয় পঞ্চাঙ্গের ভূমিকায় তিনি বলেছেন যে, ‘১. এতে মাসের দিন-তারিখযুক্ত একটি বর্ষপঞ্জি দেওয়া থাকে, যা সাধারণ লোকের লৌকিক কার্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে; ২. এতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মকৃত্যের দিন ও অনুষ্ঠানের সময়ের উল্লেখ থাকে এবং বিবাহ, উপনয়ন প্রভৃতি শুভকার্যের দিনক্ষণ দেওয়া থাকে। এই সকল শুভদিন তিথি-নক্ষত্রাদির অন্তকালও কখনও কখনও গ্রহাবস্থানের ভিত্তিতে নির্ণয় করা হয়ে থাকে।’ গণনা পদ্ধতির বিভিন্নতার কারণে বাংলা পঞ্জিকার ক্ষেত্রে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ভূমিকার পরেও এই ধরনের নানা সমস্যা প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে। ফলে, পঞ্জিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে দুইটি শ্রেণি তৈরি হয়েছে। যথা: শুদ্ধ পঞ্জিকা বা দৃকসিদ্ধ পঞ্জিকা এবং অদৃকসিদ্ধ পঞ্জিকা। আমি অদৃক্সিদ্ধ পঞ্জিকা নিয়েই লিখেছি।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১

সাসুম বলেছেন: মন্তব্যের ২য় পার্টঃ ১ম পার্টের বিক্রিত বানান ভুলের জন্য সরি। আমার অভ্রের কারসাজি।

আর হেডিং নিয়ে চরম আপত্তি আছে আমার। পঞ্জিকা লিখার সাথে যারা জড়িত তাদের কে গণহারে গঞ্জিকা সেবন কারী বলাটা একটা চরমতম অপমান। তারা জ্ঞান বিজ্ঞান ভুগোল দিন তারিখ ভূবিদ্যা জোতির্বিদ্যায় চরম এক্সপার্ট ছিলেন। পুরা ভারত ও বংগিয় উপকূলে বাস করা মানুষের অন্যতম ভরসা ছিল চাঁদ গণনা , দিন তারিখ গননা এবং সবচে জরুরি জোয়ার ভাটার গননার এই নির্ভুল ছোট্ট বই।

রাশি গননা বা জ্যোতিষ গিরী করা ভণ্ডামি কোন সন্দেহ নাই তাই বলে পুরা বইটাকে এভাবে জেনারালাইজড করা একটা অন্যায়

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: খ্রিষ্টের আবির্ভাবের ১৫০০ বছর আগে সূর্যনির্ভর যে গণনা পদ্ধতির শুরু হয়েছিল তাই-ই কালের আবর্তে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। প্রতি বছরই নতুন নতুন পঞ্জিকা প্রকাশিত হয়েছে এবং সংকলক ও প্রকাশকগণ চেষ্টা করেছেন পাঠকদের নতুন কিছু তথ্য উপহার দিতে। ফলে বিষয়ের ক্ষেত্রে যেমন পঞ্জিকা বিস্তার লাভ করেছে তেমনি এর আকারও বেড়েছে। এমনকি সে সময়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রির তালিকায় ছিল পঞ্জিকা। কারণ পঞ্জিকা ছাড়া বাঙালির গৃহকর্ম থেকে শুরু করে ধর্মকর্ম কোনো কিছুই হতো না। পঞ্জিকা প্রকাশের ধারাতে রাজা-রানিসহ অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। এবং তা ভালোই হয়েছে বলা যায় কারণ এর সাহায্যে অনেক বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হয়েছে। মোটের উপর, বাংলা পঞ্জিকা শুরু যেমন একদিনে হয়নি এর বিবর্তন হতেও অনেক সময় লেগেছে। বিষয়টি আগ্রহী পাঠকমাত্রেই ব্যাপক অনুসন্ধিৎসা সৃষ্টি করে থাকে। বর্তমানে পঞ্জিকার মূল বিশয়বস্তুই কলিকাতা হার্বাল , রত্নপাথর আর হস্তরেখাবিদদের ভন্ড ব্যবসার প্রমোট করা।

আমি আপনাকে বিনীত অনুরোধ করবো, পোস্টে এড করা পঞ্জিকার ছবি দেখে একখানা পঞ্জিকা কিনে মলাট পেপার থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আশা করি আমার পোস্টের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১০

নীল আকাশ বলেছেন: শেষের লাইনই বলে দিচ্ছে ভিতরে কী আছে - 'সকল প্রকার ভুল ত্রুটি মার্জনীয়'। পালাবার রাস্তা আগেই পরিষ্কার করে রেখেছে।
আমি অনেকদিন ধরে এই চীজ খুজে যাচ্ছি। আমার নিজেও এটা পড়ার ইচ্ছে।
অনেকেই এটা আমাকে পড়ার রিকোমেনডেশন দিয়েছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: একদিকে বিশুদ্ধতার গ্যারান্টি, অন্যদিকে ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা!

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: পঞ্জিকা বা পাঁজির কথা অনেক শুনেছি, দেখেছিও কিন্তু সব সময় ভেবেছি জ্যোতিষীরা আগের দিনের ঠিকই হয়ত গুনে বলতে পারে।

এত বেশি কিছু ভাবিনি আর কি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: জীবনে অনেক বিখ্যাত লেখকের বই পড়েছো, নিশ্চই সংগ্রহেও আছে-অনেক অনেক বিখ্যাত বই। এবার অন্তত একখানা পঞ্জিকা কিনে পড়ে দেখো- কি নাই পঞ্জিকায়!

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

নতুন বলেছেন: পন্জিকা আর গান্জিকা শব্দ নিয়ে ফান করেই সিরোনাম করেছেন মনে হচ্ছে।

কিন্তু ভবিষ্যতবানি ছাড়া পন্জিকার হিসেব নিকেশ, উপদেশ এইগুলি অনেক দিনের প্রচলিত জ্ঞানের সমস্টি। চাদের হিসাব খুবই চমতকার ভাবে মিলে যায় এই পন্জিকার হিসেবে।

তাই একে গন্জিকার সাথে না মেলানোই ভালো।

ভুয়া যোতিশি নিয়ে কথা ঠিক আছে। কিন্তু পন্জিকার অনেক কিছুই ভালো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: আমাদের বাসায় একখানা পঞ্জিকা আছে। ছোট্ট একটা গোলাপী রং। কিন্তু কি যে লেখা তাতে কিছুই তো বুঝিনা। :(

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ছোট পঞ্জিকায় আর কতোটাই গাঁজাখুরী লেখা সম্ভব! বড়ো পঞ্জিকা হলো গাঁজাখোরীর মহাকাব্য!

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এক সময়ে দেখেছি বাবা পঞ্জিকা ব্যবহার করতেন বছর শেষে বাজার থেকে কিনে আনতেন এখন আর চোখে পরে না
ভাল থাকবেন-------

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার হেলে বেলায় আমাদের বাড়িতেও পঞ্জিকার ব্যবহার দেখেছি।
ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫

সাসুম বলেছেন: এখানে যে পঞ্জিকা টার ছবি দিয়েছেন এটা লোকনাথ এর পঞ্জিকা বাংলাবাজার শাখা থেকে প্রকাশিত। এটা ১৪ নাম্বার ।

আদি ও আসল লোকনাথ এর পঞ্জিকা, হালকা গোলাপি কালারের এখনো বাজারে পাওয়া যায়- দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা হতে পারে।

সেটা চেক করে দেখবেন প্লিজ।

আর পঞ্জিকার বর্তমান বিবর্তন কিরুপে হয়েছে সেটা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই কারন গননা বুজরুকী আর জ্যোতিষ গিরীর বিপক্ষে আমি সব সময়। গ্রহ নক্ষত্র দেখে যদি মানব জীবন আর রাষ্ট্র সমাজ চালানো যেত তাহলে তো কোন কথাই ছিল না। আবার একদম ফান্ডামেণ্টালিস্ট হিন্দুদের কে এটা বললে চেতে উঠবে- কারন তাদের বিশ্বাস তো সেরকমই এই গ্রহ নক্ষত্র ভিত্তিক দিন রাশির। তাদের বিশ্বাস তালগাছ তাদেরটাই ঠিক । ঠিক যেমন করে- আপনি ফান্ডামেন্টালিস্ট মোসলমান দের কে আজগুবি কাহিনী বললে চেতে উঠবে এরক্কম। মোদ্দা কথা, যখন আদি কালে জ্ঞান বিজ্ঞান অগ্রসর হয় নাই তখন মানুষ অলৌকিক ও আজগুবি জিনীষে বিশ্বাস করত যেটা আধুনিক যুগে এসে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। যেটা সব দেশের, সব কালের , সব ধর্মের মানুষের জন্য প্রযোজ্য।

আপনার পোস্টে কমেন্ট করার আমার মাত্র ২টা কারনঃ
১। হেডিং এবং মোটা দাগে জেনারালাইজড করা - এটা মোটেই সুন্দর নয় কারন যারা পঞ্জিকা বানাত তাদের মধ্যে একদল ছিল যারা প্রচুর জ্ঞানী ছিল এবং নির্ভুল ভাবে দিন তারিখ চাঁদ সূর্যের গ্রহন পূর্নিমা অমাবশ্যা জোয়ার ভাটার প্রেডিকশান করে দিত যেটা শত শত বছর ধরে আমাদের মানুষ দের কাজে এসেছে।

বাকি রাশি পঞ্জি গ্রহ নক্ষত্র গনণা জ্যোতিষ গিরী করা এসব ভন্ডামি ঠিক আছে :)


২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি জানি না, আমি যে পঞ্জিকা পড়ে এই পোস্ট লিখেছি তা ঠিক কতো নম্বর। তবে ওটা ২৮০ টাকায় কিনেছিলাম। পঞ্জিকার ভিতরে যা আছে তা আমি উল্লেখ করেছি এবং সেই অনুযায়ী পোস্টের শিরোনাম লিখেছি, যা আমার কাছে যথাযথ মনে হয়েছে।

আপনার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

শায়মা বলেছেন: ৯. ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৫০

সাসুম বলেছেন: এখানে যে পঞ্জিকা টার ছবি দিয়েছেন এটা লোকনাথ এর পঞ্জিকা বাংলাবাজার শাখা থেকে প্রকাশিত। এটা ১৪ নাম্বার ।

আদি ও আসল লোকনাথ এর পঞ্জিকা, হালকা গোলাপি কালারের এখনো বাজারে পাওয়া যায়- দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা হতে পারে।

সেটা চেক করে দেখবেন প্লিজ।




ইয়েেে দেখছো সাসুম ভাইয়া বলেছে আমার সেই গোলাপী পঞ্জিকাই আসল ও আদি। :) :) :)

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি জানি না, আমি যে পঞ্জিকা পড়ে এই পোস্ট লিখেছি তা ঠিক কতো নম্বর। তবে ওটা ২৮০ টাকায় কিনেছিলাম। পঞ্জিকার ভিতরে যা আছে তা আমি উল্লেখ করেছি এবং সেই অনুযায়ী পোস্টের

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পঞ্জিকা বিষয়ে বুদ্ধি দীপ্ত লেখা। এর আবার আসল নকল ও আছে। আগের দিনের মানুষরা এগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়ে থাকতে পারে। এখন এসব পাঠের সময় কোথায়। তবে ভালো লিখেছেন। পড়ে আরাম পাওয়া গেল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি ভাই।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি আজও পড়িনাই, কখনো পড়া হবে বলে মনে হয় না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পঞ্জিকার দিন শেষ। এখন এসবে কেউ নজর দেয় না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

সোবুজ বলেছেন: ছোট বেলায় আব্বা কে দেখতাম, মাকে বলছে,দেখ তো পুবে যাওয়া শুভ না অশুভ।আমি যদি শুনতাম অশুভ, আমি তখন পুবে কোন বোনের বাড়ী যাত্রা করতাম প্রমান করার জন্য।এই ভাবে ছোট বেলা থেকে প্রমান করার একটা প্রবনতা আমার মধ্যে গড়ে উঠে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: স্বাধীনতার আগে আমাদের বাড়িতে অন্যসব বাংগালীদের মতো পঞ্জিকা চর্চা হতে দেখেছি। কিন্তু যাত্রা নাস্তি বা যাত্রা শুভ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতো। আমরা রাশি ফল, শুভ অশুভ এগুলো নিয়ে ফান করতাম। :P

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয়লাগে।মনে পড়ে একবার হাতে একটা পজ্ঞিকা নিয়ে টানা দুপাতা পড়তে পারিনি। তবে আমার পরিচিত বহুজনকে এর ব্যবহার অনুযায়ী গ্রহ নক্ষত্র তিথি মেনে সামাজিক সহ ধর্মীয় রীতি পালন করতে দেখেছি। তখন মনে প্রশ্ন জাগতো, মানুষের জীবন কী এতোই একে বাঁধা? অথচ বন্ধুদের কাছে প্রশ্ন করলে,ওসব আমরা বিশ্বাস করি না কিন্তু বাবা মায়ের কথা শুনতেই নাকি পালন করতে হয় গোছের কথা বহুবার শুনেছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দেশের কোনো মুসলমান পরিবারের কাউকে তিথি, শুভ, অশুভ, রাশিচক্র বিশ্বাসী দেখিনি। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের পরিবারের সদস্যদের পঞ্জিকার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে দেখেছি। আমার পোস্ট পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন - পঞ্জিকা আমার কাছে কতটা হাস্যরসের যোগান দিয়েছে! =p~

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৩

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এই পোস্ট আর তার কমেন্ট সেকশন দুই জায়গাই চরম বিনোদন । এই সময়ে যে জিনিস কোনরকম দরকার নাই সেটাকে ভার্জিন করে জোর করে পড়ানোর প্রচেষ্টা ভালো লেগেছে ।
তিনটা প্লাস ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: জোড় করে কেউ কাউকে কিছু পড়াতে পারেনা। আপনার ইচ্ছায় আপনি পড়েছেন। ধন্যবাদ।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শিরোনামটা বেশ ফানি হয়েছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: পঞ্জিকার বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে শিরোনাম সঠিক হয়েছে বলেই আমি মনে করি।

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা....... প্রিয় ভাই, এভাবে হাটে হাঁড়ি না ভাঙ্গলে হতো না? অনেকের দেখি বড্ড লেগেছে =p~

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে আমি যে পঞ্জিকা পাঠ করে এই রিভিউ লিখেছি সেটা এভাবে না লিখলে হতো না! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.